দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা - খাঁচায় মুরগি পালন লাভজনক কেন?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি দেশি মুরগি নিয়ে। দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা মুরগির রোগ হওয়ার প্রথম ধাপেই করতে পারি। খাঁচায় মুরগি পালন লাভজনক কেন, তার কারণগুলো জানা দরকার দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে।
তাছাড়া দেশি মুরগির সর্দি কাশির ওষুধ,অল্প খরচে দেশি মুরগির খাবার তালিকা,দেশি মুরগির কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম ইত্যাদি বিষয়গুলো আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জানিয়েছি। আপনি যদি দেশের মুরগি পালনের চিন্তাভাবনা করেন কিংবা পালন করে থাকেন, তাহলে এই বিষয়গুলো জানা অবশ্যই দরকার। জানতে চাইলে আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ুন।
ভূমিকা
বর্তমান মানুষ বেকারত্ব দূর করতে বিভিন্ন খামার গড়ে তুলছে। তার মধ্যে দেশি মুরগির খামার অনেকেই করতে উৎসাহ পাচ্ছে। কেননা দেশি মুরগির খামারে খরচের তুলনায় লাভ বেশি হয়। এছাড়াও রোগবালাই কম হয় দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকার কারণে। অল্প খরচে লাভবান হওয়া যাচ্ছে দেশি মুরগি থেকে।
দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা
দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা মাধ্যমে দূর করা যায়। ঘরোয়া ভাবে দেশি মুরগিকে সোনা পায়খানা থেকে রক্ষা করুন। এতে আপনার খরচ অপচয় কম হবে লাভবানও হবে। কিছু খাবার খাবারের মাধ্যমে দূর করা যায় এজন্য নিজেকে সচেতন হতে হবে মুরগি পালনে। সবকিছু চিকিৎসকের উপর নির্ভর করলে তেমন লাভ দেখা যাবে না।
সতর্কবাণীঃ চুনা পায়খানা যুক্ত মুরগি এদের শরীরে জ্বর সর্দি কাশি চলে আসে এবং মুরগির ঝিমুতে থাকে। এখন বর্ষার সময় তাই হাঁস মুরগির রোগ চারিদিক থেকে ঘিরে ধরবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। তাই যাদের খামারে দেশি মুরগির রয়েছে, তারা এ ধরনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলো জেনে মুরগিকে প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ মুক্ত করতে পারেন।
এই বর্ষাকালে প্রায় সব মুরগিরই দেখা যায় চুনা পায়খানা ও সর্দি কাশি হচ্ছে। তারা দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিতে পারেন, এর মাধ্যমে মুরগিকে সুস্থ করে তুলতে পারেন এবং যেসব মুরগির এসব রোগ হয় নাই, তাদেরকেও এ ধরনের চিকিৎসা দিয়ে এই রোগ থেকে দূরে রাখতে পারেন। মুরগি যেন চুনা পায়খানা সর্দি কাশি না হয় তার আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যাওয়া।
লক্ষণঃ অনেক সময় মুরগির রানীক্ষেত রোগ থেকে চুনা পায়খানা রোগ হয়ে থাকে। অনেক সময় মুরগির ঘাড় ও বাঁকা হয়ে যায়। তাই রোগের শুরুতে যদি রোগীর লক্ষণ গুলো বুঝে মুরগীদের সঠিক চিকিৎসা দেন, তাহলে এই মুরগি বাঁচানো সম্ভব এবং দেরি হয়ে গেলে এই রানীক্ষেত আক্রান্ত মুরগি আর বাঁচানো যাবে না। তাই শুরুতেই রোগের লক্ষণ গুলো চিনতে হবে।
এছাড়া ঠান্ডা লাগলে ও গাম্বারা রোগ হলেও মুরগির ঝিমায় ও মুরগি চুনা পায়খানা করে। আবার মুরগি যে শুধু ঠান্ডাই চুনা পায়খানা করে তা কিন্তু ঠিক নয়, মুরগির ঘরে গ্যাস ও লিটারস ড্যামেজ হলেও মুরগির এই রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে মুরগি খাবার কম ক্ষয় সাথে সাথে মুরগির ডিম পাড়া মুরগি হলেও ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয় অনেক সময় ডিমের ভিতরে ভেঙে যায়। ফলে মুরগি মারা যায়। লক্ষণগুলো জানা খুবই জরুরী।
