গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি জানুন
গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় গুলো কি তা আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের অনেক সময় ঘরে মা বোনেরা রান্না করার সময় তাড়াহুড়া করে অসতর্কতায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই এই পোড়ার দুর্ঘটনা ঘটার পর সঙ্গে সঙ্গে কি করতে হবে জানতে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন। পোড়া ক্ষত শুকানোর মলম ব্যবহারর করার নিয়ম জেনে রাখুন।
এছাড়াও আর্টিকেলে আরো অন্যান্য বিষয়ে যেমন পোড়ার দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়, তৎক্ষণাৎ প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া এবং মলম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আগুনে পোড়া, তেলে পোড়া কিংবা গরম পানিতে পোড়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এগুলা দেখে আসতে পারেন।
পোড়া ক্ষত শুকানোর মলম
আপনি কি পোড়া ক্ষত শুকানোর মলম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পোড়া ক্ষত শুকানোর মলম গুলোর মধ্যে আমার পরিচিত কমন একটি মলম তা হলো র্বানা ক্রিম। আমার মনে হয় র্বানা ক্রিম পোড়ার জন্য অনেক উপকারী একটি মলম। আমি নিজেও এটি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি আপনি চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
র্বানা ক্রিম এর কাজঃ পোড়া জায়গায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এবং অতি দ্রুত ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারের নিয়মঃ কোনভাবে রান্না করতে গিয়ে কিংবা কোনো দুর্ঘটনায় আগুনে পুড়ে যায় কিংবা গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় র্বানা দ্রুত ব্যবহার করতে হবে। এই ক্রিমটি পোড়া বা ফোসকা অংশে মোটা করে প্রলপ দিতে হবে। র্বানা ক্রিম দিনে অন্তত ৫ থেকে ৭ বার দিয়ে রাখতে হবে। ক্রিমটি ক্ষতস্থান থেকে সরে গেলে আবার পুনরায় দিতে হবে।
আপনি চাইলে আরো বাজারে অন্যান্য ক্রিম পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। সেইসব ক্রিম সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ্য করা আছে। ক্রিম গুলোর মধ্যে আশা করি যেটা ভালো মনে করবেন সেটা কিনতে পারেন। এই মলম গুলোর পাশাপাশি আমরা কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি আলোচনা করেছি আপনি চাইলে সেগুলো দেখে আসতে পারেন।
পোড়া ঘা শুকানোর ঔষধ
- র্বানা ক্রিম
- বেন্টাল ক্রিম
- বার্নসিল ক্রিম
- বার্ণলেস ক্রিম
- বার্নাইড ক্রিম
- সিলভারজাইন ক্রিম
- সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম
- শিবালিন ক্রিম
- ডাজিন ক্রিম
- র্ডামাজিন ক্রিম
- মেডিজেন ক্রিম
- সিবার্ন ক্রিম
পোড়া ক্ষত শুকানোর ঘরোয়া উপায়
আপনি কি পোড়া ক্ষত শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে পুরো আর্টিকেলটি আপনার জন্য উপকারে আসবে আশা করি। রান্না করতে গিয়ে কিংবা কোন কাজে গিয়ে কোন না কোন ভাবে আমরা একটু হলেও পড়ার সম্মুখীন হয়ে থাকি। কিংবা ঝুঁকি থেকে যায় তাই আগে থেকে এগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী। কেননা ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরে তখন নতুন করে জানার সময় থাকে না।
তাই এই সব কিছু আগে থেকেই জেনে রাখা উচিত। আসুন কিছুপোড়া ক্ষত শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নেই। পোড়া ক্ষত শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে নিচের দিকে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পোড়া ক্ষত শুকানোর জন্য ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে বিস্তারিত পড়ুন।
তেলে পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা
