সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত সর্ম্পকে জানুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত সমূহ ও সূরা কাহাফের ফজিলত হাদিস আমাদের জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন মুসলিম হিসেবে এবং দাজ্জলের ফিতনা ফাতেহা ফাসাদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই সূরা পাঠ করা গুরুত্ব অনেক।
সূরা কাহাফের শেষ  ১০ আয়াতের ফজিলত
এছাড়াও আর্টিকেলের মধ্যে সূরা কাহাফ এর অলৌকিক ঘটনা,জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত, শুক্রবার সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হাদিসের আলোকে করা হয়েছে। আপনি সূরা কাহাফ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ধৈর্য ধরে পড়তে পারেন।

ভূমিকা

কুরআনুল কারীমে সূরা আল কাহাফপাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত অনেক। এবং দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সূরা কাহাফ এর শেষের দশ আয়াত এর ফজিলত এবং প্রথম ১০ আয়াত অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। হাদীস শরীফে প্রমাণস্বরূপ উল্লেখ করা রয়েছে। জুমার দিনে এই সূরা পাঠ করা উত্তম।

সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত

যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ পড়বে তার তার জন্য এমন একটি নূর হবে যা তার অবস্থানে জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোয় আলোকিত হয়ে যাবে। এবং যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা কাহাফ এর শেষ ১০ আয়াত পাঠ পাঠ করলে সে জীবিত অবস্থায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ এর প্রথম ১০ আয়াত পাঠ করবে এবং মুখস্ত রাখবে সে ব্যক্তিকে দাজ্জালের হাত থেকে অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখতে।
১০৬, ১০৭, ১০৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যে কুফরি তারা করেছে তার প্রতিফলনস্বরূপ এবং আমার এই নির্দেশ বলি ও রাসুল এর সাথে যে বিদ্রুপ তারা করতো তার প্রতিফলন হিসেবে তাদের প্রতিদান হলো জাহান্নাম। যারা ঈমান এনেছে সৎকাজ করেছে তাদের জন্য রয়েছে ফেরদাউসের বাগান সেখানে তারা চিরকাল থাকবে কখনো সে স্থান থেকে যেতে চাইবে না।
১১০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহ বলেছেন হে মাহমুদ বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদের মত আমার প্রতি ওহী করা হয় এই মর্মে যে এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎ কাজ করা উচিত এবং বন্দেগির ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরিক না করা উচিত।

সূরা কাহাফের ফজিলত হাদিস

সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত হাদিসে বর্ণনা করা রয়েছে। দাজ্জালের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সূরা কাহাফ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন মুসলিম হিসেবে সূরা আল কাহাফ পাঠ করা উত্তম। সূরা কাহাফ পবিত্র কুরআনুল কারীমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সূরা। এই সূরা নিয়মিত পাঠ করা উত্তম সাপ্তাহে একদিন অন্তত শুক্রবার সূরা আল কাহাফ পাঠ করার অনেক ফজিলত রয়েছে।
তাছাড়া আপনি প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত রাখতে হবে এবং তেলাওয়াত করতে হবে। এই সূরার আয়াত সংখ্যা ১১০টি। শেষের দশটি আয়াত নিয়মিত পড়লে দাজ্জাল বের হলেও তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, “যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ প্রতিনিয়ত পড়বে তার জন্য কেয়ামতের দিন একটি নূর হিসেবে তৈরি হবে।”(শোয়াইবুল ঈমান হাদিস নাম্বার ২২২১)

তিনি আরো বলেছেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যেমন ভাবে নাযিল করা হয়েছে সেই ভাবে যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য তার অবস্থান হতে কিয়ামত পর্যন্ত একটি নূর হয়ে আলোকিত করবে। এবং যে ব্যক্তি শেষের ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে দাজ্জাল তাকে পাকড়াও করতে পারবে না।”(সুনানে নাসাঈ,হাদিস নাম্বার: ১০৭২২)

আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর হতে বর্ণিত, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ এর প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফিতনা হতে হেফাজতে থাকবে।”( আবু দাউদ হাদিস নাম্বার: ৪৩২৩)
বারা ইবনে আজিব রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, “একদা এক ব্যক্তি প্রতি রাতে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করে। তার একটি ঘোড়া বাধা ছিল সেখানে একটি মেঘ খন্ড এসে ঘিরে ফেলল তখন নিখণ্ডটি দেখে ঘোরাটি ছোটাছুটি করতে লাগলো এমন অবস্থায় লোকটি খেয়াল করল। এবং সকালে লোকটি নবী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলেন এবং ঘটনাটি খুলে বললেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওটা ছিল সাকিনা- যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ রহমত।তুমি যে কোরআন তেলাওয়াত করেছিলে তার বরকত নাযিল হয়েছিল।(বুখারী হাদিস নাম্বার: ৫০১১, মুসলিম হাদিস নাম্বার ৭৯৫)

