সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস - মৃতব্যক্তির কোরবানি
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এবং সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে সবার মনে একই প্রশ্ন চলছে? মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব দুইটি একটি হলো ঈদুল ফিতর অপরটি ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা মূলত তিন দিন হয়ে থাকে জিলহজ্জ মাসের ১০-১১-১২ তারিখে। কুরবানী সম্পর্কে মৃতব্যক্তির কোরবানি দেওয়া হাদিস বিস্তারিত আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।
এছাড়াও একজন মুসলিম হিসেবে কুরবানী ঈদের বিভিন্ন তথ্য যেমন কুরবানী করা, কুরবানীর নিয়ম, কুরবানীর শর্ত মৃতব্যক্তির কোরবানি, কুরবানী পশুর বয়স ইত্যাদি আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছি আপনি যদি একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়গুলো জানতে চান আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে আসতে পারেন।
সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস
মুসলিম ভাই ও বোনেরা অনেক সময় জানতে চায় সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া হাদিস সম্পর্কে। আমাদের সমাজে এখনো সাত ভাগে কোরবানি দিয়ে থাকে। অনেকের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয় সাত ভাগে কোরবানি দেওয়া সঠিক হবে কিনা? এই বিষয়টা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কাজ করে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো সাত ভাগে কুরবানী দেওয়া হাদিস কি বলেছে? আসুন জেনে নেই হাদিসের আলোকে সঠিক তথ্য।
মাশাআলাঃ অবশ্যই সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার নিয়ম রয়েছে তবে ছাগল বা দুম্বা সাত ভাগে দেওয়া যায় না, গরু, মহিষ, উট এই পশু গুলো ভাগ করে কুরবানী দেওয়া যায় এটা সম্পূর্ণ জায়েজ আছে। এ ব্যাপারে সহীহ মুসলিম হাদিসে বর্ণিত, জাবের ইবনে (রা:) আনহুবলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল (সা:) এর সাথে হজ করেছি, সেখানে আমরা উট কোরবানি দিয়েছি সাতজনের পক্ষ হতে আর আমরা গরু কোরবানি দিয়েছি সাতজনের পক্ষ হতে।
সুনানে আবু দাউদ (রা:) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল (সা:) বলেছেন উট, গরু,মহিষ এ সর্বোচ্চ সাত অংশে কোরবানি করা যায়।
তবে কিছু নিয়মের মধ্যে মুসলমানদের চলতে হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সকল বিধি নিষেধ মেনে কুরবানী দিবে। প্রথমে প্রথমত নিয়ত পরিষ্কার থাকতে হবে। যে আমি আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি দিচ্ছি শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য। দ্বিতীয়ত হালাল উপার্জন দিয়ে কোরবানি করা।সেক্ষেত্রে সাত ভাগের একজনের হালাল উপার্জন না হলে কোরবানি কবুল হবে না।
তৃতীয়ত হচ্ছে, কোরবানি দেওয়ার মধ্যে কোন রকমের লৌকিকতা প্রকাশ করা যাবে না। মানে লোক দেখানো কোন ইবাদত আল্লাহ কবুল করে না। তাই অবশ্যই সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার সময় এই নিয়মগুলা ফলো করে কোরবানি দিতে পারবেন। এই সমস্যাগুলো নিয়ে যদি মনের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি হয় তাহলে ভাগে কুরবানী না দিয়ে একাই দেওয়া ভালো।
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ
অনেকের মনে কুরবানী নিয়ে নানা প্রশ্ন কেউ জানতে চায়, সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে।আর কিছু দিনের অপেক্ষা, সামনেই আসছে ঈদুল আযহা। আসছে ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? মুসলিম ভাই ও বোনেদের জানার আগ্রহ এ বছর ঈদুল আযহা কত তারিখে? আরবি মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। রোজার ঈদের প্রায় ৭০ দিন পরবা ২ মাস ১০ দিন পর কোরবানির ঈদ হয়।
জিলহজ মাসের দশ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন কোরবানির ঈদ চলে। সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব রাজ্যগুলোর যেদিন ঈদ পালন করা হয় তার পরের দিন বাংলাদেশে ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসেবে ২০২৪ বাংলাদেশের ১৭ই জুন ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটা সম্পূর্ণ চাঁদের উপর নির্ভরশীলা করে। তাই চাঁদ দেখে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
