বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় - ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে বিড়াল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় জানার পাশাপাশি ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতাসম্পর্কে বিস্তারিত হাদিস অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়াও বিড়াল জায়নামাজে উঠলে কি নামাজ হবে, বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা, বিড়ালের এঁটো খেলে কি হয়, বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি জানতে চাইলে বিস্তারিত ভালোভাবে পড়ুন।
ভূমিকা
বিড়াল পোষে মানুষ শখ করে। অনেকেই ঘরে বিড়াল পোষ মানিয়ে পুষে থাকে। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের সাথে মিশে যেতে পারে একটু ভালোবাসা পেলেই। ইসলামিক দৃষ্টিতে বিড়াল পোষা ভালো। ইসলামিক দৃষ্টিতে উপকারী হলেও অপকারের দিক থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে সচেতন হতে হবে।
ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা
আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবীগণ বিড়াল পালন করেছেন হাদিসের উল্লেখ রয়েছে। (সহীহ বুখারী, হাদিস ৩৪৮২)
এছাড়া নবী করীম সাঃ এর এক সাহাবীগণ আব্দুর রহমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিড়াল পালন করতে খুবই ভালোবাসতেন যার কারণে তিনি যেখানে যেতেন বিড়াল ছানার সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন এবং তিনি জামার হাতার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতেন। কি দেখে রাসূলপাক পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম লিখেছেন আবু হুরায়রা অর্থাৎ বিড়ালের বাপ বলে ডাক দেন।
ইসলামিক দৃষ্টিতে বিড়াল পালনের কোন অসুবিধা নেই বিড়ালের প্রতি ধন্যবাদ হওয়া উচিত কোন রকম কষ্ট দেওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা গুলোর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
“ দয়াবান দের উপর স্বয়ং আল্লাহও দয়া করেন। তাই তোমরা জমিনের অধিবাসীদের প্রতি দয়া করবেন।
অন্য একটি হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে, সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন হে আল্লাহর রাসূল! পশু পাখিদের মধ্যেও আমাদের জন্য কি সওয়াব রয়েছে? যাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,“ প্রতিটি তাজা কলিজায় সওয়াব রয়েছে।” ( মুসলিম, হাদিস নাম্বার: ২২৪৫; বুখারি, হাদিস নাম্বার: ৩৪৬৭)
বিড়াল জায়নামাজে উঠলে কি নামাজ হবে
ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা রয়েছে। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে বিড়াল জায়নামাজে উঠলে কিংবা জায়নামাজে বসলে কি নামাজ হবে। এই সব প্রশ্নের জবাবে হাদিসে কি বলা হয়েছে তা জানা অবশ্যই জরুরী। বাড়িতে বিড়াল থাকলে নামাজের সময় সামনে দিক থেকে ঘোরাঘুরি করে কিংবা দেখা যায় বিড়াল জায়নামাজের উপরে উঠে বসে।
রাসুল ও তার সাহাবীগণ বিড়াল পুষতেন, এবং ঘরে রাখতেন। এমনকি যেখানে যেতেন সেখানে নিয়ে যেতেন আবু হুরায়রার। সে থেকে বোঝা যায়, বিড়াল একটি পবিত্র প্রাণী। তাছাড়া বিড়াল নিয়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর ঘটনাও রয়েছে তিনি বিড়াল। আর পবিত্র জিনিস জায়নামাজের উপরে উঠলে কোন ক্ষতি হবে না।
তবে অনেক সময় বিড়াল কোন কারণে নাপাক অবস্থায় থাকতে পারে আর তখন যদি রুমে কিংবা জায়নামাজে কোন পবিত্র জায়গায় ঘোরাফেরা করে তা নাপাক হতে পারে তাই নিজেকে সতর্ক রাখতে হবে। তাছাড়া নামাজের সময় দেখা যায় অনেক সময় বিড়াল সামনে দিয়ে ঘোরাফেরা করে এতে নামাজের ব্যাঘাত ঘটে তাই সে থেকে পরিত্রাণ থাকতে নিজের সতর্ক থাকুন।
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয়
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় তাদের বলছি, বাড়িতে বিড়াল পোষলে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে সবার থেকে একটু বেশি ভালো থাকে। কারন বিড়াল পোষলে অনেকটা মানসিক চাপ কমে যায়। ফলে হার্টের রোগীদের অনেক উপকার আসে।এই রোগের ঝুঁকি প্রায় ৩০% কমিয়ে আনে।
