প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ - নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম সর্ম্পকে জানুন


আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ ও নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম জরায়ুর মুখ খোলার ঘরোয়া উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এই বিষয়গুলো প্রত্যেক মা ও বোনেদের এই বিষয়ের উপর বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং আগে থেকেই এসব নিয়ে ধারণা থাকতে হবে।
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি, ডেলিভারি পেইন না উঠার কারণ, ডেলিভারি পেইন ওঠার উপায় নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া এবং নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য কি কি খেতে হবে। তা দিয়ে আরও অনেক কিছু বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলে সম্পূর্ণ গুলোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি জানতে চাইলে আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে গর্ভাবস্থায় ৮০% লোক অস্ত্র পাচার করে বাচ্চা তুলে নিচ্ছে। কিন্তু আগের সময়ে নরমাল ডেলিভারি বেশি হতো। কিন্তু কেন হতো সেই সব নিয়মগুলো আমাদের সেভাবে চলতে হবে। নরমাল ডেলিভারি মা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। কিছু নিয়মে চলতে পারলে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব।

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি গর্ভাবস্থায়ী জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ কি? প্রায় অনেক কারণে জরায়ু নিচের দিকে নামে। যখন জ্বরের নিচের দিকে নামবে তখন কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। একটু স্বাভাবিকের থেকে পরিবর্তন হয়। তলপেটে ভারি ভারি মনে হয়, ভ্যাজাইনারের মধ্যে ভারী অনুভব হয়।এবং সাথে সাথে আমার কোমর ব্যথা মাঝেমধ্যে ব্যথা হতে পারে।

নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ সমূহ

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ ও নরমাল ডেলিভারি লক্ষণসমূহ কি কি? এটি একজন গর্ভবতী মায়ের ভিতরে আবেগ তৈরি হয় জানতে ইচ্ছে করে। কারণ সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে তার ভেতরে। তাই ভাবতে থাকে নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ গুলো কি কি। এবং পরিবর্তনটা কিসের লক্ষণ বহন করছে তা জানতে চায়। জেনে নেই নরমাল ডেলিভারির লক্ষণসমূহ কি কি।
  • বাচ্চার ওজন কম থাকলে অনেক সময় নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সুবিধা হয়। কারণ জরায়ুর মুখ ছোট এবং বাচ্চা বড় হলে এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হবে না।
  • শিশুর মাথা কিংবা কিছু উল্টা অবস্থায় থাকলে এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব না। তাই শিশুর অবস্থান ভালো পজিশনে থাকলে নরমাল ডেলিভারি হবে।
  • ডেলিভারি হওয়ার সময় থেকে এবং গর্ভফুল উপরে দিকে থাকতে হবে তাহলে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব। গর্ভফুল নিচে বা আশেপাশে থাকলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না।
  • কারণ সন্তান বাচ্চা হওয়ার আগে ফুল আসবে আর আরে সবাই অনেক রক্তপাত হয় কিন্তু জরায়ু নিচে থাকলে সহজে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায় আর উপরে থাকলে সহজে রক্ত বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে ফলে মায়ের মৃত্যু হতে পারে।
  • বাচ্চা হওয়ার সময় যদি ব্যথা না থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি হবে না।
  • সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকতে হবে পানি শুকিয়ে গেলে নরমাল ডেলিভারি হবে না।

