বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি - চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা বিষয়ে জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে বর্তমান সময়ে যে সমস্যা চোখ ওঠার সমস্যা চলছে তা নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এই সময়ে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা পাশাপাশি বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি ইত্যাদি বিষয় জানা দরকার। জীবাানু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে।
তাই চোখ উঠার সমস্যা থাকে বাঁচতে জেনে নিন চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না, চোখ উঠলে কি কি খাওয়া উপকারী হবে,চোখ উঠার কারণ কি,চোখ উঠলে করণীয় কি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা রয়েছে আপনি এইসব বিষয়গুলো জানতে চাইলে আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে বিস্তারিত করে আসুন আশা করি ভাল বুঝতে পারবেন।
ভূমিকা
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন রোগ বালাই হয়ে থাকে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। রোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম গুলো মেনে চলতে হবে। এখন ঋতু পরিবর্তন হাওয়ায় চোখ উঠা সমস্যা হচ্ছে। বর্ষার সময়ে এবং প্রচন্ড গরমে জীবাণু চোখের ভিতরে আক্রমণ করে।চোখ উঠলে অবশ্যই চিকিৎসার পাশাপাশি ডাক্তারের নিতে হবে।
চোখ উঠা কি ছোঁয়াচে
চোখ উঠে একটি সংক্রমণ রোগ, এই রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস এই রোগ শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সে সকলেরই হয়ে থাকে। এবং চোখ উঠা কি ছোঁয়াছে? হ্যাঁ অবশ্যই চোখ উঠা ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের হলে এই রোগে পরিবারের আরো সদস্যের হয়ে থাকে। তাই এটি মারাত্মক ছোঁয়াছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যায়।
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি
প্রথমেই বলেছি চোখ ওঠার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। এতে শিশু অবস্থায় থেকে বৃদ্ধ অবস্থা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করে বেড়ে যায় এই চোখ ওঠার সমস্যা। ঘরের একজনের হলে তা থেকে ছোট করে সকলেরই হতে পারে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু কারণ নেই কারণ এটি একটি রোগ এবং একটু যত্ন করলেই দ্রুত রোগ মুক্ত করা যায়।
আপনার ঘরে বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি, এবং চোখ উঠলে কি করবেন বাচ্চাদের জন্য কি আলাদা যত্ন নেওয়া লাগবে না কিছু উঠা মাত্রই শুধু ডাক্তারের ওষুধ বড়ি খেলেই ভালো হয়ে যাবে এইসব বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। কারণ সকলের ঘরেই ছোট বাচ্চা থাকবে। আর কমবেশি সকলেই চোখটা উঠা রোগটির সম্মুখীন হয়। তাই নিজেই জানুন এসব বিষয়গুলো তাহলে আপনার বাচ্চার খেয়াল আপনি নিতে পারবেন।
চোখ উঠা একটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই পরিবারের কারো হলে নিজেকেই সচেতন থাকতে হবে।বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি তার মধ্যে লক্ষণগুলো আগে জানতে হবে। তারপরে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী বাচ্চাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়া লাগবে। যাতে করে বাচ্চা দেয় সুস্থ হয়ে ওঠে।
বাচ্চাদের চোখ ওঠার লক্ষণ
- প্রথমে দেখতে পাবেন শিশুর চোখ লাল হয়ে গেছে।
- চোখের পাতা মোটা হয়ে গেছে হঠাৎ ফুলে গেছে।
- বাচ্চা চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভব করছে।
- বাচ্চা সারাক্ষণ এই চোখের উপর হাত ঘষতে থাকতে।
- চোখ থেকে পানি ঝরছে।
- সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখতে পাবেন বাচ্চার দুই চোখে পাপড়ি টেনে তুলতে পারছে না।