ঈদুল আযহা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
ঈদুল আযহা সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এ স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছেঈদুল আযহা কুরবানী দেওয়া আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল হিজরত করে মদিনায় আসলেন তখন মদিনা বাসীরা দুইটি দিবস পালন করত। তা দেখে তিনি জিজ্ঞেস করলেন এই দুইটি দিবস কি হিসেবে পালন করো? মদিনা বাসীরা জবাবে বলল, জাহেলিয়াত যুগে আমরা এই দিন দুটি আনন্দ উল্লাসে পালন করতাম। তখন প্রিয় নবী বললেন, আল্লাহ তোমাদেরকে এই দিন দুইটির পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দিয়েছে তা হল ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।
আব্দুল ইবনে আমর(রা:) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল(সা:) বলেছেন আমাকে ‘ইয়াওমুল আজহার আদেশ করা হয়েছে (অর্থাৎ এই দিনে কুরবানী করার আদেশ করেছে); এই দিনে আল্লাহতালা উম্মতের জন্য ঈদ বানিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রা:) বলেন- আল্লাহর রাসূল (সা:) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন এবং পায়ে হেঁটে ঈদগাহ থেকে ফিরতেন (সুনানে ইবনে মাজাহ,হাদিস :১২৯৫)
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা:) বলেন- নবীজি (সা:) ঈদের দিনে এক পথ দিয়ে যেতেন এবং ভিন্ন পথ দিয়ে ফিরতেন (সহীহ বুখারী, হাদিস ৯৮৬)
নবীজি (সা:) ঈদুল ফিতরের দিনে কিছু না খেয়ে ঈদগাহে যেতেন না আর ঈদুল আযহার দিন নামাজ না পড়ে কিছু খেতেন না।- (জামে তিরমিযী, হাদীস ৫৪২)
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বলেন- আল্লাহর রাসূল (সা:)মদিনার দশ বছরের প্রতিবছরই কুরবানী করেছেন। (জামে তিরমিজি হাদিস ১৫০৭)
কোরবানি কাদের উপর ফরজ
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? বিষয়টি সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে আরবি মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে ঈদুল আযহা পালন করা হয়। এই দিন মহান রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করে ত্যাগ স্বীকার করাই কোরবানি। কোরবানি কাদের উপর ফরজ এই বিষয়টি একজন মুসলিম হিসেবে জানা অবশ্যই জরুরী। আরো জানুন সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে?
ইসলামের কিছু নিয়মের মধ্যে কুরবানী দেওয়ার বিধান রয়েছে। কি পরিমান ধন সম্পদ হলে কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব তা অবশ্যই জানতে হবে। একজন ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার কোরবানি কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব হয়ে যায়। অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ যথা ৫২.৫ ভরি রুপার সমান মূল্য টাকা বা সম্পদ থাকলে সেই ব্যক্তির উপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
মৃতব্যক্তির কোরবানি
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? সবাই জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তাই ঈদের আর কতদিন বাকি আছে, ঈদ কত তারিখে নিশ্চিত হতে সবারই প্রশ্ন মনের মধ্যে। এই ঈদে কোরবানি করতে হয় তাই মানুষ জানতে চায় সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে এবং অনেকেই জানতে চায় মৃত্যুব্যক্তির কোরবানি হয় কি না? আপনি যদি মৃত্যু ব্যক্তির কোরবানি করতে চান তাহলে সঠিক ভাবে কোরবানি করতে হবে।আসুন জেনে নেই মৃত্যু ব্যক্তির কোরবানি সম্পর্কে।
আয়েশা (রা:) আনহার থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) এর কাছে জিজ্ঞেস করলেন হে রাসূল আমার মা হঠাৎ ইন্তেকাল করেছেন। তিনি কোন অসিয়ত রেখে যেতে পারেননি। আমার মনে হয় তিনি কোন কথা বলতে পারলে অসিয়ত করে যেতেন। এক্ষেত্রে আমি যদি তার পক্ষ থেকে সাদকা করি তাতে কি সওয়াব হবে? রাসুল (সা:) উত্তরে বললেন হ্যাঁ। ( সহীহ বুখারী, হাদিস ১৩৩৮)
