কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত সর্ম্পকে জানুন

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত আলোচনা করা হয়েছে। জুমার দিন শ্রেষ্ঠতম আমলের দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ ধরা হয়ে থাকে। শুক্রবারের দিন অর্থাৎ জুমার দিন আল্লাহর ইবাদতের দিন আল্লাহ এই দিনটিকে সম্মানিত করেছেন। জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়তা আর্টিকেলের মধ্যে দেওয়া হয়েছে।
কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে জুমার দিনে দোয়া কবুলের আমল, শুক্রবারের আমল দরুদ, সূরা কাহাফ তেলাওয়াতের সময়, এবং তাজবীহ পাঠ এর সময় ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই সব বিষয়ে জানতে চান? তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পড়ে আসতে পারেন।

জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়, এই দোয়া অবশ্যই গুরুত্বপুর্ণ। আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, “ যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর জায়নামাজে বসে ৮০ বার একটি দরুদ পাঠ করবে তার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব আমলনামায় দিবেন।” ( আফদালুস সালাওয়াত-২৬)

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অনেক। জুমার দিনে যে দোয়া পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়, সেই গুরুত্বপুর্ণ  ছোট্ট দোয়াটি হলোঃ-

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লিম তাসলিমা।

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই আর্টিকেলে জুম্মার দিনের ফজিলত কি কি তা নিয়ে আলোচনা করব। আরো জানতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ আমল এবং এ সম্পর্কে হাদিসে কি বলেছে। আসুক জেনে নেই কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত গুলো-

মুসলিম ধর্মে জুম্মার দিন অন্যান্য দিনের চেয়ে উত্তম একটি দিন। শুক্রবার দিনটি ইবাদতের দিন। এ দিনে দুনিয়াবী ধ্বংস হবে। তাই মুসলমানদের জন্য শুক্রবার দিনটি স্পেশাল একটি দিন। এই দিনে সমস্ত স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। কারণ মানুষ শুক্রবারে আল্লাহর ইবাদতে কাটাতে পারে। বৃহস্পতিবারের বিকেল থেকে শুক্রবার দিনের বিকেল পর্যন্ত বিশেষ আমল রয়েছে।


প্রত্যেক মুসলমানকে জুমার দিনের আমল গুলো করা উত্তম। জুমার দিনে জোহরের নামাজ জামায়াতের সঙ্গে পড়ার আদেশ দিয়েছেন। আর শুক্রবারের জোহরের নামাজকেই জুমার নামাজ ধরা হয়। জুমার দিনে খুতবা পাঠ করে। খুতবা হলো হাদিসের আলোকে নির্দেশনা ও উপদেশ দেওয়া। পবিত্র জুম্মার দিনে কুরআনে ও হাদিসে অনেক আমল রয়েছে। আসুন জেনে নেই হাদিসে বর্ণিত জুম্মার দিনের ফজিলত গুলো।

জুমার দিনে হাদিসঃ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ মুমিনদের জন্য জুমার দিন হল সাপ্তাহিক ঈদের দিন।” ( ইবনে মাজাহ, হাদিসঃ ১০৯৮)

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, “ যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই সব দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিনই হল সর্বোত্তম। ওই দিনে হযরত আদম (আঃ) সৃষ্টি করেছেন, ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়, এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই দিন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে ।” (মুসলিম শরীফ, হাদিসঃ ৮৫৪)

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অনেক তাই শুক্রবার দিনটিকে ঈদের দিনের মত ভাবা হয়েছে। যেই দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওইসব দিনগুলোর মধ্যে জুম্মার দিনেই শ্রেষ্ঠ দিন। জুমার দিনে আল্লাহতালা আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে ওই দিনে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং ওই দিনেই আদম আঃ মৃত্যুবরণ করেছেন। 


শুক্রবার দিন কিয়ামত শুরু হবে, দুনিয়াবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেছেন, “হে বিশ্ববাসীরা জুমার দিন যখন নামাজের ডাকা হয় তখন তোমরা সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখে মসজিদে প্রবেশ করবে। এতে তোমাদের জন্য মঙ্গল তা তোমরা যদি বুঝো।” জুমার আযান দেয়ার পর পর সকল মুসলমানদেরকে মসজিদে জামাতে সঙ্গে নামাজ আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।

হযরত আবু হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
  • যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে পাক পবিত্র হয়ে মসজিদে সবার আগে প্রথম কাতারে হাজির হয় সে যেন একটি উট কোরবানি করার সমান সওয়াব পেল;
  • দ্বিতীয় ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল সেও যেন একটি গরু কোরবানি করার সমান সওয়াব পেল;
  • তৃতীয় ব্যক্তি একটি ছাগল কোরবানি করার সমান সওয়াব পেল;
  • চতুর্থ ব্যক্তি মসজিদে গেল সেও যেন মুরগি সাদকা করার সমান সওয়াব পেল;
  • পঞ্চম ব্যক্তি একটি ডিম সাদকা করার সমান সওয়াব পেল;
জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উত্তম এ ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ কর। কেননা এই দরুদ আমার সামনে পেশ করা হবে।” ( আবু দাউদ, হাদিসঃ ১০৪৭)

