পোড়ার মলম নাম - পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার

আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে পোড়ার মলম নাম এর তালিকা। পোড়ার মলম নাম এক একটা কোম্পানির একেক রকম রয়েছে। তবে ব্যবহার বিধি একই রকম। আর সব ক্রিম ই ভালো প্রকার আসে।
পোড়ার মলম নাম
এছাড়াও আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় কি এবং পোড়া ক্ষত শুকানো খাবার, ঘা শুকানোর ক্রিম, গরম পানিতে পোড়ার মলমের নাম,পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার আরো বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আপনার যদি শরীরের কোন স্থানে পুড়ে যায় কেটে, ছিলে ক্ষত হয়ে ঘা হয় তাহলে আজকের আর্টিকেলের মলম ব্যবহার করতে পারেন এতে উপকার পাবেন ইনশাল্লাহ।

ভূমিকা

অসতর্কতাবসত শরীরে কোন জায়গায় পুড়ে গেলে দ্রুত ঘা শুকাতে পড়ার মলম ব্যবহার করা হয়। তার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা অনুযায়ী ঠান্ডা পানি ঢাল প্রয়োজন।পোড়ার মলম বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন নাম রয়েছে। ব্যবহার বিধি ও উপকার একই। পাশাপাশি খাবারের কারণেও পোড়ার ঘা দ্রুত শুকায়।

আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয়

অনেক সময় আমাদের ত্বকে কোন কারণে হোক আগুনে পুড়ে যায়, ছেকা লাগে। আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় আগুনে পোড়ার সাথে সাথে প্রথম অবস্থায় পোড়া জায়গায় ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। বিভিন্ন কারণে অনেক সময় ত্বক পুড়ে যায়। যেমন রান্না করার সময়, কিংবা গরম হাড়ির ছ্যাকা লেগে কিংবা গরম পানি পড়ে পুড়ে যায়। তাই সঙ্গে সঙ্গে আপনি অনেকক্ষণ পর্যন্ত পানি ঢালুন। সাথে সাথে বরফ লাগাবেন না। সাধারণ পানি ঢালতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে আপনাকে দেখতে হবে হয়তো ক্ষতস্থান কতটুকু অংশ পুড়ে গেছে। বেশি গভীর পর্যন্ত পুড়ে গেছে কিনা নাকি সাধারণ একটু চামড়া পুড়ে গেছে এটি লক্ষ্য করতে হবে। যদি অনেক পুড়ে যায় অর্থাৎ চামড়ার নিচের সাদা অংশ বের হয়ে যায় তাহলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। আর সামান্য পুড়ে গেলে আপনি ঘরোয়া ভাবে ক্ষত জায়গায় সাড়িয়ে তুলতে পারবেন।

তবে সাথে মলম ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দ্রুত ঘা শুকাবে এবং দাগ ভালো হয়ে যাবে। পুড়ে গেলে কখনোই ডিম, টুথপেস্ট কিংবা কোন পাতার রস লাগানো যাবে না। এগুলো না করে প্রথম অবস্থায় পানি ঢালো পরবর্তীতে মলম ব্যবহার করুন।

আগুনে পোড়ার মলম

আগুনে পোড়ার মলম
ওকাডাইন ৫% মলমঃ ওকাডাইন ৫% অ্যান্টিসেপটিক সংমিশ্রণ। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে।

বার্নহেল ক্রিম বা বার্নল ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন আগুনে পোড়ার মলম হিসেবে বার্না ক্রিম অনেক উপকারে আসে। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মলমটি ব্যবহার করবেন। নিচের বার্না ক্রিমের ব্যবহার বিধি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া নিচের আর্টিকেলে পোড়ার মলম নাম একটি তালিকা তুলে ধরেছি।