বিড়ালের প্রতি বন্ধুসুলভ আচরণ করলে বিড়াল মানুষের সাথে ভালো মিশতে পারে। তাই অনেকেই শখের বিষয়ে বাড়িতে বিড়াল পুষে থাকে। এরা আদর যত্ন দিলে সহজেই পোষ মানিয়ে নেয়। বিড়াল ঘরে থাকলে ইঁদুর পালিয়ে যায়। ইঁদুর ঘরে এসে জামা কাপড় এবং খাবার দাবার নষ্ট করে থাকে তার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে বিড়াল পুষলে তারা অনেক আনন্দ পায়। তারা খেলা করতে পছন্দ করে।
তাছাড়াও বিড়াল পোষা ইসলামিক ভাবে ভালো দিক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণরা বিড়াল পুষতেন। পশুদের উপর দয়াবান হলে আল্লাহতালা খুশি হন।
বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা
অনেকেই শখ করে বাড়িতে বিড়াল পুষে থাকে। ইসলামিক দৃষ্টিতে বিড়াল পোষা ভালো তবে এর কিছু উপকারিতা পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে। তবে অবশ্যই বিড়াল পোষার আগে বিড়াল ও সম্পর্কে কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং অপকারিতা রয়েছে তা জানা অবশ্যই উচিত সেই সব কিছু বিবেচনা করে বিড়াল পুষতে পারেন। নিচে বিড়াল পুষার উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটি বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
উপকারিতা-
- একাকীত্ব দূর করে।
- বিড়াল বাসায় থাকলে ইদুরের জ্বালাতন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- দায়িত্বশীল হওয়া যত্নশীল বানাতে সাহায্য করে।
- মানসিক চাপ কমিয়ে আনে।
- হৃদ রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক উপকার আসে বিড়ালের সাথে খেলা করলে।
- মন ভালো থাকে।
- বাচ্চারা বিড়ালের সঙ্গে খেলা করতে পছন্দ করে।
- বিড়ালের সঙ্গে খেলা করলে অনেকটা ব্যায়াম হয়।
- রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
অপকারিতা-
- বিড়ালের নখের আঁচড় বিষাক্ত হয়।
- বিড়াল খাবারে মুখ দিলে লালা থেকে রোগ জীবাণুর আশঙ্কা রয়েছে।
- বিড়ালের লোম কোনভাবে পেতে গেলে ডায়রিয়া হয়ে যায়।
- বিড়াল যখন ইদুর ধরে এবং ওগুলা খায় তখন তা থেকে রোগা ছড়াতে পারে।
- বিড়ালের পোশাক পায়খানা ঘরে করলে তা নাপাক হয়ে যায়।
বিড়ালের প্রস্রাব কি নাপাক
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয়? জানার পাশাপাশি আরো জেনেছি বিড়াল পবিত্র প্রাণী। তবে বিড়াল পবিত্র হতে পারে কিন্তু বিড়ালের প্রসব পায়খানা নাপাক হবে। তাই অবশ্যই বিড়াল পুষলে অনেক সময় ঘরের মধ্যে পোশাক পায়খানা করে থাকে। এগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে বিড়ালের পোশাক কি নাপাক এ বিষয়ে আপনার ঘরে জামা কাপড়ে কিংবা বিছানাতে প্রসাব করলে তা অবশ্যই নোংরা হবে এবং নামাজ হবে না।
বিড়ালের এঁটো খেলে কি হয়
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় ?তার মধ্যে অনেক ভাবেই উল্লেখ রয়েছে উপকার আর অপকারিতা দুইটি বিষয়ে। বিড়ালের এঁটো খেলে কি হয় এ ধরনের প্রশ্ন সবার মধ্যেই আনাগোনা করে। তবে রাসুল সাঃ ওজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করানোর কথা হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।(আবু দাউদ,হাদিস: ৭৬)
তাছাড়া সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বিড়ালের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ভালবাসা অতুলনীয়।
একটি ঘটনায় তাবেঈ দাউদ ইবনুস সালিহ রহমাতুল্লাহ তার মা হতে বর্ণিত তার মায়ের মুক্তাদানকারী এক মনিব কিছু ‘হারিসা’ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার কাছে পাঠালেন। সেই সময়ে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা নামাজরত অবস্থায় ছিলেন, এবং ইশারা দিয়ে পাত্রটি রাখতে বললেন।
এমন সময় একটি বিড়াল এসে তার খাবারের কিছু অংশে খেয়ে ফেলল। নামাজ শেষ করে আয়েশা (রা:) বাটি এক কোনায় থেকে বিড়াল খেয়েছে তা থেকে তিনি খেয়েছেন। এবং বললেন বিড়াল নাপাক নয়।
বিড়াল নাপাক নয় এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী এটা তোমাদের আশেপাশের ঘনঘন বিতরণকারী (আবু দাউদ হাদিস: ৫৭)
বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি হয়
