মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায় - স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
আসসালামু ওয়ালাইকুম, আজকে আমরা জানবো মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো কি কি। তাদের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে আমাদের ঘরোয়া উপায় গুলো জানা দরকার। স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়গুলো জানব।
আরো জানবো নাকের তৈলাক্ত দূর করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক, তোলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়, প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এইসব বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করব, আজকের আর্টিকেলে। আপনি যদি ত্বকের সমস্যা নিয়ে ভাবেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ধৈর্য ধরে পড়ে আসুন ,তাহলে ভালো বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
সবাই চায় ত্বকের সৌন্দর্যের অধিকারী হতে। আমাদের ত্বকে বাহ্যিক পরিবেশের কারণে নানা সমস্যা হয়ে থাকে যেমন বাইরের রোদে ত্বক নষ্ট করে দেয়। মুখের এই পাতলা ত্বক নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে ত্বককে করে তুলতে পারি তৈলমুক্ত গ্লোয়িং।
নাকের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়
মুখে তৈলাক্ত ভাব হয়ে থাকে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি মুখে তেল তেল হয়ে আছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় নাকের পাশ দিয়ে তেল ভাবটা বেশি। নাকের তৈলাক্ততা দূর করার উপায় ঠিক একই নিয়ম যেভাবে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করলে, একই সাথে নাকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
যদি ঘরোয়া ভাবে তোলা তো ভাব দূর করতে চান, তাহলে নিচে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করব, আপনি সেখান থেকে সুন্দর ভাবে দেখে নিতে পারেন। আর আপনি যদি প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চান,তাহলে কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট বাজারে অনেক ধরনের পাওয়া যায় সেখান থেকে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি বলব কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট এর ভিতর ত্বকের ক্ষতির দিক রয়েছে। ত্বককে আরো ক্ষতিকর করে তুলে।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আপনি যদি মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে চান, তাহলে আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আসুন জেনে নেই কিভাবে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে মুখের তৈলাক্ত দূর করবেন নিচে কিছু উপায় দেওয়া রয়েছে আপনি চাইলে এগুলো অবলম্বন করতে পারেন।
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে বাইরের রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসিদ্ধ নিশ্চয়ই প্রাকৃতিক উপাদান গুলো বেশি কার্যকরী। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরে বসেই বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগান এতে তেলতেলে ভাগ দূর হবে পাশাপাশি ব্রণ ও কালচে ভাব কমিয়ে আনবে।
পানি ও ভিনেগারঃ আপনি এই উপায়টি আপনার ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন। পানি ও ভিনেগার দিয়ে কিভাবে ত্বকের তৈলাক্ত কমানো যায় দেখুন। আপনি পানির সাথে ভিনেগার মিশ্রণ ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন কিংবা ফ্রিজে রেখে বরফ তৈরি করেও মুখে ঘষতে পারেন। এতে করে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
লেবু ও মধুঃ একটি বাটিতে লেবুর রস নিবেন তার সাথে এক টেবিল চামচ এর মত মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। মধু মিশ্রণটি গারো লিকুইড তৈরি করে নিতে হবে এভাবে ১৫-২০ মিনিটের মতো রেখে দিন তারপর ধুয়ে ফেলুন এভাবে কয়েকদিন ব্যবহারকরলে আপনার তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
অ্যালোভেরার জেলঃ অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে নিয়ে মুখে লাগান বিশ মিনিটের মত রেখে ধুয়ে ফেলুন ত্বকের ও চুলের জন্য এলোভেরা জেল খুবই উপকারী।
বেসন ও দুধঃ আপনি চাইলে বেসন ও দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় এবং ত্বকের উপর কালছে কালছে স্পট পড়ে যায়। আপনি ঘরে বসেই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন দুধ ও বেসন দিয়ে প্রথমে দুই চামচ বেসনের সাথে ৪ চামচ দুধ মিশে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন। এরপর মুখে লাগিয়ে মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
