এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় - মেছতা দূর করার ঘরোয়া ৯টি পদ্ধতি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আর্টিকেলে আলোচনা করব মুখের মেছতা সম্পর্কে। অ্যালোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়, কফি দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় ও মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো খুবই কার্যকরী।
এছাড়াও চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। আপনি যদি মেছতা সমস্যা নিয়ে ভুগেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর তার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটি পুরো ধৈর্য ধরে করতে হবে তাহলে ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা করতে পারেন। আমাদের নানা ব্যস্ততাই মুখের যত্ন নিতে পারি না। হলে একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথে মুখে মেছতা পড়তে শুরু করে। বাইরের ধুলোবালি ও রোদে ত্বক পুরে কালো হয়ে যায়। আস্তে আস্তে ত্বকের গভীর থেকে কালকে ছাপ পড়তে শুরু করে। তাই এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি কিংবা ক্রিম ব্যবহার করেও সমস্যা দূর করা যায়।
কফি দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় জানার পাশাপাশি আরও একটি চমক জেনে নিন। আর চমক টি হল আপনি নিশ্চয়ই কপি খেয়ে থাকেন। বাড়িতে ঘরে বসেই মুখের মেছতা দূর করতে কফি ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের যত্নে কফি খুবই উপকারী। ত্বককে সুস্থ ও সততা ফিরিয়ে আনে। ত্বকে কফি খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে কফি গুরু করে পাউডার বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
কফিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দূর করতে খুবই কার্যকারী মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি। আপনি কয়েকদিন নিয়মিত মুখের ত্বকে কফি ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনার মেছতা অনেকটা দূর হয়ে যাবে। রূপ চর্চার জন্য কফি সবসময় রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই ব্যবহার বিধি গুলো জেনে করা দরকার।
কফি ও নারকেল তেলঃ আপনি প্রথমে কফি ভালো করে পাউডার বানিয়ে নিবেন তারপর ২টেবিল চামচ কফি পাউডার এবং ২টেবিল চামচ নারিকেল তেল ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট করে দিন এরপর আপনার মুখের মেছতা যেখানে বেশি সেখানে মোটা করে লাগিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে আপনার চোখের নিচে কালো দাগ তুলতে ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া আবার দেখা যায়, অনেকের ঘাড়ে কালো দাগ কালছে হয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেখানেও ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি বগলের নিচের কালো দাগ দূর করতে কফি ও নারকেল তেলের পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। কালো দাগ দূর হয়ে যাবে অল্প দিনের মধ্যেই। আপনি নিয়মিত এক সপ্তাহের মধ্যে একটানা ব্যবহার করতে পারেন।
গোসলের আগে কপি ও নারিকেল তেলের পেস্ট লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নারিকেল তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা ত্বকে নরম করতে সাহায্য করে অন্যদিকে কফিতে অতিরিক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়।। এ দুইটি উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে উপকার অনেক ভালো পাওয়া যায়।।
কফি ও অ্যালোভেরার জেলঃ এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে এটিও একটি মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি। এটা ত্বকের জন্য খুবই উপকার হয় ত্বকের গভীরতায় থেকে ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ব্রণ, একজিমা, মেছতা এমনকি ত্বকের ভাব কমিয়ে আনে। পাশাপাশি তোকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে।
কফি স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। কফি খেলে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায় শরীরকে ফুরফুরে করে তোলে তাকে মসৃণ করে তুলে। তাই অ্যালোভেরার জেল কফির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ কফি ও একটি অ্যালোভেরা টুকরোর জেল তৈরি করে ২ টেবিল চামচ মিশিয়ে গলা ও ঘাড়ে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে অনেক অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
কফি ও মধুঃ কফি ও মধু ত্বকের মসৃণ ও টানটান ভাব করে তুলে। ত্বকের বলিরেখা এবং মেছতা দূর করতে, পাশাপাশি বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। অনেক দিনের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
আপনি প্রথমে একটি বাটিতে এক টেবিল চামচ কফি গুড়ো পাউডার ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন এভাবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি তার ফল পাবেন।
কফি দুধঃ কপি গুড়োর সাথেগরুর খাঁটি কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিন।যা মুখের ত্বকের জন্য খুবই উপকার।