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় জানার পাশাপাশি ও আরো জানতে হবে বিড়ালের লোম মানুষের পেটে গেলে কি হয়। কারণ অনেকের বাড়িতে বিড়াল পুষে থাকে। বিড়াল হাঁটাচলার ক্ষেত্রে বিড়ালের গা থেকে লোম ধরে প্রচুর। অনেক সময় খাবারের মধ্যে লোম পড়ে যায়। তা খেলে রোগ জীবাণু হয় বিশেষ করে পেট খারাপ হয়ে থাকে। আরো কিছু অনেক রোগ হতে পারে যেমন-
বিড়ালের লোম পেটে গেলে হাঁপানি রোগ হতে পারে। কনজনকোটিভাইটিস হয়ে থাকে। তাছাড়া বিড়াল পুষলে ঘরে প্রসাব-পায়খানা করে ফেলতে পারে, এতে তার মলমত্র থেকে মশা মাছি জীবাণু বহন করে।
মানুষের পেতে গেলে ডায়রিয়া পেট ব্যথা হয়ে থাকে। না বিড়ালের লোম প্রতিনিয়ত এভাবে খাবারের মধ্যে থেকে বেঁচে গেলে হাঁপানি হয় এবং তার পাশাপাশি কাশি হয় তা ভালা ভাল হয় না সহজে।
ঘরে বিড়াল থাকলে কি নামাজ হবে
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় জানার পাশাপাশিঅনেকেই জানতে চায়, ঘরে বিড়াল থাকলে কি নামাজ হবে?একত্রে অবশ্যই ঘরে নামাজ হবে কেননা মক্কা শরীফে গিলাফে বিড়াল ঘুমাতেন মুসলিমগণ যখন নামাজ পড়তেন নামাজের কাতার ভেঙ্গে অন্য জায়গায় নামাজ শুরু করতেন তবুও বিড়াল উঠিয়ে দিতেন না। তবে বোঝা যায় বিড়াল থাকলে ঘরে নামাজ হবে কিন্তু নামাজের সামনে রাখা যাবে না।
বিড়ালকে আঘাত করলে কি হয়
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় ?বিড়াল পোষা একটি সৌখিন বিষয়।দেয়ালকে আদর যত্ন করে বসে থাকে এগুলো মানুষ ভক্ত যেখানে ভালোবাসা পায়, সেখানেই তারা থাকতে পছন্দ করে। তবে বিড়াল কে আঘাত করা যাবে না বিড়ালকে আঘাত করলে কি হয় এইসব বিষয়ে জানার আগে ইসলামিক ভাবে কিছু কথা অবশ্যই জানা দরকার।
ইসলামিক দৃষ্টিতে বিড়াল পবিত্র প্রাণী। এটি মাংস পেশী প্রাণী যা আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালবাসতেন কোলে নিতেন এবং কাছে রাখতেন। এমনকি তার এক সাহাবী সব সময় বিড়াল কাছে করে রাখতেন যেখানে যেতেন, হাতার মধ্যে ঢুকিয়ে রাখতেন। সে থেকে তার নাম নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখেছেন আবু হুরায়রা অর্থাৎ বিড়ালের বাপ।
তাছাড়াও পবিত্র কাবার গিলাফে বিড়াল ঘুমাতেন আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে বিড়াল যখন মক্কার ভিতরে ঘুমায় তখন মুসলিমগণ কাতার ভেঙ্গে অন্য জায়গায় দাঁড়ায় তবু বিড়ালকে ঘুম ভাঙ্গে তাড়িয়ে দেয় না। এ থেকে বোঝা যায় বিড়ালকে আঘাত করাঠিক হবে না। কালকে পানি খাওয়ানোর জন্য মক্কায় আলাদাভাবে লোক নিয়োগ করা আছে।
এমনকি পা দিয়েও আদর করা যাবে না। অনেকেই না বুঝে বিড়ালকে আঘাত করে লাথি মারে এটি করা যাবে না। কারণ বিড়াল পবিত্র প্রাণী। বিড়াল হচ্ছে সেই প্রাণী যা মা আয়েশা তার এটু খাবার খেয়েছেন। এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অজুর পাত্র থেকে বিড়ালকে পানি পান করিয়ে এবং সেই পানি দিয়ে ওযু করেছেন।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“ বিড়াল অপবিত্র প্রাণী নয় বিড়াল সর্বদা তোমাদের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে থাকে।” (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার: ৭৬)
বিড়ালের লালা থেকে কি রোগ হয়
বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় তা জানার পাশাপাশি বিড়ালের লালা থেকে কি রোগ হয় তা জানা দরকার। কারণ বিড়াল পুষতে গেলে অনেক সময় বিড়াল আচঁড় দিয়ে থাকেকামড় দিয়ে থাকে এ থেকে লালা শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে। বিষ লেগে যায় ফলে ভ্যাকসিন দেওয়া লাগে। তাই অবশ্যই বিড়াল পুষতে গেলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে বিড়াল পোষা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বাড়িতে বিড়াল পুষলে কি হয় ইসলামে বিড়াল পালনের উপকারিতা, বিড়ালের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আশা করি বিড়াল পালন নিয়ে বিস্তারিত ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।
বিড়াল পালন সম্পর্কে জানতে আপনার পরিচিত দের সাথে শেয়ার করুন তারাও যেন বিষয়টি বুঝতে পারে। আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এখানে সবার আগে নতুন নতুন তথ্য নিয়মিত পোস্ট করা হয়। সবার আগে আপনি নতুন নতুন তথ্য পেয়ে থাকবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url