গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি - গর্ভাবস্থায় সতর্কতা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি নিয়ে আলোচনা করেছি কেননা প্রত্যেক গর্ভাবস্থায় মায়েরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকে এবং ব্যথায় কাতরাতে থাকে। গর্ভাবস্থায় বদহজম হলে করণীয় তুলে ধরা হয়েছে
পাশাপাশি আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে খাওয়া-দাওয়া চলাফেরা সবকিছুই নিয়মের মধ্যে করতে হবে সেসব বিষয়গুলো তুলে ধরেছি ।আপনি চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আসতে পারেন।
ভূমিকা
গর্ভবতী মায়েদের জন্য সতর্ক বাণী। গর্ভাবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী। কেননা এই সময়ে গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য জটিল সমস্যায় ভুগতে হয় তাই খাওয়া-দাওয়া চলাফেরা সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় বদহজম সমস্যা ভোগ করে। তাই গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি জানতে হবে।
গর্ভাবস্থায় বদহজম হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় বদহজম হলে করণীয় কি অবশ্যই জানতে হবে। যদি গর্ভাবস্থায় আপনার বদ হজম হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। এই সময় উল্টাপাল্টা কোন কিছু খাওয়া যাবে না। খাওয়া দাওয়া নিয়মিত করতে হবে এবং তরল লিকোয়েট যুক্ত খাবার খেতে হবে। গর্ভাবস্থায়ী কিছু নিরাপদ ওষুধ এর মাধ্যমে বদহজম দূর করতে হবে।
করণীয়
- সারাদিন অল্প অল্প করে খেতে থাকুন
- তোলো মসলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
- গর্ভাবস্থায় প্রচুর পানি খেতে হবে
- ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- প্রতিদিন একটু একটু করে হাঁটা শুরু করুন।
- খাওয়ার পর শুয়ে পড়বেন না। একটু হাঁটাচলা করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
- দুশ্চিন্তা করা যাবে না।
- খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মত খেতে হবে এবং খাওয়ার সময় সোজা হয়ে বসে খেতে হবে।
- গর্ব অবস্থায় অন্তত রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু খেয়ে ঘুমাবেন না।
- বদহজম দূর করতে ডাবের পানি খান।
- কলা খাওয়া উচিত। কলাতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে যা বদহজম এরাতে সাহায্য করে।
বদহজমের কারণ
গর্ভাবস্থায় আঙ্গুর খেলে বদহজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।আরো অন্যান্য ফলমূল যেমন টমেটো টমেটোতে আছে সাইট্রিক এসিড ও ম্যালিক এসিড যার ফলে বদহজম হতে পারে তবে পরিমাণ মতো খেতে হবে পরিমাণের বেশি খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমলালেবুর রস থেকে জ্বালাপোড়া করে।
- ভাজাপোড়া ও তুলযুক্ত খাবার বেশি খেলে বদহজম হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যত তেলযুক্ত খাবার কম খাওয়া যায় কারণ এই সময় বদহজম কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে ওষুধ হিসাব করে খেতে হবে গর্ভাবস্থায় সব ওষুধ খাওয়া না।
- হরমোনের কারণে এই সমস্যা হতে পারে এর ফলে পাকস্থলী, ক্ষুধাদন্ত হজমের সমস্যা করে। এরপরে মুখ জ্বালাপোড়া বদহজম হয়ে থাকে।
- গর্ভাবস্থায় চকলেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় কোন রকমে চকলেট খাওয়া উচিত না যদিও খেতে ইচ্ছা করে পরিমিত খেতে পারেন। গর্ব অবস্থায় ক্যাফিন যুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভাবস্থায় পায়খানা না হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় পায়খানা না হলে করণীয় কি তা জানতে চাচ্ছেন আজকে রাতে গেলে আলোচনা করছি। সাধারণত যে কোন সময়ই তিন দিনের বেশি পায়খানা না হলেএই অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠি হলে পেটে ব্যথা করে খাওয়া দাওয়া কমে যায় তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা এবং চলাফলের নিয়ম জানতে হবে।