কফির সাথে হলুদ ও দইঃ হলুদ আছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি। আরো রয়েছে ভিটামিন সি যা মুখের মলীনতা ভাব দূর করে, মেছতা কমিয়ে আনে, মুখে উজ্জ্বল করে তোলে।
লেবু ও কফিঃ মুখের মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি লেবু ও কফি ব্যবহার করতে পারেন।এই উপাদানটি ব্রণ,মেছতা এবং এলার্জি জাতীয় সমস্যা সমাধান করে ত্বকের উজ্জ্বলাতা ফিরিয়ে আনে।
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়
ঘৃতকুমারী অর্থাৎ এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। এলোভেরা অনেক উপকারী একটি ঔষধি গাছ। শুধু ত্বকের জন্য নয় চুলের জন্যেও এবং বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রেও অ্যালোভেরা ব্যবহার হয়ে থাকে। এলোভেরার কার্যকারিতা অনেক। ত্বকের জন্য এবং ত্বকের কালো ভাব দূর করার জন্য এলোভেরা ব্যবহার করা যায়।
চুলের জন্য অ্যালোভেরা অনেক উপকারী তার পাশাপাশি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী যা ত্বককে করে তোলে সতেজে তা ত্বকের মলীনতা দূর করে মসৃণ করে তোলে। অ্যালোভেরার জেল ত্বক ও চুলের জন্য খালি ব্যবহার করা যায়। আবার আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশিয়ে এতে ভালো কাজ করে।
বাইরের রোদে পুড়ে ও ধুলাবালি মুখের ত্বকে লেগে মুখে খুদি খুদি স্পট দাগ পরে কালো করে তুলে মুখের ত্বক। মুখের ত্বকে কালচে ও বাদামী দাগ পরে তাকে মেছতা বলা হয়। প্রথমের দিকে ছোট ছোট দেখা দিলেও আস্তে আস্তে পুরো মুখ হয়ে যায় মেছতা। মেছতা দূর করার জন্য অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপায়ে এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো জেনে নিন।
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
মেছতা হলে মুখের সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। মুখের উপর কালচে দাগ আস্তে আস্তে পুরো মুখ এবং কপাল সহ ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ দেখা যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে ধীরে ধীরে মেছতা করতে শুরু করে। এই সব দাগ দূর করার উপায় গুলো অবলম্বন করতে হবে। চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় জেনে একেবারে নিরাময় করে ফেলুন মেছতা। আর তার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
ঘরোয়া উপায় গুলো মেছতা দূর করতে অনেকভাবে সাহায্য করে আর এভাবে মেছতা দূর করলে পরবর্তীতে আবার মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে কিন্তু প্রোডাক্ট ক্রিম সিরাম ব্যবহার করার পরে মুখের ত্বকের চামড়া পাতলা হয়ে যায় পরবর্তীতে এই ক্রিম ব্যবহার করা বাদ দিলে আবার একই ভাবে মেছতা পড়তে শুরু করে।
লেবু ও মধুঃ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। আর মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। দুটি একসাথে মিশে দাগ দূর করে তোলে।
লেবু ও হাইপোঃ ছবি ওয়াশ করা হাইপো লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে কিছু দিন ব্যবহার করলে মেসকাত ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
আলুর রসঃ মেছতা দূর করতে আলুর রস খুবই উপকারী আলু থেকে বের করে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। একদিন পরপর একটু ব্যবহার করতে পারেন।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
মেছতা নিয়ে সমস্যায় ভুগছেনতাহলে দ্রুত জেনে নিন মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো। বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পর দেখা যায় মুখে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং কিছুদিন পর ব্যবহার বাদ দিলে মুখের ত্বক আরো নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারলে ঘরে বসেই মেছতা দূর করা যায়। আসুন জেনে নেই মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো।
টক দইঃ টক দই মুখের জন্য খুবই উপকার এবং চুলের জন্য খুবই উপকার টক দই ব্যবহার করলে চুল সিল্কি হয়। পাশাপাশি টক দই ব্যবহারে মুখে ত্বক মসৃণ করে তুলে।
হাইপোঃ হাইপো যেটাকে বলা হয় ছবি ওয়াশ করার একটি উপাদান। যারা ছবি ওয়াশ করে থাকে তাদের কাছে এই জিনিসটি পাওয়া যায়।হাইপো দেখতে ফিটকিরির মত কিন্তু বাতাসে গলে এটি সাদা দুধের মত হয়ে যায়।আপনি সামান্য একটু লেবুর রসের সাথে ছোট ছোট কয়েকটি হাইপো দানা ছেড়ে দিন। দেখবেন প্রায় এক মিনিটের মধ্যেই সবগুলো গুলিয়ে সাদা দুধের মত হয়ে গেছে।
তারপর আপনি মেছতার উপর লাগাতে থাকুন। এটি অবশ্যই গোসলের আগে ব্যবহার করবেন। একটানা এক সপ্তার মত ব্যবহার করলে মেছতা দূর হয়ে যাবে। এটি খুবই কার্যকারী। যা আমি ব্যবহার করি প্রকৃত হয়েছি, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
এলোভেরা জেলঃ এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। এলোভেরা জেল অনেক উপকারী একটি ঔষধ বিভিন্ন রোগের নিরাময় পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
রসুনঃ রসুন খেতে করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন মেছতা দূর হয়ে যাবে।
হালকা সামান্য গরম তেলঃ নারিকেল তেল সামান্য পরিমাণ গরম করে মেসেজ করুন। মেছতা কমে যাবে তাছাড়া আপনি ভাল উপকার পেতে চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে নারীদের মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন।
