তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ ও ১২টি ঘরোয়া উপায় সর্ম্পকে জানুন
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ এবং ঘরোয়া ভাবে কিভাবে চর্বি কমানো যায়? এগুলা আমাদের জানা দরকার। পেটে মেদ বা বা ভুড়ি হওয়ার আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে খাবার সম্পর্কে এবং চলাফেরা ও কিছু নিয়মের মাধ্যমে বডি ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। মানুষের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে পেটে ভুড়িতে। দেখতে অসুন্দর লাগে তাই আমাদেরকে তলপেটের চর্বি কমানোর উপায় জানা দরকার।
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা ও অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করেছি, আপনি যদি পেটের মেদ কমানোর জন্য জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ ফার্মেসিতে অনেক কোম্পানির পাওয়া যায়। আমাদের বেশির ভাগ দেখা যায় তলপেটে চর্বি জমে। এর কারণ হচ্ছে দীর্ঘ সময়ে বসে থাকা এবং দৈহিক পরিশ্রম কমিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। চর্বি জমে ভুড়ি মোটা হয়, এতে অস্বস্তি লাগে, ওজন বেড়ে যায়, বডি ফিটনেস থাকে না। আর শরীরের এই মেদ কমানো কঠিন ব্যাপার হয়ে যায়।
এলোপ্যাথিক ঔষধ, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিংবা কেউ কেউ ঘরোয়া উপায়ে ঔষধ তৈরি করে পেটের মেদ কমায়। ব্যায়াম করতে হয়, খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মাওফিক করতে হয়। অনেক কিছু মেনে চলতে হয় তবে চর্বি কমানোর জন্য এই সব ওষুধ তেমন একটা উপকার আসে না। কারণ আপনি যদি এই ঔষধ গুলো খেয়ে থাকেন, তখন আপনার চর্বি কমে যাবে।
কিন্তু যখনই ঔষধ খাওয়া কমিয়ে দিবেন তখনই আবার চর্বি বাড়তে থাকবে। তাছাড়া শরীরের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর ইফেকটিভ দেখা দিতে পারে। তাই পেটের চর্বি কমানোর জন্য আমি ঘরোয়া পদ্ধতি টাই সবচাইতে ভালো মনে করি। এটি রুটিন মাওফিক করতে হবে এবং ধীরে ধীরে কাজ করবে।
তল পেটের চর্বি কমানোর উপায়
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ ও তলপেটে চর্বি কমানোর উপায় ব্যায়ামের বিকল্প কোনো কিছু নেই। চর্বি কমানোর জন্য একমাত্র ব্যায়াম অনেক উপকার আছে আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়ম করেন, জোরে জোরে দৌড়ান, ভারী কিছু বহন করুন এভাবেই তলপেটে চর্বি কমে আসবে। সঙ্গে কিছু খাবারের নিয়ম মেনে চলতে হবে, ফাস্ট ফুড এরিয়ে চলতে হবে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় চিনি জাতীয় খাবার কম রাখতে হবে।
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ৯টি সহজ উপায় এর সাথে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় রয়েছে। চর্বি কমানোর জন্য এইসব নিয়মগুলো অবশ্যই পালন করতে হবে। তাছাড়া আপনার একটা সময়ে পেটে মেদ বাড়তে পারে তাই অবশ্যই এই সহজ নিয়মগুলো শুরু থেকেই আপনাকে মেনে চলতে হবে,যদি আপনি পেটের ভুড়ি কন্ট্রোলে রাখতে চান।
- সাপ্তাহে অন্তত ৫ দিনে ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
- চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
- খাবারের পরিমাণ প্রতিদিন একই রকম রাখতে হবে।
- কোন ওয়াক্ত খাবার বাদ দেবেন না। খাওয়া বাদ দিলে পরের ওয়াক্তে বেশি করে খাওয়া যাবে না।
- অমনোযোগী হয়ে খাওয়া বাদ দিবেন। অমনোযোগী হয়ে খেলে খাওয়ার পরিমাণটা বেশি হয়ে যায়।
- দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে, খাবার ধীরেসুস্তে মনোযোগ সহকারে খেতে হবে।
- খাবারের প্লেট ছোট রাখতে হবে। খাবারের পেট বড় হলে অনেক সময় দেখা যায় খাবার বেশি পরিমাণ নেয়া হয়ে যায় তাই খাবারের প্লেট ছোট রাখাই উত্তম হবে।
- সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাওয়া যাবে না। অনেক সময় কোন অনুষ্ঠানে গেলে দেখা যায়, খাবারের প্লেটে খাবার বেশি হলে রাখাটা কেমন যেন মনে হয়, তাই আমরা ইচ্ছার বিরুদ্ধে বেশি খেয়ে ফেলি। এটা করা যাবে না।
- লাল চাল বা ঢেঁকি ছাটা চাল খেতে হবে। সাদা চালে বা সাদা আটাই ফাইবার কম থাকে, যা হজম শক্তি কমায়।