আপনি কি তেলে পোড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। আর্টিকেলের ভিতরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের অনেক সময় অসতর্ক তারা কারণে দেখা যায় রান্না করার সময় তেল ছিটকে পরে কিংবা ছ্যাকা লাগিয়ে এরকম টুকটাক ঘটনা ঘটে থাকে রান্না ঘরে। তাই আপনাকে আমাকে সবাইকে অবশ্যই পোড়া সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা উচিত হবে।
গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি? এরকম পোড়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে তাৎক্ষণাৎ প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। আগে খেয়াল করতে হবে শরীরের কতটুকু অংশ পড়েছে, উপরের অল্প অংশ পড়লে এটা প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া চিকিৎসা করলে মুক্ত পাওয়া যায়। আর যদি পুরোটা গভীরে পর্যন্ত পুড়ে যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তাই হসপিটালে যাওয়া উচিত। প্রাথমিক চিকিৎসা কি কি হয়ে থাকে আসুন জেনে নেই।
পানির ব্যবহারঃ পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত জ্বালা না কমে পানি ঢালতে থাকুন। অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পানি ঢালতে পারেন। এর ফলে ফোসকা পড়ার হাত থেকে অনেকটা বাঁচা যায় এবং ব্যথা, জ্বালা পোড়া কমে।
অ্যালোভেরার জেলঃ পুড়ে যাওয়া জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায় পুড়ে যাওয়া জায়গায় ২০-২৫ মিনিট পানি ঢালতে হবে। এরপর জেল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলের উপরের পাতা ছিলে ফেলে ভিতরের অংশ তরল করে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগাতে হবে। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ফ্রিজে ঠান্ডা বরফঃ পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক এই চিকিৎসা নিতে পারেন ফ্রিজের ঠান্ডা বরফ ছেকা লাগার জায়গায় ধরে রাখুন অনেকক্ষণ যতক্ষণ জ্বালাপোড়া না কমে এতে করে ফোসকা পড়া থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।
টুথপেস্টঃ পুড়ে যাওয়ার পর পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে মোটা করে টুথপেস্ট লাগিয়ে দিলে অনেকটা ব্যথা কমে যায়। তবে দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে হবে।
ভিনেগার এর ব্যবহারঃ আগুনে পোড়া, তেলে পোড়া কিংবা যেকোনো পোড়াতে ভিনেগার ব্যবহার করা যায়। ভিনেগার পোড়া জায়গায় দিলে চমৎকার কাজ করে। এটি জীবনুনাশক হিসেবে কাজ করে সাথে ব্যথা কমায়, ফুলে যায় না। ভিনেগার পানির সাথে মিশিয়ে জলপট্টির মত ব্যবহার করতে হয় এতে জ্বালাপোড়া অনেকটা কমে যায়।
দুইয়ের ব্যবহারঃ দই পোড়া জায়গায় ব্যবহার করা যায়। দইয়ের প্রলপ দিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয় এতে ব্যথা ও ফোলা কমতে সাহায্য করে। তবে ক্ষতটা যদি বেশি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে দই লাগানো উচিত নয়।
আলুঃ আগুনে পুড়ে যাক কিংবা গরম পানিতে পুড়ে যাক যেভাবে পুড়ে যাক না কেন সঙ্গে সঙ্গে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে আলুর বেটে আলুর রস লাগালে পোড়া স্থান বন্ধ হয় ফুসকা পোড়া থেকে মুক্তি পায়।
আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
আপনি কি আগুনে পোড়া দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। তাছাড়াও গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাদের অনেক সময় দেখা যায় মা-বোনদের সাথে এই ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। দেখা যায় রান্নার কাজে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে কিংবা অসতর্কতা বসত আগুনে পুড়ে যায় কিংবা ছ্যাকা লাগে।
রান্না সময় গরম পানি হাতে পড়ে ফোসকা পড়ে যায়। এতে ফোসকা পড়া মানেই দাগ হওয়া। তাই এই দাগ দূর করার জন্য আমরা ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারি। এতে দাগ অনেক হালকা হয়ে যায়। আসুন ঘরোয়া উপায় গুলো জেনে নিন খুব সহজেই।
