শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে - শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করছি যা শিশুর বিকাশ নিয়ে। শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে এবং শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার সকল মা বাবারই জানা দরকার। শিশুকে ছোট থেকেই যেভাবে বড় করবেন সেভাবেই বড় হবে। তাই মা-বাবার কর্তব্য কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় জানতে হবে।
শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে
আরও আলোচনা করা হয়েছে, শিশুরমেধা বিকাশে করণীয়, বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ ও কৌশল গুলো তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি আপনার বাচ্চার ভবিষ্যৎ করতে চান? তাহলে অবশ্যই বুদ্ধিমান করে গড়ে তুলবেন তাই সঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কৌশল গুলো আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে।

ভূমিকা

একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিক যা শিশুদের ব্রেন বিকাশের একটি ধাপ। শিশু বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি দায়ী। মা যখন গর্ভাবস্থায় তখন থেকে মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাদ্য জরুরী। বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু হয় গর্ভাবস্থায় থেকেই। এবং বাচ্চার ছয় মাস বয়স থেকে আরও বেশি যত্ন হওয়া দরকার। একটি শিশুকে বুদ্ধিমান করে গড়ে তুলতে হলে, গর্ভাবস্থায় থেকে শুরু জরুর।

কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়

শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে এবং শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার জানা অবশ্যই জরুরী কেননা ভিটামিনের অভাবে মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয় তাই অবশ্যই জানতে হবে কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। এসব বিষয় জানা না থাকলে গর্ব অবস্থায় মায়েদের ভিটামিনের অভাবে বাচ্চার উপর প্রভাব পড়ে এবং শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সঠিকভাবে হয় না।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে যাতে গর্ভের বাচ্চা কোন রকমের না ভোগে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন বাচ্চার যদি পুষ্টির অভাব হয় তাহলে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে বাচ্চা দুর্বল হয় বাচ্চারা সহজেই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই জানতে হবে কোন ভিটামিনের বাচ্চার বেড়ে ওঠার কি কাজ করে কোন ভিটামিনের কিশোর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
আসুন জেনে নেই কোন ভিটামিনের অভাবে ভ্রূণের মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে মস্তিষ্ক বিকাশে সঠিকভাবে হয় না। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে ওই শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। ভিটামি ডি যুক্ত খাবার রাখতে হবে গর্ভবতী মায়ের জন্য। আর পাশাপাশি সকালে সূর্যের আলোয় কিছু সময় থাকতে হবে।
গর্ভবতী মাকে খাদ্য তালিকায় দুধ, গরুর মাংস, কলিজা, পনির ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। এমনকি বাচ্চাকে যখন থেকে খাওয়াতে শুরু করবেন, তখন থেকে বাচ্চার খাবার ভিটামিন-যুক্ত খাবার রাখতে হবে। দুধের পাশাপাশি দইও রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে সন্তানের মস্তিষ্ক বিকাশ শুরু হয় মায়ের পেটে থেকেই।
সেই জন্য মাকে এই সময়ে বেশি বেশি যত্ন এবং ভিটামিন যুক্ত খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে এইসব বিষয়গুলো জানতে হবে। কেননা বাচ্চা যখন বেড়ে উঠতে শুরু করে তখনও বুদ্ধির বিকাশ ঘটে থাকে। তাই এই সময় বাচ্চাকে খাবার নিয়ে যত্নশীল হতে হবে। খাবারের মধ্যে রাখতে হবে দুধ ডিম মাংস কলিজা এসব খাবার বেশি বেশি রাখতে হবে।
এইসবের অভাব হলে বিকাশে ব্যাঘাত ঘটবে। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় ও বাচ্চার বয়স ৬ মাস থেকে শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে। যেসব খাবার খাওয়াবেন ব্রেন বিকাশের জন্য। খাদ্য তালিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া যাক। ভিটামিনযুক্ত খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হল। এক নজরে এগুলা সম্পর্কে জেনে নিন।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারঃ প্রথমে আপনাকে জানতে হবে কোন খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে, সেসব খাবার গুলো তালিকায় নিয়ে আসতে হবে, প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকতে হবে। যেমন পনির গরুর মাংস দুধ বা দই কলিজা ইত্যাদি। এসব করে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও সূর্যের আলোয় ভিটামিন ডি পাওয়া যায় তাই বাচ্চাকে এবং গর্ভবতী মাকেও সূর্যের আলোর লাগাতে পারেন। সূর্যের আলোয় বাচ্চার চোখে হলুদ হাওয়া থেকে কমায়।

