স্টুডেন্ট অবস্থায় সহজ আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং শিখুন

স্টুডেন্ট অবস্থায় সহজ আয়ের উপায়, বর্তমান চাকরির বাজার প্রতিযোগিতা প্রচুর তাই মানুষ ফিন্যান্সিংয়ের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছে।  ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিকভাবে তথ্য জেনে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যাবেন। কারণ এটি ধৈর্যের বিষয়। প্রথম দিকে আপনাকে প্রচুর কাজ করতে হবে।
স্টুডেন্ট অবস্থায় সহজ আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং শিখুন
তার আগে আপনাকে জানতে হবে কোন সেক্টর আপনার কাছে বেশি ভালো লাগে। ইন্টারেস্টিং যে বিষয়ে সে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং কথাটি বর্তমানে একটি জনপ্রিয় কথা।ঘরে বসে আয় করার একটি চমৎকার সুযোগ ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা নিজের ইচ্ছামত কাজ করা। এখানে কেউ বিধি-নিষেধ করার কেউ নেই। একজন রিক্সা চালক সেও ফ্রিল্যান্সার। বুঝতেই পারছেন যে কাজে কারো বাধা নিষেধ নেই সেটাই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সার।এটি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়।

স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং

স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি ফ্রিলেন্সিং কি এ বিষয়টি আপনাকে ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ভালোভাবে বুঝতে হবে এখানে কিভাবে ইনকাম করা যায় কতটুকু সময় দেওয়া লাগে সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।তা না হলে আপনি প্রথম অবস্থায় শিখতে গিয়ে ভালো লাগতে হয়ত পরবর্তীতে আপনি অত সময় ব্যয় করতে পারবেন না এবং ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন তখন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর ভুয়া মনে হবে।

একজন ফ্রিল্যান্সার কে সফলতার ছোঁয়া পাওয়ার জন্য প্রথম কাজ থেকে ধৈর্য ধরতে হবে। স্বপ্নকে সফল করার জন্য যে লম্বা পথ অতিক্রম করতে পারবে, তখনি সে সফল হতে পারবে। আমরা কষ্ট করে একটু কাজের প্রতি সময় দিয়ে আমরা স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায় ফ্রিল্যান্সিং কাজ বেছে নিতে পারি।

এখন বর্তমানে অনেক বেকার লোক ফ্রিল্যান্সিং এর দ্বারা ইনকাম শুরু করেছে। ফ্রিল্যান্স বিভিন্ন সেক্টরে হতে পারে। যেকোনো একটা সেক্টর কে ভালোভাবে শিখিয়ে দাঁড় করাতে পারলে, এখান থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম আসতে থাকবে। আপনি পড়াশোনা পাশাপাশি একটি ভালো সময় ফ্রিল্যান্সিং শেখা। পরবর্তীতে পড়াশোনা শেষ হতে হতেই আপনার একটি সেক্টর দার করানো সম্ভব হবে।

বর্তমানে চাকরির বাজার ভয়াবহ তাই মানুষ এদিকে ঝুকে পড়ছে বেশি অল্প কোর্স একটি কোর্স শেষ করে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারছে। আপনি চাইলে ঘরে বসেও কোর্স কমপ্লিট করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় 2024

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪ দুই ধরনের। একটিভ ইনকাম বা প্যাসিভ ইনকাম।

একটিভ ইনকাম

একটিভ ইনকাম আপনাকে রাত জেগে মার্কেটপ্লেসে কাজ ধরতে হবে আপনাকে এখানে কাজ দিয়ে থাকবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ কমপ্লিট করে তাদের কাছে জমা দিতে হবে।

প্যাসিভ ইনকাম

এখানে আপনাকে কেউ কাজ দেবে না আপনি আপনার একটা ওয়েবসাইট, youtube, facebook এ আপনি ইনকাম করতে পারেন।ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে আপনি নিত্য নতুন লেখালেখি করে পোস্ট করে দিচ্ছেন এ পোস্টটি মানুষের কাছে যত পৌঁছাবে এ থেকে আপনার ততো ইনকাম আসবে।

তেমনি ফেসবুকেও আপনার পেজ খুলে বিভিন্ন তথ্য পাবলিশ করলে মানুষের সামনে গেলে, পড়লে এ থেকে আপনি ইনকাম পাবেন। ইউটিউবে ভিডিও পাবলিস্ট করে মানুষ সাবস্ক্রাইব করবে দেখবে তাহলে আপনি এভাবেই ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং

ব্লগিং হচ্ছে ডোমেন,হোস্টিং কিনে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে মানুষের প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে গুগলে পোস্ট করে রাখে। মানুষ সেগুলো দেখে পড়ে সমস্যা সমাধান পায়। বর্তমানে অনেক সমস্যা নিয়ে মানুষ অনলাইনে গুগলে সার্চ দিয়ে সে সমস্যার সমাধান খুঁজে পায় আর এই সমাধান গুলো ওয়েবসাইটের মালিকেরা দিয়ে থাকে।

ওয়েবসাইটের লেখালেখির যোগ্যতা থাকলে আপনি অবশ্যই ঘরে বসে এই তথ্যগুলো শেয়ার করতে পারেন মানুষের কাছে আর এখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন। মানুষ আপনার পোস্ট দেখে ক্লিক করে ভিতরে বিস্তারিত পড়ে। আপনার ওয়েবসাইটের পোস্ট যত ক্লিক, ইম্প্রেশন বেশি আসবে, তত আপনার ইনকাম হবে।

