গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার ৬টি উপকারিতা সর্ম্পকে জানুন

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি? গর্ভকালীন মাকে এ সময় বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ এই সময়ে নিজের সাথে সাথে আরেকজনের দায়িত্ব নিতে হয়। একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে তার ভিতরে সেই জন্য গর্ভবতী মাকে এই সময়ে বেশি সচেতন হতে হয়। গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি ও কোন খাবারে ক্ষতিকর আর কোন খাবারে উপকার আছে তা জেনে বুঝে খেতে হয়।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
এছাড়াও গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়ার উপকারিতা কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা,গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা এবং কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় এবং বুদ্ধিমান হয় এইসব বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে এগুলা জানতে হবে।

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে সাথে থাকুন আমরা আজকে একজন গর্ভবতী মায়ের কি কি খাওয়া উচিত এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।একজন মায়ের অবশ্যই সুস্থ সবল বাচ্চা চাইলে তাকে গর্ভাবস্থায় জানতে হবে কোন খাবারে পুষ্টিকর আছে কোন খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় মা ও বাচ্চা সুস্থ থাকবে এইসব নিয়মগুলো একজন মায়ের জানা উচিত
 

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়া একজন মায়ের ও শিশু জন্য উপকার অনেক। কলা কাঁচা অথবা পাকা দুটো খাওয়াই অনেক উপকার আছে বাচ্চা ও মায়ের জন্য। প্রথমে পাকা কলা খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে বাচ্চা নিউমোনিয়া হতে পারে। এবার জেনে নেই কাঁচা কলা খাওয়া একজন গর্ভবতী মা ও শিশুর কি কি উপকার আসবে।

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি সি সহ প্রচুর পটাশিয়ামও মিনারেল ভরপুর রয়েছে। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে যা গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। গ্যাস্ট্রিক ভাব কমে যায় এবং বমি বমি ভাব চলে যায়। এক কথায় একটি কলা গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকার। আজকে জেনে নিয়ে যাক গর্ভাবস্থা মায়ের জন্য কলা খাওয়া কেন জরুরী।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ ওঠা-নামা করে আর এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এ সময় কলা খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সাধনঃ একজন শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সাধন করার জন্য গর্ভাবস্থায় মাকে সেসব খাদ্য খেতে হবে, তার মধ্যে কলা একটি।কারণ কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলিক এসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করতে পারে।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রাঃ গর্ভবতী মায়ের জন্য এ সময় প্রচুর পরিমাণের হিমোগ্লিবিন থাকা প্রয়োজন। আরে হিমোগ্লিবেন বাড়াতে সাহায্য করে আয়রন যেটা কলাতে প্রচুর রয়েছে তাই ডক্টর প্রতিদিন কলা খেতে বলেন।

গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় দেখা যায় বুক জ্বালাপোড়া হয়, পেট ফেপে থাকে।এতে কলা খাদ্যনালী পরিষ্কার রাখে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে দেয়

কোষ্ঠকাঠিন্যঃ কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

বমি বমি ভাবঃ কলা খেলে বমি বমি ভাব দূর হয়। কারণ কলা শরীরের পক্ষে অনেক উপকার। কলা খেলে পেট ক্লিয়ার থাকে, এসিডিটি ভাব কমায়।

গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি? গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খেলে কোন ভিটামিন এর ঘাটতি পূরণ হয় এসব বিষয় জানা অবশ্যই জরুরী একজন গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য। এবং পেয়ারা খেলে কি কি উপকার হয় স্বাস্থ্যের ঝুঁকিমুক্ত করে। আসল জেনে নেই গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা কি কি।


প্রথমে বলব পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। পেয়ারা পানি শূন্যতা কমিয়ে দেয় পেয়ারা খেলে পানির ঘাটতি কমে যায় আর গর্ভাবস্থায় পানি খাওয়া জরুরী। তাছাড়া আমরা জানি চারটি আপেল বা কমলার সমান একটি পেয়ারার গুন। গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে, গর্ভাবস্থায় পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতাও তেমন রয়েছে। তাই প্রতিদিন অন্তত একটি পেয়ারা এবং একটি কলা খাবেন।

গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের স্বাভাবিকভাবে নানা প্রশ্ন চলে আসে যেমন কোনটা খেলে ক্ষতি হবে কোনটা খেলে উপকার পাওয়া যাবে এইসব নানা চিন্তা চলে আসে। পেয়ারা খাওয়ার কি ভালো হবে? গর্ভবতী মায়েদের জন্য পেয়ারা একাধিক উপকার আসে এবং বাচ্চাও সুস্থ থাকে। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্যোপযোগী একটি ফল হচ্ছে পেয়ারা। পেয়ারা আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ পেয়ারাতে আছে ভিটামিন সি যা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। রক্তের তরলতা বজায় রাখে। গর্ভপাত বা অকাল জন্মের সম্ভাবনা কম থাকে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ যা রক্তের কোলেস্টেরল বজায় রাখে। কোলেস্টেরল থাকলে গর্ভাবস্থায় বিপদজনক হতে পারে।