চিকিৎসাঃ চিকিৎসার মত প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রথমে আপনার মুরগি খেয়াল করে দেখতে হবে কোন কোন মুরগি আপনার এই রোগ হয়েছে। সেই সব মুরগিকে বাছাই করে আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। সুস্থ এবং অসুস্থ মুরগি যেখানে আছে সেখানে দুটি জায়গাতেই জীবাণুনা সুখ দিয়ে পরিষ্কার করেও স্প্রে করতে হবে।
এবং সুস্থ মুরগিকে ১০০ মুরগির জন্য ৩ গ্রাম লিকচেন পাউডার ৪ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার অন্তত খেতে দিন। আর অসুস্থ মুরগিকে সরাসরি মুখে খাইয়ে দিন এইটা দিনে দুইবার করে দুইদিন খাইয়ে দেন। পরবর্তী দুইদিন একবার করে খাইয়ে দিবেন। এবং সালফা-ডিমোডাইনট ওষুধ খাইয়ে দিবেন।
প্রাকৃতিক চিকিৎসা
অনেক সময় সর্দি কাশি থেকে চুনা পায়খানা রোগ হয়ে থাকে। তাই সর্দি কাশি দূর করতে প্রাকৃতিক চিকিৎসা অবলম্বন করতে পারেন। এমন কিছু ঘরোয়া উপায় গুলো জানবো আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে যেগুলো খাওয়ালে মুরগি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে সর্দি কাশি সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আসুন জেনে নেই দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা গুলো।
আদাঃ মুরগির জন্য আদা খুবই উপকারী। সর্দি-কাশি চুনা পায়খানা থেকে মুক্তি পেতে আদা খাওয়াতে পারেন। আদা রস করে খাবারের সাথে মিশিয়ে মুরগিকে খেতে দিন এতে সর্দি কাশি এবং গলার ভিতরে খক খক শব্দ সাড়িয়ে তুলবে।
রসুনঃ রসুন মুরগির শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যেমন মুরগি হাঁচি, কাশি,নাক দিয়ে পানি পড়া এগুলোর বিরুদ্ধে অত্যন্ত ভালো কাজ করে রসুন। তাই মাঝে মধ্যে আপনার মুরগিকে রসুন খাওয়াতে পারেন। রসুন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে।মাঝেমধ্যে আপনার মুরগিকে রসুন খাওয়ালে আপনার মুরগির ছোট-বড় রোগ থেকে রক্ষা করবে। রসুন বেটে খাবারের সাথে মাখিয়ে খাওয়ান।
পেয়াজঃ পেঁয়াজের পুষ্টিগুণের সাথে রয়েছে হাইড্রোকেমিক্যাল। যা যা প্রাণীর শরীরে অত্যন্ত উপকারী। যখন মুরগির জ্বর সর্দি কাশি হয় তখন এই পেঁয়াজ অত্যন্ত ভালো কাজ করে ।
হলুদঃ হলুদ একটি অ্যান্টিবায়োটিক যখন মুরগির বসন্ত ফুটে উঠে। বসন্তের জায়গায় হলুদ মাখিয়ে লাগিয়ে দিন এতে আপনার মুরগির বসন্ত ভালো হয়ে যাবে সাথে ঠান্ডা কাশি ও কমে যাবে।
তুলসী পাতাঃ সর্দি কাশি হলে তুলসী পাতা রস খুবই উপকারী। আপনার মুরগি যখন গলার ভিতর থেকে গর্গ শব্দ শুনতে পাবেন, তখন মনে করবেন সর্দি লেগেছে। আর তখনই তুলসী পাতার রস করে খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ান এদের অনেক উপকার পাবেন। তুলি পাতা গলার কফে গরগর করার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকারী একটি ওষুধ।
প্রতিটা রোগের তিনটি ধাপ থাকে। প্রথম ধাপে যদি আপনার রোগগুলো বুঝতে পারেন এবং প্রথম ধাপে যদি আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করেন, তাহলে আপনার মুরগি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। আর যদি বুঝতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ঘরোয়া পদ্ধতি কোন কাজে আসবে না।
দেশি মুরগির সর্দি কাশির ওষুধ
