বাংলাদেশের আয়নাঘর দেখতে কেমন - শেখ হাসিনার আয়নাঘর কোথায় অবস্থিত
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক,আজকের আর্টিকেলে আয়নঘর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আয়না ঘর দেখতে কেমন? শেখ হাসিনার আয়না ঘর কোথায় অবস্থিত বাংলাদেশের ইতিহাস জেনে রাখুন। ২০২৪ সালের একটি ইতিহাস গড়ে উঠলো যেমনটা গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সাল মুক্তি যুদ্ধের ঘটনা।
আয়না ঘরের ইতিহাস আমাদের জানা উচিত কেননা এটি একটি আমাদের দুর্ভাগ্যজনক ইতিহাস রয়ে গেল তাই এর বিস্তারিত জেনে রাখা দরকার বাংলাদেশের মানুষের পরবর্তী যেন এ ধরনের দেশের মানুষকে সেভাবে আগাতে হবে।
ভূমিকা
আয়না ঘর একটি বদ্ধ আলোবিহীন ঘর যেখানে মানুষ শব্দ করলে বাহিরে কোন শব্দ পৌঁছায় না কিংবা বাহিরে শব্দ করলে সেই ঘরে পৌঁছায় না। অক্সিজেন নিতে পারেনা চারিদিক থেকে কারেন্টের হিট দিয়ে রাখা হয় শুধু তা সেখানে আর সেখানে মানুষদেরকে গুম করে রাখা হয়।
আয়নাঘর দেখতে কেমন
আয়না ঘর দেখতে কেমন আয়নাগর হচ্ছে অত্যন্ত আলো বিহীন অন্ধকার ঘর যেখানে বাহিরের কোন শব্দ শোনা যায় না কিংবা ভেতরের কোন শব্দ বাহিরে যায় না ঘর। এখানে বর্বরোচিত জীবনযাপন করতে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের। এটি একটি গুম ঘর বলা হয়, কারণ হঠাৎ করে ধরে নিয়ে একদম গুম করে দেয়ার মত করে এই ঘরে ঢোকানো হয় এমন ভাবে তাকে শিকল বেঁধে দেওয়া হয় যার থেকে বের হওয়া পসিবল না।
আয়না ঘরে স্বৈরাশাসনের নির্যাতন
এখানে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন প্রশাসনের মানুষ বিভিন্ন আলেম গনেরা এর থেকে রেহাই পায়নি। সেখানে এমন ভাবে জুলুম দেয়া হয়, ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। না আছে সেখানে অক্সিজেন না আসে আলো বাতাস। কিছুই নেই সেখানে সরাসরি ফায়ার করা হয়, গুম করা হয়, নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে মারা হয়। তিলে তিলে সেখানে মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন এমন ভাবে নেওয়া হয় যাতে কেউ বুঝতে না পারে এমনকি যাকে নেওয়া হয় তাকে কালো ক্যাপ পড়িয়ে নিয়া যাওয়া হয় সেই আয়না ঘরে। যাতে করে বুঝতে না পারে পরবর্তীতে কেউ জানতে না পারে এই সব ব্যবস্থা রয়েছে। যেসব লোককে ধরে নেওয়া হয় সেই সব লোককে বিভিন্ন ভাবে মেরে লাশগুলো পর্যন্ত ফেরত দেয় না সেখানে অনেক অনেক হার পড়ে রয়েছে মানুষের।
দেখে মনে হয় কত কত মানুষ ওখানে এভাবে নির্যাতনে মারা গেছে ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না চারিদিক থেকে তাপ দিয়ে থাকে এবং নির্যাতন তো রয়েছে। এই সেই আয়না ঘর যেখানে একবার গেলে আর ফিরে আসতে দেয় না তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় জবাই করা হয় কত পরিবার এখন মুখ চেয়ে বসে আছি তার প্রিয় জন ফিরে আসবে। অথচ তারা জানে না হয়তো তাদের আয়না ঘরে নিয়ে গেছে আর সে ঘরে যদি নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে লাশ পর্যন্ত ফিরে আসে না।
ইসলামিক দৃষ্টিতে বলা রয়েছে মানুষের প্রতি জুলুম করো না অবিচার করো না। কিন্তু সেই ইসলামিক রাষ্ট্রে এ ধরনের স্বৈরাচার অবিচার দিনের পর দিন জুলুম চলছে। ফেরাউন ও জানে না যে তার বিদায় কবে, নমরুদ ছিল জানতো না তার বিদায় কবে, তাদের হঠাৎ করে বিদায় নিতে হয়েছে। এভাবে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি করেছে মানুষের প্রতি জুলুম করেছে এবং গুম করা হয়েছে হত্যা করা হয়েছে।
সেই সেইসব স্বৈরাচারীদের যুগে যুগে তাদের পতন হয়েছে তার বাস্তব নমুনা আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই স্বৈরাচারী শাসক আয়না ঘর তৈরি করে সেখানে গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে, অস্বাভাবিক নির্যাতনে মানুষকে তিলে তিলে মরতে হয়েছে। এইভাবে নির্যাতন যেন আর না হয়, স্বৈরাশাসন যেন আর দখল নিতে না পারে, নির্যাতন করতে না পারে আমাদের সেই ব্যবস্থা করতে ইসলাম অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। কোরআন এবং রাসুলের সুন্নাহ্ আঁকড়ে ধরে রাখলেই ইনশাআল্লাহ স্বৈরশাসন আর পারবে না।