ইনজেকশন দূর করেঃ পেয়ারাতে আসে প্রচুর পরিমাণ পানি জাতীয় ফল পেয়ারা খেলে পানির ঘাটতি পূরণ করে তাছাড়া ভিটামিন সি থাকার কারণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ হজমশক্তির সমস্যা দূর করে ভিটামিন সি যা পেয়ারাতে রয়েছে।

শিশুর মস্তিষ্ক ও হাড় বৃদ্ধিতেঃ পেয়ারাতে ফলিক এসিড থাকার কারণে শিশুর মস্তিষ্ক ও হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এছাড়াও গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্য অনেক উপকার যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা

গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি? এবং গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা নিয়ে ভাবছেন? অবশ্যই গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা করে রাখা উচিত। কেননা একটি ফল গর্ভবতী অবস্থায় আপনার জন্য অনেক উপকার হতে পারে। আসুন জেনে নেই একজন গর্ভবতী মাকে প্রতিদিন কি কি খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

গর্ভাবস্থায় আপনাকে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর সুষম খাদ্য রাখতে হবে। আপনি আপনার গর্ভের বাচ্চার গঠন ও বিকাশে বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্য রাখার জন্য অবশ্যই সুষম খাদ্য তালিকা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা করা উচিত। আসুন জেনে নেই গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিনের খাবার তালিকা কি কি খাদ্য থাকবে।

ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড এইসব পুষ্টিকর খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। একজন মায়ের শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য জরুরী। তাই যে সব খাবারের এই সব গুনগুলা রয়েছে সেই খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন সবুজ শাকসবজি, ডিম, দুধ,ডাল, মাছ, মাংস কলা, পেয়ারা, বেদেনা,ব্রকলি, বাদাম, কিসমিস, ইত্যাদি। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ করে খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা? গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি তা সম্পর্কে জানব। কিসমিস গর্ভাবস্থায় খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ। তাছাড়া ডায়েট করতে কিসমিস খেয়ে থাকে। কিসমিস স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।কিসমিসে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে শরীরের কোষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অবস্থায় আপনার ক্লান্তি দূর হবে কারণ এনার্জি পাওয়া যায়। আবার বেশি কিসমিস খেলে গ্যাস্ট্রিক বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি ও গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি? এক্ষেত্রে বলবো তাই গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি ও শিশুর অনেক উপকারে আসে। শিশুর দাঁতের মাড়ি হাড় গঠন করতে সাহায্য করে। যা লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড ভিটামিন সি। গর্ভাবস্থায় লেবুর উপকারিতা অনেক। যেমন বমি ভাব দূর করে, ভ্রুনের স্নায়বিক বিকাশ, দাঁতের মাড়ি ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয়

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি, গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা বুদ্ধিমান হয় এ বিষয়টা অনেকেরই প্রশ্ন এটা নিয়ে অনেকেই গুগলে সার্চ দেয় কি খেলে বাচ্চর বুদ্ধি হবে।সব বাবা মায়ের চায় সন্তান বুদ্ধিমতী হোক আর এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাদ্যবাসীর উপর। সাধারণত সমস্ত পুষ্টিকর খাদ্য পরিপূর্ণ থাকলে একটি বাচ্চার মস্তিষ্ক বিকাশ ভালো হয়। সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশ মায়ের গর্ভাবস্থা কালেই শুরু হয়।

গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়? গর্ভবতী মায়ের উচিত সুস্থ সবল মেধাবী ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দেওয়া আর তার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া জরুরী। সব মায়ের চাওয়া তার বাচ্চা সুন্দর হোক মেধাবী হোক ফর্সা হোক। আজকে আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কি কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। চলুন এগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ডাবের পানিঃ ডাবের পানি ইনফেকশন দূর করে।

ডিমঃ গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ায় মায়ের জন্য অনেক উপকার আসে ডিমের পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। অনেকেই বলে ডিমের কুসুম খেতে হবে না এটা ভুল ধারণা, ডিমের কুসুম সহ খেতে হবে।

দুধঃ দুধ শরীর গঠনের জন্য খুবই প্রয়োজন দুধ ত্বকের ফর্সা করতে সাহায্য করে।

কলাঃ কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফলিক এসিড এবং ভিটামিন সি বি থাকায় বাচ্চার ত্বক ফর্সা হতে সাহায্য করে।

পেয়ারাঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হচ্ছে পেয়ারা। ভিটামিন সি টক ফর্সা করতে সাহায্য করে

কলা খাওয়ার অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি? এবং কলা খাওয়ার অপকারিতা আছে কি? অবশ্যই কলা খাওয়ার উপকারিতা ও উপকারিতা দুটোই রয়েছে। কলা খেলে অনিদ্রার সমস্যা যাদের অনিদ্রার সমস্যা তারা রাতের বেলায় কলা না খাওয়াই ভালো। খুব বেশি কলা খেলে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। আর যারা দাঁতের সমস্যা নিয়ে আগে থেকেই ভূগছেন তাদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শেষ কথা

আজকে আমি আপনাদের সামনে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কি এবং গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকাসহ আরো অন্যান্য খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আপনার যদি এগুলো পড়ে ভালো লাগে এবং এ আর্টিকেল থেকে যদি কিছু জানতে পারেন তাহলে অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করে জানতে সুযোগ করে দিন।আর আপনার নতুন কিছু তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url