ব্লগে আর্টিকেল লেখার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম গুলো সর্ম্পকে জানুন
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো কি কি তা সুন্দরভাবে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা আছে ব্লগার ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখতে গেলে কিছু নিয়ম আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এসব নিয়মগুলো ফলো না করলে ওয়েবসাইট ব্যান করে দিতে পারে। শর্ট কিওয়ার্ড লং কিওয়ার্ড ও আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ করা আছে।
এছাড়াও কিভাবে আপনি ওয়েবসাইটের স্ক্রিনশট নিবেন,কপিরাইট বিশ্লেষণ কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের বাইনিং কিওয়ার্ড র্যাঙ্ক করিয়ে টাকা ইনকাম করা সহ আলোচনা করা হয়েছে।আপনি যদি এইসব বিষয়গুলো জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়ুন।
স্ক্রিনশট টেকনিক
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো মধ্যে স্ক্রিনশট টেকনিক জানার বিষয় রয়েছে। কোন পোস্টে যদি বর্ণনামূলক কিছু লেখা হয় সেক্ষেত্রে স্ক্রিনশট দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়। কাজগুলো কিভাবে করবে ধাপে ধাপে সেগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে দেখানো হয়। এই ধরনের কোন পোস্ট লিখতে গেলে আমাদের স্ক্রিনশট টেকনিক জানতে হবে।
স্ক্রিনশট করার সময় পোষ্টের ভিতরে যতটুকু দেখানো দরকার ঠিক ততটুকু সিলেক্ট করে স্ক্রিনশট নিতে হবে, যাতে করে পাঠক এসে স্ক্রিনশট দেওয়া ছবিটি দেখে সহজে বুঝতে পারে। যে কোন লেখার কতটুকু দেখানো হয়েছে বা এই লেখাটুকু স্কিনের কোন অংশ। স্ক্রিনশট কিভাবে নেওয়া যায় তাবিভিন্ন ডিভাইসের উপর নির্ভর করে।
গ্রামার বা ব্যাকরণ কত সংশোধন
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো মধ্যে এই বিষয়টি অতন্ত গুরুত্ব। গ্রামার বা ব্যাকরণগতভাবে যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে কিভাবে সংশোধন করবেন। যেমন বাংলা বানান এবং ইংরেজি বানান কিভাবে ঠিক করবেন। গ্রামার আমরা দুই রকম ভাবে চেক করতে পারি। ইংরেজি বানান গুলো ব্রাউজার দিয়ে ঠিক করা যায়। কিন্তু বাংলা বানান ব্রাউজার দিয়ে ঠিক করা যায় না সেক্ষেত্রে আলাদা করে একবার সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।
ইংরেজি বানানগুলোর ক্ষেত্রে ভুল হলে নিচে লাল কালার দিয়ে আন্ডার লাইন করা থাকে। সে ক্ষেত্রে সহজেই বোঝা যায় বানানটি ভুল হয়েছে। ইংরেজি বানান এর উপর মাউস পয়েন্ট রেখে রাইট ক্লিক করলে কতগুলো কিওয়ার্ড সামনে আসে সেইখান থেকে সঠিক বানানটি সিলেক্ট করে দিলে হয়ে যায়। এভাবেই ব্রাউজার থেকে ইংরেজি বানান শুদ্ধ করা যায়।
কিন্তু বাংলা বানান ভুল হলে কোন আন্ডারলাইন করে থাকে না। এক্ষেত্রে কাজ সমস্ত লেখাগুলো সিলেক্ট করে অভ্র স্কেল চেকার অ্যাপস এর মাধ্যমে বানানগুলো শুদ্ধ করা যায়।
কপিরাইট বিশ্লেষণ
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম অবশ্যই জানা ফরজ তার মধ্যে কপিরাইট বিশ্লেষণ। কপিরাইট বিশ্লেষণ বলতে যা বুঝায় প্রথমে পাঠকদের অ্যাটেনশন বা মনোযোগ আকৃষ্ট করে তাকে কিছু প্রমিস করার মাধ্যমে কোন কিছুর বিক্রি করা বা কোন সেবা পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে কপিরাইটিং।কপিরাইট করতে গেলে তিনটা বিষয় জানার প্রয়োজন তা হলো আটেন্সন, প্রমিস এবং কল টু একশন।