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায়

ডেলিভারি পেইন উঠানোর উপায় অনেক সময় অনেক গর্ভবতী মায়ের বাচ্চা হওয়ার সময় ব্যথা উঠে না। সে ক্ষেত্রে করণীয় কি ব্যথা না থাকলে নরমালে বাচ্চা হওয়ার সম্ভব হবে না। প্রেগনেন্সি অবস্থায় একটি লম্বা জার্নি। শেষের দিকে এসে অর্থাৎ শেষ সাপ্তাহে প্রতীক্ষামান অবস্থায় থাকে পেইনের জন্য। যদি সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভাবে লেবার পেইন না হয়। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে কিছু করণীয় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ 
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি সেই উপায়ে গর্ভবতী মায়ের লেবার পেইন আনতে হবে। বর্তমান সময়ে কৃত্রিম উপায়ে লেবার পেইন করা যায়। কিন্তু এতে আরো একাধিক হস্তক্ষেপ তৈরি হয় তাই যতদূর সম্ভব প্রাকৃতিক উপায়ে প্রসব বেদনা তৈরি করা। সব গর্ভবতী মায়েদের একই রকম নয় ভিন্ন ভিন্ন সময় লেবার পেইন হয়। কিন্তু শেষ সময়ে সবারই একই রকম হয়। 
আরও পড়ুনঃ 
সাধারণত ৩৯ সপ্তাহের শুরুতেই প্রাকৃতিক উপায়ে গর্ভবতী মায়েদের লেবার পেইন শুরু হয় এবং তখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সময়ে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। প্রাকৃতিকভাবে লেবার পেইন করার জন্য কিছু কাজ অবলম্বন করতে পারে গর্ভবতী মাকে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে। এ সময়ে তল পেট শক্ত হতে দেখা যায়। নানা অস্বস্তিকর পরিবর্তন দেখা দেয়।

ব্যায়ামঃ প্রাকৃতিক উপায়ে লেবার পেইন আনার জন্য গর্ভাবস্থায় মায়েদের করতে দেওয়া হয় যেগুলো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শেষের দিকে ব্যায়াম করতে হবে বিশেষ করে ডেলিভারি পেইন প্রাকৃতিকভাবে শুরু করার জন্য।প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সকালে হাঁটাচলা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ 
নরমাল ডেলিভারি নরমাল হওয়ার জন্য পাঁচ মাস পড়ার পর থেকে নিয়মিত হাঁটাচলা করতে হবে ছোট ছোট ব্যায়ামগুলো করতে হবে। এই সব ব্যায়ম করার ফলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং গর্ভবতী সম্ভাবনা কম হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে যদি লেবার পেইন না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
খেজুরঃ খেলে সমস্ত প্রেগনেন্সি শক্তিবার্ধক্য তৈরি হয়। বিশেষ করে প্রেগনেন্সির শেষভাগে নিয়মিত খেজুর খেতে হবে, তাহলে জরায়ুর মুখ নরম হবে একাধিক গবেষণায় বলা আছে। তাই শেষ সময়ে রেগুলার খেজুর খান।
খাবারঃ এছাড়াও কিছু খাবার প্রাকৃতিকভাবে লেবার পেইন শুরু করতে সাহায্য করে। আনারস ব্রোমেলিন এনজাইম রয়েছে যে জ্বরের মুখ কে নরম করতে এবং লেবার পেইন শুরু করতে সাহায্য করে। তবে অধিক পরিমাণে খাওয়া যাবেনা, ডায়েরী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দারচিনি পাতার রস রোজমেরি পাতার রস খেলে জরায়ুর নরম করতে সাহায্য করে।
সহবাসঃ সহবাস কিংবা সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স করলে ভাবে প্রসব বেদনা তুলতে অনেক ক্ষেত্রে কার্যকর হয়। এবং মানসিক চাপ মতে মুক্তি পাওয়া যায়। 

ডেলিভারি পেইন না উঠার কারণ

ডেলিভারি পেইন না উঠার কারণ
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি ডেলিভারিট না ওঠার কারণ জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন দেখুন বেশিরভাগ গর্ব অবস্থায় মায়েরা তাদের ডিউ ডেইট ফলো করে।কিন্তু ডিউ ডেট হিসাবটা হল ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত একটি তালিকা। এই ডেইটের আগে বা পরে প্রসব বেদনা উঠতে পারে। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের ডেট দেওয়া থাকে অন্তত দুই সপ্তাহ যদি প্রসব বেদনা তাহলে তাকে পোস্টার টার্ম প্রেগন্যান্সি বলে।

এই রকম হলে ডাক্তারের কাছে আবার পরামর্শ নিতে হবে। প্রায় পাঁচ সাত ভাগ গর্ভবতীদের বিলম্ব হয়ে থাকে। এ অবস্থায় কনফিউশন হতে থাকে হিসাব ভুল হয়েছে কিনা এক্ষেত্রে আপনার যদি মাসিকের শেষ ডেট টা মনে থাকে তাহলে সহজে হিসাব করতে পারবেন। তবে অনেক সময ডেট ভুল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় টাইমেস্টারের শেষ দিকে অথবা তৃতীয় টাইমেস্টারের শুরুর দিকে যে কোন একটি সপ্তাহ সম্ভাবনা করে থাকে।

