সবজি চাষের সময় সূচি সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন
সবজি চাষের সময় সূচী জানাও অত্যন্ত জরুরী, যদি সেই সঠিকভাবে সবজি চাষ করতে চায় এবং অল্প চাষের মাধ্যমে লাভবান হতে চায়।কোন সময়ে কোন সবজি চাষ করলে ফলন বেশি পাওয়া যাবে এবং বীজ রোপনের সঠিক সময় ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকা লালশাক চাষ করা যায়। আপনি যদি সঠিকভাবে সবজি চাষ করতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া সবজি চাষের বিষয়ে আরো বিস্তারিত ভাবে আর্টিকেলের ভিতরে আলোচনা করা রয়েছে। যেভাবে চাষ করলে আপনি দ্রুত লাভবান হবেন এবং চাষের জন্য মাটি তৈরি, টবে সবজি চাষ করতে পারেন, কোন কোন সবজি কোন মাসে চাষ করলে ভালো ফলন পাবেন এইসব বিস্তারিত আলোচনা করে হয়েছে। আপনি চাইলে পড়ে আসতে পারেন।
গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকা লালশাক
গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকা লালশাক থাকে। লাল শাক গ্রীষ্ম ও শীতকালে দুটো সময়েই হয়ে থাকে। তবে গ্রীষ্মকালীন সবজি তালিকায় লাল শাক রয়েছে। সাথে অন্যান্য সবুজ শাক, পুঁইশাক, ডাটা শাক, কলমু শাক, পাট শাক ইত্যাদি পাওয়া যায়।
টবে বারোমাসি সবজি চাষ
তবে বারোমাসি সবজি চাষ করা যায়। প্রথমে আমাদের জেনে নিতে হবে , তবে কোন কোন সবজি চাষ করা যায় এবং কখন কোন সবজি চাষ করা যায় এসব বিষয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। তাই শুরুতেই সবজি চাষের সময় সূচি জেনে নিতে হবে। এরপরে টবে চাষ করার জন্য উপযুক্ত মাটি তৈরি করে নিতে হবে। দো-আশঁ মাটি নিতে হবে, জৈব সার নিতে হবে, এবার ভালো ভাবে মাটি মিশিয়ে নিতে এবং ঝুর ঝুরে করে নিতে হবে।
টবে মাটি দিয়ে ভরে দিতে হবে। টবের নিচের দিকে ছিদ্র রাখতে হবে পানি দেওয়ার জন্য। টবের উপর দিয়ে পানি দিলে চারা গাছের গোড়া নোরে যাবে। তাই টবের উপরি ভাগ দেয়া যাবে না। টবে চাষের সুবিধা হলো চারা গাছের টব গুলো অতিরিক্ত রোদ, ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য নিরাপদ স্থানে রাখা যায়। তাছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত বীজ, সার, কীটনাশক ইত্যাদি অপচয় হয় না। বারোমাস টাটকা সবজি পাওয়া যায়।
সবজি চাষের সময় সূচি
সবজি চাষের সময় সূচি সম্পর্কে আমাদের আগে জানতে হবে। কেননা কোন মাসে কোন সবজি চাষ করতে হয় এবং কোন সিজি নিয়ে চাষ করলে সবজি ভালো ফলন পাওয়া যায় সেইসব সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে তা না হলে সবজি চাষের লাভবান হওয়া যাবে না। তাই আজকের আর্টিকেল থেকে সবজি চাষের সময়সূচি জেনে নিন।
মাস | সবজি চাষ উপযোগী |
---|---|
জানুয়ারি মাস | |
ফেব্রুয়ারি মাস | |
মার্চ মাস | মার্চ মাস থেকে গরম একটু একটু করে পড়তে শুরু করে তাই মার্চ মাসেই সবজি চাষের উপযোগী সবজিগুলো মুলা গাজর শসা শালগম ব্রুকলি কাঁচা মরিচ বেগুন লাউ টমেটো ইত্যাদি |
এপ্রিল মাস | |
মে মাস | মে মাসে প্রচুর গরম পড়ে থাকে গ্রীষ্মকালীন সময়ে এসময় আম জাম কাঁঠাল লিচু অনেকটা বড় হয়ে থাকে। বাজারে এই সময় থেকে এগুলো পাওয়া যায়। তাছাড়া সবজি গুলোর মধ্যে ভুট্টা, মিষ্টি আলু, তরমুজ ইত্যাদি। |
জুন মাস | |
জুলাই মাস | |
আগস্ট মাস | |
সেপ্টেম্বর মাস | |
অক্টোবর মাস | |
নভেম্বর মাস | |
ডিসেম্বর মাস |
জানুয়ারি মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ আমাদের আগে জানতে হবে সবজি চাষ করার পরে কত দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে। সাধারণত জানুয়ারি মাসে যে সকল সবজিগুলো রোপন করা হয় তা বসন্তের মাঝে মাঝে টাইমে ফলন পাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। তবে সব ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না।
