অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ - অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস সর্ম্পকে জানুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ এবং অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস সহ আরো বিস্তারিত আলোচনা করেছি কারণ আমাদের অনেকেরই অনেক সমস্যার কারণে এখন অল্প বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে ।এটি একটি কমন বিষয় হয়ে পড়েছে।
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ
অল্প বয়সে চুল পাকে কেন,চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়,অল্প বয়সে চুল পাকা বন্ধ করার খাবার, অল্প বয়সে চুল পাকা বন্ধ করার তেল অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ সহ আরো বিস্তারিত তুলে ধরেছি আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ ব্যবহার করা মোটেও উচিত নয়। তবে একটি জিনিস করা যায় সেটি হচ্ছে আপনি শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ডাক্তারের কাছ থেকে ভিটামিন বোতল কিনে খেতে পারেন। ঘাটতি পূরণ করুন তাহলেই ধীরে ধীরে চুল পাকা কমে যাবে।আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং ভিটামিন বি ট্যাবলেট বা সিরাপ এগুলো খেতে পারেন
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ কি? এছাড়া ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করার জন্য খাবার ফলমূল খাবেন। তাহলেই ধীরে ধীরে আপনার শরীরের ভিটামিন ঘাটতি পূরণ হবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে পাশাপাশি আপনার চুল পাকা কমিয়ে দেবে।

চুল পাকা বন্ধ করার তেল

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ কি? কম বয়সে চুল পেকে যাচ্ছে এর কি সমাধান রয়েছে? কোন তেল ব্যবহার করলে চুল পাকা কমে যায় অকালে চুল পাকা কমানোর জন্য কোন কোন তেল উপকারী আমাদের মনে অনেকেরই প্রশ্ন কারণ এই অল্প বয়সে যদি চুল পাকা সমস্যায় ভুগি তাহলে একটু বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই নানা ভাবে চুলপাকা কমানোর জন্য চিন্তা আসে আসুন জেনে নেই কোন কোন তেল চুলপাকা রোধ করতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী এটা অনেকেই জানে কিন্তু টাকা চলে সমস্যা দূর করার জন্য এই তেলটি খুবই উপকারী।

সরিষার তেলঃ অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে সরিষার তেলের ভূমিকা অনেক পাশাপাশি চুলকে কালো করতে অত্যন্ত কার্যকরী। সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
অলিভ অয়েলঃ চুল পাকা কমাতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত কার্যকর। আপনি অলিভ অয়েল চুলের জন্য নিয়ম করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে চুল পড়া অনেকটা কমে যাবে।

চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ কি? চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথিক খুবই কার্যকর আমি মনে করি। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন ধরে খেতে হবে একটু ধীরে ধীরে কাজ করতে শুরু করবে। তাই সেই বুঝে চুলের জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেতে পারেন সালফার, সোরাইনাম, সেলিনিয়াম এইসব ওষুধগুলি চুলপাকা রোধ করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খেতে পারেন।

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস
অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ কি? মাথার চুল সৃষ্টিগত সৌন্দর্য নারীদের ক্ষেত্রে চুল লম্বা রাখার নির্দেশ রয়েছে ইসলামের দৃষ্টিতে। তাই চুলের যত্ন কোন সমস্যা না হলে চুল কেটে ফেলা উচিত নয়। আল্লাহর সুন্দর্য অপ্রয়োজনে নষ্ট করলে তা ইসলামী শরীয়াতে অন্যায় কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত হয়েছে। ইসলামের দৃষ্টিতে কোন নারী তার স্বামীর জন্য নিজেকে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে পারে।
অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস চুল কাটা বা বড় করা পিছনে শরীয়তে অনুমোদন রয়েছে। তবে মাথার চুল কেটে ফেলা মাত্র। তার জন্য হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে এ ব্যাপারে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কোন মুসলমানের একটি চুল পাকলে তার জন্য আল্লাহতালা একটি নেকি লিখবেন, একটি পাপ মোচন করে দিবেন, একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।” (নাসাঈ, মিশকাত)