সূরা কাহাফ এর অলৌকিক ঘটনা

সূরা কাহাফ এর অলৌকিক ঘটনা
সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত অনেক অর্থাৎ সূরা কাহাফ প্রথম ১০ আয়াত এর ফজিলত পুরো সূরা আল কাহাফ পড়ার ফজিলত অনেক। এটি ফজিলতপূর্ণ একটি আমল দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা করতে সূরা কাহাফ এর শেষ দশ আয়াত করুনএবং প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত রাখুন। সূরা আল কাহাফ এর অলৌকিক ঘটনা রয়েছে।

পবিত্র আল কুরআনের ১৫ পারার ১৮নম্বর সূরা, সূরা আল কাহাফ এর পিছনে অলৌকিক ঘটনা রয়েছে। আমাদের মুসলিম হিসেবে জানা এবং আমল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। হাদীস শরীফে সূরা আল কাহাফ এর ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনাগুলো আসুন জেনে নেই।

গুহার ঘটনাঃ তখনকার এই সময়ে হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন। তৎকালীন সময়ে অত্যাচারী শাসক দ্বীন ও শরীয়ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।এবং ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসারীদেরকে আটক করার নির্দেশ দেয়। এ কথা শুনে ইমানদার ব্যক্তিরা একটি পাহাড়ের গুহায় জীবন রক্ষার জন্য আত্মগোপন করে। এবং ঈমান রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

সমস্ত কিছুর মায়া ত্যাগ করে দূর অজানা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছিল। এবং আল্লাহতালা তাদের জন্য সবকিছু সহজ করে দিয়েছিল। সেখানে যুবকেরা ৩০৯ বছর ঘুমন্ত অবস্থায় আল্লাহতালা তাদেরকে রেখে দিয়েছিল। এবং পুনরায় যুবকদের জাগে তুললেন। যখন তারা ঘুম থেকে উঠল এবং তাদের একজনকে একটি মুদ্রা দিয়ে খাবার আনতে পাঠালো।

খাবার আনার খোঁজে রওনা হলেন এবং একটি শহরে ঢুকে পড়লেন দেখলেন শহরটি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। এবং দোকানদারকে মুদ্রাটি দেখানের পর লোকটি হতবিম্ব হয়ে গেলেন। এবং দোকানদারটি ভাবলেন লোকটি হয়তো ধন ভান্ডারে সন্ধান পেয়ে গেছে। এবং অনেকটা কৌতূহল হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন মুদ্রা সম্পর্কে।

একটা সময় রাজ দরবার পর্যন্ত গড়ালো। রাজা যুবতীর কাহিনী শুনে বিস্মিত হলেন। অতঃপর তার সবার সদস্যদের নিয়ে সেই গুহায় প্রবেশ করলেন। অলৌকিকভাবে গুহার মুখ বন্ধ হয়ে গেল এবং ৩০০ বছর পরের সেই রাজা ছিল ঈমানদারের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই ঘটনাটি আল্লাহপাকের পাক থেকে অবতীর্ণ ভেবে গুহার মুখ সংরক্ষিত করে দিলেন। এ থেকে বোঝা যায় জীবন মরণ এবং ক্ষমতা যাহা কিছু সমস্ত কিছুই আল্লাহর হাতে রাখেন।

মালিকের বাগানের ঘটনাঃ এই ঘটনাটি দিতে একটি ব্যক্তির দুটি সুন্দর বাগান আছে। সে অহংকারে তার বন্ধুকে বলেছিল আমি তোমার থেকে উত্তম কেননা তোমার থেকে আমার বেশি সম্পদ রয়েছে।” (সূরা আল কাহাফ আয়াত নাম্বার ৩৪)

সবদিক দিয়ে বাগানটি ছিল অনেক সুন্দর। নেয়ামত পেয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় না করে সরাসরি আখেরাতকে অস্বীকার করে বসলো এবং যার কারণে আল্লাহতালা তার সমস্ত ধন সম্পদ কেড়ে নিল। এ থেকে বোঝা যায় দুনিয়ার বহুৎ উপরে আল্লাহর কথা আল্লাহর নেয়ামতের কথা ভুলে গিয়ে নাশকতার করা যাবেনা সব দিতে পারেন আবার ইচ্ছা করলে সবকিছু নিতে পারেন।