জানুয়ারি মাসে কিছুটা শীতের আভাস পড়ে যায়। তাই সেই সময় শীতের সবজিগুলোই রোপন করা হয়ে থাকে যেমন পেঁয়াজ, রসুন, আলু, টমেটো, গাজর, মূলা, লালশাক, পালন শাখা, মটর শুটির,খেসারি, সরিষা ইত্যাদি।
ফেব্রুয়ারি মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ সবজি চাষের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে সবজি চাষ সবচাইতে উপযোগী সময়। এই সময় শীতকাল যা সবজি চাষের জন্য উপযুক্ত। পেঁয়াজ রসুন টমেটো লাল শাক পালং শাক মিষ্টি কুমড়া চাল কুমড়া গাজরআলু বাঁধাকপি ফুলকপি সিম বরবটি ধনিয়া পাতা মটরশুটি ইত্যাদি। এইসব সবজি চাষের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
মার্চ মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ সাধারণত শীতকালের জন্য সবজি চাষ সবচাইতে উপযোগী। তবে মার্চ মাসেও সবজি অনেক ফলন পাওয়া যায় ।মার্চ মাস থেকে গরম একটু একটু করে পড়তে শুরু করে তাই মার্চ মাসেই সবজি চাষের উপযোগী সবজিগুলো মুলা গাজর শসা শালগম ব্রুকলি কাঁচা মরিচ বেগুন লাউ টমেটো ইত্যাদি
এপ্রিল মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ এপ্রিল মাসে সবজি চাষের জন্য ভালো উপযোগী সময় কেননা এ সময়ে মাটি উষ্ণ থাকে তাছাড়া এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয় এপ্রিল মাসে যে সবজি চাষ হয়ে থাকে সেগুলো হলো ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, সবুজ শাক, লাল শাক, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, ব্রকলি ইত্যাদি।
মে মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ মে মাসে প্রচুর গরম পড়ে থাকে গ্রীষ্মকালীন সময়ে এসময় আম জাম কাঁঠাল লিচু অনেকটা বড় হয়ে থাকে। বাজারে এই সময় থেকে এগুলো পাওয়া যায়। তাছাড়া সবজি গুলোর মধ্যে ভুট্টা, মিষ্টি আলু, তরমুজ ইত্যাদি।
জুন মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ জুন মাসে ঘন ঘন ঝড় বৃষ্টি হয়ে থাকে এবং প্রচুর তাপমাত্রা থাকে তাই এ সময় যেসব সবজি হয়ে থাকে তা মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, পেঁপে, লাউ, বেগুন, মরিচ, শসা ইত্যাদি।
জুলাই মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ জুলাই মাসের শাকসবজি গুলো গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি হয়ে থাকে। এই সময় ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে তাই এ সময়ে সবজি চাষ ভালো হয় এবং অতি দ্রুত ফলন পাওয়া যায়। ফলগুলো এই সময়ে পাকতে শুরু করে।
আগস্ট কোন কোন মাসে সবজি চাষ উপযোগীঃ সবজি চাষের জন্য একটি ভালো সময় আগস্ট মাস এ সময় ফলন বেশি পাওয়া যায়।পুঁইশাক, লাল শাক পালং শাক, লেটুস, শালগম ইত্যাদি।
সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় বর্ষা শেষের পথে এবং শরতের শুরুর দিকে তাই এ সময়ে মটরশুটি, পালং শাক, মুলা, গাজর, আলু, মরিচ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ইত্যাদি হয়ে থাকে।
অক্টোবর মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ অক্টোবর মাসে সবজি চাষ হয়ে থাকে সেপ্টেম্বর মাসের যে সব সব রোপন করা হয় ও গুলোই প্রায় হয়ে থাকে।
নভেম্বর মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃ নভেম্বর মাসে প্রায় শীতের সবজি গুলাই চাষ হয়ে থাকে। তবে নাম্বারের শেষের দিকে সবজি চাষ শুরু করে থাকে এবং লাল শাক, পালং শাক, মটরশুটি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, মুলা, বরবটি, সিম, আলু ইত্যাদি।
ডিসেম্বর মাসে কোন কোন সবজি চাষ উপযোগীঃনভেম্বরের শেষের দিক থেকে এবং ডিসেম্বরের শুরু থেকে সবজি চাষের জন্য ধুম পড়ে যায়। এ সময় চাষিরা সবজি চাষ করে থাকে হরেক রকমের। যেমন মূলা, টমেটো, গাজর, সিম, লাল শাক, পালং শাক, মটরশুটি, বরবটি, পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়া পাতা, কালোজিরা, সরিষা, মেথি ইত্যাদি।