অনেক সময় প্রেগনেন্সি রিপোর্টে ডেট ভুল আসে আবার আমাদের হিসাব রাখতে ভুল হয় এ ধরনের কিছু হলে ডেলিভারি পেইন উঠার কারণ হয় আবার বাচ্চা অপুষ্টকর হলে সমস্যা দেখা দেয়। বার্ধক্যের কারণে ডেলিভারি পেইন উঠছে সমস্যা হয়।

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ কি? সন্তান সম্ভাবনা টাইম যত কাছাকাছি আসবে তত শারীরিকভাবে পরিবর্তন হতে থাকবে এবং এই সময় মা বেশি দুশ্চিন্তায় থাকে। এবং বেশি বেশি যৌনি দিয়ে সাদা স্রাব শুরু হয়। মাথা ঘুরতে থাকেপ্রথম পর্যায়ে যুক্ত পেটে ব্যথা হয় প্রায় আধা ঘন্টা থেকে যায় প্রায় ১০ থেকে ৩০ এভাবে চলতে থাকে আর খিচুনি যুক্ত ব্যথা ধীরে ধীরে বেশি হয় প্রসাব হয়।

সন্তান সম্ভাবনা মা চিন্তায় থাকে এইটা কি প্রসব বেদনার লক্ষণ কিনা। তাই প্রত্যেক বোনদের বলবো মা হওয়ার আগে প্রসব বেদনা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। এবং কি কি ধাপের মাধ্যমে আপনার প্রসব বোঝানোর আগে বুঝতে পারেন একের পরের ধাপ চলতে থাকে এবং বুঝে নিতে হবে এটাই প্রসব বেদনার লক্ষণ আসুন ধাপগুলো জেনে নেই।

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ প্রথম ধাপে জরায়ুর পাতলা এবং ধীরে ধিরে প্রসারিত হয়। জরায় পুরোপুরি প্রসারিত হয় পরের জরায়ুর মুখে নিচের দিকে গর্ভফুল সে এবং তার পরবর্তীতে বাচ্চা জড়ায় মুখ দিয়ে যোনিপথে নেমে আসে।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম

পাঁচ মাসের বয়সে পর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত একটু একটু করে ব্যায়াম করতে হবে এবং হাঁটাচলা করতে হবে।পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে বেশি ঘুমানো যাবে না। ঘুমও এক ধরনের ব্যায়াম। মাথায় রাখতে হবে যে ধরনের ব্যায়াম পেতে আগাছা লাগবে সে ধরনের ব্যায়াম করা যাবে না। প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি ঠিক মতই এক্সারসাইজ করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব ব্যায়াম দ্বারা।

নরমাল ডেলিভারির জন্য কি খেতে হবে

নরমাল ডেলিভারির জন্য কি খেতে হবে
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি নরমাল ডেলিভারির জন্য কি খেতে হবে? তাই জানতে চাচ্ছেন তার আগে আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাবারে কাজে বেশি উপকারী হবে। এই সময়ে বেশি বেশি স্বার্থপর খাবার খেতে হবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যেমন ফলমূল সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি মাল্টি ভিটামিন খেতে হবে।

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে গর্ভাবস্থায় শেষ সপ্তাহের দিকে গাজর খেতে পারেন গাজর জ্বরের মুখ নরম করে। আপনার ওজন কম হলে বেশি বেশি খাবার খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম করবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়

নরমাল ডেলিভারি ব্যাথা কেমন যখনই আপনার ভিতরে অন্যদিনের থেকে স্বাভাবিক ব্যাথার থেকে এই ব্যাথাটা অন্যরকম হয় তখনই লক্ষ্য রাখতে হবে। আর হিসাব রাখতে হবে তা কোন ডেট এবং কোন তারিখ উল্লেখ করেছে সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহ অন্তত আগে থেকে নিজেকে সচেতন থাকতে হবে।