অন্য একটি হাদিসে আছে হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা সাদা চুল কখনোই তুলবা না কারণ এই চুল কিয়ামতের দিন নূর হবে। আর যে মুসলিমের চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের জন্য একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।” (ইবনু হিব্বান)

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবলেন, তোমরা পাকা চুল বা দাড়ি উঠাবে না কারণ কোন মুসলিমের ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকলে এটা তার জন্য কিয়ামতের দিন উজ্জ্বল নূর ভালো হবে আল্লাহর জন্য একটি করে নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মুছে দিবেন।” (আবু দাউদ)

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস চুল পাকা বিষয়ে শুধু ছেলেদের নয় এখানে নারীদের কোথাও রয়েছে নারীদের মাথার চুল পাকলে ওই চুল কখনো উঠে ফেলা যাবে না উঠিয়ে ফেলে মাকড়াহু হবে। ইসলামের দৃষ্টিতে নারী পুরুষ সকলের জন্য পাকা চুল তোলা নিষিদ্ধ। এমন কি অকালে চুল পাকলে তাও তোলা যাবে না এবং চুল কালার করাও ইসলামে নাই।

ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান

ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান
ইসলামিক দৃষ্টিতে পাকা চুল কোন কেমিক্যাল যুক্ত কিছু দিয়ে কালার করা যাবে না সেটা কালো কালার হোক আর যে কোন কালার হোক। আর সেটা বার্ধক্যের কারণে হোক কোন রোগের ক্ষেত্রে হোক কিংবা বয়সের ক্ষেত্রে হোক। তবে মেহেদি পাতা সেটা গাছের পাতা ব্যবহার করা যাবে। অনেকেই চুলের গোড়া শক্ত রাখতে, চুলকি মজবুত করতে এবং মাথার ত্বকের জন্য গাছের মেহেদী পাতা ব্যবহার করে।

ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান অল্প বয়সে ছেলে-মেয়েদের চুল পেকে যায় কারণ বার্ধক্যের কারণে হতে পারে কিংবা কোন রোগের কারণে হতে পারে কিংবা যেকোনো রোগের অনেক পাওয়া যায় এন্টিবায়োটিক খেতে গেলে চুল পেকে যায় আবার অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকার কারণে হতে পারে। তাই এই সব চুল করতে কেমিক্যাল প্রোডাক্ট দিয়ে কালার করা যাবে না।

অকালে চুল পাকা কমাতে ঘরোয়া হবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। যেমন যেসব ভিটামিনের অভাবে চুল পেকে যায় সেই সব ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করতে হবে। বেশিরভাগ ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে অনেক এন্টিবায়োটিক খাবার ফলে চুল পেকে যায়। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনার শারীরিক যেসব ঘাটতিগুলা রয়েছে সেসব ঘাটতি গুলো পূরণ হলে চুল আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস কি বেশিরভাগ দেখা যায় ছেলেদের ক্ষেত্রে অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করেছে। এর কারণ হচ্ছে ছেলেরা মেয়েদের থেকে চুলের যত্ন নিতে পারে না পরিপূর্ণ ভিটামিন চুলের পায় না, এছাড়া ওরা মানসিক চাপে বেশি থাকে। সংসারের কাজকর্ম নানা চিন্তা ছেলেদের মাথায় থাকে।ছেলেরা ঘরে ফিরে চুলের যত্ন নিতে পারে না। তারা সবসময় কাজের ব্যস্ততা থাকার কারণে মাথায় চাপ পরে বেশি।

তাই ছেলেরা যদিও অনেকে এই সমাধান নিতে শর্টকাট ব্যবহার করে থাকেন তবে এতে চুল একবারে কালো হয় না এবং ইসলামিক দৃষ্টিতেও জায়েজ না। আর এছাড়াও মাথা ত্বকের ক্ষতি হয় সাময়িক চুল কালো হলেও এটা আপনার চুল আরো বেশি দ্রুত পাকতে শুরু করবে। তাই অকালে চুল পাকা দূর করতে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসেই নানা উপাদানের মাধ্যমে চুল কালো ফিরিয়ে আনতে পারেন।।