তাছাড়া এখন এই সবজিগুলো বারোমাসি হয়ে থাকে। সারা মাসে এসব সবজি পাওয়া যায় তবে ফলন তেমন হয় না। তেমন লাভবান হওয়া যায় না। তাই এসব সবজিগুলো কোন মাসে ভালো ফলন পাওয়া যায় সেই মাসে মাসে চাষ করলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। তাই উচিত সবজি চাষ করার আগে আমাদের সবজি চাষের সময় সূচি সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ
বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করার নিয়ম এবং সবজি চাষের সময় সূচি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।আপনি যদি বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সবজি চাষের সময় সূচি দেখে কাজ শুরু করতে হবে। তাহলে অল্প চাষকরে অধিক ভগবান হওয়া যাবে।বাংলাদেশে জনসংখ্যার মাথাপিছু হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মানুষের থাকার জায়গার প্রয়োজন হচ্ছে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করায় আবাদ যোগ্য জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
তাছাড়া যাদের জমি পরিমান কম তারা নিজ বাড়ির/বসতবাড়ির আঙ্গিনায় সামান্য পরিমান জমি ফেলে না রেখে সবজি চাষ করতে পারেন। অল্প অল্প করে অনেক রকমের সবজি চাষ করতে পারেন। জায়গা বুঝে ছোটো ছোটো বেড তৈরি করে লালশাঁক, পালনশাঁক, টমেটো, মুলা, গাজর, আলু, বেগুন, ঢেঁড়স ইত্যাদি ।
আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ
আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ জানার আগে জেনে নিব আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে কেমন লাভবান হওয়া যায় এবং নাকি ক্ষতি হয়? শীতকালীন সবজি চাষ করার জন্য কৃষকেরা আগাম চাষ করে থাকে। যাতে করে শুরুতেই সবজির দাম ভালো পাবে। যেমন শিম,পাটল, শসা,লাউ করলা ইত্যাদি। শীতকালে অসময়ে চাষ করলে তেমন একটা ক্ষতির সম্মুখীন হয় না।
কিন্তু গ্রীষ্মকালীন আগাম সবজি চাষ করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বিভিন্ন ভাইরাস ফাঙ্গাস আক্রমণ করে গাছ কুকড়ে যায়, ফলন ভালো হয় না। তাই গ্রীষ্মকালে আগাম সবজি চাষ করার চেয়ে না করাই উত্তম।
বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি
বর্তমান সময়ে সবজি চাষ বারো মাসে হয়ে থাকে। প্রায় অনেক সবজি এখন সারা বছরই খাওয়া যায়।তবে আমাদের জেনে নিতে হবে কোন সবজি কোন মাসে ভালো ফলন দেয়। যাতে করে ওই মাসেই চাষ করলে ভালো পাওয়া যায়।তাই সবার আগে সবজি চাষের সময় সূচি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। বারোমাসি সবজি চাষ করার জন্য আগে বাছাই করে নিতে হবে জমি।
বাড়ির আশেপাশে এমন জায়গা বেছে নিতে হবে যাতে করে দিনের বেশির ভাগ সময় রোদ থাকে। আলো, বাতাশ, রোদ থাকলে সে জায়গায় চাষাবাদ ভালো হয় তাই প্রথমে এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। তারপর জমিতে গোবর সার , জৈব সার, দিয়ে জমি ভালো ভাবে চাষ করে নিতে হবে, মাটি শুকনো হলে চাষ দেওয়ার আগে জমিতে সেচ দিয়ে জো করে নিতে হবে।
মাটি চাষ দিয়ে ভালো ভাবে ঝুর ঝরে করে নিতে হবে। এর পর বেড তৈরি করতে হবে। প্লট গুলোর মাঝে সেচ নালার জন্য ১ মিটার করে জায়গা রাখতে হবে। প্লট গুলো এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে করে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যেতে পারে। এবার বারোমাসি সবজি সিলেক্ট করে সে গুলো লাগাতে হবে।
বারোমাসি সবজি কি কি
বারোমাসি সবজি কি কি তা জানতে হলে সবজি চাষের সময় সূচি টা দেখে নিতে হবে, সময় সূচিতে দেখে তালিকা করতে হবে, বারো মাসে কোন কোন সবজি হয়ে থাকে।বারো মাসে ছয়টি ঋতু আসে । প্রতি দুই মাস পর পর ঋতু পরির্বতন হয়। ঋতু এই বৈচিত্রতার কারনেই নানা রকম ফলমূল সবজি চাষ হয়। এখন প্রায় বারোমাসি সবজি চাষ হয়ে থাকে।যেমন লালশাঁক, সবুজ শাঁক, পুইশাঁক, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, বেগুন, শসা, টমোটো, পেঁপে, ঢেঁড়স, মরিচ ইত্যাদি।