অ্যাটেনশনঃ পাঠকদের মনোযোগ আকৃষ্ট করা।একজন কপির রাইটিং এর কাজ হচ্ছে পাঠকদের এটেনশন কেস করা।
প্রমিসঃ কোন সে বাবা পণ্য পাঠকদের সামনে তুলে ধরার মধ্যে প্রমিসিং কথাটি বিজ্ঞাপনে থাকতে হবে। সেবা কাস্টমারের একটি লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যাবে এমন আশা দেওয়া বা প্রমিস করা। যাতে পাঠকরা বিশ্বাস করে।
কল টু একশনঃপ্রথমে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং যে বিষয়ে পাঠকদের বলা হয়েছে সে বিষয়ে প্রমিস করা।এরপর পাঠকরা কোন একটা সেবা বা পণ্য গ্রহণ করবে। এভাবে পাঠকদের কাছে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা তাকে বলে কল টেনশন।
plagiarism কি? কেন ব্যবহার করবেন না
কোন কিছু কপি করে অন্য জায়গায় পেস্ট করে সেটা নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াই plagiarism বলে।ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর মধ্যে plagiarism কি? কেন ব্যবহার করবেন না অবশ্যই জানতে হবে। অন্য কারো কাছ থেকে কপি করে ব্যবহার করা অর্থাৎ অন্য কারো থেকে চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া একটি অপরাধ মূলক কাজ। যার ওয়েবসাইট থেকে কপি করা হয়েছে সে চাইলে আইনত ব্যবস্থা নিতে পারে। তাই অন্যায় কাজ কখনোই করা উচিত নয়।
আপনার ওয়েবসাইটের লেখা অন্য কেউ চুরি করেছে কিনা সেটা কিভাবে বুঝবেন? চলুন সে ব্যাপারে জেনে নেই। প্রথমে যে কাজটি করতে হবে ওয়েবসাইটের লিংক কপি করেগুগল থেকে copyscape.com লিখে সার্চ করে এই ওয়েবসাইটের মধ্যে ঢুকতে হবে। এবার কপি করা লিঙ্ক টি পেস্ট করে সার্চ দিতে হবে তখন দেখা যাবে কেউ আপনার লেখা চুরি করেছে কিনা।
অন্যভাবেও চেক করা যায় চুরি করেছে কিনা। সেটা হচ্ছে কোন একটি পোস্ট থেকে কিছু অংশ সিলেক্ট করে কপি করে গুগলে সার্চ করে দেখা যায়। এভাবে লেখাগুলো ইউনিক কিনা চেক করে নেওয়া যায়।সেক্ষেত্রে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম মানতে হবে।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ
আর্টিকেল স্পিনিংঃএকটি আর্টিকেলের লেখাগুলো সমর্থক শব্দ ব্যবহার করে পুরো আর্টিকেল কে সেন্স/ পরিবর্তন করে ফেলা। অর্থাৎ একটি আর্টিকেলকে সমার্থক শব্দ চেঞ্জ করে আর্টিকেলটি অন্যভাবে বলা তবে কথার অর্থগুলো একই বুঝায়। তার জন্য আমাদের একটি পোষ্টের মধ্যে থেকে কিছু লেখা কপি করে গুগলে free-article-spinner.com ওয়েবসাইটের ভিতরে ঢুকে লেখাগুলোকে পেস্ট করে Spin text করে লেখাগুলোকে পরিবর্তন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আর্টিকেলটি ইউনিক হিসেবে ধরা হবে।
আর্টিকেল স্ক্রাপিংঃ free-article-spinner.com ওয়েবসাইটের মধ্যে ঢুকিয়ে কোন একটি কিওয়ার্ড দিয়ে Spin text করলে সে বিষয়ে একটি আর্টিকেল অটোমেটিকলি লিখে দিবে। ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম এর একটি টেকনিক।
আর্টিকেল স্পিনিং এবং স্ক্রাপিং করা অবশ্যই যাবে। তবে এগুলো করতে গেলে কখনো কখনো সমর্থক শব্দ সাথে মিলে না তখন google কর্তৃপক্ষ যদি জানতে পারে, বুঝতে পারে, সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের সমস্যা হতে পারে। তাই এগুলো একটি ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করা মোটেও উচিত হবে না।