মেথিঃ পুড়ে যাওয়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে মেথি অনেক উপকার আসে। মেথি প্রথমে সারারাত ভিজে রেখে পানি ফেলে দিয়ে বেটে পেস্ট করে করা স্থানে লাগাতে হবে এভাবে কিছুদিন লাগানে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
ডিমের সাদা অংশঃ ডিমের সাদা অংশ পড়া স্থানে সঙ্গে সঙ্গে লাগালে স্থান জ্বালাপোড়া বন্ধ হয় এবং ফুসকা পড়ে না।ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য কার্যকারী। ডিমে থাকে অ্যামিনো এসিড এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই ডিমের সাদা অংশ অনেক উপকার করে দাগ দূর করতে।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল ব্রন,পোড়া দাগ মিলিয়ে দিতে সাহায্য করে। নারিকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা তত্ত্ব করে সুন্দর উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
দুধঃ দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন জিঙ্ক যা পোড়া স্থানে লাগালে অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং দাগ কমে আসে।
চা পাতাঃ চা পাতার রস পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগাতে পারেন ।অনেকটা ব্যথা এবং যন্ত্রণা কমে যাবে এবং ফুসকা দাগ হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে। কারণ চা পাতার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে টনিক এসিড।
মধুঃ পোড়া ক্ষত ছিলে যাওয়া অংশে মধু ব্যবহার করা যায়। মধু স্বাস্থ্যকর গুণাবলীর ফলে নিয়মিত প্রয়োগ করলে সঙ্গে সঙ্গে দাগও কমে যায়। তাছাড়া স্কিন ভালো রাখতে মধু ব্যবহার করা যায়।
গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার উপায়
গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার উপায় কিংবা গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি সেসব বিষয়ে জানতে চাইলে আর্টিকেলটি পুরো পড়তে হবে। পুরো আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে পোড়া দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে দেয়া হয়েছে আপনি চাইলে পোড়া দাগ দূর করার জন্য এসব ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।এতে দাগ হালকা করতে অনেকটা উপকারে আসে।
তাছাড়া গরম তেলে পোড়া/ছেকা লাগা/আগুনে পোড়া কিংবা গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় এগুলোর মধ্যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পোড়া বা ক্ষত জায়গায় সেরে ওঠা যায়। অনেক বেশি পুড়ে গেলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে পাশাপাশি ডাক্তারের দেয়া অনুযায়ী মলম ব্যবহার করতে হবে। এতে করে দাগ দূর হবে এবং ঘা দ্রুত শুকাবে।
হাত পুড়ে গেলে কি মলম লাগাতে হয়
পুড়ে গেলে কি মলম লাগাতে হয় জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে অনেক ধরনের মলমের নাম দেওয়া আছে। আপনি চাইলে এগুলোর একটি ফার্মেসি থেকে কিনে এনে ব্যবহার করতে পারেন। গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জানুন। হাত পুড়ে গেলে এবং ফুসকা পড়লে দ্রুত মলম ব্যবহার করুন ফুসকা বা ক্ষত জায়গায় মলমটি মোটা করে লাগিয়ে রাখুন। যতদিন না কমে মলম ব্যবহার করা বাদ দিবেন না।
পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার
আপনি কি জানতে চান পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার কি কি? গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় ?পুড়ে ক্ষত হয়ে গেলে সেখানে সহজে ঘা শুকাতে চায় না। এমনকি কিছু কিছু খাবারে ক্ষত জায়গায় ক্ষতিকর হয়। আমাদের জানতে হবে কি কি খেলে ক্ষত দ্রুত শুকায় আর কি কি খেলে ক্ষতি হয়। কি খাবার খেলে দ্রুত ক্ষত শুকানো সম্ভব আসুন সেই গুলো বিষয়ে জেনে নেই।
শাক-সবজিঃ শাক-সবজিতে আছে ভিটামিন ও মিনারেল যা ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন সবুজ শাক খত নিরাময় করতে দ্রুত কাজ করে। এইসব খাদ্যে রয়েছে ভিটামিন কে যা রক্তক্ষরণ কমায় এবং ক্ষত দ্রুত শুকায়।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু ক্ষত নিরাময় করতে অনেক উপকারী। এটি দ্রুত ঘা শুকাতে সাহায্য করে। কেননা এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা ঘা শুকাতে কাজ করে।