সারা বছর সবজি চাষের তালিকা
- লালশাঁক
- সবুজ শাঁক
- পুইশাঁক
- লাউ
- মিষ্টি কুমড়া
- চাল কুমড়া
- বেগুন
- শসা
- টমোটো
- পেঁপে
- ঢেঁড়স
- মরিচ
শীতকালীন সবজি তালিকা
- শিম
- বাঁধাকপি
- ফুলকপি
- গাজর
- মূলা
- লালশাঁক
- পালন শাঁক
- বরবটি
- ধনিয়া পাতা
- পেয়াজ
- রসুন
- শালগম
- সরিষা
- মটর শুটি
- আলু
- টমোটো
অল্প জায়গায় সবজি চাষ
বাড়ির আঙ্গিনায় অথবা ফেলে রাখা পতিত জমিতে সারা বছর সবজি চাষ করতে পারি। অল্প জায়গায় বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করা যায।আলু, বেগুন, শিম, ঢেঁড়স, লাউ, পুঁইশাক, বরবটি ইত্যাদি। এতে করে পরিবারের সাশ্রয় হয়, টাটকা সবজিও পাওয়া যায় এবং পুষ্টিহীনতাও দূর হয়। তাই অল্প জায়গায় সবজি চাষ করার জন্য এমন কিছু সবজি চাষ করতে হবে, যাতে অল্প জায়গায় সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। তাই অবশ্যই সবজির চাষের সময় সূচি ভালোভাবে জানা দরকার।
কেননা কোন সময়ে কোন সবজি ভালো ফলন দিবে এটা জানা থাকলে অল্প জায়গায় সবজি চাষ করে অধিক ফলন পাওয়া যাবে। তাছাড়া অবসর সময়ে বাড়ির মহিলারা ও ছেলেমেয়েরও এ কাজ করতে পারে। এতে খরচও কম এবং খাটনিও কম হবে। বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ এটা একটি সৌখিন কাজ। অল্প জায়গায় বারোমাসি সবজি চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া।
সবজি বীজ বপন পদ্ধতি
সবজি বীজ বপন পদ্ধতিতে বীজ সারি ভাবে বা ছিটিয়ে বপন করা উত্তম। বীজ ছিটানাের পর মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ছোটো বীজের বেলায় বীজের দিগুন পরিমান পরিষ্কার বালি বা ছাই অথবা মিহি মাটি মিশিয়ে নিয়ে বপন করতে হবে।বীজ বপনের পর সেচ দেওয়া উচিৎ নয় কারন বীজ বপনের পর সেচ দিলে মাটি চটা বেঁধে যায়। ফলে বীজের চারা গজাতে বাতাস চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
তাই সেচ দেওয়া মাটিতে জো এলে চাষ দিয়ে মাটি ঝুর ঝুরে করে নিয়ে বীজ বপন করতে হবে। তবে সবজি বীজ বপন করার পদ্ধতি জানার আগে জানতে হবে সবজি চাষের সময় সূচি। সময় সূচি জানা থাকলে সেই সময়ে সবজি বীজ বপন করলে সঠিকভাবে কাজে আসবে। তাই সবজি চাষের সময় সূচি জানা অবশ্যই দরকার।
হাইব্রিড সবজি চাষ
সবজি চাষের সময় সূচি জেনে হাইব্রিড বীজ রোপণ করতে হবে। আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে সবজি ভালো ফলন পাওয়া যায়। তাই কোন আবহাওয়া কোন সবজি ভালো চাষ করা যাবে সেটা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তাছাড়া হাইব্রিড সবজি বীজে অতি অল্প সময়ে ফলন পাওয়া যায়। প্রায় ২০/২৫ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া সম্ভব।বিভিন্ন দেশে এখন প্রায় শতাধিক মানুষই হাইব্রিড সবজি চাষ করছে।
এতে করে অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যায়।মোট কথায় সবজি চাষ করে মানুষ অনেক লাভবান হচ্ছে,আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা বেকার কিংবা পড়শুনার পাশাপাশি অবসর সময়ে সবজি চাষ করতে পারেন বাড়ির আঙ্গিনায়, পতিত জমিতে, হইতো বা বাড়ির ছাদে।
লেখকের মন্তব্যঃ আজকের এই আর্টিকেলে সুন্দরভাবে বারোমাসি সবজি চাষ এবং সবজি চাষের সময়সূচি এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনার যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে তাহলে আপনার পরিচিতদের সাথে এবং বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন এবং তারাও যেন এই আর্টিকেলটি পড়ে সবজি চাষ সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। এবং নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইট ফলো করুন ।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url