মৃত্যু ব্যক্তির জন্য এ ধরনের কাজ কল্যাণমূলক। যদি কোন কারনে মৃত্যু ব্যক্তির জন্য কোরবানি ওয়াজিব হয়ে থাকে, তাহলে পূর্ণ একটি পশু কোরবানি করতে হবে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় ব্যক্তি নিজের জন্য না করে মৃত্যু ব্যক্তির জন্য কোরবানি করে থাকেন। তবে এটা ঠিক হবে না আগে নিজের জন্য কোরবানি করতে হবে তারপর অন্যান্য জীবিত মৃত ব্যক্তিদের জন্য কোরবানি করা যেতে পারে।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? এবং সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে বিষয়টি জানা গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জানতে হবে কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার শর্ত কয়টি এবং কি কি তা অবশ্যই জানতে হবে। ধরুন একজন মুসলিম হিসেবে আমার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব হয়েছে কিনা জানতে হলে কোরবানি ওয়াজিব হওয়া শর্ত গুলো অবশ্যই জানতে হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আসুন জেনে নেই কুরবানী ওয়াজিব হওয়া শর্ত কয়টি এবং কি কি।
কুরবানী ওয়াজিব হওয়া শর্তবলিঃ
ধর্মঃ ধর্ম হিসেবে মুসলিম হতে হবে। একজন অমুসলিমের ওপর কোনভাবেই কুরবানী ওয়াজিব হয় না।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়াঃ মুসলিম ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে ছেলে হলে 15 বছর এবং মেয়ে হলে নয় বছর
সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন হওয়াঃ কখনোই বুদ্ধিহীন পাগলের উপর কুরবানী ওয়াজিব হয় না। কেবলমাত্র সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন ব্যক্তির ওপর কুরবানী ওয়াজিব হয়।
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়াঃ জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ এই তিন দিন প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থাৎ নেশা পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে।
তবে অতিরিক্ত আরো কিছু শর্তাবলী রয়েছে। সেইগুলো হলোঃ-
মুকিমঃ মুসাফিরের ওপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। ব্যক্তিকে মুকিম হতে হবে।
ঋণ মুক্ত হওয়াঃ অবশ্যই ঋণ মুক্ত হতে হবে। ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব না থাকলে হবে না হলেকুরবানি ওয়াজিব হবে না।
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এই ছয়টি শর্ত পূরণ হলে একজন ব্যক্তির ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। তাই একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই শর্ত গুলো জানতে হবে। এইসব বিষয়ের উপর ধারণা না থাকলে, বুঝতে পারব না একজন মুসলিম হিসেবে আমার উপর কুরবানী ওয়াজিব কি না। আরও জানা উচিৎ সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে।
কুরবানীর পশুর বয়স
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? এই প্রশ্নটি সবাই তখন জানতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি জুন মাসের ১৭ তারিখে কোরবানির ঈদ উদযাপন করা হবে। তাই ঈদের দিন আমাদের পরশু কুরবানী করতে হবে। আপনি কি সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে কিংবা কোরবানির পশুর বয়স কত হতে হয় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সর্ম্পূণ্য পড়ুন।
মাসআলা: আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানী দিবেন। যেসব প্রশ্নগুলা কোরবানি দেয়া যায় যেমন উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ। অবশ্যই গৃহপালিত পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় তাছাড়া বন্য গরু মহিষ হরিণ ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েজ হয় না। একটি নির্দিষ্ট বয়সে পশু কোরবানি দিতে হয় এবং সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস রয়েছে।
উটের কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়স হতে হবে, গরু মহিষ কমপক্ষে দুই বছর হতে হবে, ছাগল ভেড়া দুম্বা কমপক্ষে এক বছর হতে হবে। তবে দুম্বা এক বছরের কম হলেও কুরবানী দেওয়া যায় তবে বয়স কম হয়েও দেখতে এক বছরের মত মনে হলে কোরবানি দেওয়া যাবে। অবশ্যই ছয় মাসের কম হওয়া যাবে না। কিন্তু ছাগলের বয়স বছরের কম হলে, কোন অবস্থাতে কোরবানি দেওয়া জায়েজ হবে না।