মুরগির মাংসঃ ক্ষত শুকাতে মুরগির মাংস খাওয়া প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ। প্রোটিন ও আয়রন যুক্ত খাবার খেলে ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
ডিমঃ ডিম রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন যা পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। ডিম খেলে দ্রুত ক্ষত স্থান নিরাময় পাওয়া যায়।
টক জাতীয় ফলঃ ঘা শুকাতে টক জাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। টক জাতীয় ফলের ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে যেমন আমলকি, কাগজি লেবু, কমলা লেবু, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা ইত্যাদি খেতে হবে।অনেকেই মনে করেন টক জাতীয় খাবার খেলে ঘা পেকে যায় কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। ডাক্তারে প্রচুর পরিমাণে টক জাতীয় খাবার খেতে বলে।
মুখে গরম তেল পড়লে করণীয়
আপনার শরীরের কোন জায়গায় কিংবা মুখে গরম তেল পড়লে কিংবা গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি তা জানতে চান? যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমাদের অনেক সময় রান্না করতে গেলে তাড়াহুড়া করে কখনো গরম দিন ছিটে গায়ে পড়ে মুখে পড়ে। ফলে ফোকসা করে দাগ হয়ে যায়। তাই মুখে গরম তেল পড়লে করণীয় কি তা জানা অবশ্যই দরকার।
আসুন আমরা করণীয় বিষয়গুলো জেনে নেই। তেল অল্প একটু ছিটে পড়লে তেমন কোন সমস্যা হয় না। যদি একটু বেশি পড়লে তখন ক্ষতি হতে পারে ফোকসা পড়তে পারে। তাই আমাদের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত। যাতে করে সঠিক সময়ে ঔষধ লাগালে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- মুখে গরম তেল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে পানি ঢালতে থাকুন এর পরবর্তীতে মলম ব্যবহার করতে হবে।
- যন্ত্রণা কমাতে ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। পানের সাথে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সেটা কাপড় ভিজিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে এতে করে যন্ত্রণা কম হবে।
- অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যালোভেরার পাতা ছিড়ে জেল বের করে পড়া জায়গায় লাগাতে পারেন এতে করে জ্বালাপোড়া কমবে ফুসকুড়ি হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
- টক দই পোড়ার জন্য উপকার। করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে কিছুক্ষণ টক দই লাগিয়ে রাখুন এতে ঠান্ডা হবে।
- পুড়ে যাওয়া স্থানে জ্বালা পোড়া কমাতে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার ক্রিম
আপনি কি গরম তেলে পোড়া দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলের উপরের অংশে অনেক ক্রিম এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে আপনি চাইলে সেগুলো দেখতে পারেন। গরম তেলে সঙ্গে সঙ্গে ফোসকা পড়ে যায় গরম পানিতে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় আমাদের উচিত ঘরে আগে পোড়ার ক্রিম নিয়ে রাখতে হবে। যাতে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করলে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা যায় এবং দাগ মুক্ত হওয়া যায়। পোড়া স্থানে সঙ্গে সঙ্গে ট্রিটমেন্ট দেওয়া উচিত।
লেখক এর মন্তব্যঃ আজকের এই আর্টিকেলে বিভিন্নভাবে পোড়ার ক্ষত থেকে রক্ষা পেতে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোড়ার বিষয় সম্পর্কে পড়ে একটু হলেও উপকৃত হয়েছেন। তাই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরও এই বিষয়ে জানতে সুযোগ করে দিন। আপনাদের উৎসাহ পেলে আরো বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে লিখতে পারবো।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url