পোড়ার মলম নাম

আমাদের অনেক সময়  বেখালীর কারণে কাজ করতে গিয়ে শরীরের যে কোন স্থানে পুড়ে যায় যেমন মহিলারা রান্না করতে গেলে আর আপনার সময় তেলে পুড়ে অর্থাৎ রান্না করা তেল ছিটকে গায়ে পড়ে যায় অনেক সময় কিংবা আগুনে পুড়ে যায় আগুনে তাপ লাগে ফলে ফুসকা পড়ে যায়। জায়গাটা ক্ষত হয়ে যায়। ফলে ঘা শুকিয়ে অনেক সময় পড়া দাগ থেকে যায়।

এই পোড়া ঘা শুকাতে পোড়া দাগের হাত থেকে বাঁচতে মলম ব্যবহার করতে পারেন অর্থাৎ মলম ব্যবহার করলে পোড়া দাগ থাকবে না দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ঘা শুকিয়ে যাবে এবং সাথে সাথে দাগও মিলে যাবে। তবে পোড়ার মলম নাম অনেক কোম্পানির রয়েছে। তার মধ্যে আমি একটি মলম ব্যবহার করেছি সেটি ভালো কার্যকরী ছিল। আর সেটি হচ্ছে বার্না ক্রিম।

বার্না ক্রিমঃ বার্মা ক্রিমের গায়ে লেখা আছে Silver Sulfadiazine 1%।এটি স্কয়ার ফার্মেসিউক্যালস plc।

ব্যবহারবিধিঃ যেকোনো পোড়া জায়গায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। এটি শুধু পোড়া নয় যেকোনো ক্ষতস্থানে জীবাণু দূর করতে এই মলম টি ব্যবহার করা যায়। দেহের বাইরে অংশে ব্যবহার করতে হবে।

পোড়া জায়গায় ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপরে ক্ষত জায়গাটিতে ১.৫ মি.মি. পুরু করে দিতে হবে। কোন কারনে ক্ষতস্থান থেকে ক্রিমটি সরে গেলে আবার সেই জায়গায় মলম লাগিয়ে দিতে হবে।কতটি ভালো না হওয়া পর্যন্ত এই মলম ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য কোম্পানির আরও পোড়ার মলম নাম রয়েছে। সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
  • বার্না ক্রিম
  • বেন্টাল ক্রিম
  • বার্নসিল ক্রিম
  • সিবালিন ক্রিম
  • বার্না আইডি ক্রিম
  • বার্নলেস ক্রিম
  • ডারমেজিং ক্রিম
  • ফামেজিং ক্রিম
  • সিলবার্ন ক্রিম
  • সিলভারজিন ক্রিম
  • সিলভাজিন ক্রিম
  • ইবার্ন ক্রিম
  • মেডিজেন ক্রিম
প্রিয় পাঠক, পোড়ার মলম নাম অনেকগুলো কোম্পানির ক্রিম উপরের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি। অথবা অর্থাৎ পুড়ে যাওয়ার চিকিৎসা হিসেবে যেসব মলম ব্যবহার করা যায় সেগুলো তুলে ধরেছি। এগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

গরম পানিতে পোড়ার মলমের নাম

অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে গরম পানি পড়ে যায় কিংবা আমরা শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল করে থাকি সেক্ষেত্রে গরম পানি অসতর্কতাবশত আমাদের শরীরে পড়ে গেলে কি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে সে কাজ করনীয় তা হল গরম পানিতে পোড়া জায়গায় পানি ঢালতে হবে। এই ধরনের অসাবধানতা বেশি হয় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।

পোড়া স্থানে কেউ ছাই দেয় কেউ নারিকেল তেল দেয় কেউ ডিমের সাদা অংশ দেয় কেউবা গাছের পাতায় এগুলো দিয়ে কোন লাভ হবে না । তাই ঘরে পোড়ার মলম থাকলে মলম লাগিয়ে দিতে পারেন। পোড়া মলম অনেক কোম্পানির রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যে কোন একটি মলম ব্যবহার করতে পারেন তবে পড়ার জন্য বার্না ক্রিম টি ব্যবহার করতে পারেন।

