দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার ও ১ থেকে ৩০দিনের বাচ্চা পালন পদ্ধতি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার ও ১ থেকে ৩০ দিনের বাচ্চা পালন পদ্ধতি ,দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা দেশি মুরগির বাচ্চার ভ্যাকসিন তুলে ধরেছি কারণ বর্তমান সময়ে বেকারত্ব দূর করতে মানুষ বেশি মুরগি চাষ করার পদ্ধতিটা অনেকে বেছে নিয়েছে।
দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার
দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি অনেকের কাছে সহজ মনে হয় এবং খরচে অনেক কম তাই পালন করে থাকে। দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার তালিকা খুবই অল্প খরচের মধ্যে হয়ে যায়। এক দিনের মুরগির বাচ্চার খাবার নিয়ম রয়েছে। দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার বড় মুরগির থেকে একটু আলাদা এগুলা আমাদের জানতে হবে যদি আমরা মুরগির বাচ্চা পালন করতে চাই।

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার কি সাধারণত বাচ্চা যখন ডিম থেকে ফোটে পরবর্তীতে প্রায় সাত-আট দিন পর থেকে দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ আক্রান্ত হয়। প্রথম অবস্থায়মুরগির বাচ্চাকে ঝিমাতে দেখা যায়। ধীরে ধীরে পাখনা গুলো ছেড়ে দেয় পাখনা গুলো বড় হয়ে যায় পায়খানা লেগে থাকে। কিভাবে কিছুদিন থাকার পর সময় মারা যায়।

রোগ

মুরগির বাচ্চার ঝিমানো রোগ ছোঁয়াচে ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগ কে গামবোরো রোগ বলা হয়। এ রোগটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রায় চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ এর মধ্যে তীব্রতর হয়ে যায়। এই রোগ সব ধরনের মুরগির জাতের বাচ্চার হয়ে থাকে।রোগটি ছড়িয়ে থাকে আক্রান্ত মুরগির পায়খানার মাধ্যমে এবং এই ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে যায়। এরপর পানি ও খাদ্য দূষিত করে এভাবেই অন্যান্য ভাষাগুলোকে অসুস্থ করে ফেলে।
দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার অন্যান্য মুরগির থেকে বেশি। মুরগির বাচ্চা কে গামবোরো রোগ আক্রান্ত করলে মৃত্যুর হার ৯০% হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাগুলোকে আর বাঁচানো যায় না। ছোট অল্পবয়স্ক প্রথম পর্যায়ে বাচ্চার এই ভাইরাসের কোন এন্টিবায়োটিক ঔষধ নাই। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে যার মাধ্যমে বাচ্চাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে। জীবন অক্সিটেট্রা সাইক্লিন।

প্রতিকার

মুরগির বাচ্চাকে ডিম থেকে ফোটানোর পরে বাইরের পরিবেশে আসার পর সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারেনা তার জন্য ইলেকট্রোলাইট ব্যবহার করলে অনেক সময় এই রোগের আক্রান্তর হাত থেকে বাঁচানো যায়। কিন্তু একটি মুরগির বাচ্চার আক্রান্ত হলে সমস্ত মুরগির বাচ্চা গুলো ধীরে ধীরে এই রোগে আক্রান্ত হয়। তাই খুবই যত্ন সহকারে মুরগির বাচ্চাকে প্রথম পর্যায়ে পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে।
দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার এর জন্য প্রথম দিন মুরগির বাচ্চাকে ভ্যাকসিন দিতে পারেন এতে করে আপনার মুরগির বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে সহজে রোগ আক্রান্ত করতে পারবে না তবে তাপমাত্রা ঠিক রাখতে হবে ধীরে ধীরে পরিবেশের সাথে মিশে গেলে তখন কোন সমস্যা হবে না। একবার রোগে আক্রান্ত হলে এ রোগের কোন ঔষধ নেই।

দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা

দেশি মুরগির বাচ্চার ঔষধের তালিকা। অন্যান্য মুরগি থেকে দেশি মুরগির ঔষধ একটু কমে লাগে কারণ এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। আর যেসব মুরগি মুক্ত অবস্থায় পালন করা হয় এদের তেমন খরচে হয় না এদের খাবার খুবই কম লাগে এটা বাইরের পোকামাকড় খেয়ে থাকে এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাই এদের ওষুধ ও কম লাগে। দেশি মুরগির ঔষধের কিছু তালিকা দেয়া হলো বয়স অনুযায়ী।