তবে নরমাল ডেলিভারির জন্য আগে থেকেই নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে তার পাশাপাশি ব্যায়াম করতে হবে এমন নিয়মমাফিক কমাতে হবে বেশি ঘুমানো যাবে না বেশি শুয়ে থাকা যাবে না যে কোন জিনিস অতিরিক্ত করা যাবে না। যার ফলে বিপরীত হতে পারে। তো খাবারের মধ্যে কথা হচ্ছে ফলমূল

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সহজ উপায়

প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ জানার পশাপাশি নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে এটাই হচ্ছে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সহজ উপায়। কারণ প্রথম অবস্থায় থেকে আপনার জন্য খাবার রাখতে হবে। খাবার গুলো যেমন এইসব খাবারে পুষ্টি করা রয়েছে, ক্যালসিয়াম রয়েছে, সেসব খাবার খেতে হবে ।পাশাপাশি টুকটাক ব্যায়াম করতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ রুটিন মৌখিক কমাতে হবে তবে বেশি ঘুমানো যাবে না।

এবং যেসব খাবার গর্ভবত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব খাবার বাদ দিতে হবে। নরমাল ডেলিভারি হতে চাইলে নিজেকে স্ট্রং হতে হবে।তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার টাটকা ফল মন শাকসবজি এবং সেই সাথে আয়রনযুক্ত খাবার ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার এবং নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খেতে হবে এবং নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম। মনে রাখবেন যত বেশি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন তত বেশি নরমাল ভাবে ডেলিভারি হওয়া সম্ভব্ব গড়ে তুলবে।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া

একজন গর্ভবতী মা কখনোই চাইবে না তার বাচ্চা কৃত্রিমভাবে হোক সে চাইবে প্রাকৃতিকভাবে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা খাওয়ানোর। তাই কিভাবে নরমাল ডেলিভারি হবে সেসব উপায় গুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায় পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া রয়েছে। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম করার পাশাপাশি বেশি বেশি দোয়া পাঠ করতে হবে। যেমন করতে হবে দরুদ পাঠ করতে হবে সূরা ইউনুস পাঠ করতে হবে।

বেশি বেশি দান সাদকা করতে হবে।নিয়মিত জিকির করতে হবেআল্লাহর গুণবাচক নাম গুলো দিয়ে তার মধ্যে হল আল মুবদিয়ু পড়ে জিকির করবেন। আপনাদের স্বামী-স্ত্রীর দুজনেই আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন এবং নেক্কার সন্তান সুস্থ সবল সন্তান চাইবেন তার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তওবা পাঠ করবেন দোয়া করবেন আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে আপনাদের কবুল করবেন।

( المبدئ) “আল মুবদিয়ু “

অর্থ প্রথমবার সৃষ্টিকারী

কত সপ্তাহে বাচ্চা প্রসব হয়

অনেকেরই জানা নেই কত সপ্তাহ থেকে কত সপ্তাহ পর্যন্ত সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। তাই আপনারা সব জেনে নেই কত সপ্তাহে বাচ্চা প্রসব হয়। আপনি যদি প্রথম গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে কারো কারো ক্ষেত্রে আগেই বাচ্চা হয়ে যায়। এবং অপুষ্টগরের বাচ্চা হয়। সাধারণভাবে বাচ্চা হওয়ার একটি টিপ দেওয়া থাকে আনুমানিক। এই দিকের আগে বা পরে হয়ে থাকে যেমন ৩৮ থেকে ৪১ সপ্তাহ যখন বয়স হয় তখন সন্তান জন্ম নেওয়ার সময় হয়ে যায়।।

আজকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম ও প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ তুলে ধরেছি, পড়ে বুঝতে পেরেছেন। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিশ্চয়ই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার একটু হলেও উপকৃত হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন।

তারাও যেন পড়ে আগে থেকেই অনেক কিছুই সচেতন হতে পারে এবং আগামী ধাপগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারবে।সবার মাঝে জ্ঞানমূলক তথ্য পৌঁছে দেয় কাজ। এই ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এখানে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পোস্ট করা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url