আইডেন যুক্ত খাবারঃ শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার হিসেবে আয়োডিনযুক্ত খাবার রাখতে পারেন খাবারের মাঝে যে লবনটা ব্যবহার করেন সেটা আইডেন্ট যুক্ত লবণ ব্যবহার করতে পারেন। আয়োডিন যুক্ত খাবার সমুদ্রের মাছের মধ্যে ডিম কলিজা এবং চিংড়ি মাছের পাওয়া যায়।এসব খাবার বেশি বেশি খাদ্য তালিকায় রাখবেন।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাবারঃ সবুজ শাকসবজি এর ভিতরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন রয়েছে। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় এগুলো রাখুন এতে গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশ ঘটবে।

কোলিন যুক্ত খাবারঃ ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণ কোলিন রয়েছে গর্ভাবস্থায় শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার হিসেবে ডিমের কুসুম রাখতে পারেন। এবং শিশুকেও এ ধরনের খাবার দিতে পারেন

প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ গর্ভাবস্থায় প্রোটিন যুক্ত খাবার মাছ মাংস ডাল এগুলোতে রয়েছে এগুলো খাওয়াতে হবে যে ৬মাস বয়স তখন থেকেই এসব খাবার খাদ্য তালিকায় একটু একটু করে রাখবেন।

তাছাড়াও, ওমেগা-৩ ফলিক এসিড, আয়রনযুক্ত খাবার, কপার রোজিং জাতীয় খাবার এসব খাবার বেশি বেশি রাখতে হবে আর প্রথম যুক্ত খাবার তো সাথে রাখতেই হবে গর্ভাবস্থায় একজন মাকেশিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার খাওয়াতে হবে। যার ফলে ব্রেইন বিকাশে সহায়তা করবে। এখন নিচের দিকে জেনে নিন শিশুদের কি খাওয়ালে বলতে পারে ও শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার কি কি তা জানুন।

শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে

আপনার শিশুর বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্রেনের বিকাশ ঘটে। এই সময়ে বাচ্চাকে বেশি বেশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। সবাই চায় আমার বাচ্চার বুদ্ধি বেশি হোক। আর চেষ্টা করি শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে।এবং সেইসব খাবার খাওয়াতে চেষ্টা করি। আসুক জেনে নেই শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার গুলো।

নিচের কি ওয়ার্ডে শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার তুলে ধরা হয়েছে। কোন খাবার খেলে শিশুর দ্রুত বুদ্ধি বাড়বে। তালিকায় সেসব খাবারগুলো রাখতে হবে। শিশুরা খেতে চায় না তাদের সিস্টেম অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। মায়ের গর্ভাবস্থা থেকে শুরু হয় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ। তাই তখন থেকেই মাথায় রাখতে হবে গর্ভবতী মাকে এবং পরবর্তীতে শিশুকে এইসব খাবারগুলো খাওয়াতে হবে।

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার
আসুন আমাদের বাচ্চাকে এবং আমাদের গর্ভবতী মাকে শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার গুলো সঠিকভাবে খাওয়ানোর চেষ্টা করি। শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে, এসব খাবার শিশুকে আনার চেষ্টা করি। শিশুকে ৬ মাস বয়স থেকে যেসব খাবার খাওয়ানো যায় তার নিচে তালিকায় তুলে ধরা হয়েছে। আসুন সেগুলা জেনে নিন।

