কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং ব্রণের র্গত দূর করার উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এবং মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা দরকার। কারণ সকলেই একটু না একটু ব্রণ নিয়ে সমস্যা ফেস করেছেন। আর এই ব্রণ এতটাই মারাত্মক হয়ে ওঠে কখনো কখনো যে মুখের গর্ত সৃষ্টি হয়।
তাই আজকের আর্টিকেলে ওইসবগুলোর পাশাপাশি ব্রণের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় তুলে ধরেছি। এছাড়াও আর অন্যান্য ঘরোয়া ফেসপ্যাক নিয়ে তুলে ধরেছি। আপনার ব্রণের সমস্যা হলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মুক্তি চাইলে পড়ে আসতে পারেন।
ভূমিকা
ব্রণ ছেলে মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে। একটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে কিশোর থেকে যৌবনে পা দিলেই আপনার ব্রণ দেখা দিবে। তার জন্য নিজেকে সচেতন হতে হবে যে যে কারণে ব্রণ হয়ে থাকে ওইসব নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। ভিটামিনের অভাব দূর করতে হবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে তাহলে সম্ভব ব্রণ থেকে কিছুটা হলে নিরাময় থাকা।
ব্রণের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
ব্রণ ছেলে মেয়ে উভয়েরই হয়ে থাকে।ব্রনের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না দিলে ব্রনের দাগ থেকে যায় অনেক সময় গর্ত হয়ে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রচুর ব্রণ বের হয়, কারো কারো ক্ষেত্রে দু-একটা করে বের হয়। ব্রণের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়এর মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যায় নিচের আর্টিকেলে ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরা হয়েছে আপনি সেই সবগুলো জেনে বাড়িতে বসেই আপনার ব্রণের গর্ত দূর করতে পারেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ বের হয় এটা প্রায় সকলের প্রশ্ন হয়ে থাকে। মুখে ব্রণ কেন বের হয়? কিভাবে ব্রণ দূর করা যায় সারাক্ষণ এই সব টেনশন মাথায় রাখি। এখন আসুন জেনে নেই কেন ব্রণ বের হয় কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমাদের চলাফেরার কারণে অনেক সময় মুখে ব্রণ বের হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় বংশগতির কারণে হরমনের কারণেও ব্রণ হয়ে থাকে। তবে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে শরীরে কোন রকমের পুষ্টি হীনতাই যেন না থাকে। পুষ্টি ও ভিটামিন ত্বক ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই অনেকেই ত্বক ভালো রাখার জন্য ত্বকের সমস্যা দূর করার জন্য ভিটামিন ব্যবহার করে থাকেন।
আর যেসব ভিটামিন ব্রন ও দাগ দূর করতে সহায়তা করে সেসব ভিটামিন গুলো আমাদের বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন ভিটামিন এ, বি-থ্রি, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন ই ত্বকের জন্য খুবই উপকার এগুলো ত্বক ভালো রাখতে তোকে মসৃণতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।আসুন জেনে নেই কোন ভিটামিন কোন কাজ করে মুখের ত্বকে।
ভিটামিন এঃ ব্রণের সমস্যায় ভিটামিন এ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ব্রণ দূর করার জন্য ত্বক থেকে আটকে থাকা ময়লা দূর করতে ভিটামিন এ কাজ করে। তোকে ময়লা জমলে ব্রণ বের হয়। এটি রেটিন ঈদ ক্লোজিং বাড়ানোর জন্য পাশাপাশি দাগ কমাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন বি-৩ঃ ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন বি থ্রি ত্বকের জন্য উপকারী। তোকে অথবা মুখে সেবন করলেও দুটোতেই ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
জিংকঃ যার তোকে জিংক এর স্বল্পতা রয়েছে তাদের ত্বকে প্রচুর ব্রণ বের হয়। তাই ব্রণ দূর করতে জিংকের স্বল্পতা কমাতে হবে। ব্রণ দূর করতে জিংক ব্যবহার করুন। তবে এটি বেশি পরিমাণ সেবন করলে বমি হতে পারে আবার ডাইরিয়া ও হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জিংক ব্যবহার করবেন।
ভিটামিন সিঃ ত্বকের জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন। এটি দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে।ত্বকের লালচে ভাব দূর করে।
মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন তবে অনেকেই জানতে চায়। কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় তাই ভিটামিন যুক্ত খাবার সাথে থাকতে হবে তার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া ভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমে বলেছি আমাদের অনেকটা চলাফেরার গতির কারণে মুখে ব্রণ বের হয়। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
- পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।
- মানসিক চাপ কমাতে হবে।
- পরিমাণমতো ঘুমাতে হবে রাত জাগা যাবেনা।
- দুই একটা হাত দিয়ে খুটরানো যাবে না। হাত দিলে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ব্রণ আরো বেশি হয়ে থাকে।
এগুলো মেনে চলার পাশাপাশি আরও কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারি। এতে অনেকটা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করবে। আগে যুগে ঘরোয়া উপায় গুলো বেশি ব্যবহার করত এখন বর্তমানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বের হওয়ার কারণে আর ঝামেলা না করেই বাজারের কেনা প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি তবে এতে ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়। তাই আসুন জেনে নেই ঘরা উপায় গুলো কি কিব্রণ দূর করার।
এলোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের স্কিন পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের গভীরতায় থেকে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল মুখের ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন এতে আপনার ত্বক এর ব্রণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।
লেবুর রসঃ লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা ভিটামিন সি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। ব্রণ দূর করতে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। প্রতিদিন লেবুর রস কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
বাদামের পেস্টঃ কয়েকটি বাদাম দেয় না রাতে ভিজিয়ে রেখে বেটে পেস্ট করে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন যাতে করে কমে যাবে ব্রণ।
হলুদঃ কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগিয়ে রাখুন এতে ব্রণ দূর করবে।
চালের গুঁড়োঃ আতপ চাল বেটে পেস্ট করে ব্রণের উপর লাগান। এতে ত্বক টানটান ভাব চলে আসবে এবং ব্রণ নিরাময় হবে এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করুন।
তাছাড়া নারিকেল তেলের সঙ্গে চালের গুঁড়ো হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগালে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। আরো উপায়গুলো বেসন, শসা, ফ্রিজের ঠান্ডা বরফ অনেক উপকারে আসে আপনি এগুলো নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার করলে আপনার ব্রণ নিরাময় হয়ে যাবে। এইভাবে আপনি ব্রণ দূর করার জন্য নিয়মিত ব্যবহার করুন দেখবেন আপনার ব্রণ অল্প দিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেছে।
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় এইসব জানতে হলে আর্টিকেলটি পুরো পড়ুন মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করা যায়। ঘরোয়াভাবে ব্রণ ও কালো দাগ নিরাময় করার জন্য কিছু উপাদান মুখে ব্যবহার করতে হবে আসুন জেনে নেই সেসব উপাদান গুলো কি কি।
মুলতানি মাটিঃ ত্বকে অতিরিক্ত তেল হলে ব্রণ হয়ে থাকে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল ভাব মুলতানি মাটি ভালো ফলাফল দেয়। ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য তাই মুলতানি মাটি ব্যবহার করা উপযোগী আপনি নিঃসন্দেহে মুলতানি ব্যবহার করতে পারেন এ তো কোন ত্বকের জন্য ক্ষতি হবে না।
শসার রস চালের গুড়া ও মধুঃ এইসব উপাদানগুলো একসাথে মিশিয়ে মুখে ব্রণে ও কালো দাগে লাগাতে পারেন এতে আপনার দুটোই কমে যাবে। গোসলের আগে কিছুক্ষণ সময় ১৫ মিনিটের মত রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ভেতরে থাকা ময়লা দূর করে দিবে।
কাঁচা হলুদ এবং চন্দন গুড়াঃ কাঁচা হলুদ ও চন্দন গুড়া মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিন এরপর ব্রণের এবং ব্রনের কালো দাগে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫থেকে ২০ মিনিটের মত দেখে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর হবে। এই উপাদানটি ব্রণ ও দাগ দূর করার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকারী উপাদান আপনি ব্যবহার করে দেখুন এর ফল আপনি নিজেই প্রমাণ পাবেন।
তুলসী পাতার রসঃ তুলসী পাতার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এটি একটি আয়ুর্বেদিক। আপনি তুলসী পাতা ভালো করে ধুয়ে হাতের তালুতে কিছুক্ষণ ঘষুন দেখবেন পাতাগুলোতে রস জমেছে। এবার আপনি ওই রস সহ পাতার গুঁড়ো ব্রনের উপরে দিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিন দিবেন আপনার ব্রণ ও ব্রনের ব্যথা অনেক কমে গেছে।
চন্দন কাঠ, গোলাপজল ও লেবুর রসঃ মুখে গোলাপ জল ব্যবহার করলেও মুখের ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে। তার জন্য আপনাকে চন্দন কাঠের গুড়া নিয়ে তার সাথে কিছু গোলাপ জল ও লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট করে ব্রণ ও চোখের নিচের কালো দাগে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি এর ফল পাবেন।
দারচিনি গুড়ো ও নারিকেল তেল/গোলাপ জলঃ দারচিনি গুঁড়ো ও নারকেল তেল কিংবা গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন কিংবা পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন এ থেকে আপনার ব্রণের চুলকানি ব্যথা কমে যাবে ব্রণ শুকিয়ে যাবে। আপনি প্রতিদিন ২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলবেন।
ডিমের সাদা অংশঃ ত্বকের জন্য ডিমের সাদা অংশ খুবই উপকারী ভাব দূর করে এবং ডিমে থাকা সব ধরনের ভিটামিন ত্বকে পেয়ে থাকে ফলে ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
পেঁপেঃ আপনি ব্রণ দূর করতে কিংবা ব্রনের কালো দাগ দূর করতে পেঁপে থেপলে করে বেটে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো বিশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
নিম পাতাঃ ব্রণ দূর করতে নিমপাতা খুবই উপকারী। ব্রণের ভিতরে পেকে গিয়ে পুজ বের হয়। ফলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই নিম পাতা ব্যবহার করলে ইনফেকশন দূর করে। এবং ব্রণ তাড়াতাড়ি সাড়িয়ে তুলে।
এছাড়াও মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় এরমধ্যে আরো কিছু টিপস জেনে নিন।
- প্রতিদিন নিয়ম করে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- প্রতিদিন খাবারের পর মৌসুমী ফল খান ফলে ত্বক সতেজ থাকবে।
- বাইরে থেকে আসা মাত্রই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ দিয়ে ফেলুন।
- রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- কিছু হালকা গরম পানি দিয়ে নরম কাপড় ভিজিয়ে মুখ মুছে নিতে পারেন এতে করে জমে থাকা ময়লা দূর হয়ে যাবে।
- কখনোই নখ দিয়ে ব্রণ খোটাবেন না তা ফেটে গিয়ে রক্ত বের হবে এবং আশেপাশে আরো ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ব্রণ হলে কি্লনজার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- টেনশন মুক্ত থাকুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান।
পুদিনা পাতা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় তা জানার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া টিপসের মাধ্যমে ব্রণ দূর করুন। অনেক সময় ভিটামিনের অভাব না হলেও পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, মানসিক সমস্যা থাকার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে তাই এই ব্রণ দূর করতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করুন।
পুদিনা পাতা ব্রন দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খুব দ্রুত কাজ করে এই পুদিনা পাতার ব্রণ দূর করতে। প্রথমে আপনি ১০ থেকে ১২ টি পুদিনা পাতা থেতে করে এক টেবিল চামচ রস করে তার সাথেএক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্রনের ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫থেকে ২০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
পুদিনা পাতা, মুলতানি মাটি, টক দই ও মধুঃ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতার রসের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও মধু এবং টক দই মিশিয়ে ঘন করে পেস্ট করে নিন এরপর মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে। আর ত্বকে তৈলাক্ত দূর হলে ব্রণ বের হবে না।
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় তা জানার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ব্রণ দূর করা যায়। আর সেই উপাদান গুলোর মধ্যে বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় জেনে নিন। জেনে নিন কিভাবে বেসন আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন সেসব বিষয়ে এবং কি কি উপকার পাওয়া যায়।
বেসন ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে এর সাথে আপনি যদি শসা ও মধুর রস একসাথে পেস্ট করে মুখে লাগান তাহলে আমার আপনার লোমকূপ গুলো পরিষ্কার হবে এবং ব্রণের সমস্যা কমে আসবে। আরো কিছু উপাদান দিয়ে বেসন মুখে লাগাতে পারেন। যেমন বেসনের সাথে হলুদ, টক দই, লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক করে লাগাতে পারেন।
শসা দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়তা জানার পাশাপাশি শসা দিয়ে মুখের ব্রণ দূর করুন। শসার রস ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে। আর তৈলাক্ত দূর হলেই মুখের ত্বকের ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং ব্রনের কালো দাগ দূর করতে শসার ভূমিকা অনেক শুধু ব্রনের দাগ নয় চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। শসার সাথে ব্যবহার করতে পারেন টমেটোর রস যা ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে এছাড়া অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে মিশিও ব্যবহার করতে পারেন।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় তা জেনে ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করুন এবং অনেক সময় ভিটামিন পরিপূর্ণ থাকা ব্রণ বের হয়। কারণ তার মানসিক চাপ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম, বাইরের ধুলাবালি তুমি এবং পরিমাণমতো পানি না খাওয়ার কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। তাই বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অবলম্বন করুন। আসুন জেনে নিন বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়।
আপনি প্রথমে আপনার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন এরপর একটি পরিষ্কার নরম কাপড়ের মধ্যে বরফ নিন এবং সেটি দিয়ে আলতো ভাবে ব্রনের উপর চেপে ধরুন এভাবে দুই তিন মিনিট মেসেজ করতে থাকেন এটা আপনার ব্রণের ভিতরে জীবাণু ধ্বংস হবে। এবং এভাবে ব্যবহার করাই অল্প কয়েকদিনে আপনার ব্রণ কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয়তা জানার পাশাপাশি আপনার মুখে যদি লাগতো ত্বকের ভাব চলে আসে তাহলে আপনি যেভাবে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় কিছু ঘরোয়া ভাবে করতে পারেন। আর এই ঘরোয়া উপায়গুলো উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি সেই উপাদান গুলো সেই টিপসগুলো ব্যবহার করলে আপনার তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে এবং মুখের ত্বকে ব্রণ হতে রক্ষা পাবেন।
লেখকের মন্তব্য
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বুঝতেই পারছেন আজকের আর্টিকেলে ব্রণ দূর করার জন্য কোন ভিটামিনের অভাবে মুখে ব্রণ হয় সেসব তুলে ধরেছি। পাশাপাশি আরো মুখের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো তুলে ধরেছি। আশা করি আপনার ব্রণ মুক্ত করতে এই উপাদান গুলো কাজে লাগবে।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন তারাও যেন এই ব্রণ দূর করতে সমাধান পায়। আর এ ধরনের নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন আর আপনার আরও কোন টপিক সম্পর্কে জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে রাখুন পরবর্তীতে আমরা সমস্যার সমাধান দিব ইনশাল্লাহ।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url