দেশি মুরগির সর্দি-কাশির প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে উপরে আলোচনা করেছি মেডিসিন সম্পর্কে। বর্ষা সময়ে মুরগির সর্দি কাশি সচরাচর লেগে থাকে। তাই তা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে মুরগির লক্ষণ দেখা মাত্রই ওষুধ খাওয়াবেন এক্ষেত্রে রোগ যদি অনেক দিনের হয়ে যায়,তাহলে প্রাকৃতিক উপায় কাজ করবে না। বাজার থেকে ঔষধ কিনে এনে খাওয়াতে হবে।
হিস্টাসিনঃ এই ওষুধটি সর্দি কাশি ভালো করতে খুবই কার্যকারী একটি ঔষধ। মুরগিকে হিস্টাসিন ওষুধটি গুঁড়ো করে মুরগির খাবারের সাথে মিশিয়ে দিতে পারেন অথবা পানির সাথে মিশে দিতে পারেন। নিয়মিত কয়েকদিন খেতে ইনশাল্লাহ সর্দি কাশি থেকে মুরগি মুক্ত পাবে।
খাঁচায় মুরগি পালন লাভজনক কেন
দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা জানার পাশাপাশি আপনারা অনেকেই মুরগি পালন করতে চান মুরগি পালন লাভজনক কেন সবকিছু বুঝে মুরগী পালন শুরু করবেন। খাচায় মুরগি পালন পদ্ধতি খুবই ভালো। এতে সহজে লাভবান হওয়া যায়। কেননা এ পদ্ধতিতে মুরগি পালনে মুরগীকে সংরক্ষণ করা হয় খাঁচায়।
যার ফলে মুরগিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো বাতাস ও তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে মুরগির রোগ বালাই এর ঝুকি কম থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য দেওয়া হয়, পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হয়, যার ফলে মুরগি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। যারা মাংসের ওজন দিয়ে বিক্রি করে তাদের কাছে দ্রুত বাজারজাত করতে পারে।
তাছাড়া মুরগি ছেড়ে দিয়ে পাললে সেসব মুরগি হারিয়ে যায় এবং শিয়াল কুকুরে খেয়ে ফেলে। তাই এসবের হাত থেকে রক্ষা পায় খাঁচায় পালন করলে। আর খাঁচার ভিতর মুরগির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। খাবার নষ্ট করে না, খাবার কম লাগে।মুরগির রোগ জীবাণু ঢোকার আগেই ভ্যাকসিন দিয়ে মুরগিকে নিরাপদে রাখা হয়। ফলে রোগ জীবাণু কম হয়।
আর ছেড়ে দেয় মুরগিদের ক্ষেত্রে অন্যান্য রোগা মুরগির আশেপাশে থাকাই রোগ জীবাণু বাধে। যেকোনো একটি মুরগির বাইরে অন্যদের মুরগি থেকে রোগ নিয়ে আসলে বাড়িতে অন্যান্য মুরগীদের এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। ফলে সমস্ত মুরগি বাঁচানোর ঝুঁকি হয়ে যায়। ইত্যাদি এইসব বিবেচনা করে দেখা যায় খাঁচায় মুরগি পালন দ্রুত লাভজনক হয়।
অল্প খরচে দেশি মুরগির খাবার তালিকা
দেশি মুরগির খাবার খুবই কম লাগে এবং খুবই অল্প খরচে দেশি মুরগি পালন করা যায় এদের রোগ বালাই কম থাকায় খরচও কম হয়। ফলে বেশি লাভবান হওয়া যায়। তাছাড়া অন্যান্য মুরগি থেকে দেশি মুরগির দামের দিকেও দ্বিগুণ। আসুন জেনে নেই অল্প খরচে যেভাবে দেশি মুরগির খাবার তৈরি করবেন।
উপাদান | পরিমান/ওজন |
---|---|
গম ভাঙ্গা/ভুট্টা ভাঙ্গা/চালের খুদ | খুদ ৪০ কেজি |
চালের কুড়া | ২৫ কেজি |
ফিস মিল | ৭ কেজি |
সয়াবিন মিল/ তিলের খৈল | ২৫ কেজি |
ঝিনুক চূর্ণ/ চুনাপাথর | ৩ কেজি |
ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স | ১৫০গ্রাম |
লবণ | ০.৫ কেজি |
দেশি মুরগির কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম
দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা জানার পাশাপাশি দেশি মুরগির কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কেননা কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম অনুযায়ী মুরগিকে খাওয়াতে হয়। নিয়ম জানা থাকলে আপনি আপনার খামারের মুরগিকে নিজেই ওষুধ খাওয়াতে পারবেন। চেষ্টা করবেন নিজেই পরিচর্যা করার তাহলে খরচ কমে আসবে, এবং দ্রুত লাভবান হওয়া যাবে। আসুন জেনে নেই দেশি মুরগির কৃমি ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম কি।
মুরগির পেটে কৃমির লক্ষনঃ
- মুরগির পেটে কৃমি হলে মুরগি ঠিকমতো খেতে চায় না;
- মুরগি ঝিমিয়ে থাকে;
- মুরগির হজম শক্তি কমে যায়;
- মুরগি ডিম দেওয়া বন্ধ করে দেয়;
- মুরগির ওজন দিন দিন কমে যায়;
- কৃমি অধিক হলে মুরগি ও মুরগির বাচ্চা মারা যায়;
- মুরগির গ্রোথে ইফেক্ট করে;
- এ থেকে নেক্রটিস এন্টারেটিস রোগ তৈরি হয়।
তাই মুরগিকে কৃমি ওষুধ খাওয়াতে হয়। প্রথমে আপনাকে জানতে হবে মুরগি কৃমি হয়েছে কিনা। লক্ষণ গুলো জানা না থাকলে আপনি আপনার খামারের মুরগির রোগ ধরতে পারবেন না। তাই খামার তৈরি করার আগেই রোগ সম্পর্কে আপনাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন না আপনার খামারের মুরগির রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছে।
আর আপনার যদি রোগ সম্পর্কে ধারণা থাকে, তাহলে আপনার খামারের রোগ ঢুকা মাত্রই আপনি বুঝে নিতে পারবেন এবং দ্রুত সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। আর কিছু প্রাকৃতিক চিকিৎসা আপনাকে জানতে হবে। তাহলে প্রথম অবস্থায় মুরগিকে প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ সাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
কৃমির ওষুধ খাওয়ানোর নিয়মঃ খাঁচায় পালা মুরগিকে কৃমির ওষুধ মুরগীর বয়সের ৫০থেকে ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হয়। মুরগির কৃমির ওষুধের মাত্রা ঠিকঠাক মত না হলে ওষুধে কোন কাজ করে না। তাই সঠিক নিয়মে কৃমির ওষুধ মুরগিকে দিতে হবে। এভিনেক্স ঔষধ ওষুধের পাতায় লেখা আছে যেভাবে ওইভাবে সব মুরগিকে খাওয়ানো যাবে না।
কেননা ওই প্যাকেটের গায়ে লেয়ার মুরগির জন্য নিয়ম দেওয়া রয়েছে। এক্ষেত্রে দেশি মুরগির জন্য ওই প্যাকেটের নিয়ম অনুযায়ী খাওয়ানো ঠিক হবে না। কারণ কৃমির ঔষধ দেওয়ার নিয়ম হচ্ছে মুরগির ওজন কতটুকু সে অনুযায়ী। বাড়ন্ত দেশি মুরগিকে এক গ্রাম এভিনেক্স ঔষধ দিতে হবে ১৫ টা মুরগির জন্যএক লিটার পানিতে।
পানিতে দিয়ে খেতে দিলে কোন মুরগি বেশি খায়, আবার কোন মুরগি কম খায়, আবার কোন মুরগি খায় না এরকমটা হতে পারে। তাই সিরিয়াঞ্জের মাধ্যমে খাওয়ান। তবে বারবার একই কোম্পানির ওষুধ ব্যবহার করলে আর কাজ করবে না তাই চেষ্টা করবেন ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন দেওয়ার। যেমন এলবেনডাজল, হাইড্রোক্লোরাইড, আইভারমেক্টিন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে দেশি মুরগি পালন সম্পর্কে বলা হয়েছে। দেশি মুরগির চুনা পায়খানার প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং অল্প খরচে দেশি মুরগির খাদ্য তালিকা, খাঁচায় দেশি মুরগি পালন লাভজনক কেন ইত্যাদি বিষয়ে তুলে ধরেছি। আশা করি আপনার এ বিষয়গুলো অনেক কিছু আয়ত্তে এসেছে।
আপনার পরিচিতদের সাথে বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করে দিন। তারাও যেন দেশি মুরগি পালনে উৎসাহ হয় এবং দেশি মুরগি পালনের ক্ষেত্রে ধারণা পায় এই আর্টিকেল থেকে। আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটে জ্ঞানমূলক তথ্য আপনাদের সামনে আনার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url