ময়দা ও হলুদ গুঁড়োঃ আপনি ময়দার সাথে একটুখানি হলুদ মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে স্কার্ব তৈরি করে নিন। এরপর মুখে সুন্দর ভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন, আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও ত্বকের ভেতরে ময়লা আটকে থাকলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ডিমের সাদা অংশঃ মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য ডিমের সাদা অংশ খুবই উপকারী এতে করে টানটান ভাব চলে আসে ত্বকে। তাহলে আপনি ডিমের সাদা অংশের সাথে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ব্যবহার করে নিতে পারেন কারণ ডিমের আশঁটে গন্ধ দূর হবে।
পুদিনা পাতার রসঃ মুখের ত্বকের জন্য পুদিনা পাতার রস খুবই উপকার। মুখের তৈলাক্ত ভাব ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।পুদিনা পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল যা ত্বকের ব্রণ মুক্ত থাকে।
শসাঃ শসার রস মুখে দিলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে।
টমেটো রসঃ টমেটো রস মুখে লাগিয়ে রাখুন তেল তেল ভাব দূর হবে। যাদের মুখে অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা এটি মুখে ব্যবহার করবেন না।
কমলার রসঃ মুখে অতিরিক্ত তেল জমলে আপনি কমলার রস কিংবা কমলার খোসার তুলনা নেই। আপনাকে কমলালেবুর খোসার গুড়া, ৪ চামুচ দুধ,১ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট রাখুন এরপর ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই দিন করে ব্যবহার করুন। তৈলাক দূর করার পাশাপাশি ত্বককে করে তুলবে গ্লোয়িং।
মধুঃ মধু তে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে সমাধান করে। মুখের তৈলাক্ত দূর হলেই ব্রণ দূর করা যাবে।
পুরুষের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায়
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় মহিলাদের ক্ষেত্রেও যেমন পুরুষের ক্ষেত্রেও ঠিক একই নিয়ম। পুরুষের মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায় একই নিয়ম। তাই আপনি যদি এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের প্রথম দিকেই মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে সেখান থেকে করে নিতে পারেন।
শুধু মেয়েরাই ত্বকের যত্ন করে এমনটাই নয় পুরুষেরাও ত্বকের যত্ন করে থাকে। বর্তমানে মেয়েদের সাথে ছেলেরাও রূপচর্চায় সচেতন হয়ে গেছে। মেয়েদের থেকে ছেলেরাই বেশি বাহিরে থাকে তাই তাদের ত্বককে ধুলোবালি, ময়লা জমে থাকে বেশি। অনেকেই মনের সমস্যা নিয়ে ভুগছে। তাই এইসবের কারণে ত্বকের যত্নে সচেতন হয়ে উঠেছে ছেলেরা। তবে ছেলেরা মেয়েদের মত ঘরে বসে থেকে রূপচর্চা করার সময় পায়না তাদের জন্য শর্টকাট কিছু টিপস তুলে ধরছি।
- প্রতিদিন সকালে বিকালে দুই বেলা কুসুম গরম পানির সাথে আলফা হাইড্রিক এসিড যুক্ত ফেস ক্লিনজার দিয়ে মুখ দিতে হবে এতে তৈলক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করে।
- খাবারের তালিকায় তৈলাক্ত যুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
- ফলমূল ও সবজি বেশি খেতে হবে।
- দুধের সর তুলে প্রতিদিন গোসলের আগে মুখে মাখতে হবে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ডিমের সাদা অংশ সাথে মধু ও আটা মিশে মাক্স তৈরি করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের অতিরিক্ত তেল দূর করে।
- সপ্তাহে দুইবার স্ক্রাব করুন। এতে মুখের ময়লা দূর করবে মুখে করে তুলবে পরিষ্কার।
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায়
স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার কিছু টিপস রয়েছে এবং এই টিপসগুলো নিয়মিত মুখের ত্বকে মেসেজ করতে হবে। তাহলে ভালো ফল পাওয়া যাবে নিজের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে প্রতিদিন রূপচর্চা অপরিহার্য। তার জন্য সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি তাই ভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় অবলম্বন করতে পারেন পাশাপাশি মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় ও কাজে লাগবে।
আধুনিক যুগে মুখের সৌন্দর্য প্রধান কারণ হয়েছে। আপনি যদি দেখতে কালো হন, তাহলে সর্বস্থানে আপনাকে অগ্রহণযোগ্য ধরে নিবে। তাই সৌন্দর্য তৈরি করতে আপনাকে এমন কিছু উপায় অবলম্বন করতে হবে। যাতে করে স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় জানতে পারবেন। সবাই চাই সৌন্দর্যের অধিকারীনি। তাই আসুন জেনে নেই কিভাবে স্থায়ী ভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়।
বর্তমানে বাজারে অনেক কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম পাওয়া যায় যা ত্বককে সহজেই ফর্সা করে তোলে কিন্তু এর ক্ষতির দিক বেশি রয়েছে। আবার কিছুদিন ব্যবহার করার পর বাদ দিলে মুখের ত্বক আরো খারাপ হয়ে যায়। তাই চলুন স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় অবলম্বন করি।
- ত্বক ফর্সা করার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করতে হবে।
- হলুদ ও অ্যালোভেরা জেল পেস্ট করে ব্যবহার করুন।
- মধু ও লেবুর মাক্স তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন।
- পাকা কলা ও টক দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে মাখুন।
