কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় - বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় সেই সব বিষয় জেনে রাখা উচিত। কারণ একটি বাচ্চার দাঁত ওঠার সময় বড়দের অনেক বিষয় নিয়ে ধারণা থাকতে হবে। কারণ এ সময় বাচ্চার শারীরিকভাবে এবং আচরণগতভাবে পরিবর্তন দেখা যায়। বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পাতলা পায়খানা হতে পারে। তাই আমাদেরএই সময় বাচ্চার লক্ষন গুলো জানা খুবই জরুরী।
এখানে শুধুমাত্র কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় তা নিয়ে আলোচনা করা নেই এর পাশাপাশি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়, বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়, দাঁত ওঠার লক্ষণগুলো এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি চাইলে এগুলো দেখে আসতে পারেন।
ভূমিকা
দাঁত দুই ধরনের একটি দুধ দাঁত অন্যটি স্থায়ী দাঁত। একটি শিশুর জন্মের পর যে দাঁত উঠে তাকে দুধ দাঁত বলে। পরবর্তীতে দুধ দাঁত পরে শিশুদের আবার নতুন করে দাঁত উঠে সেই দাঁতগুলোকে স্থায়ী দাঁত বলে। দাঁত মানুষের সৌন্দর্য তৈরি করে। তাই শিশুর দাঁতের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রত্যেক মা-বাবার শিশুদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি দাঁতের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে যত্ন নিতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পাতলা পায়খানা
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় তা জানতে হবে এবং তার পাশাপাশি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় কি কি সমস্যা হতে পারে তা অবশ্যই জানা দরকার তাই বাচ্চাদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে বাচ্চাদের আচার-আচরণ ও শারীরিক পরিবর্তন সুস্থ অসুস্থ অসুস্থতা সবকিছু বিষয়ে এবং তার সাথে জানতে হবে কত মাস বয়স থেকে বাচ্চাদের দাঁত বের হয়। ফলে তখন থেকে আপনারা এই স্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণগুলো বুঝতে পারবেন।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় পাতলা পায়খানা হওয়ার লক্ষণ রয়েছে। তবে শুধু দাঁত ওঠার সময় যে হবে এমন কোন প্রমাণ নেই। বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় মুখ দিয়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি লালা ঝরে যার। ফলে বাচ্চাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে পারে। আবার দাঁত উঠার সময় বাচ্চারা খাওয়ার প্রতি অনিহা প্রকাশ করে, খেতে চায় না এক্ষেত্রে পেটের সমস্যা হতে পারে, তার ফলে পাতলা পায়খানা হওয়া স্বাভাবিক।
দাঁত উঠার সময় বাচ্চাদের মাড়ি সুরসুর অনুভূতি হয়ে থাকে ফলে বাচ্চা সামনে যা পায় তাই মুখে দিয়ে চাবাতে থাকে, কামড়ানোর চেষ্টা করে অনেক সময় অপরিষ্কার জিনিস মুখে দিয়ে থাকে এর ফলে ব্যাকটেরিয়া শিশুর পেটে গিয়ে ডায়রিয়া হতে পারে। পাতলা পায়খানা হলে শিশুকে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্যালাইন ও ঔষধ খাওয়াতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয়
বাচ্চার মুখের দাঁত উঠা নিয়ে চিন্তিত আছেন?তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলে বাচ্চাদের দাঁত না উঠলে করণীয় কি সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। শিশুদের দাঁত নির্দিষ্ট একটি বয়সের মধ্যে উঠে এই দাঁতগুলোকে দুধ দাঁত বলা হয়। শিশুদের মুখে বয়সের সাথে সাথে দুই ধরনের দাঁত উঠে থাকে একটি হচ্ছে দুধ দাঁত এবং আরেকটি হচ্ছে স্থায়ী দাঁত।
শিশুদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম। যা আরো দাঁত গঠনে সাহায্য করে। একটি শিশুর দাঁত উঠতে দেরি হলে বুঝে নিতে হবে শিশুর ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে । শিশু শারীরিকভাবে বেড়ে উঠছে কিনা, শিশুর বয়সের সাথে সাথে শিশুর ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম কিনা। এইসব সমস্যা গুলোর কারণে বাচ্চাদের দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে।