- এবং চোখে প্রচুর পেস্ট জমেছে।
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয়
- নরম কাপড় ভিজিয়ে পরিষ্কার করে দিন।
- চোখের ব্যথা কমাতে গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে চিপে চোখের উপর সেক দিন।
- শিশুকে ঘরের বাইরে যেতে দিবেন না।
- শিশুদের চোখে বেশি হাত দিতে দেবেন না।
- চোখে ড্রপ দেয়ার আগেই পরিষ্কার পাতলা নরম কাপড় পানিতে ভিজিয়ে চোখ মুছে নিন।
চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি? করনীয় গুলোর মধ্যে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা করা যায়। ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে চোখ উঠা নিরাময় করা যায়। এবং তাড়াতাড়ি অনেক আরাম পাওয়া যায় এবং ভালো হয়ে যায়। ডাক্তারের চিকিৎসার পাশাপাশি ঘরোয়া চিকিৎসা ও দিতে বলে ডাক্তারেরা। তাই আপনি প্রথমে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে তুলতে পারেন।
ঘরোয়া চিকিৎসাঃ আপনাকে প্রথমে একটি পরিষ্কার নরম সুতি কাপড় বেছে নিতে হবে। তারপর সুতি কাপড় গরম পানিতে ডুবিয়ে চেপে নিয়ে আলতো করে ওই কাপড় দিয়ে চোখ পরিষ্কার এবং চোখের পাপড়ি পরিষ্কার করবেন। এবার অন্য একটি পাত্রে গরম পানি এবং একই রকম আরেকটি কাপড় নিবেন এবং গরম পানি থেকে কাপড়টি ভিজে তুলে চেপে নিয়ে চোখের উপর ছেক দিন ।
আরেকটি কাজও করতে পারেন, সেটা হচ্ছে গরম ভাত পরিষ্কার নরম সুতি কাপড়ের মধ্যে নিয়ে তার ভিতরে অল্প সামান্য পরিমাণ ভাত নিয়ে কাপড়টি দিয়ে ছোট্ট একটি বলের মতো তৈরি করুন। এবার চোখ বুজে চোখের উপর আলতো আলতো ভাবে সেই গরম ভাতের বলটি চোখের উপর ছেক দিন। এতে খুব সহজেই আপনি আরাম পাবেন ব্যথা কমে যাবে এবং খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে।
তার জন্য কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে যেমন চোখে চশমা ব্যবহার করুন রোদের ছটা থেকে হেফাজতে রাখুন। তাই আপনি কালো চশমা ব্যবহার করতে পারেন এতে ভালো হয়। আর এ অবস্থায় মোবাইল নিয়ে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না কিংবা কম্পিউটার বা টিভি এ ধরনের সামনে বেশি থাকলে চোখে আলো পড়লে আরো বেশি সমস্যা হবে। চোখের উপর কোনরকম চাপ দেওয়া যাবে না।
বাচ্চাদের চোখ উঠার ড্রপ
অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপঃ সিপ্রোফ্লক্সাসিন,টোব্রামাইসিন।
স্টোরয়েড ড্রপঃ বেটামেথাসোন,ডেক্সামেথাসন।
নন স্টোরয়েড আন্টি ইনফ্লেমটরি ড্রপঃ ইনডামেথাসিন, নেপ্রাফেন।
বাচ্চাদের চোখ উঠা ড্রপ সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার চোখ ওঠার কারণ এবং তীব্রতার ওপর। ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চোখ ওঠা ড্রপ ব্যবহার করুন। উপরের নিম্ন লিখিত ড্রপগুলো সচরাচর ব্যবহার করা হয়।
চোখ উঠলে কোন ড্রপ
চোখ খুলে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসা নিন। এবং ডাক্তারেরও ঘরোয়া ভাবে যেসব কথা চিকিৎসার কথা বলেছি, ওইসব চিকিৎসা করতে বলবে। আর তাছাড়া ডাক্তার ব্যথা কমানোর জন্য চোখের লাল ভাব এবং জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য ড্রপ ব্যবহার করতে দিবে। অ্যান্ড্রয়েটিক আই ড্রপ ব্যবহার করতে দিবে।
এবার আসি চোখ উঠলে কোন ড্রপ ব্যবহার করবেন। এক্ষেত্রে বলবো আপনার কোন ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা নেয়ার পাশাপাশি ড্রপ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন। নিজেই বাজার থেকে ফার্মেসি থেকে যেকোনো ড্রপ কিনে এনে চোখে ব্যবহার করবেন না। বুঝতেই পারছেন জিনিসটা অন্যরকম।
তাই সেই চোখের উপর কোন ক্ষতি যেন না হয় তাই নিজেকে সতর্ক হতে হবে। আর অবশ্যই ড্রপের গায়ে মেয়াদ তারিখ লক্ষ্য করে কিনবেন। অনেক সময় দোকানদারেরা ড্যামেজ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও দোকানে রেখে দিয়ে সেগুলো বিক্রি করে। তাই কেনার সময় ড্রপের গায়ে মেয়াদ দেখে কিনবেন।