বয়স (দিন) ওষুধের নাম
প্রথম দিন থায়ামিক্স আর পিরেনামক্স ট্যাবলেট ও ডক্সি এ ভেট পাউডার
দুই থেকে চার দিন টানা এমক্সাসিলিন
৩ থেকে ৫ দিনের ভেতর বিসিআরডিবি ভ্যাকসিন
১০ থেকে ১২ দিনের ভেতর পিজন পক্স এর ভ্যাকসিন
২১ তম দিন বিসিআরডিবি ভ্যাকসিন
২৪ থেকে ২৬ লিভার টনিক ও ভিটামিন
৩০ তম দিন কৃমিনাশক ঔষধ

যেকোনো অন্তবায়োটিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিতে হবে অবশ্যই মুরগির টিকা প্রদান করতে হবে দেশি মুরগির ভ্যাকসিন সিডিউল অনেকেই অনেক রকম ভাবে প্রয়োগ করে। যারা মুক্ত অবস্থায় পালন করে তাদের কে এত বেশি ওষুধ বা ভ্যাকসিন লাগেনা কারণ সেইসব মুরগিগুলো বাহিরের পোকামাকড় ঘাস লতাপাতা ঠুকে ঠুকে খেয়ে থাকে ফলে এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে।

দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার তালিকা

১ থেকে ৩০ দিন দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার তালিকা একটু ভিন্নরকম। কারণ এইসব মুরগির বাচ্চা গুলো কেবলই ছোট অবস্থায় তাই সব খাবার খেতে পারবে না। এদের ছোট ছোট দানা তৈরি করে দিতে হবে আর দানাদার খাবার খাওয়ালে দ্রুত বড় হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বাচ্চাকে প্রথম অবস্থায় থেকে পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। আসুন জেনে নেই খাবার তালিকা
চালের খুদঃ ধান ভাঙ্গানোর পর যেসব খুদ বের হয় আধাভাঙ্গা সেই সব খোদ মুরগির বাচ্চাকে খেতে দিন

গম ভাঙ্গাঃ গমভাঙ্গা কিংবা গমের গা থেকে ছাঁটাই করা ছাল ও খাওয়াতে পারেন।

ভুট্টা ভাঙ্গাঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে ভুট্টা ভাঙ্গায় তাই ভুট্টা ভাঙ্গা গুড়ো গুড়ো করে ভেঙ্গে বাচ্চাকে খেতে দিতে হবে।

ধানের কুড়াঃ ধান ভাঙ্গানোর পরে যে কুড়া বের হয় সেই কুড়া খাবারের সাথে মিশে খাওয়ান।

বয়লারের ফিটঃ মুরগির বাচ্চার মৃত্যুর হার কমানোর জন্য শারীরিকভাবে যেসব গ্রুপ ঠিক রাখে তার জন্য ভালো মানের ফিট খাওয়াতে হবে।

এভাবে সমস্ত উপাদান গুলো একসাথে মিক্সড করে একটি পাত্রে রেখে মুখ আটকে রাখুন এইসব খাবার বাস্তব মুরগি খেতে পারবে এবং খেতে পছন্দ করবে দূরত্ব মুরগির বাচ্চা বড় হতে পারবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার ভ্যাকসিন

দেশি মুরগির বাচ্চার ভ্যাকসিন
দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার করার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণ হচ্ছে মুরগির বাচ্চার যাতে করে রোগ না আসে তার জন্য আগেই দেওয়া হয়। সাধারণত মুরগির বাচ্চার ডিম ফুটানোর পর প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সময় লেগে যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয় যাতে করে মুরগির বাচ্চা সহজেই রোগে আক্রান্ত না হতে পারে এবং রোগে আক্রান্ত হলে সেই সব মুরগির বাচ্চাকে আর বাঁচানো মুশকিল হয়।

প্রথম ভ্যাকসিন

দেশি মুরগির বাচ্চার ভ্যাকসিন প্রথম ভ্যাকসিন দিতে হবে । চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিন খাবারের সাথে কোন ওষুধ দিবেন না পরবর্তীতে ৭ দিন এর মাথায় একটি ভ্যাকসিন দিয়ে দিবেন ভ্যাকসিনটি হল বিসিআরডিবি ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন টি সিরিঞ্জ এর মাধ্যমে ৬মিলি পানির সাথে মিশাতে হবে।এরপর সিরিঞ্জ দিয়ে মুরগির বাচ্চার চোখে মুখে ভ্যাকসিন টি ফোঁটা ফোটা দিয়ে দিবেন। অবশ্যই চোখে দেওয়ার সময় ড্রপার ব্যবহার করতে হবে।