যারা গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে ভাবছেন তারা অবশ্যই পায়খানা না হওয়ার কারণ গুলো বিস্তারিত জানতে হবে। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় পায়খানা না হলে করণীয় গুলো।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ গর্ভ অবস্থায় আশঁ যুক্ত যুক্ত খাবার খেতে দিবেন।
- সারাদিন শুয়ে বসে থাকা যাবে না এবং
- মানসিক চাপ ডিপ্রেশনে থাকা যাবে না।
- পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই সেই সব ওষুধ খাওয়াতে পারেন।
- পাশাপাশি আপনি হাঁটাচলা নিয়মিত করুন
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিয় যুক্ত খাবার খান।
- কুসুম গরম দুধ পাতলা করে খান।
গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি
গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি । এইসব বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।সাধারণত গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা থাকে তার ওপর গর্ভবতী মা খেতে পারেনা বলে তাকে স্বাদ যুক্ত খাবার খাওয়াতে চায়। তাই অনেক মসলা দিয়ে রান্না করে খাইয়ে থাকি।
খেতে পারে না বলে একটু ঝাল বেশি দেয় তেল বেশি দেয় এভাবে দিনের পর দিন খাওয়াতে থাকে। ফলে গর্ভবতী পেটে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। গর্ভবতী মায়ের পেটে সমস্যা হতে পারে তবে কিছুটা নির্মাণ করতে তাকে অবশ্যই যে কাজগুলো করতে হবে যেমন-
- গর্ভবতী অবস্থায় নিয়মিত একটু করে হাঁটাচলা করতে হবে। একবার শুয়ে বসে থাকলে হবে না।
- তরল খাবার খেতে হবে।
- ঝাল কম খেতে হবে।
- দুশ্চিন্ত করা যাবে না।
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে।
- কুসুম গরম পাতলা দুধ খেতে হবে।
- ফাইবার বা আশ যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে।
গ্যাস হলে করণীয়ঃ আপনি ঝটপট একটি পানের সাথে জৈয়ন বা মৌরি মিশিয়ে সামান্য পরিমাণ লবণ নিয়ে মুখে দিয়ে রস দিয়ে খান। এতবার আপনার পেটে ফোলা ভাব দূর হবে এবং মুখ দিয়ে গন্ধ যুক্ত হেঁচকি বের হলে ঘরোয়া ওষুধটি সাথে সাথে কাজ করে। আপনি আপনার রোগীকে কিভাবে খাওয়াতে পারেন তাহলে বদ হজম ও পেট ফাঁপা দূর হবে।
গর্ভবতী মায়ের শরীর থেকে গ্যাস বের করতে চাইলে অল্প অল্প করে বেশি বেশি পানি খাওয়ান। পাশাপাশি ডাবের পানি খাওয়া তাহলে গ্যাস বেরিয়ে যাবে। গর্ভবতী মায়েদের গ্যাস হলে একটি সহজে বের হতে চাই না অনেক ঝামেলা হয় মাঝে মাঝে পেট ব্যথা হয়। খাওয়ার প্রতি অনীহা জাগে বমি বমি ভাব হয়।
এক টুকরো আদা ও লবণ নিয়ে চাবিয়ে রস খান এতে করে আপনার পেট ফাঁপা কমে যাবে। তবে এইসব টোটকা যদি না কমে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে পারেন। সাধারণত উপর পেটে মেরুদন্ডের হাড়ের ভেতরে থেকে যায়। বাচ্চা অতিরিক্ত নড়াচড়ার ফলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সতর্কতা
গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি জানার পাশাপাশি গর্ব অবস্থায় সতর্কতা থাকা বেশি জরুরী। গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটে শুরু করে। এ সময় মা ও শিশু দুজনেই ঝুঁকিতে থাকে। গর্ভবতী থাকাকালীন মায়ের হরমোনের পরিবর্তন ঘটতে পারে এতে করে গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই নিজেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি আপনি কি ধরনের খাবার খাচ্ছে এবং আমার তরল কিনা। খাবারে ফাইবার আছে কিনা কেন কেননা ফাইবারযুক্ত গ্যাস্টিকের সমস্যা কমায়। খাবার খেতে হবে। যেদিন থেকে বাচ্চা প্রেগনেন্সির রিপোর্ট আসবে সেদিন থেকে নিজেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বাসার সকলে। গর্ভাবস্থায় কখনো একবারে বেশি শুয়ে থাকবেন না হাঁটাচলা করতে হবে।
ভারি কিছু নাড়াচাড়া করা যাবে না। স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থায় যে ওষুধগুলো সেবন করে, গ্যাস্ট্রিকের জন্য সেই ঔষধ গুলো গর্ভাবস্থায় খাওয়ানো যাবে না। এতে করে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওমেপ্রাজল ওষুধ বেশি যে সেবন করা হলে স্তনের ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দিতে পারে তাই সবকিছু নিয়মের বাইরে খাবেন না।