তাই বাচ্চার প্রতি মা-বাবার এসব খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর বয়স ১৩-১৪ হওয়ার পরও যদি দাঁত না ওঠে তাহলে চিন্তার বিষয় হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় এই বিষয়গুলোও জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত একটি শিশুর প্রায় ছয় মাস থেকে দাঁত উঠতে শুরু করে। তবে এর থেকে একটু দেরিতে উঠতে পারে চিন্তার কোন কারণ নেই। শিশুদের প্রথম দুটি দাঁত মুখের নিচের মাড়িতে সামনের দিকে উঠে এই দুটি দাঁত সর্বপ্রথম উঠে। সাধারণত তিন বছর বয়সের মধ্যে সমস্ত দাঁতগুলো উঠে যায়।
কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার পার হয়ে দাঁত উঠে না এক্ষেত্রে শিশুর ভিটামিনের অভাবে হতে পারে। দাঁত উঠতে দেরি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় শিশুর শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে দাঁত দেরিতে উঠে। আজকে আমরা কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় সেসব বিষয়গুলো জানবো। আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়তে থাকুন।
- শিশু যদি পুষ্টিহীনতায় ভোগে সেক্ষেত্রে দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।
- ভিটামিনের অভাব ও ক্যালসিয়ামের অভাবে দাঁত দেরিতে উঠতে পারে।
- দাঁত না ওটার পিছনে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাবে এই সমস্যা হয়ে থাকে। ভিটামিন ডি দাঁত গজাতে সাহায্য করে
- হারো দাঁতের ক্ষয় রোধ করে ক্যালসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের অভাব হলে দাঁত উঠতে দেরি করে।
- তাছাড়া বংশগত কারণে দাঁত দেরিতে উঠে থাকে।
- সকালের রোদ বাচ্চাদের ভিটামিন ডি এর কাজ করে তাই সকালের মিষ্টি রোদ বাচ্চাদের শরীরে লাগাতে হবে।
- যেসব বাচ্চা জন্মের পর ওজন কম থাকে কিংবা ১০ মাসের আগে জন্ম নেয় প্রায় সেসব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দাঁত দেরিতে উঠতে পারে কারণ শিশুদের এনামেল ত্রুটি থাকতে পারে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয়
বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় করণীয় গুলো আমাদের অবশ্যই পালন করতে হবে।তার জন্য কি কি করনীয় তা আমাদের জেনে রাখা উচিত। সাধারণত শিশু ছয় মাস থেকে নয় মাসের মধ্যে দুধ দাঁত উঠে থাকে। এ সময় শিশু শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং খিটখিটে মেজাজ হয়। নতুন দাঁত গজানোর সময় এ ধরনের নানা সমস্যা হয়ে থাকে। এ সময় বাচ্চার প্রতি খেয়াল রাখা উচিত এবং বাচ্চার যত্নে ত্রুটি করা যাবে না। আসুন জেনে নেয়া যাক বাচ্চাদের দাঁত দুটার সময় করণীয় গুলোঃ-
- নতুন দাঁত গজানোর সময় শিশুর গায়ে জ্বর আসে। স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
- নতুন দাঁত গজানোর সময় মাড়ি ফুলে যায়, ব্যথা হয় আর এ ব্যথা শিশুর সহ্য করার না। তাই অতিরিক্ত ব্যাথা হলে চিকিৎসা করতে হবে।
- এই সময় শিশু খিটখিটে মেজাজের হয়ে থাকে কারণ শিশু অসুস্থতায় ভোগে জ্বর ব্যথা বমি ডায়রিয়া হতে পারে তাই দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
- বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় শিশুর অসুস্থ থাকে। তাই এ কারণে খিদে ভাব কমে যায়, খেতে চায় না। এই সময় শিশুকে নরম পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে।
- অনেক শিশুর লালার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পাতলা সুতির কাপড় পড়াতে হবে এবং নানা মুছে দিতে হবে।
- এই সময় শিশু যা সামনে পায় তাই কামড়াতে থাকে তার জন্য শিশুকে সবসময় পরিষ্কার জিনিস হাতে দিতে হবে যাতে করে কোন ব্যাকটেরিয়া পেটে না যায়।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় জ্বর