দ্বিতীয় ভ্যাকসিন

এরপরে মুরগির বাচ্চার মুখে গুটি ওঠার আগেই পশু হাসপাতাল থেকে পিজন পক্স ভ্যাকসিন নিয়ে এসে ৩ সিসি পানিতে মিশিয়ে মুরগির বাচ্চার পাখনার ভেতর পাশে ত্রিকণা জায়গায় ইঞ্জেকশনের সুচ দিয়ে কয়েকটি জায়গায় ক্ষত করে নিতে হবে। এরপর সেখানে এক ফোটা পরিমাণ ওষুধ দিয়ে ভিজিয়ে দিন। এভাবেই এই গুটি বসন্ত রোগে আক্রান্ত করতে পারে না।

১২ দিন বয়সে বাচ্চাকে এই পিজন পক্স এর ভ্যাকসিন দিতে হবে। অতিরিক্ত ভ্যাকসিন পানি নিরাপদ জায়গায় পুঁতে রাখতে হবে। পরবর্তীতে এটি কখনোই ব্যবহার করা যাবে না এবং ভ্যাকসিন পানিতে মেশানোর পরে দুই ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে হবে। একটি বক্সের মধ্যে কিংবা একটি সুন্দর একটি জায়গার মধ্যে তাপমাত্রা দিয়ে সেখানেই রাখতে হবে তবে। তাপমাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখতে হবে।

তাপমাত্রা সঠিক না হলে বাচ্চার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এর ফলে রোগে আক্রান্ত সহজেই হতে পারে। বাচ্চা যদি কৃত্রিম পর্যায়ের ফোটানো হয় তাহলে যে তাপমাত্রায় বাচ্চা ফুটিয়েছেন সেই তাপমাত্রায় বাচ্চাকে রাখতে হবে।১০ থেকে ১২ দিন পরে আবার একটু একটু করে তাপমাত্রা কমাতে হবে। তবে মুরগির তাপ দিয়ে বাচ্চা ফুটালে অত বেশি তাপ লাগেনা এবং পরিষ্কার শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।

১২ দিন দিন পরে বাচ্চাকে আবার অন্য একটি জায়গায় খাঁচার ভিতর ৩০ দিন বয়সের মতো পালন করতে হবে এর পরে আপনি খাঁচায় ও রাখতে পারেন কিংবা বাইরে ছেড়ে দিতে পারেন মুক্ত অবস্থায় পালতে পারেন। ১৫ দিন বয়সে আবার একটি ভ্যাকসিন করে দিতে পারেন ইরোকট নামে একটি ভ্যাকসিন তিন দিন দিবেন। এক গ্রাম পাউডারের সাথে এক লিটার পানি দিবেন।

এরপরে একই একই দিন বয়সের মাথায় আবারো বিসিআরডিবি ভ্যাকসিন করতে হবে।ঠিক একই নিয়মে বাচ্চাদের চোখে একফোঁটা করে দিয়ে দেবেন অবশ্যই ৬ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।অবশ্যই পানির সাথে মেশানোর পর দুই ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে ব্যবহার করতে পারবেন এর পরবর্তীতে আর ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবেন না।
দেশি মুরগির বৈশিষ্ট্য

মুরগির বাচ্চার ঔষধ

মুরগির বাচ্চার ওষুধ প্রথম দিন থেকে খাওয়াতে হবে তবে কিভাবে কি ওষুধ খাওয়াবেন সেগুলো জেনে নিন। কারণ বাচ্চাকে ছাড়তে জায়গায় রাখা যাবে না পরিষ্কার এবং শুকনো জায়গা রাখতে হবে। এবং প্রথম পর্যায়ে বাচ্চাকে সাথে সাথে খাবার পানি দিবেন না। এবংইলেকট্রনিক্স বাল্ব দিয়ে আলো এবং তাপে রাখতে হবে।

বাচ্চা প্রথম পর্যায়ে সাথে সাথে খাবার না দিয়ে কয়েক ঘন্টা পরে খাবার দিন এতে কোন সমস্যা হবে না কারণ বাচ্চা প্রায় ৭২ ঘণ্টার মতো না খেয়ে থাকতে পারে কারণ বাচ্চার পেটে কুসুম আছে সেটা তারা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। কারণ প্রথমেই যদি আপনি বাচ্চাকে খাবার পানি খাবার দেন তাহলে জায়গাটা স্যাঁতস্যাতে হয়ে যাবে এবংসহজেই মুরগির বাচ্চা রোগে আক্রান্ত হবে। ঔষধ