শুক্রবার আসরের পর দোয়া কবুলের আমল

শুক্রবার আসরের পর দোয়া কবুলের আমল
কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অন্যান্য দিন গুলোর বেশি। শুক্রবার আসরের পর দোয়া কবুলের আমল সম্পর্কে হাদিসে রাসুল (সা:) বলেছেন, জুমার দিন আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত এবং সেই দিন অন্যান্য দিনের থেকে শ্রেষ্ঠ।” (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১০৮৪) ।

আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত ,“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে যা আসরের পর দোয়া কবুলের উত্তম সময়। ওই সময়ে যদি কেউ নামাজরত অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করে, আল্লাহ দোয়া কবুল করে নিবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাত দিয়ে ইশারা করে সময়ের সংক্ষিপ্ততার ইঙ্গিত দেন।” (বুখারী: ৬৪০০)

দোয়া কবুলের সঠিক সময় হলো বিকেল বেলায় আসরের সালাতের আগ মুহূর্ত থেকে আরম্ভ করে আসর নামাজ শেষ করে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত। কোন ব্যক্তি যদি মসজিদে না যেতে পারে তাহলে ঘরে বসে আমল গুলো করতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেছেন পৃথিবীর ভূখন্ড যেকোনো স্থানে সেটা ঘর হতে পারে, বাহির রাস্তা হতে পারে, মাঠ হতে পারে,সবখানে সালাত আদায় করতে পারবেন। এখান থেকেও দোয়া প্রার্থনা করলে আল্লাহ কবুল করে নিবেন।


জুমার দিনে একটি বিশেষ আমল তা হল সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে কিয়ামতের দিন আকাশ তুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। তাছাড়া শুক্রবার আসরের পর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা ও জিকির করা মুস্তাহাব। শুক্রবার জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা একটি সূরা নাযিল করেছেন, “সুরাতুল জুমা।” শুক্রবারকে বলা হয় “জুমা মোবারক”।
  • সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা।
  • বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
  • জিকির করা,ছোট ছোট দোয়া পাঠ করা।
  • তাসবিহপাঠ করা।
  • বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করা।
  • আরো অন্যান্য নফল আমল করা
  • মৃত্যু ব্যক্তির জন্য কবর জিয়ারত করা

আসরের নামাজের পর তাসবিহ

আসরের নামাজের পর তাসবিহ
কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অনেক। আসরের নামাজের পর তাসবিহ পাঠ করা ভালো।প্রত্যেক নামাজের শেষে তসবি পাঠ করা উত্তম তসবি পাঠের ফজিলত অনেক। রাসূল সাল্লাল্লাহু (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিচের এই দোয়াটি দশবার পাঠ করবে সে ইসলাম ইসমাইল এর বংশের চারজন দাসকে মুক্ত করার সমান সওয়াব পাবে। (বুখারী ৬৪০৩)
  • “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’য়িন ক্বদীর।”
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ‘ যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজ শেষে ৩৩ বার সুবাহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৩ বার আল্লাহু আকবার পড়বে, আল্লাহ তাকে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন, যদিও গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ।’ (সহীহ মুসলিম)

জুম্মা মোবারক ছোট হাদিস

জুমা অর্থ একত্রিত হওয়া। আল্লাহ তায়ালা এই দিনটিকে সম্মানিত করেছেন। এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে ধরা হয়। আল্লাহতালা কুরআনে এরশাদ করেন, “হে মুমিনগণ জুমার দিনে যখন মসজিদে আজান দেওয়া হয় তখন তোমরা যত দ্রুত সম্ভব বেচাকেনা বন্ধ করে দাও। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা তা বুঝো।”

আব্দুল ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) শরীয়ত সম্মত কারণ ছাড়া জুমার নামাজ পরিত্যাগ করল, সে যেন মুনাফিক হিসেবে লিপিবদ্ধ হলো,যা মুছে ফেলা বা পরিবর্তন করা যাবে না।(তাফসীরে মাযহারী খন্ড:৯)

আবু সাঈদ খুদরি হতে বর্ণিত, “সূর্য উদয়ের পর থেকে জুমার নামাজের সময় শুরু হয় এবং খুতবা শেষ হওয়ার পর পর্যন্ত স্থায়ী থাকে।” (সহীহ মুসলিম)

জুম্মা মোবারক সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রার (রা:) বলেছেন, রাসুল সাঃ বলেন, এক জুম্মা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত, এবং এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজানের মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করা হয়, যদি সে ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম হাদিস: ২৩৩)