এতে অর্থশাস্ত্রই হবে পাশাপাশি ত্বকের কোন ক্ষতি হবে না এবং চুল ত্বকে যে সব ভিটামিন ও মিনারেল ঘাটতি গুলো রয়েছে ওই সবগুলো পূরণ হবে। তার জন্য ঘরোয়া ভাবে কিছু উপাদান তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন এতে চুলের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ বাড়বে এবং চুল আগের অবস্থায় কালো ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। আসুন জেনে নিন ঘরোয়া উপায় গুলো।

আমলকি ও মেথিঃ মাথার চুলে আমলকি ব্যবহার করলে চুল কালো হয় আমলকির সাথে মেথি একসাথে মেটে পেস্ট করে ওরা গোড়ায় এবং চুলের গায়ে ভালোভাবে মেসেজ করুন আমলকি ও মেথি চুলের সাথে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চুল পড়া কমে যাবে এবং অকালে চুল পড়া বন্ধ হবে।

পেঁয়াজের রসঃ চুল পড়া বন্ধ করতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে তার পাশাপাশি সাদা চুল গজা না থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজের রস প্রতি সপ্তাহে দুইদিন করে ব্যবহার করতে থাকুন দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার চুল পড়া কমে গেছে পাশাপাশি কালো সাদা চুল বাদ দিয়ে ভেতর থেকে কালো চুল গজানো শুরু করেছে।

নারিকেলের দুধ ও লেবুর রসঃ নারিকেল পেস্ট করে দুধ বানিয়ে তার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল পাকা কমে যায়ও লেবুর রস চুলের জন্য উপকার।

মেহেদি পাতাঃ আপনি মাসে ২ বার করে চুলে মেহেদি পাতার রস লাগাবেন।

তিল ও বাদামঃ তিল ও বাদামের পেস্ট করে মাথায় দিলে চুল কালো হয়।

এছাড়াও খাবারের পাশাপাশি ভিটামিন এ, ই, ডি খাবার খেতে হবে আর অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে হবে ভিটামিনযুক্ত খাবার খেলে চুল অল্প বয়সে পাকা রোধ করে। পাশাপাশি আপনাকে যদি এন্টিভাইড খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে ফলমূল বেশি খেতে হবে তাহলে চুল পড়া কমে আসবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।

চুল পাকা বন্ধ করার খাবার

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস চুল পাকা বন্ধ করার খাবার রয়েছে কারণ চুল অকালে পাকার জন্য দায়ী শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে। তাই পূরণ করলে চুল আকালে পড়া বন্ধ হবে। এছাড়াও অনেকে সমস্যার কারণে চুল অকালে পাকে আবার ঝরে যায়।তাই কিছু খাবারের প্রয়োজন শরীরে যেসব খাবারে শরীরের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পাবে সে সব খাবার ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ কি? অল্প বয়সে চুল পাকলে কার ভালো লাগে মনঃকষ্ট থেকেই যায়। তাই প্রতিদিনকার খাবারের মধ্যে ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখুন ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পাকা দেখায়। ভিটামিন বি১২ এর অভাবে চুল অকালে পাকতে শুরু করে। তাই ভিটামিন বি জাতীয় খাবার খেলে ভিটামিন বি ঘাটতি পূরণ হয়। তাই সেসব খাবার আমাদের খেতে হবে যেমন ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার হল-

ছোলাঃ ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ ও ফলিক এসিড যা অকালে চুল পাকতে রোধ করে।

গাজরঃ আপনি খাবারের তরকারি হিসেবে গাজর খেতে পারেন কিংবা অনেকেই কাঁচা গাজর খেয়ে থাকে কিংবা গাজরের রস করে খেতে পারেন। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পটাশিয়াম ও বিটা ক্যারোটিন যা চুলের জন্য অসাধারণ উপকার আসে।

কাঁচা বাদামঃ আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েকটি কাঁচা বাদাম খাবেন কিংবা রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাবেন এছাড়া পাশাপাশি আপনি পাছা বাদাম পেস্ট করে চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুল পাকা রোধ করবে।