শুক্রবার সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয়

সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত অনেক বেশি। দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। আপনি শুক্রবার সূরা কাহাফ কখন পড়তে হয় জানতে চান সেক্ষেত্রে বলবো হাদিস এর আলোকে উল্লেখ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত আপনি সূরা আল কাহাফ তেলাওয়াত করতে পারেন। এই সময় এর মধ্যে যেকোনো সময়ে পড়তে পারেন। শুক্রবারে সূরা আল কাহাফ তেলাওয়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফজিলত।

জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত

জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত
সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত দাজ্জালের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে শুক্রবার জুমার দিন সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত অনেক বেশি। যে ব্যক্তি জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার দিন সূরা আল কাহাফ পাঠ করবে তার ঈমানের নূর এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।(মিশকাত , হাদিস নাম্বার: ২১৭৫)

জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করলে কিয়ামতের দিনে তার পায়ের নিচ হতে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নূর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।(তরগিব ওয়াল তারহীবঃ১/২৯৮)

একদা একজন ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ পড়ছিল এবং তখন লোকটি তাকে দেখতে পেল খন্ড মেঘ তাকে পরিবেষ্টন করছে।অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে ওই সব ‘সাকিনা’ আসতে থাকে।

বারা ইবনু আজিব এর বর্ণনায় ঘটনার আলোকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন হে অমুখ তুমি সূরাটি পড়তে থাকো। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমত, যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে অবতীর্ণ হয়েছিল। সূরা কাহাফ এর হাদিসে অনেক ফজিলতের প্রমাণস্বরূপ রয়েছে।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আমাদের পূর্ববর্তী উম্মতকে জুমার দিন সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা অক্ষম রেখেছেন।

পবিত্র কুরআনে ১৫তম পাড়ার ১৮ নম্বর সূরায় সূরা আল কাহাফ দেওয়া রয়েছে। জুমার দিন অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি দিন জুমার দিনে সূরা কাহাফ পাঠ করা উত্তম। আর ইহুদিদের ফজিলত পূর্ণ দিন হচ্ছে শনিবার ছিল, আর খ্রিস্টানদের ফজিলত পূর্ণ দিন ছিল রোববার।

অতঃপর আল্লাহতালা আমাদের দুনিয়াতে পাঠালেন এবং জুমার দিন কে ফজিলতপূর্ণ দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জুমার দিন দুনিয়াতে দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই দিনে দুনিয়াবী ধ্বংস হবে এবং এই দিনেই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। এবং এই দিনে আদম আলাইহিস ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করেছেন এবং জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন। সকল দিনের সর্দার জুমার দিন

“রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন জুমার দিন সকল দিবস গুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন। আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক সম্মানিত একটি দিন।”( ইবনে মাজহাঃ ১০৮৪)

জুমার দিনে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করার অনেক ফজিলত রয়েছে। “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা আল কাহাফ পড়বে তার ঈমানের নূর এই জমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।”( মিশকাত ২১৭৫)

সূরা কাহাফ পড়ার সঠিক সময়

সূরা কাহাফ পড়ার সঠিক সময় বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত যেকোনো সময়ে সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা যায়। এটি হাদিস অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব। জুমার রাতে বা দিনে সূরা কাহাফ পড়ার ফজিলত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনেক হাদিস এসেছে।

আব্দুল্লাহ্ বিন ওমর রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“জুমার দিন যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ পড়বে তার জন্য তার পায়ের নিচে থেকে আসমানের মেঘমালা পর্যন্ত আলোর বিচ্ছুরিত হবে।”

আপনি চাইলে সূরা আল কাহাফ গভীর রাতে তেলাওয়াত করতে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজের পাশাপাশি সূরা আল কাহাফ পাঠ করা যায়। রাতের মধ্যভাগে অর্থাৎ শেষের সময়ে আল্লাহর ইবাদত এবং আল্লাহকে ডাকলে আল্লাহ অবশ্যই ডাকে সাড়া দেন এই সময় বান্দার দোয়া কবুল করে নেন। তাই আমরা চেষ্টা করব রাতের মধ্যে ভাগ হতে ফজরের নামাজ এর আগ পর্যন্ত এই সূরা পাঠ করার।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে সূরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াতের ফজিলত ও সূরা কাহাফ এর অলৌকিক ঘটনা ও সূরা কাহাফের ফজিলত হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। তারা যেন এই অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ, ফজিলতপূর্ণ আমলটি করতে পারে। এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য সবার আগে পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url