খাবার পানির সাথে প্রথম দিন থেকে ওষুধ দিতে হবে যাতে বাচ্চার ঘাড় শক্ত হয় এবং পা শক্ত হয় দ্রুত শক্তি পায়। থায়ামিক্স আর পি Thiamix-RP এতে রয়েছে ভিটামিন বি1,বি, বি রয়েছে যা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বাচ্চাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে পাশাপাশি এন্টিবায়টিক দিতে পারেন যেমন রেনামক্স ট্যাবলেট ও ডক্সি এ ভেট পাউডার খাওয়াতে পারেন।তিনটি ওষুধ একসাথে মিশিয়ে পানির সাথে অন্তত তিন দিন খাওয়াবেন।

দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি

দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন,তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলে দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। দেশি মুরগি অন্যান্য বিদেশি মুরগির থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি এবং খুব অল্প খরচে দেশি মুরগি পালন করা যায় এবং এর মাংস ও ডিমের চাহিদা বেশি।

দেশি মুরগির বাচ্চা পালন পদ্ধতি দুই রকমের একটি হচ্ছে মুক্ত অবস্থায় আরেকটি হচ্ছে খাঁচার ভিতর বদ্ধ অবস্থায়।বদ্ধ অবস্থায় মুরগি পালন পদ্ধতি এখন বর্তমান সময়ে বেশি পালন করে থাকছে। তবে গ্রামগঞ্জে এখনো মুক্ত অবস্থায় মুরগি পালন করে থাকে। এতে মুরগি হারিয়ে যাওয়া কিংবা কোন কিছুতে খেয়ে ফেলা কিংবা রোগে আক্রান্ত বেশি হয়ে থাকে।

মুক্ত অবস্থায় মুরগি পালন করলে তাদের খরচ কম হয়ে থাকে। এই মুরগিগুলোতে না প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন পেয়ে থাকে এবং শরীরে সূর্যের আলো পড়ে ভিটামিন ডি জোগতে সাহায্য করে। বিভিন্ন পোকামাকড় ঘাসপাতা ঠুকরে ঠকরে খেয়ে এদের নিজেদের খাবার নিজেরাই যোগাড় করে।
এক দিনের মুরগির বাচ্চার খাবার

খাবার

প্রথম দিন থেকেই মুরগির বাচ্চাকে খাবার হিসেবে দিতে হবে অবশ্যই শুকনো খাবার সেটা হচ্ছে দিতে পারেন চালের খুদও বয়লারের যে ধরনের ফিট পাওয়া যায়। এটি মুরগির বাচ্চার জন্য পারফেক্ট খাবার। এবং পানি কয়েক ঘন্টা পরে দিলেও হবে। পানি এমন ভাবে দিতে হবে যাতে চারিদিকে ফেলে না দেয়। এবং খাবার পানি দুইটা মিলেই সুন্দর একটি পাত্রে দিতে হবে যাতে করে ফেলে না দেয়।

দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার

দেশি মুরগির বাচ্চার খাবার প্রথম অবস্থায় চালের খুদ খাওয়াবেন পরবর্তীতে এক সপ্তাহ পর থেকে আপনি বয়লার মুরগির ফিট খাওয়াতে পারেন। একটি দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার ও বাচ্চাগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে সব ধরনের ভিটামিন দিয়ে তৈরি করে। বাচ্চারা যাতে খেতে পারে এ ধরনের কিছু খাবার রাখতে হবে অবশ্যই শুকনা জাতীয় খাবার রাখতে হবে।

দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার এর জন্য সাত দিন বয়স থেকে ৩০ দিন বয়সের মুরগিকে খেতে দিতে পারবেন যেমন চাউল বা চাউলের খুদ কাউন, ভুড়া, ভুট্টা ভাঙ্গা গম ভাঙ্গাএইসব খাবারগুলো । এতে করে মুরগির বাচ্চা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এসব খাবারে পুষ্টিগুণ রয়েছে তাই বাচ্চাগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

আজকের শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে ১ থেকে ৩০ দিন বয়সের মুরগির বাচ্চা পালনের পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। দেশি মুরগির বাচ্চার রোগ ও প্রতিকার সহ দুইটি বিষয়ে সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে ক্লিয়ার করা হয়েছে। তাই যারা মুরগির বাচ্চা পালন করতে চান, তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি যথেষ্ট। এইসব লোক মেনে দেশি মুরগির বাচ্চা পালন করতে পারবেন এতে কোন সমস্যা হবে না।

আর্টিকেলটি পরে যদি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। তারাও যেন এই ধরনের উদ্যোক্তা হতে পারে দেশের বেকারত্ব দূর হবে। এ ধরনের বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি সবার আগে নতুন নতুন তথ্য পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url