কোরবানি কার নামে দিতে হয়
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কুরবানী দাতদের মনে অনেক প্রশ্ন চলে আসে। অনেকেই জানতে চায় কোরবানি কার নামে দিতে হয়? সে ক্ষেত্রে বলবো আলেমগণেরা বলেন কোরবানির সময় যারা কোরবানি দিবে তাদের নাম উল্লেখ করা জরুরী নয়। কোরবানির সময় শুধু দেখতে হবে মালিকানা কাদের। পশুতে যার যার মালিকানা আছে শুধু তারা যাদের নামে কুরবানী দিতে ইচ্ছুক তাদের নামে কোরবানি হবে।
ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়
আর কিছুদিন পরে কোরবানির ঈদ তাই সবাই ব্যস্ত। কি কুরবানী দিবে এবং সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। তার আগে সবার প্রশ্ন আর কতদিন বাকি আছে কোরবানি ঈদের মানে ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? কেননা সবাই পশু কেনার জন্য আর কতদিন সময় পাবে? তবে অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যায় ঋণ থাকলে কি কোরবানি হয়? তাই আজকের এই আর্টিকেলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
ইসলামের আলোকে একজন নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক কুরবানী দিতে পারবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্থ হয় তাহলে কি কুরবানী দিতে পারবে? এক্ষেত্রে বলবো ওই ব্যক্তি ঋণ পরিশোধ করার পর যদি কোরবানির সময় হিসাব পরিমাণ সম্পদ থেকে থাকে তাহলে কোরবানি দেওয়া আবশ্যক। আর যদি ঋণ পরিশোধ করার পর কুরবানীর সময় নিশাব পরিমাণ সম্পদ না থাকে সেক্ষেত্রে কুরবানী দেয়া ওয়াজিব নয়।
কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ? মুসলিম হিসেবে এই বিষয়টি জানা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সামনে আর কিছুদিন পরে ঈদ তাই ঈদের কুরবানী দেওয়া নিয়ে অনেকেই চিন্তিত রয়েছে। কেননা এই অল্প সময়ে কোরবানির পশু কেউ না থেকে শুরু করে কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম একটু ঝামেলার কাজ। কোরবানির মাংস বন্টনের নিয়ম জানতে চাই। আপনারও যদি একই প্রশ্ন থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস রয়েছে এবং কোরবানির মাংস তিন ভাগে বন্টন করতে হয় এটাও সবাই জানে কিন্তু এর মধ্যেও কিছু নিয়ম রয়েছে। এক ভাগ গরিব মিসকিনদের জন্য এক ভাগ নিজের জন্য আর এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের দিবেন। কেউ যদি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তিন ভাগ না করতে পারেন তাহলে চিন্তা তো হওয়ার কিছু কারণ নেই। বন্টনের সময় কম বেশি হতেই পারে।
কখনো ভাগ করার সময় দেখা যায় আপনার কাছে একটু বেশিই রয়ে গেল কিংবা আপনি একটু বেশি দান করলেন আপনার কাছে একটু কম রয়ে গেল, এটা নিয়ে কোন ভাবার নেই কিংবা আপনি যদি মনে করেন কিছু দান করে দিলেন বেশিরভাগ আপনার কাছে রেখে দিলেন সেই স্বাধীনতা ও আপনার রয়েছে।যার কারনে কয় ভাগে ভাগ করবো এবং ভাগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে হলো কিনা সেই দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই।
আজকের শেষ কথা
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ এবং সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল তা নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সেই সাথে কুরবানীর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনাকে একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। এ বিষয়গুলো জানা থাকলে ঈদুল আযহা মানে কোরবানির ঈদে সহজে প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে।
আজকের আর্টিকেল পরে যদি আপনি উপকৃত হন একজন মুসলিম হিসেবে অন্য একজন মুসলিমকে এই তথ্যগুলো শেয়ার করতে পারেন। তারাও যেন এই আর্টিকেল পড়ে কুরবানী সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পারে। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু তথ্য আর্টিকেলে প্রকাশ করে থাকে।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url