গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় - নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে সন্তান বোঝার উপায়, নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়, ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের উপায় ও নেক সন্তান লাভের দোয়া সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সকল মা বাবায় চায় নেক সন্তান সৎ চরিত্রবান যেন হয় বড় হয়ে।আপনি চাইলে আর্টিকেলটি পড়ে দেখে নিতে পারেন।
ভূমিকা
একজন গর্ভবতী মায়ের পেটে কি সন্তান রয়েছে তা জানার জন্য আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে থাকে। এর মাধ্যমে বোঝা যায় একজন গর্ভবতী মা কি সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে শুধু ডাক্তারি বলতে পারে। একদম সাধারন মানুষ আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখেও বুঝতে পারবে। শুধু কয়েকটি সংখ্যা জানতে হবে এ সংখ্যাটি দ্বারা কি বুঝায় তাহলেই বুঝতে পারবে।
গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায়, নারী যখন গর্ভবতী হয় তখন তার পেটে কি সন্ধান রয়েছে এটা জানার আগ্রহটা বেড়ে যায় তাই আল্ট্রাসনোগ্রাম করে থাকে। আর এর মাধ্যমেই বোঝা যায় গর্ভবতী মায়ের গর্ভে কি সন্তান রয়েছে।কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায় কি। আজকের আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়ে জেনে থাকব এবং আরো বিস্তারিত আলোচনা করব।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে গর্ভের সন্তান শারীরিক গঠন এবং পজিশন এবং লিঙ্গ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তবে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ডক্টর দেখে বুঝতে পারে যে মায়ের গর্ভে কি সন্তান রয়েছে। তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে ছেলে না মেয়ে হবে? যদিও ডাক্তার বলে দেয় গর্ভে কি সন্তান রয়েছে। আগের মানুষ বলে নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় আছে।
তবে আমরা নিজেরা আলট্রাসনোগ্রাম দেখে গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় বোঝার উপায় কি আসুন আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই। একজন মায়ের গর্ভে কি সন্তান রয়েছে যেভাবে ডাক্তার বুঝে থাকে ঠিক একইভাবে। আমাদের মনে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে নিজে নিজেই বোঝার কৌতূহল জেগে থাকে। তাই আপনি যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখতে চান তাহলে সাথেই থাকুন।
নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় জানার পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখেগর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় বুঝার জন্য কিছু সংখ্যা দেওয়া রয়েছে। সেগুলোর নির্দেশনা কি কিভাবে জানতে হবে?অনেক পরিবারে দেখা যায় মেয়ে সন্তানের মন খারাপ করে কিংবা প্রথম যে সন্তান রয়েছে পরবর্তীতে যদি একই সন্তান হয় এই ক্ষেত্রেও মন খারাপ হয়, তাইডাক্তার অনেক সময় গর্ভবতী মাকে জানাতে চাই না।
আমি নিজেই রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারবেন আপনার করবে কি সন্তান রয়েছে। আর তার জন্য কিছু সংখ্যা ও সংকেত চিহ্ন রয়েছে তাই এই সংকেত চিহ্ন ও সংখ্যা থেকে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্ভে কোন লিঙ্গ সন্তান রয়েছে তাই এসব জানতে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আপনি ধৈর্য সহকারে পড়ে বুঝে নিন।
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ছেলে সন্তান বোঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় Gender `M’ বা Gender Boy রিপোর্টে লেখা থাকলে বুঝে নিতে হবে সন্তান আল্ট্রাসনোগ্রাম কোন কোন রিপোর্টের নিচের অংশে বৃত্ত ছিন্ন থাকে আর তার সাথে তীর চিহ্ন থাকলে বুঝে নিতে হবে এটা ছেলে হবে তার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে মেয়ে সন্তান বুঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় গুলোর মধ্যে নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় রয়েছে।একটিআলট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানা যায়। যেসন রিপোর্ট এ মেয়ে সন্তান দেখার নিয়ম Gender `F’ `N’ বা Gender Girl লেখা থাকে বা আবার কোন কোন আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের নিচে একটি বৃত্তের সাথে প্লাস+ চিহ্ন দেওয়া থাকলে বুঝে নিতে হবে এটি মেয়ে সন্তান।
নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায়
গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় একজন গর্ভবতী মা তার গর্ভে কি সন্তান বেড়ে উঠছে মনে সব সময় ভাবনা চিন্তা এসে যায়। তা জানতে ইচ্ছে করে কি সন্তান হবে মেয়ে না ছেলে? তাই চার মাস থেকে শুরু করে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার আশা জাগে জানতে ইচ্ছে করে গর্ভবতী মায়ের পেটে কি সন্তান বড় হচ্ছে।তবে সময়ের সাথে সাথে কিছু পরিবর্তন এর মাধ্যমে বোঝা যায় আপনার পেটে কি সন্তান রয়েছে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম না করেও কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে বুঝা যায় আপনার পেটে সন্তান কোন লিঙ্গের। যেমন নাভি দেখে সন্তান বোঝার উপায় রয়েছে। অনেকেই এরকমটাই বলে থাকে কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটলে বলে থাকি ছেলে সন্তান না মেয়ে সন্তান সঠিক হয়। আজকে চলুন নাভি থেকে সন্তান বোঝার উপায় জেনে নেই।
অনেক ব্যক্তি আছে আমি দেখে বলে দেন গর্ভবতী মায়ের পেটে কি সম্মান বেশি। তার জন্য সে ফলো করে নাভির আকার আকৃতি অবস্থান রং। এই পরিবর্তনগুলোর মধ্য থেকেই ধরে নিতে পারেকি লিঙ্গ।তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আগের যুগের দাদা-দাদিরা এটা মনে করত বর্তমান সময়ে এইসব কথার কোন ভিত্তি দেয় না।
সাত থেকে নয় মাস চলাকালীন গর্ভবতী মায়ের নাভি ওপরের দিকে ফুলে ওঠে এই দিকে অনেক লোকই মনে করে গর্ভে ছেলে সন্তান রয়েছে। আর আর নাভি যদি ভেতরের দিকে ঢুকে যায় তাহলে গর্বে মেয়ে সন্তান রয়েছে। আবার অনেকেই মনে করে ছেলে সন্তান হলে গর্ভবতী মা শুকিয়ে যায় আবার মেয়ে সন্তান হলে গর্ভবতী মা শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয় মোটা হয়।
ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ
- গর্ভাবস্থায় বেশ অলস লাগলে সেটি মেয়ে সন্তান আর যদি কম অলসতা মনে হয় সেটি ছেলে সন্তান
- ডান কাতে বেশি ঘুমালে এটি কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
- গর্ভবতী মায়ের তর্কে জড়িয়ে সামনের দিকে বেশি ভালো হয় সন্তান আর যদি মাজার থেকে বেশি ভারি হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হবে।
- কন্যা সন্তান থাকলে গর্ভে মাঝে মাঝে চিনচিন করে ব্যথা করে অস্বস্তিকর লাগে কিন্তু ছেলে সন্তান হলে পাতলা লাগে মেজাজ ভালো থাকে।
- গর্ভাবস্থায়ী গর্ভবতী মা যদি মোটা হতে দেখা যায় শরীর স্বাস্থ্য ভালো দেখায় তাহলে কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ আর যদি শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
- মেয়ে সন্তান হলে গর্ভবতী মায়েরা ডানদিকে বেশি শুতে পছন্দ করে আর ছেলে সন্তান হলে গর্ভবতী মায়েরা বামদিকে বেশি ঘুমায়।
যমজ সন্তান লাভের দোয়া
যমজসন্তান লাভের জন্য নির্দিষ্ট কোন দোয়া ইসলামের হাদিসে নেই। কিন্তু সন্তান লাভের জন্য ইসলামের হাদিসে ও কোরআনে দেওয়া রয়েছে। সবকিছু দেয়ার মালিক আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা তোমার সন্তান দান করেন একটি সন্তান দান করেন। তবে আল্লাহ তাআলার কাছে নেক সন্তান লাভের দোয়া করবেন। আল্লাহর কাছে দোয়া একটি আদব রয়েছে।
কিন্তু এ ধরনের দোয়া অর্থাৎ কোন ফরমেট তৈরি করে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া এটা উচিত নয়। একমাত্র জানেন আপনাকে কি সন্তান দান করে কল্যাণ করবেন মঙ্গল করবেন একমাত্র আল্লাহ তাআলা জানে। ইসলামের দৃষ্টিতে সকল মা বাপের দোয়া হচ্ছে নেক সন্তান চক্ষু সুলভ সন্তান আল্লাহর কাছে চাওয়া
ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের উপায়
আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা বন্ধ করে রাখেন নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ সর্বশক্তিমান। নাম্বার যাকে ইচ্ছা উভয় সন্তান দান করেন। (সূরা আস শুরা)
অনেকেই পুত্র সন্তান কামনা করে। এই জন্য আল্লাহর কাছে সব কিছু চাইতে হবে কারণ একমাত্র আল্লাহই দেওয়ার মালিক। ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃদ্ধ অবস্থায় আল্লাহর কাছে সৎ পুত্র সন্তান লাভের জন্য দোয়া করেন। তাই আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে পারেন।
দোয়াটি হল- “রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন।” অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক আমাকে সুপুত্র দান করুন। (সূরা সাফফাত আয়াত নাম্বার: ১০০)
সন্তান লাভের জন্য বেশি বেশি আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে হবে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলের মধ্যে গর্ভাবস্থায় ছেলে মেয়ে বোঝার উপায় ও নাভি দেখে সন্তান বুঝার উপায় আলোচনা করা হয়েছে। আরো আলোচনা করা হয়েছে, ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের উপায়।
আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। তারাও যেন এ বিষয়টি জানতে পারে আর নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url