তার আগে আপনি ব্লগে গুগল এডসেন্স পাওয়া লাগবে। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কনটেন্ট পাবলিস্ট করার পাশাপাশি এফিলেট মার্কেটিং স্পন্সরোড কন্টেন্ট প্রোডাক্ট সার্ভিস করা ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

ফেসবুক পেজ

আপনি আপনার পোস্টগুলো facebook পেজে শেয়ার করে সেখান থেকেও ইনকাম করতে পারেন। এদের ভিতরে ভিডিও বা কনটেন্ট এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ফেসবুক পেজে আপলোড করে রাখলে সেখানে মানুষ ভিডিও, কনটেন্ট দেখে,কমেন্ট করে, রিঅ্যাক্ট দেয়। এই কমেন্ট পড়া, ভিডিও দেখা, রিয়েক্ট দেওয়া সমস্ত কিছু মিলে আপনার ইনকাম বাড়বে।

ইউটিউব চ্যানেল

বর্তমান সময়ে ঝড় তুলেছে ইউটিউব চ্যানেলে, youtube চ্যানেল এখন জনপ্রিয় সবার কাছে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তবে আপনাকে যেকোনো একটি বিষয়ে অন্তত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখানে ভিডিও এডিটিং, ভিডিও আপলোড এবং ভিডিও তৈরি করার কাজ রয়েছে। তাই আপনাকে যে কোন একটি ভালোভাবে অর্জন করতে হবে।

সেখান থেকে আপনি ইনকাম শুরু করতে পারেন ধরুন আপনি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে যারা ভিডিও তৈরি করবে, আপলোড করবে, তারা আপনাকে এডিটিং করার জন্য অফার করবে। এখানে আপনি তাদের প্রয়োজনীয় ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করতে পারেন।আবার আপনি যদি তিনটি বিষয়ে দক্ষ থাকেন।

সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই ভিডিও তৈরি করে এডিটিং করে আপলোড করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট চ্যানেলে আপনার ভিডিও মানুষ দেখবে কমেন্ট করবে এবং সাবস্ক্রাইব করবে এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম আসবে অনলাইন থেকে।

ইনস্টাগ্রাম

আপনি আপনার ফেসবুকের মত অ্যাপ ডাউনলোড দিয়ে লগইন করে আপনি আপনার পেইজে তথ্য গুলো শেয়ার করতে পারেন এভাবে আপনি instagram থেকেও ইনকাম আসবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বিজনেসের মতো যুক্তিবদ্ধ রয়েছে। এখানে আপনিও কোন প্রতিষ্ঠানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ ভাবে কাজ করতে পারেন। যেমন কোন প্রমোট বা রেফার বিক্রি করে দেওয়ায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।।

যতগুলো আলোচনা করা হলো সমস্ত বিষয়গুলো প্যাসিভ ইনকাম। এখানে আপনি যখন তখন যেকোনো সময় কাজ করে পাবলিস্ট করলে, এখান থেকে ইনকাম আসবে। কারো জন্য বসে থাকা, আপনি থাকলে কাজ হবে কিংবা আপনি তার অপেক্ষায় না থাকলে কাজ হবে না, এ ধরনের কোন অ্যাক্টিভ ইনকাম নয়। এখানে আপনার সুবিধা হচ্ছে আপনার ইচ্ছামত যখন সেই কাজ করতে পারবেন কারো জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।

ওয়ার্ডপ্রেস

ব্লগারের মত আর একটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার আর্টিকেল লিখা হয় যেই নিয়মে একই নিয়ম আর্টিকেল লিখা হয়। তবে ব্লগারের কর্তৃপক্ষ গুগুল নিজেই আর ওয়ার্ড কিছু কর্তৃপক্ষ আমি নিজেই এখানে গুগল কোন দায়ভার নেয় না। কোন সমস্যা হলে নিজেকেই সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি ওয়ার্ড সবকিছু পেইড অর্থাৎ ওয়ারড্রেসে সবকিছু কিনে ব্যবহার করতে হবে।

কিন্তু ব্লগারের google কর্তৃপক্ষ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে কিনে বাকি সব আর কেনা লাগে না তবে একটু অসুবিধা হলো ব্লগার ওয়েবসাইটের মত সুবিধা পাওয়া যায় না। ওয়ার্ডপ্রেস পেইড তাই অনেক ফাংশন রয়েছে। কিন্তু ব্লগার এ কেমন অতো ফাংশন নেই।

গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কোন কিছু আর্ট করা কে বোঝায় এবং আপনি লোগো ব্যানার প্যাকেজিং ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদি বিভিন্ন ডিজাইন করে থাকেন আপনার কোম্পানির জন্য সে ক্ষেত্রে আপনার একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার এর প্রয়োজন পড়বে। এভাবে মানুষ গ্রাফিক ডিজাইনের প্রতি আসক্তি হচ্ছে। এভাবে মানুষ মার্কেট প্লেসে এসে কাজের অর্ডার নিয়ে থাকে । কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়।

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আপনাকে প্রথমে যেকোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে স্কেল অর্জন করতে হবে। সে কাজটার প্রতি ভালোভাবে আয়ত্ত করে অনলাইনে কাজ করতে পারেন অনলাইন কাজের জন্য আছে ।কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হতে হবে এবং ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে কখনো ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না। এই কাজের জন্য ধৈর্যটা গুরুত্বপূর্ণ। 

আজকের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সঠিক ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। আর্টিকেলটা পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে আপনি যদি বুঝতে পারেন ব্লগিং সম্পর্কে তাহলে আমার ভিজিট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url