প্রেগনেন্সি সময় বেশি বেশি আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা যাবে না। আল্টা করার সময় যে ক্রিম ব্যবহার করা হয় সে ক্রিমে বাচার ক্ষতি হতে পারে। তাই জেনে বুঝে ঘন ঘন আল্টো করা থেকে বিরত থাকুন।বন্ধ হয়ে গেলে ডাক্তারের চিকিৎসার পরামর্শ নিবেন তবে হুটহাট করে গ্যাস্টিক বোলে ওষুধ সেবন করবেন না
গর্ভাবস্থায় বেশি শুয়ে থাকলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি জানার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় বেশি হয়ে থাকলে কি হয় তা অবশ্যই জানতে হবে আপনার অতিরিক্ত বেশি শুয়ে থাকা যাবে না এতে করে ক্ষতি হবে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে একটু হাঁটাচলা করতে হবে। শুয়ে থাকলে বাচ্চা অক্সিজেন কম পায়, তাই বাচ্চা বেশি নাড়াচড়া কমে যায়। এ এভাবেই শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গর্ভাবস্থায় কত লিটার পানি পান করা উচিত
গর্ভাবস্থায় পায়খানা ক্লিয়ার না হলে করণীয় গর্ভবতী মাকে বেশি বেশি পানি খেতে হবে। পানি শূন্যতা কমানোর জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। ডাক্তাররা গর্ভবতী মাকে প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে বলে পানি শূন্যতা হলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই গর্ভবতী মা যদি পানি নাও খেতে চায় সেক্ষেত্রে পানিযুক্ত ফলমূল ডাবের পানি, খেতে হবে।
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় পায়খানা ক্লিয়ার না হলে করণীয় হচ্ছে বেশি বেশি পানি খান। বেশি বেশি পানি না খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিবে।বাচ্চা পানি শূন্যতায় পড়ে যাবে। ফলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকবে গর্ভাবস্থায় মাকে অনেক জটিল সমস্যা ভুক্ত হয়। তবে সাধারণত শেষের দিকে সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাছাড়া পায়খানা ক্লিয়ার হয় না, পেট ব্যাথা করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগে।
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয়
গর্ভাবস্থায় মাদার হরলিক্স খেলে কি হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মানতে হবে, ডাক্তার বলে থাকে মাদার হরলিক্স খাওয়ানোর চেয়ে আপনি নিয়মিত খাবার এ রাখতে পারেন ডিম, দুধ, কলা, শাকসবজি পুষ্টিকর খাদ্য। কেমিক্যাল যুক্ত খাবার না খাইয়ে সরাসরি পুষ্টিকরযুক্ত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতে করে ভালো উপকার পাওয়া যাবে ।
গর্ভাবস্থায় গ্যাসের ব্যথা
গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি অবশ্যই জানতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে গর্ভাবস্থায় গ্যাসের ব্যথা পেয়ে থাকে। পরিপাক না দিতে গ্যাস জমে পেট ফুলে যেতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ডাক্তার প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে বলে গ্যাস ব্যথা কমানোর জন্য এবং পাশাপাশি ফাইবারযুক্ত খাবার রাখতে বলে। ভাজাপোড়া না খেয়ে তরল জাতীয় খাবার খেতে বলা হয়। তাই আপনি অবশ্যই গর্ভাবস্থায় গ্যাসের ব্যথা কমানোর জন্য এই সব নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন।
আজকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য কিছু কথা তুলে ধরেছি গর্ভাবস্থায় পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি এবং পাশাপাশি আরো তুলে ধরেছি গর্ভাবস্থায় প্রধান হলে করনীয় আলোচনা করেছি আপনার যদি এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আশা করি একটু হলেও উপকার পাবেন এবং এতক্ষণ সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার যদি আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন তারাও যেন গর্ভবতী অবস্থায় এসব সমস্যায় না ভুগতে হয়। আর সবার আগে নতুন নতুন তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। এখানে প্রতিনিয়ত সমস্যা সম্পর্কে সমাধান দেওয়া হয়ে থাকে।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url