সবুজ শাকসবজিঃ প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে।শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা শরীরের ভিটামিন ঘাটতি দূর করে। আর ভিটামিন খাটতে দূর হলেই অকালে চুল পাকা বন্ধ হবে।

ডিমের কুসুমঃ ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার যা চুলের পাকা রোধ করে। শুধু পাকা নয় চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা ও বড় হতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে একটি করে ডিম খাবেন। এভাবে খেতে থাকলে ভিটামিন ঘাটতি পূরণ হবে আর ধীরে ধীরে অকালে চুলপাকা কমে যাবে।

দুধঃ দুধ কিংবা দুধের তৈরি যে কোন খাবার যেমন ছানা পায়েস দই খাবেন। শরীরের যেকোনো সমস্যা থেকে সমাধান দেয় দুধ যেমন ত্বক ভালো রাখে চুল পড়া চুল পাকা রোধ করে ও চুলকে ঝলমালো করে তোলে।

কালোজিরা ও মেথিঃ আপনার চুল কালো করতে কালোজিরা ও মেথি একসাথে পেস্ট করে ব্যবহার করুন চুল কালো থাকবে পাশাপাশি চুলকে ঝলমল করে তুলবে। চুলের সততা ফিরিয়ে আনবে।

গাজরের রসঃ গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি৬,বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা চলে সৌন্দর্য ফিরিয়ানে তাই প্রতিদিন আপনি হাত গেলাস করে গাজরের রস খেতে পারেন। এমনকি আপনি কাঁচা গাজর খেতে পারেন।

ছোলাঃ আপনি প্রতিদিন ছোলা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাবেন এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকতে পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্যজ্জ্বল বৃদ্ধি পাবে, অকালে চুল পাকা রোধ করবে।

আমলকি ও লেবুর রসঃ চুলের জন্য আমলকি খুবই উপকারি। আমলকির সাথে লেবু মিশিয়ে মাথায় দিলে চুল কালো হয় এবং চুল পড়া কমায়। সাথে দুই থেকে তিন দিন করে নিয়মিত দিলে আপনার চুল কালো হবে।

মোশনা ও কালোজিরাঃ দুইটা উপাদান একসাথে মিশিয়ে দিতে চুলে লাগালে চুল কালো হয় অকালে চুল পাকা রোধ করে। চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং ঝলমলে হয়।

অল্প বয়সে চুল পাকে কেন

অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস কি থাইরয়েডের সমস্যা হলে অনেক সবাই চুল পেকে যায় আবার অতিরিক্ত এলার্জি রক্তশূন্যতা প্রফে প্রোজেরিয়া ফেনবেরিয়া ইত্যাদি রোগ হলে অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করে। এছাড়া ভিটামিনের অভাব হলে চুল পাকে যেমন ভিটামিন বি৬, বি১২ বায়োটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, আইরন ও কপার এর ঘাটতি থাকার কারণে অকালে থেকে যায়।

অকারণে চুল পাকার ফলে বিব্রতকর বোধ করেন। অনেকেই লজ্জা মানুষ সমাজে বের হতে যায় না। এর পিছনে আরো একটি কারণ থাকতে পারে তা হচ্ছে বংশগত কারণ আবার হরমোন সমস্যা থাকলে অকালে চুল পাকতে পারে। রক্তের থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে। এছাড়াও অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে অকালে চুল পড়তে ও চুল পাকতে শুরু করে।

মানসিক রোগের কারণে চুল পেকে যায় বিভিন্ন ধরনের কষ্ট দুশ্চিন্তা দীর্ঘদিন থাকার ফলে চুল পাকতে শুরু করে তার অন্য ধরে রাখার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপর। সেরেটনিন হরমোন মানসিক রোগের লক্ষণ। আর সেরেটনিন হরমোন যত বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে তত মানসিকভাবে উৎফল থাকবে, মনে আনন্দ আসবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি। অল্প বয়সে চুল পাকার ওষুধ, অল্প বয়সে চুল পাকার হাদিস, সহ আরো বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন তারাও যেন এই সমস্যার সমাধান পাই আর নতুন নতুন তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। কেননা এই ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য সবার আগে পাবলিস্ট করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url