বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন - ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে অনলাইনেরে মাধ্যমে কিভাবে সম্ভব তা জানুন। মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করতে সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মনে করে। লম্বা জার্নির ক্ষেত্রে সবাই ট্রেনে ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তার জন্য ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায় এইসব নিয়ম অবশ্যই জানা দরকার।
বিকাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম, টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম জানতে সবাই আগ্রহী। কারণ বিশাল লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটার ঝামেলার হাত থেকে বাঁচতে চায়। তাই আপনিও অনলাইনে ঘরে বসে টিকিট করতে চাইলে আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারেন।
ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়
ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায় তা জানতে চাচ্ছেন? আজকে আমরা ট্রেনের টিকিট কাটা নিয়ে বিস্তারিত জানবো। তবে আগে জেনে নেই, ট্রেনের টিকিট কতদিন আগে কাটা যায়।। সরকার কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে থাকে, ২০২৪ সালে নতুন নিয়ম চালু করেছে। অবশ্যই অগ্রিম টিকিট কাটার জন্য নিয়ম কি জানতে সাথে থাকুন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাটা যায়। তার জন্য অবশ্যই আমাদের জানতে হবে কতদিন আগে থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করবে। এখানে সব সময় একই সময় নির্ধারণ করা থাকে না। তবে পাঁচ থেকে সাত দিন আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রয় থাকে। তবে ২০২৪ সালেএপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
সাধারণত যখন যাত্রী ভিড় করে বেশি যেমন ঈদের সময় সবাই দূরদুর্দান্ত থেকে বাসায় ফিরে। এ সময় টিকিট কাটার হুলসতুলস লেগে যায়। তাই কিছুদিন আগে থেকেই ট্রেনের টিকিট বিক্রয় করে থাকে। এ সময় সবাই চায় ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে। কারণ টিকিট কাউন্টারে সেই লম্বা ভিড়ের মধ্যে কেই টিকিট কাটতে যেতে চায় না। তাছাড়া দেরি হলে টিকিট পাওয়া যাবে না এবং সময়ের অভাবে আগেই ঘরে বসে অনলাইন থেকে টিকিট ক্রয় করে রাখে।
বিকাশে ট্রেনের টিকেট কাটার নিয়ম
বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি চাইলে খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপ দিয়ে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। আপনাকে টিকিট কাউন্টারে গিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ঝামেলা করে টিকিট কাটা লাগবে না। আজকে আমরা বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জানবো।
আপনি যদি বিকাশ থেকে ট্রেনের টিকিট কাটবেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন।স্টেশনে গিয়ে সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট কাটার দিন এখন শেষ। ঘরে বসেই অগ্রিম টিকিট কাটতে পারবেন।
বিকাশে টেনের টিকিট কাটার নিয়মঃ- বিকাশ অ্যাপে টিকিট কাটা একদম সহজ। বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন দিয়ে করা যায়। তার জন্য কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না। শুধু একটি এন্ড্রয়েড ফোন এবং ফোনে ইন্টারনেট থাকতে হবে। খুব সহজেই ট্রেনের সিট বুকিং দেওয়া যায়। আসন বিকাশে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম জেনে নেই-
- প্রথমে এন্ড্রয়েড ফোনে নেট কানেকশন করতে হবে।
- তারপর বিকাশ অ্যাপ ওপেন করে লগইন করে নিতে হবে।
- সেখানে বিভিন্ন ধরনের অপশন রয়েছে আপনি ট্রেন সিলেক্ট করে তারপরে বাংলাদেশ রেলওয়ে অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করবেন।
- বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকে `I Agree' ক্লিক করতে হবে।
- আপনি যেই জায়গায় থেকে ট্রেনে উঠবেন এবং যে জায়গায় গিয়ে নামবেন সেই স্টেশনের নাম দিতে হবে।
- যেদিন যাবেন সেদিনের তারিখ এবং যেই ট্রেনে যাত্রা করবেন তা নির্বাচন করতে হবে।
- এবার (সার্চ ট্রেন) অপশনে ক্লিক করে টেন চুজ করতে হবে।
- তারপর ট্রেনের টিকিট বুকিং এর অপশন ক্লিক করে. ট্রেনের বগি এবং সিট নাম্বার সিলেক্ট করতে হবে।
- আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তারপর সেখানে বিকাশের গেটে আসবে গেটে বিকাশ নাম্বার দিলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাওয়া যাবে বিকাশ পিন নাম্বার দিয়ে টিকিট কাজ সম্পন্ন হবে।
ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস
আপনি কি ট্রেনের টিকিট কাটবেন? তার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর নাম জানতে চাচ্ছেন? আসুন আমরা জেনে নেই, ট্রেনের টিকিট কাটার অ্যাপস এর নাম। ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘রেল সেবা’ নামে একটি অ্যাপ আছে, এখান থেকে অনেক সহজেই ট্রেনের টিকিট কাটা যায়। এছাড়াও গুগলে ই টিকিট লিখে সার্চ দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইটের ভিতরে ঢুকতে হবে।