শুক্রবারের আমল দরুদ

কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত অনেক। জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবারের আমল দরুদ পাঠের ফজিলত অনেক। রাসূল (সাঃ) এর ওপর দরুদ পড়া অন্যতম একটি ইবাদত। আল্লাহর শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। তার জন্য আমাদের দরুদ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর ফজিলত অনেক রয়েছে।

তাই আল্লাহতালা তার বান্দাদেরকে আমাদের শেষ নবীর ওপর দুরুদ পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা এবং তার ফেরেস্তারাও নবীর উপর দরুদ পাঠ করেন। সূরা আহযাব আয়াত নাম্বার ৫৬, তে বলা হয়েছে“ হে ঈমানদাররা তোমরাও তার প্রতি দরুদ পড়ো এবং বেশি বেশি করে সালাম কর।” জুমার দিনকে আল্লাহ তা'আলা সম্মানিত করেছেন এবং এই দিনে আল্লাহতালা বেশি বেশি দরুদ পড়তে বলেছেন।

রাসূল সাঃ বলেছেন, “তোমাদের দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হল জুমার দিন। জুমার দিনে নবী করিম সাঃ এর ওপর দরুদ পাঠ করার তাগিদ দিয়েছেন। শুক্রবারের দিন অর্থাৎ জুমার দিন অনেক ঘটনা রয়েছে। এই দিনে আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করেছে এবং একই দিনে জান্নাতে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে এবং এই দিনে তার মৃত্যু হয়েছে। এই একই দিনে কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে, বিকট শব্দ হবে, দুনিয়াবী ধ্বংস হয়ে যাবে। কাজেই এই দিনে তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ তোমরা যে দরুদ পাঠ কর সেইদরুদগুলো আছে পেশ করা হয়।”

জুমার দিনের মেয়েদের আমল

জুমার দিনে মেয়েদের আমল একই রকম তবে মেয়েরা মসজিদে যেতে পারেনা না।  তবে মেয়েদের মসজিদে যাওয়ার অনুমতি থাকলেও অনেক জায়গায় সেই ব্যবস্থা নেই। তাই ঘরে বসেই আল্লাহর ইবাদত করা যায়। জুমার সময় ইমাম সাহেব খুতবা পাঠ করে সালাত শেষ করা পর্যন্ত মেয়েরা এই সময়টুকু ঘরে বসে আল্লাহর ইবাদত করতে পারেন। আর বিকেল বেলায় আসরের সালাত শুরুর আগ থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমল করতে পারেন।

জুমার দিন দোয়া কবুলের দিন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলে। জুমার দিনে স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে কারণ এই দিন আল্লাহর ইবাদতের দিন। আল্লাহ এই দিনটিকে একটি সম্মানিত দিন করেছেন। এই দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহ তায়ালা দোয়া কবুল করে থাকেন। আর ওই সময়ে বান্দা নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং দোয়া করে আল্লাহ তা কবুল করে নেন।

শুক্রবার সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয়

শুক্রবার সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয় জানতে এবংকুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। তাই আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে আপনি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আজকে আমরা জুমার দিনে সূরা কাহাফ পড়ার সময় জানবো।

আগে জানতে হবে জুমার শুরুর সময় এবং শেষ সময়। জুমার রাত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে জুমাবারের সূর্য ডোবার পর্যন্ত। এই সময়টুকু সূরা কাহাফ পড়া উত্তম। আপনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত পড়তে পারবেন। জুমার দিনে ‘সূরা কাহাফ’ ফজিলত অনেক। এ ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য তার পায়ের নিচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত একটি আলোর বিচ্ছুরিত এবং এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে তার যা গুনাহ আছে মাফ করে দেয়া হবে।”

জুমার দিনের শ্রেষ্ঠ আমল

১.মেসওয়াক করা।
২.গোসল করা।
৩. সুন্দর পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা।
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা (সুরমা ,আতুর)।
৫. যত দ্রুত সম্ভব মসজিদে যাওয়া।
৬. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া উত্তম।
৭. মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা।
৮. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা।
৯. সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা।
১০. নির্দিষ্ট সময়ে দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।
১১. তাহিয়াতুল নামাজ আদায় করা।

শেষ কথা

এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমরা আর্টিকেলে আল্লাহর দেওয়া সম্মানিত একটি দিন জুমার দিনের আমল সম্পর্কে তুলে ধরেছি। এবং আর্টিকেলের ভিতর কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত ও গুরুত্ব তুলে ধরেছি। আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। এইসব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন।

আমরা প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য তুলে ধরি। বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা চেষ্টা করব সঠিক সমাধান দিতে। আর অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সঙ্গে এবং বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন তারাও যেন পড়ে একটু হলে উপকৃত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url