দুধঃ বুকের দুধের পাশাপাশি ছয় মাসের বয়সের পর থেকে গরুর দুধও রাখতে পারেন। যাদের ক্ষেত্রে বুকের দুধইে বাচ্চার জন্য যথেষ্ট তাদের গরুর দুধের প্রয়োজন হবে না কেননা মায়ের বুকের দুধে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে। যা বাচ্চার শরীরের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।

ডিমঃ বাচ্চাকে ভাত খাওয়ার সময় ডিমের কুসুম দিয়ে ভাত মাখিয়ে খাওয়াতে পারেনা । ডিমের সাদা অংশে অ্যালুমিনিয়াম রয়েছে। ছোটবেলা থেকে বাচ্চাকে পোচকরে অথবা করে খাওয়াতে পারেন।

আয়োডিন যুক্ত খাবারঃ সামান্য পরিমাণ লবণ না দিলে বাচ্চারা স্বাদ বুঝতে পারে না। খাবার তৈরি করার সময় অন্য লবনের পরিবর্তে আয়োডিন যুক্ত লবণ দিতে পারেন ফলে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ হবে। তাছাড়া , আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ান।

প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ বাচ্চাদেরকে সবজি খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো উত্তম কেননা বাচ্চারা অল্প একটুতেই খাওয়ার প্রতি অনিহা দেখায় তাই একমুট চাউলের মধ্যে সব ধরনের প্রোটিনযুক্ত সবজি দিয়ে রান্না করে বাচ্চাকে খিচুড়ি বানিয়ে খাওয়ান। যেমন গাজর, টমেটো, সবুজ শাকসবজির ডগা পাতা, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারঃ মুরগির কলিজা, কলিজা, গরুর মাংস, পনির, দুধ এসব দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।

ভিটামিন বি১২ঃ বাচ্চাকে যেসব খাবারে ভিটামিন বি১২ রয়েছে সেসব খাবার খাওয়ান।

এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়ান এবং সাথে আয়রন যুক্ত খাবার এখন শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন প্রোটিন এসব খাবার রাখতে হবে। ছোট অবস্থায় বাচ্চাকে সবজি খিচুড়ির মধ্যে ভুনা করা মাংস থেতলে করে দিয়ে খাওয়াতে পারেন। এবং বিভিন্ন শাক যেমন পালং শাক, সরিষা শাক, ডাটা শাক, ইত্যাদি খাবারের মধ্যে একটু একটু করে দিয়ে খাওয়াতে পারেন।

প্রতিদিন একই রকমের খাবার না দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করে খাওয়ান শুধু মাথায় রাখতে হবে যেসব খাবার বাচ্চার জন্য তৈরি করছেন সেসব খাবার যেন ভিটামিন যুক্ত থাকে। ফলের জুস করে বাচ্চাকে খাওয়ানো।

বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ/কৌশল

শিশু বেড়ে ওঠার সাথে সাথে ব্রেন বিকাশও বৃদ্ধি পায়। আর এই সময়ে বাচ্চারা দ্রুত বেড়ে ওঠে তারা চঞ্চলতা বেশি হয়। তাই বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ঘরোয়া ঔষধ খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাকে দিতে হবে প্রতিদিন খাবারের সাথে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম,যুক্ত খাদ্য বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। বাঁচার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ অর্থাৎ কিছু কৌশল রয়েছে সেগুলো অবলম্বন করতে পারেন।