ওয়েবসাইটের ভেতরে গিয়ে প্রথমে আগে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। তারপর টিকিট কাটার জন্য একটি ফ্রম আসবে ধাপে ধাপে ফর্ম গুলো পূরণ করতে হবে। এভাবেই এখানে আপনি অনেক সহজেই টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকেও করতে পারবেন। তবে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে করতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য। এখান থেকে আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলগুলা বুঝে বুঝে পড়তে হবে। আজকের আর্টিকেলে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
আমাদের জীবনযাত্রা সহজ হওয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি একমাত্র কারণ। আজ তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অল্প সময়ে অনেক কাজ করা যায় যেমন বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে ঘরে বসেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই করে ফেলতে পারেন। এতে সময় ও পরিশ্রম দুইটাই কমে লগবে। তার জন্য অবশ্যই স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে নেট সংযোগ থাকতে হবে, তাহলে এটা সম্ভব।
প্রথমে গুগলে এই ইটিকিট লিখে সার্চ করলে বাংলাদেশ রেলওয়ে ওয়েবসাইট আসবে। রেলওয়ে ওয়েবসাইটে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন কমপ্লিট করলে টিকিট কাটার একটি ফর্ম আসবে। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী পূরণ করে টাকা পেমেন্ট করতে হবে। আপনার মোবাইলে বিকাশ, নগদ, ডাচ বাংলা যেটা খোলা থাকবে তার মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করা যায়। এভাবেই অনেক সহজে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে করা যায়।
ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকেও করা যায়। প্রথমে ট্রেনে টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কাটার জন্য আমাদের কিছু নিয়মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান, তাহলে এই ধাপটি আপনার জন্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হবে। রেজিস্ট্রেশন করা ছাড়া অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন না তাই চলুন দেখে নেয়া যাক টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি ধাপ অবলম্বন করতে হয়।
- প্রথমে eticket.railway.gov.bd অথবা রেল সেবা অ্যাপস এ ঢুকতে হবে।
- এনআইডি কার্ড থাকা লাগবে। এর আইডি নাম্বার লাগবে।
- ফোন নাম্বার, ইমেইল নাম্বার লাগবে।
- ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে তা দিতে হবে।
- মোবাইলে একটি পাসওয়ার্ড যাবে, সে পাসওয়ার্ডের নাম্বার দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে।
ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। এরপর পরবর্তী ধাপ গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারবেন। আর টিকিট কাটার জন্য পরবর্তীত ধাপগুলো এই পোস্টের ভিতরেই আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেগুলো দেখে নিতে পারেন। করোনার পর থেকেই অনলাইনে টিকিট কাটার ভির জমেছে। আর অনলাইনে টিকিট কাটা অনেক সহজ। অনলাইনে টিকিট কাটার মাধ্যমে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে না, টিকিট কাউন্টারে গিয়ে লম্বা লাইনে ভির জমাতে হচ্ছে না।
মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটার নিয়ম
বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে করা যায়। মোবাইলে টিকিট কাটার নিয়ম সম্পূর্ণ একই রকম। তাই আপনি যদি মোবাইল থেকে ট্রেনের টিকিট কাটতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল ধৈর্য ধরে বুঝে পড়তে হবে। কারণ আর্টিকেলের ভিতরে ট্রেনের টিকিট কাটার সম্পূর্ণ নিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। সেখান থেকেই আপনি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট নিয়ম জানতে পারবেন।
শেষ কথা
এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমরা আর্টিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেট বুকিং মোবাইল ফোন থেকে এবং টিকিট কাটার নিয়ম ও টিকিট কাটার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনার যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে এবং আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন অবশ্যই আপনি আপনারবন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন এবং পরিচিতদের সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
তারাও যেন অনলাইনে টিকিট কাটা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে একটু হলেও উপকৃত হতে পারে। আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য নিয়মিত লিখা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি নতুন নতুন বিভিন্ন তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url