এছারাও উপরের আর্টিকেলে পোড়ার মলম নাম তালিকা অনুযায়ী দেওয়া রয়েছে সেখান থেকে নাম জেনে নিতে পারেন।

ঘা শুকানোর ক্রিম

  • Bactrocin 2% Ointment
  • Dermoban Ointment
  • Povisep 5% Ointment
  • Wokadine 5% Ointment
  • Unidine 5% Ointment
  • Pividine 5% Ointment
  • Piodin 5% Ointment
  • Intadine 5% Capsule
  • Viodine 5% Ointment
  • Povicidal 5% Ointment
ঘা শুকানোর ক্রিম উপরের তালিকায় দেওয়া রয়েছে এখান থেকে দেখে যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারেন তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। যেকোনো ধরনের ঘা,  যেমন কাটা ঘা, পড়ে ছিলে যাওয়া ঘা কিংবা কোন ফোড়া বের হলে সেই ঘা শুকাতে এসব মলম ব্যবহার করা যায়। এইসব মলম গুলো ইনফেকশন দূর করে দ্রুত ঘা শুকিয়ে ফেলেG

পোড়া ক্ষত শুকানোর এন্টিবায়োটিক

পোড়া ক্ষত শুকানোর এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন পড়বে যখন আপনার যদি অতিমাত্রায় পুড়ে যায় সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। বাড়িতে কোন রকমের ওষুধ লাগানো থেকে এড়িয়ে যেতে হবে। ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিলে তা খেতে হবে বিশেষ করে ক্ষত জায়গায় ড্রেসিং করতে হবে এবং কত জায়গায় মলম ব্যবহার করতে হবে এবং খাবারের সাথে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। প্রয়োজন পড়লে প্লাস্টিক সার্জারি করতে হবে।

পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার

কোন কারনে শরীরের কোন স্থানে পুড়ে গেলেপোড়া ক্ষত শুকানোর জন্য মলম ব্যবহার করা হয় সাথে এন্টিবায়োটিক খাওয়া হয় তার পাশাপাশি ঘরোয়া ভাবে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হয়। আবার কিছু খাবার এ সময় খাওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে খাবারের মধ্যে সব ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যেমন কার্বোহাইড্রেট ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই কোন খাবারে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে সে খাবারটি বেশি বেশি খেতে হবে।

আসুন জেনে নেই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার গুলো কি কি দেখে নেই। তার আগে প্রথমেই বলে নেই শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে এছাড়াও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বাঁধাকপি, মিষ্টি আলু, গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, ইত্যাদি।

দ্রুত ঘাসুকাতে খেতে পারেন ডিম। ডিমে অতিরিক্ত প্রোটিন আছে ঘা শুকাতে দ্রুত কাজ করে। এছাড়াও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। মুরগির মাংস, গরুর কলিজা, বাদাম বীজ, বেরি খেতে পারেন এবং আরও বিষয় খেতে পারেন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন লেবু, কমলালেবু, পেয়ারা ইত্যাদি।

আজকের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে পোড়ার মলম নাম এবং পোড়া ক্ষত শুকানোর খাবার সহ আরো বিস্তারিত। আপনার যদি কোন ভাবে কোন শরীরের কোন স্থানে পুড়ে যায় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার উপকার আসবে। আর্টিকেলের মধ্যে থাকা মলম ব্যবহার করে আপনার পড়ার ক্ষত দ্রুত শুকাতে পারেন।

আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন। তারাও আর্টিকেলটি পড়ে এ ধরনের পোড়ার মলম নাম জানতে পারে এবং শুকানোর খাবার পাশাপাশি আগুনে পুড়ে ফোসকা পড়লে করণীয় গুলো জানতে পারবে। এই ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন সবার আগে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পেতে আপনি জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url