শিশুর সাথে ভালো আচরণ এবং তার সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। শিশুর সাথে বেশি বেশি কথা বলতে হবে। তার মধ্যে প্রশ্ন তৈরি করার মত কিছু টেকনিক অবলম্বন করতে হবে। যাতে শিশুরা আগ্রহ হয় কোন জিনিস জানার প্রতি। আর সে বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করার চিন্তা ভাবনা করে। মনে রাখবেন শিশুকে যা শিখাবেন শিশু সেভাবেই বড় হবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস দেখানোর চেষ্টা করবেন যেমন বিভিন্ন লাইব্রেরীতে জাদুঘরে ঘুরতে নিয়ে। সেসব বেশ ভালো বিষয়গুলো তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শিশুকে শেখানোর সময় প্র্যাকটিক্যালি শিখান ছবি তৈরি করে সেই জিনিসগুলো বুঝিয়ে দিন।। যেমন পড়ার সময় বিভিন্ন ছবি আর্ট করে দেখিয়ে পরান।

পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম/খেলাধুলা করতে শিখান। এই সময়ে যত বেশি শেখাবেন তত বেশি মস্তিষ্ক ডেভেলপমেন্ট হতে থাকবে। আর সবসময়ই বাচ্চাকে শিশুর কে শেখার আগ্রহ গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে তারা শেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তার পাশাপাশি শিশুকে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাদ্য পর্যাপ্ত রাখতে হবে মনে রাখবেন পুষ্টিকর খাদ্য কম হলে বাচ্চার ব্রেন বিকাশে ব্যাঘাত ঘটবে।

শিশুর মেধা বিকাশে করণীয়

শিশুর মেধা বিকাশে করণীয়
শিশুর মেধা বিকাশে করণীয় গুলোর মধ্যে প্রথমত মাথায় রাখতে হবে শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে? কারণ শিশুর যদি পুষ্টির অভাব হয় তাহলে শিশুর মেধা বিকাশ ঘটবে না। তাই সব সময় গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মাকে শিশুর জন্য শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার খাওয়াতে হবে। গর্ভাবস্ থেকে থেকে শুরু হয় শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ।

আবার বাচ্চারবয়স ৬ মাস থেকে বাড়তি খাবার দিতে হবে। যেসব খাবার শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবার তা খাওয়াতে হবে। তার জন্য একটি মাকে এবং তার পরিবারকে জানতে হবে শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে? সেই সব খাবারগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে ঠিকই আমি কে আপনি এটা ওটা খাওয়াচ্ছেন আর যদি পুষ্টিকর না হয় তা কোন কাজে আসবে না।

যেমন বাচ্চারা চকলেট খেতে পছন্দ করে যেসব আজেবাজে জিনিস গুলো বেশি পছন্দ করে ওইসব খাবার কখনোই খাবেন না ওগুলো খাওয়ালে শিশুর আরো ক্ষতি হতে পারে। মনে রাখবেন হাবিজাবি জিনিস খাওয়া পেট বাড়াবেন না। শিশুদের অল্প অল্প করে ঘন ঘন খেতে দিতে হয়। স্বভাবতই শিশুরা খাওয়ার প্রতি অনহা প্রকাশ করে তাই বলে জোর করে খাওয়াবেন না।

তাদের ইচ্ছামত খেতে দিন কিন্তু ঘন ঘন দিন। এবং খাবারের মধ্যে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার যুক্ত রাখুন। সব ধরনের পুষ্টিকর খাবারের একটু একটু করে খেতে দিন। শিশু যেটুকু খাবে তা যেন তার শরীরের জন্য স্বাস্থ্যের জন্য কাজে লাগে তা মাথায় রেখে খাওয়াবেন। ব্রেন বিকাশ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

আজকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকের আর্টিকেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। শিশুদের ব্রেন বিকাশের কথা বলা হয়েছে।শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে? শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট খাবারগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। আশা করি এইসব বিষয়ে একটু হলেও আপনার ধারণা হয়েছে।

আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন তারাও যেন আগে থেকেই সচেতন হতে পারে শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে পারে। পাশাপাশি নতুন নতুন তথ্য পেতে এবং সবার আগে পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ নতুন তথ্য সবার আগে পোস্ট গুলো এই ওয়েবসাইটে করা হয়। কোন কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে মেসেজ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url