চোখ উঠলে কতদিন থাকে
বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি? এবং চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়ার পর চক উঠলে কতদিন থাকে, সেই বিষয়টুকু জানা দরকার। কেননা আমি ঘরোয়া চিকিৎসা দিচ্ছি আমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ৩-৪ দিন হয়ে গেল তবু কেন ভালো হচ্ছে না কতদিন লাগবে ভালো হতে এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মনের মধ্যে সব সময় খুশখুস করবে।
তাই আমরা যারা চোখ উঠলে কতদিন থাকে জানিনা তারা আজকে বিষয়টি ক্লিয়ার করে নিন এবং সঠিক চিকিৎসা কি জানুন আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে। আসুন জেনে নেই চোখ ওঠার পরে কত দিনের মধ্যে ভালো হতে পারে সে বিষয়গুলো।চোখ উঠলে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন লাগে ভালো হতে।আবার কখনো কখনো সম্পূর্ণ ভালো হতে দুই সপ্তাহের অধিক সময়ও লেগে যেতে পারে।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া উপকারী হবে
কিসমিসঃ কিসমিস চোখের মাসলের জন্য খুব ভালো কাজ করে। কিসমিসে পর্যাপ্ত পলিফেনলস থাকায় শরীরের ভেতর থেকে র্যাডিকেলস দূর করতে সাহায্য করে। সেই সাথে চোখের মাশল উন্নতি করে। তাই বিশ্বাস করে বলেন চোখ ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত কিসমিস খান। রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
পিংসল্টঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লবণে আছে ৮০টিরও বেশি মাইক্রো মিনারেলস যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চোখ উঠলেই পিংসল্ট লবণ খাবারের সাথে যুক্ত করতে পারেন।
হলুদ ও কমলা জাতীয় ফলঃ হলুদ ও কমলা জাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
সবুজ শাক সবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড।যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি কিছু খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে মনে করেন চোখ উঠলে এইসব খাবার গুলি এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই আমাদের সেসব খাবার থেকে কিছুদিনের জন্য হলেও এড়িয়ে চলতে হবে যাতে করে দ্রুত চোখ উঠা ভালো হয়ে যায় তাই আসুন জেনে নেই চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবেনা সেইসব খাবারগুলো।
চোখ উঠলে কি কি খাওয়া যাবে না
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে গেছে চোখ উঠার সমস্যা। তাছাড়া বর্ষার সময়ে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রচন্ড গরম আর বর্ষায় চোখ উঠার প্রকোপ বেড়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, এটি কনজাংটিভার। রোগটি ছোয়াচে হয় দ্রুত অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কিছু খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলতে হবে। সেসব খাবারগুলো হল-
তালিকায় রয়েছে-
- অতিরিক্ত চিনি যুক্ত খাবার,
- ডুবন্ত তেলে ভাজা খাবার,
- প্রসেসট মিট,
- ক্যান ফুড
- রিফাইন্ড খাবার,
- মার্জারিন।
চোখ উঠার কারণ কি
সাধারণত এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে মৌসুমে আর্দ্র বাতাসে এসব ভাইরাসজনিত রোগ বেশি হয়। তাছাড়া চোখের এলার্জি থাকার কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও জীবাণুর মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। যেমন চোখ ওঠা রোগীর গামছা তোয়ালে রুমাল এমনকি হাত ধোয়ার সময় তার হ্যান্ডওয়াশ ছুলে এর মাধ্যমে আপনারও চোখ উঠার কারণ হতে পারে।
চোখ উঠলে করণীয় কি
ছোট বড় সকলেরই চোখ উঠে থাকে চোখ ওঠা এখন বর্তমান মৌসুম। তাই চোখ উঠলে সাবধানে থাকুন চোখের যত্ন নিন। এটি নিয়ে কোন অবহেলা করা যাবে না কারণ চোখের ক্ষতি হয়ে গেলে এটি আর ফিরে পাওয়া যাবে না। চোখ উঠলে করণীয় কি কি কাজ বর্জন করবেন, আর কি কি কাজ মেনে চলবেন সেই সব বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিয়ম মানতে হবে তাহলেই অল্প তাড়াতাড়ি চোখটা ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