- বেসন ও দুধ একসাথে পেস্ট করে মুখে কয়েক মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
- কালো থেকে ফর্সা করার জন্য মুলতানি মাটি শসা গোলাপ জল ব্যবহার করুন।
- পেঁপে ও ডিম ডিম ব্যবহার করুন মুখে।
- কাঁচা দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকের কালো স্থানে লাগিয়ে রাখুন।
তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় জানার পাশাপাশি তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক তৈরি করা জানুন। কিভাবে তৈলাক্ত ত্বকের ফেসপ্যাক বানাতে হয়।
- অলিভ অয়ের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন;
- বেসন ও দুধের পেস্ট করে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন;
- কলা ও টক দই মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন;
- অ্যালোভেরার জেল ও শসার রস সাথে এক চামচ পরিমাণ ময়দা মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
- টমেটোর রস ও মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
- কমলালেবুর খুসা, হলুদ গুঁড়ো ও দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।
মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় উপাদানটি রয়েছে। আপনি প্রথমে একটি বাটিতে দুই চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন এরপর মুখে লাগান মুখে লাগানোর পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্য ফিরে আনতে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই এর থেকে পরিত্রাণ পাবেন। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করবেন মধু দিয়ে তৈরি প্যাক।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
সবাই চায় সৌন্দর্যের অধিকারী হোক। তাই সবাই কমবেশি ত্বকের পরিচর্যা করে থাকে। কিন্তু অনেকেই কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে চায় না। কারণ এতে থাকে সাইড ইফেক্ট আছে। ফলে ত্বকের জন্য ক্ষতি হতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, থাকতে করে তোলে উজ্জ্বল ও তেলমুক্ত, স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে চাইলে আপনাকে প্রচুর পরিমাণ সবজি খেতে হবে।
বাদামঃ বাদাম খেতে পারেন বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। বাদাম খেলে ত্বক হয়ে উঠবে লাবণ্য ময়।
কলাঃ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা ত্বকের মলিনতা দূর করে। তাকে করে তুলে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ আপনি নিয়মিত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন এদের টককে উজ্জ্বল করে তুলবে।
এ ছাড়াও আপনি খাবারের সাথে প্রতিদিন শাকসবজি খাবেন এতে ত্বক ভালো রাখবে। এছাড়াও আপনি ঘরোয়া কতগুলো টিপস ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে ।
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার উপায় জানতে চাচ্ছেন আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করতে চান,তাহলে ঘরোয়া কিছু টিপস রয়েছে যে টিপস এর মাধ্যমে আপনি তৈলাক ফর্সা করতে পারবেন আর যদি আপনি বাজারের প্রোডাক্ট ইউজ করতে চান তাহলে আপনি কেমিক্যাল যুক্ত বিভিন্ন প্রোডাক্ট রয়েছে, সেই প্রোডাক্ট গুলো এনে তৈলাক ফর্সা করতে পারেন।
তবে আমি বলব তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য তৈলাক্ত যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে আপনি যখন ব্যবহার করবেন তখন মুখে ফর্সা ভাব চলে আসবে কিন্তু ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অর্থাৎ মুখের চামড়া পাতলা হয়ে যাবে। লালচে ভাব হয়ে যাবে। আপনি যখন ব্যবহার করা বাদ দিবেন তখন আপনার মুখে নানা সমস্যা দেখা দিবে আবার আগের মতই লাগতো এবং কালচে ভাব চলে আসবে তাই এই প্রোডাক্ট ব্যবহার না করাই ভালো।
আর প্রাকৃতিকভাবে যেসব ফেস প্যাক রয়েছে, ঐসব ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিছু ঘরোয়া ভাবে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরি করার নিয়ম গুলো তুলে ধরা হয়েছে আপনি চাইলে এই আর্টিকেলের মধ্যে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। কিভাবে ব্যবহার করবেন সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি সহজে বুঝতে পারবেন ব্যবহার বিধিগুলো।
আজকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আলোচনা করেছি মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো। স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় আলোচনা করেছি আপনার আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি উপকার হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন।
তারাও যেন আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয় এবং আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন যাতে করে সবার আগে তথ্য আপনি পেয়ে থাকেন এই ওয়েবসাইটে নিত্য নতুন তথ্য সবার আগে পোস্ট করা হয়।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url