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় তা অবশ্যই জেনে রাখা উচিত এবং সেই সাথে জানতে হবে বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়, এতে কোন চিন্তা করার কারণ নেই। তাই বাচ্চাদের দাঁত উঠার সময় বাচ্চার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বাচ্চার জ্বর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ
কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয়তা জানার পাশাপাশি বাচ্চাদের দাঁত উঠার লক্ষণ গুলো জানতে হবে। একটি শিশুর দাঁত ওঠার সময় শিশুর শারীরিক ভাবে এবং আচরণগতভাবে পরিবর্তন দেখা যায়। এক্ষেত্রে মা-বাবার এই লক্ষণগুলো জানা না থাকলে সহজে বুঝতে পারবে না। দাঁত ওঠার সময় বাচ্চাদের প্রতি খেয়াল রাখতে, হবে যত্নশীল হতে হবে।
এ সময় ঠিকমত খাওয়াতে হবে কেননা দাঁত ওঠার সময় বাচ্চার খাওয়ার প্রতি অনিয়া প্রকাশ করে, খেতে চায় না। তাই প্রত্যেক মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। আপনার যদি বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলো না জানা থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন। আসুন জেনে নেই বাচ্চাদের হাত উঠার লক্ষণ গুলো কি কি।
মাড়ি ফুলে উঠাঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মাড়ি হলে উঠা। বের হওয়ার সময় দুই মাড়ি চাপতে থাকে যার কারণে মাড়ি ফুলে ওঠে, লাল হয়ে যায় এবং ব্যথা হয়।
হালকা জ্বর হয়ঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় শারীরিকভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কখনো ১০১ ডিগ্রি কিংবা তার বেশি হতে পারে এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নাই। ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
ডায়রিয়া হয়ঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় মাড়ি সুরসুর করে। তখন বাচ্চা সামনে যা পায় তাই মুখে দিয়ে কামড়াতে শুরু করে। এতে করে অপরিষ্কার কিছু পেতে গেলে শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে।
কামড়াতে থাকেঃ শিশুরা এ সময় সামনে যা পায় তা নিয়ে মাড়ি দিয়ে কামড়াতে থাকে। এই কামড়ানোর কারণে শিশুর দাঁতের মাড়ি ফুলে উঠে ব্যথা হয় ফলে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মুখ দিয়ে লালা ঝরেঃ অনেক সময় শিশুর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মুখ দিয়ে লালা পরতে পারে। লালা বলে থাকে এবং বাচ্চারা আরাম অনুভব করে।
খাওয়ার প্রতি অরুচি ভাবঃ বাচ্চাদের এ সময় খাওয়ার প্রতি অরুচি প্রকাশ করে। ঠিকমতো খেতে চাই না, কান্নাকাটি করে। মারি ফুলে উঠে ব্যথা হয় জ্বর হয় তাই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে খেতে চায় না তার জন্য আমাদের উচিত শিশুদেরকে ওই সময় পুষ্টিকরযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ানো।
আচরণ খিটখিটে ভাবঃ শিশু এই সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে তাদের আচরণ স্বাভাবিকের থেকে পরিবর্তন থাকে এ সময় বাচ্চারা খিটখিটে আচরণ করে থাকে ঘুমাতে চায় না কান্নাকাটি করে থাকে।
শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময়
একটি শিশুর ৬ মাই বয়স থেকে ২৪ মাস বয়স পর্যন্ত বের হয়ে থাকে। একটি শিশুর দাঁত ওঠার সঠিক সময় শিশুর ৬ মাস বয়স থেকে শুরু হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে একটু দেরি হতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয় ১৫ মাস বয়সে দুধ দাঁত বের হয়ে যায়। জন্মের পর শিশুর একটিও দাঁত থাকেনা, জন্মের পরে যে দাঁত উঠে তাকে দুধ দাঁত বলে।
শিশুদের দাঁত ওঠার সময় শিশুর আচরণের অনেকটা পরিবর্তন ঘটে। শিশুর বাড়িতে চাপ সৃষ্টি করে, মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে, শিশু কামরাতে চায়, অনেক সময় বাড়ি ফুলে যায়। তখন ধরে নিতে হবে এটাই শিশুদের দাঁত ওঠার সঠিক সময়। শিশুরা শারীরিকভাবে অস্বস্তি অনুভব করে শিশুটা কিছুটা রাগান্বিত এবং কান্নাকাটি করে। তাই এ সময় শিশুদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ
বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ এবংকোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় এগুলো নিয়ে আজকে আমরা আর্টিকেলে আলোচনা করব। আপনি যদি এই বিষয় নিয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের সাথে থাকুন। প্রথম অবস্থায় শিশুর নিজের বাড়িতে দুইটি দাঁত উঠে থাকে। দাঁত ওঠার বয়স ৬ মাস থেকেই দৃশ্যমান হয়। তবে তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এক বছরও লেগে যেতে পারে।
শিশুর দুধ দাঁত ২০টি হয়ে থাকে। এই ২০টি দাঁত বের হতে প্রায় তিন বছরের মতো লেগে যায়। কোন শিশুর আঠারো মাস বয়সের মধ্যে যদি দাঁত না বের হয় তাহলে চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে। বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ কিংবা দেরিতে দাঁত ওঠার কারণ রয়েছে। আসুন জেনে নেই বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ গুলোর পিছনে কি সমস্যা রয়েছে।
- মা-বাবা কিংবা বংশগত কারণে হয়ে থাকে। বংশে যদি কারো দেরিতে দাঁত উঠে থাকে তাহলে বাচ্চার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। এমন ইতিহাস থাকলে শিশুর সঠিক সময়ে দাঁত না ওঠার পিছোনে চিন্তা করার কারন নাই।
- শিশু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে সঠিক সময়ে দাঁত না ওঠার একটি কারণ।
- কিছু যদি পুষ্টিহীনতায় ভুগে সেক্ষেত্রে দাঁত উঠতে দেরি হতে পারে।
- ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে শিশুর দাঁত উঠতে দেরি করে। এতে ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁত না ওঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- শিশুর ওজন কম বা ১০ মাসের আগে জন্মগ্রহণ করলে শিশুর এনামেলে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বাচ্চাদের দাঁত না ওঠার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাচ্চাদের দাঁত উঠে কত মাসে
অবশ্যই আমাদের জানতে হবে বাচ্চাদের দাঁত উঠে কত মাস বয়সে এবং এর লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেসব লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে। তবেই আমরা বুঝতে পারবো বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বয়স কিংবা সময় হয়েছে। তার সাথে জানতে হবে কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় সেই সব বিষয়ে। দাঁত ওঠার সময় বাচ্চাকে পুষ্টিকর নরম খাবার খাওয়াতে হবে।
বাচ্চাদের দাঁত ওঠার বয়স ৬ মাস বয়স থেকে শুরু হয়। কিন্তু প্রায় দুই তিন মাস আগে থেকেই এর উপসর্গ দেখা দেয়।তবে কারো কারো ক্ষেত্রে একটু দেরিতে দাঁত বের হয়ে থাকে। তবে ১২ মাস বয়সের মধ্যে দাঁত না উঠে থাকে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আঠারো মাস বয়সের মধ্যে যদি বাচ্চার দাঁত না উঠে তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে।
কিছু কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তিন চার মাস বয়সের পর থেকে মাড়ি শক্ত হয়ে যায় এবং পাঁচ মাসের মধ্যেই দাঁত উঠে আবার কারো কারো ক্ষেত্রে এক বছরের অধিক সময় লাগে। বাচ্চাদের দুধ দাঁত ২০টি। এই বৃষ্টি দাঁত উঠতে প্রায় তিন বছর লেগে যায় একটি বাচ্চার।
লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণে আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আর্টিকেলে বাচ্চাদের দাঁত ওঠা নিয়ে বিভিন্নভাবে আলোচনা করেছি। আরও আলোচনা করেছি, কোনটির অভাবে শিশুদের দাঁত উঠতে দেরি হয় এইসব বিষয়গুলো নিয়ে। আশা করি বাচ্চাদের দাঁত ওঠা নিয়ে নানান সমস্যা একটু হলেও সমাধান করতে পেরেছি। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
আরও নতুন নতুন সঠিক তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এরকম কোন তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন, আমরা অবশ্যই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসব। আর অবশ্যই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে, পরিচিতদের সঙ্গে এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url