Buying কিওয়ার্ড র্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বাইং কিওয়ার্ডে হচ্ছে কোন একটি পোষ্টের মধ্যে কোন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার সাথে সেই গুলো বিক্রি করার জন্য লিংক যুক্ত করা। ধরুন খেজুরের গুড় সম্পর্কে পোস্ট লিখলেন এবং ওই পোস্ট এর ভিতর খেজুরের বিক্রি করার জন্য যে ওয়েবসাইটে খেজুরের গুড় বিক্রি করে, ওই ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিলেন। অন্য কারো ওয়েবসাইটে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য এটি করতে পারেন।
তার লিংকটি আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করায় আপনি ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এফিলেট কমিশন নিতে পারেন। এভাবে একটি ওয়েবসাইটে মার্কেটিং করা যায়। আবার আপনি যদি মনে করেন অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন, তাহলে সেই প্রোডাক্টের বিস্তারিত ভালো-মন্দ দিক বিশ্লেষণ করে একটি পোস্ট লিখে বিক্রি করার জন্য একটি লিংক যুক্ত করে দিলেন এভাবে চাইলে আপনার ব্যবসা বাড়াতে পারেন।
আবার আপনি চাইলে একটি ভিডিও তৈরি করে ওয়েবসাইটে লিংক যুক্ত করতে পারবেন। ভিডিওতে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে যেমন কোন লিঙ্ক থেকে কোন লিংকে ক্লিক করে একটা প্রোডাক্ট কিনতে পারবে সেই ব্যাপারে একটি ভিডিও তৈরি করে ওয়েবসাইটের ভিতরে ভিডিওর লিংক দিয়ে দিলে সে ক্ষেত্রে মানুষ ওয়েবসাইটের ভেতরে ঢুকে ভিডিও দেখে প্রোডাক্ট কিনতে পারবে। আর এভাবেও ইনকাম করা যায় একটি ওয়েবসাইট থেকে।
লং টেইল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম কিওয়ার্ড বাছায় করা। লং টেইল কিওয়ার্ড কি তার আগে শর্ট টেইল কিওয়ার্ড কি জানতে হবে। শর্ট টেইল কিওয়ার্ড হল আমরা কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ দেই সেই শব্দগুলো এক থেকে দুইটি শব্দ হলে সেই কিওয়ার্ড কে বলা হয় শর্ট টেইল কিওয়ার্ড।আর লং টেইল কিওয়ার্ড হলো শর্ট টেইল কিওয়ার্ড এর সাথে আগে পরে আরো শব্দ যুক্ত করে সার্চ করা হয় সেটাই লং টেইল কিওয়ার্ড।
শর্ট টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে অনেক লোক গুগলে সার্চ করে কিন্তু লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে তেমন বেশি সার্চ করে না। লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে তেমন কোন পোস্ট লেখে না। লং টেইল কিওয়ার্ড গুগোল এ ফাঁকা থেকেই যায়, তাই আমাদের ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম অনুযায়ী লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লেখার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে গুগলে র্যাঙ্ক করানো সহজ হবে। শর্ট কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট লিখলে র্যাঙ্ক করানো সহজ হবে না।তাই ব্লগারের নতুন অবস্থায় লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে অল্প সময়ে গুগল থেকে ভিজিটর আসা শুরু করবে।
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি যেমন স্কিনশর্ট নেওয়ার টেকনিক ,লং টেইল কিওয়ার্ড, শর্ট টেইল কিওয়ার্ড, আর্টিকেল স্পিনিংও স্ক্রাপিং বিশ্লেষণ আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পোস্টটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে এবং আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে চান তাহলে ওয়েবসাইটের ভিতরে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন আর নতুন নতুন তথ্য পেতে চাইলে ওয়েবসাইট করবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url