- মানসিক চাপ কম থাকতে হবে। গবেষণায় দেখা যায়, মানুষের মানসিক চাপ থেকে পেটে চর্বি জমে থাকে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম শরীর চর্চা করতে হবে।
- ঘুম কম হলে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি অতিরিক্ত ঘুম হলেও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই
- অতিরিক্ত ঘুম বাদ দিতে হবে।
- কম ঘুম হলে চর্বি বাড়তে পারে তাই ঘুম যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু ঘুমাতে হবে। একটি মানুষের জন্য ছয় ঘন্টা অন্তত ঘুমাতে হবে।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়
তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ কি? ও পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায় জানা গুরুত্বপূর্ণ। চর্বি হওয়ার আগে থেকেই নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে। পেটে চর্বি যেন না হয় আর তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এগুলো মেনে চললে চর্বি হওয়া থেকে মুক্ত পাবেন ইনশাল্লাহ। প্রতিদিন ঘরোয়া উপায়ে চর্বি কাটানোর জন্য কিছু জিনিসের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা। ্এসবের কারনে চর্বি বেড়ে যায়।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস পান করতে পারেন। সকালের নাস্তায় প্রোটিন রাখা। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে। মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে হবে। প্রতিদিন জিরার পানি পান করতে পারেন। নিয়মিত কয়েক ধরনের ব্যায়াম করতে হবে। তেল চর্বিযুক্ত খাবার বাদ রাখতে হবে।
পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা
শসাঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য শসা খাওয়া দরকার শসা পানি জাতীয় সবজি পেট ভরা রাখে যাতে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে।
শাকসবজিঃ পেটের মেদ কমানোর খাবার তালিকা শাক সবজির পরিমাণ বেশি রাখতে হবে। শাকসবজি স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মটরশুটিঃ মটর দানা খেলে চর্বি কমে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
বাদামঃ বাদাম দানা ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠলে উঠে খেলে চর্বি কমে যায়।
তরমুজঃ তরমুজে রয়েছে প্রায় ৮২ শতাংশ পানি
কাজুবাদাম ভিটামিন ই কাজুবাদাম খেলে ত্বক মসৃণ করে। চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
সবুজ চাঃ সমস্যা আপনি চাইলে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।
মসলাঃ রান্নার সাথে প্রচুর পরিমাণে মসলা ব্যবহার করা হয় যেমন দারচিনি লবঙ্গ তারপরে হলুদ রসুন পেঁয়াজ আদা এইসব দেয়ার কারণে খাবার সুস্বাদু হয় তাছাড়াও আদা হলুদ এগুলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পানিঃ পানি শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। তাছাড়া পানি শরীরকে সতেজ করে রাখে। ত্বকের জন্য পানি খুবই উপকারী।
পেটের মেদ কমাতে লেবুঃ তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ হিসেবে লেবু পানি অনেক কার্যকরী। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার আসে।
আজকের শেষ কথা
এতক্ষন সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আজকে আমরা আর্টিকেলে থেকে জানলাম তল পেটের চর্বি কমানোর ঔষধ ,পেটের চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায় ও চর্বি কমানোর খাবার তালিকা গুলো তুলে ধরেছি। আপনার যদি পেটে চর্বি জমে থাকে তাহলে, আর্টিকেল থেকে জানা ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলবেন। তাহলে আশা করি অনেক উপকার পাবেন।
আর আজকের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এরকম আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন, এখানে নিয়মিত তথ্য লেখা হয়। আপনারা উৎসাহ দিলে নতুন নতুন সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবো আপনাদের সামনে ইনশাল্লাহ।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url