লেবুর রস ও চিনিঃ একটি লেবু কেটে টুকরো করে তারপর চিনির দানা ছিটিয়ে মুখের থেকে হালকা ভাবে ঘষে নিতে পারেন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে মুখের ত্বকের মেছতা অবশ্যই দূর হবে।
হলুদ ও মধুঃ কাঁচা হলুদ মিহি করে বেটে সাথে মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগানো মুখের ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। ১৫-২০ মিনিটের মত রেখে ধুয়ে ফেলুন।
কাঠ বাদামঃ কাঠ বাদামি রয়েছে হাইপো প্রোটিন ও ভিটামিন সি করে মসৃণ ও টানটান ভাব এমন কি ভিতরের ময়লা দূর করে আনতে সাহায্য করে। তাই মেছতা কমাতে কাঠবাদাম ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন এবং হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করার নিয়ম জেনে ব্যবহার করুন।
রাতে ঘুমানোর আগে ছয় সাতটি কাঠবাদাম একটি পাত্রে ভিজে নিন । সকালে উঠে কাঠবাদাম গুলো বেটে পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগান এবং মেছতার স্থানে মোটা করে লাগান।কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করতে থাকুন।
পেঁপেঃ পেপে প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর করে দেয়। কাঁচা পেঁপে খোসাসহ সুন্দরভাবে থেকলে করে এর সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে মেছতার ওপর লাগান। আবার আপনি চাইলে খোসা ছাড়িয়ে শুধু খোশাগুলো ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের আগে একবার করে ব্যবহার করতে পারেন।
চন্দন পাউডারঃ ত্বকের দাগ দূর করতে চন্দন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন মেছতা দূর করতে অনেক কার্যকরী। এর সাথে তো লেবুর রস হলুদ মিশিয়ে একসাথে পেস্ট করতে পারেন। এভাবে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে আপনি উপকার পাবেন।
মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ
বাইরের ধুলোবালি ও রোদে মুখ পুড়ে মুখের ত্বক এর মলিনতা দূর করে ত্বকের ক্ষতি করে এ থেকেই ধীরে ধীরে মেছতা তৈরি হয়। মুখে মেছতা পড়ে পুরো মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। মেছতা দূর করার জন্য অনেকেই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেয়ে থাকি। তবে এটি অনেক দীর্ঘদিন কাজ করবে। ত্বকের কোন প্রভাব পড়বে না।
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়জানার পাশাপাশি মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় কি কি সেগুলো অবশ্যই জেনে নিন। প্রাকৃতিকভাবে মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনি যদি মেছতা দূর করার বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা ক্রিম, সিরাম ব্যবহার করে থাকেন সেটাও পারবেন। তবে অনেকেই ঘরোয়া ভাবে মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। আমি বলব ঘরোয়া পদ্ধতিতেই দূর করা ভালো। এতে ত্বকের উপর কোন প্রভাব পড়ে না।
তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায়
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় একটি হলো তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপরের ওই উপাদান গুলোই আপনি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মুখের তৈলক্ত তো ভাব দূর হবে। যেমন লেবু, টক দই, অ্যালোভেরার জেল, হলুদ, মধু, এই উপাদান গুলোই মুখের তৈলাক্ত ভাব কাটিয়ে দেয় আর পাশাপাশি মেছতা দূর করে।
মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম
এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়ব্যবহার করতে না চাইলে বাজারে প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে এতে ত্বকের ক্ষতিও হতে পারে। মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম অনেক রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এখন বাজারে পাওয়া যায়। আপনার পছন্দমত একটি কিনে নিবেন এবং অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার জন্য কোন ক্রিমটা ভালো হবে।
ক্রিমের গায়ে উপাদান গুলো দেখে নিন না যদি সমস্যা থাকে, তাহলে সেসব সমস্যা মাথায় রেখে ক্রিম ব্যবহার করতে থাকবে তা না হলে অন্য সমস্যা হয়ে যেতে পারে। স্থায়ীভাবে মেছতা দূর করার জন্য আপনি স্কিন কেয়ারের সাহায্য নিতে পারেন। ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই সমাধান দিতে পারবে। তাই পরামর্শ অনুযায়ী মেছতাক্রিম ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আরো তুলে ধরেছি এলোভেরা দিয়ে দূর করার উপায় সমূহ। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার একটু হলেও উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ।
আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে এবং যারা এই সমস্যা নিয়ে ভুগছে তাদের সাথে শেয়ার করুন তারাও যেন তাদের মুখের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারে। আর সবার আগে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সমস্যার সমাধান পেতে কমেন্ট বক্সে ইনবক্স করে জানিয়ে রাখুন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url