চোখ উঠলে যা করবেন না
- চোখে সাবান দেওয়া যাবে না। সাবানের ফেনা চোখে গেলে চোখের সমস্যা আরো বেশি হবে কারণ সাবানের খার রয়েছে।
- চোখে সব সময় হাত দিয়ে ঘষাঘষি করা যাবে না। এতে চোখের সমস্যা আরও বেশি হবে।
- অপরিষ্কার খসখসে কাপড় দিয়েছে মুছা যাবে না।
- সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকতে হবে অতিরিক্ত সূর্যের আলো চোখের উপর ক্ষতি করবে।
- আক্রান্ত চোখে কোন রকমের প্রসাধনী দেওয়া যাবে না।
- এলার্জি যুক্ত খাদ্য খাওয়া যাবে না।
- চোখ উঠা ব্যক্তির যেসব গামছা দিয়ে চোখ মুছে থাকে ওই সব গামছা অন্য কেউ ব্যবহার করা যাবে না। কারণ চোখ ওঠা একটি ছোয়াচে রোগ।
- আই ড্রপের মেয়াদ না দেখে, চোখে ব্যবহার করবেন না।
চোখ উঠলে যা করবেন
- কিছুক্ষণ পরপর পরিষ্কার কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ দিবেন এবং চোখ নরম সুতি কাপড় অথবা টিস্যু দিয়ে মুছবেন।
- যে কাপড়টি দিয়ে চোখ মুছবেন সেটাই ডেটল দিয়ে ধুয়ে নিবেন এবং পানিতে একটু কয়েক ফোঁটা দিয়ে কাপড়টি ভিজিয়ে চোখের আশেপাশে সুন্দর করে মুছে নিতে পারেন।
- চোখ উঠলে চশমা ব্যবহার করুন।
- অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্ড্রবায়োটিক আই ড্রপ ব্যবহার করবেন।
- নিজের ব্যবহার করা কাপড়-চোপড় কিংবা গামছা অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিবেন না। কারণ এটি ছোঁয়াছে রোগ।
- সূর্যের আলো পড়তে চোখকে হেফাজত করুন।
চোখ ওঠার লক্ষণ
চোখ ওঠার লক্ষণগুলো জানা থাকলে আপনি দেখেই বুঝতে পারবেন আপনার চোখ উঠেছে কিংবা আপনার বাচ্চার চোখ উঠেছে। একটি ছোট বড় সকলেরই হয়ে থাকে। চোখ ওঠার লক্ষণগুলো বুঝতে পারলেই ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়। তাই আগে চোখ উঠার লক্ষণগুলো জানা উচিত। আপনি যদি চোখ উঠার লক্ষণগুলো না জেনে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।
লক্ষণঃ আপনার চোখের সাদা অংশ যাতে কনজজংটিভা বলে সেটি লাল দেখাবে আস্তে আস্তে সাদা অংশটি টকটকে লাল হয়ে যাবে। প্রথমে চোখ চুলকানি জ্বালাপোড়া এবং খসখস ভাব শুরু হবে এবং চোখ থেকে পানি পড়তে শুরু করবে। চোখের পাতা ভারি ভারি অনুভব হবে। ব্যথা অনুভব হবে। চোখের ভেতর থেকে চোখের পেস্ট অনেক বেশি বের হবে।
তারপরে চোখের পাপড়িতে সহ চারিদিকে লেগে যাবে এবং দুই চোখের পাপড়ি আঠার মত লেগে যাবে। চোখ ফুলে যাবে চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখতে পাবেন। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের দুই পাপড়ি টেনে ছুটাতে হবে।এই লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি প্রথম ধাপে চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা নিতে পারেন আশা করি ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে ভালো হয়ে যাবে আর যদি না হয় তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় পাঠক এতক্ষণ আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চোখ ওঠার সমস্যা অনেকেই ভোগে থাকছেন তাই আজকে আর্টিকেলে সেই সব বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই সময় বাচ্চাদের এই সমস্যা বেশি হয়। বাচ্চাদের চোখ উঠলে করণীয় কি, চোখ উঠার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে তুলে ধরেছি।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করবেন। তারাও যেন এই মৌসুমে নিজেকে এবং নিজের বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে সচেতন থাকতে পারে। আর এই ধরনের সমস্যার সমাধান আমার ওয়েবসাইটে খুজে পাবেন এই ওয়েবসাইটে রিসেন্ট সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে আপনি ফলো দিয়ে রাখলে সবার আগে তথ্যটি আপনি পেয়ে যাবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url