আয়নাঘর কি
আয়না ঘর হচ্ছে একটি গোপন ঘর যেখানে একবার নেয়া হয় সেখান থেকে আর জিন্দা ফিরতে পারে না। এমনকি সেখানকার লাশ পর্যন্ত ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। এটাই সেই আয়না ঘর এটাই আয়না ঘর বলা হয় সেই ঘর যে ঘরে কোন আলো ঢুকে না যেখানে শুধু অন্ধকার ওখানে বন্দী থেকেই মানুষ অক্সিজেনের অভাবে চারিদিকে তাপের কারণে মানুষ ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এটাইসেই আয়নাগর।
শেখ হাসিনার আয়নাঘর কোথায় অবস্থিত
স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘ ১৬ বছর ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত অস্বাভাবিক নির্যাতনের মাধ্যমে দেশ শাসন করেছেন। তার কিছু নির্যাতন করার পদক্ষেপ রয়েছে তা হচ্ছে আয়না ঘর এখানে তার ঘোরবিরোধীদের ধরে গুম করে দেওয়া হয় এবং দিনের পর দিন সাজা দিতে দিতে তাদের মৃত্যুর করে ঢেলে দেয়। এমন একটি ঘর যেখানে কোন অক্সিজেন আলো বাতাস এমন কি রুমের মধ্যে জালানা পর্যন্ত নাই সেখানে শুধু তপ দিয়ে রাখা হয়।
সেখানে সরাসরি মানুষকে হত্যা করা হয় জবাই করা হয় এমনকি তাদের ধীরে ধীরে নির্যাতন দিতে দিতে মারা হয়। সেই আইনা ঘর রয়েছে ঢাকাতে হঠাৎ করে মানুষ উধাও হয়ে যায় তার মানেই হচ্ছে তাকে ঘুম ধরে রাখা হয়েছে এখন মনে হয়। আর সেই শেখ হাসিনার আয়নাঘর কোথায় অবস্থিত সকলেই জেনে রাখা দরকার সেই আয়না ঘর রয়েছে বাংলাদেশের ঢাকাতে।
আয়নাঘর ইতিহাস
সরকার পতনের পর আয়না ঘর সম্পর্কে তথ্য বের হয় আয়না ঘর আছে সেই ঘর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গেলে সেই ঘরে বন্দী করে গুম করে রেখে হত্যা করে ক্রসফায়ার করে জবাই করে মারা হয় । সেই ঘরে বন্দি ছিল রাজনৈতিক নেতাকর্মী সহ সাধারণ মানুষও রক্ষা দেইনি । হঠাৎ করে দেশে কোটা আন্দোলন কারীরা এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
এর ভূমিকা পালন করে ছাত্ররা পরবর্তীতে মানুষ জনগণ তাদের পাশে থাকে। এবং তাদের দাবী দাওয়া মানার জন্য মিছিল শুরু করে কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে সরাসরি ভাবে গুলি করে গুম করে গণহত্যা করতে শুরু করে কত মায়ের বুক খালি করে দিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার। তবুও ছাত্ররা থেমে যায়নি, সরকার করার মাধ্যমে জয়ী হয়েছে।
আয়না ঘরে বন্দি রেখে কিছু মানুষকে তিলে তিলে মারার চেষ্টা করেছে তাদের মধ্য থেকে এবার মুক্তি পেয়েছে কিছু মানুষ তাদের মধ্যে মীর আহমদ বিন কাসেম (আইনজীবী), আব্দুল্লাহিল আমান আজমী সাবেক (সেনা কর্মকর্তা), কামরুজ্জামান (শ্রমিক নেতা)। আরো অনেক নেতাকর্মীদের মোটকথা হাসিনার বিরোধী লোকেদের এভাবে গুম করে হত্যা করেছে।
গণভবনে হাজার হাজার মানুষকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে মাটি চাপা দিয়ে মারা হয়েছে গুলি করে মারা হয়েছে এবং আবু সাঈদ এর মত ছাত্রদেরকে এবং দেশের বুদ্ধিমান ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মারা হয়েছে। এই সেই আয়না ঘরে একটা পড়ে অন্ধকারে রেখে মানুষকে মেরেছে এবং বর্তমানে 2024 সালে গণহারে মানুষকে মেরেছে মানুষ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
আয়না ঘরে বন্দি ছিলেন ব্যারিস্টার বিন আবুল কাশেম দীর্ঘ ৮ বছর আয়না ঘরে থাকার পর এবার মুক্ত পেয়েছে এর মত আরও অনেকেই এই আয়না ঘর থেকে মুক্ত পেয়েছে বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে। ২০২২ সালে আয়নাগর নিয়ে কথা উঠলে স্বৈরাচারী সরকার বরাবরি এড়িয়ে যায় কিন্তু এবারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাত থেকে রেহাই পায়নি এই স্বৈরাচারী সরকার।
২০১৪ সালে ৫ই আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ হয়েছে। স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা দেশের প্রতি দেশের মানুষের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে নির্যাতন করেছে যা মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করছে এবং তার পদত্যাগ করার মাধ্যমে এটি সফল হয়েছে। এই স্বৈরাচারী সরকার শিক্ষা নামে একটি দুর্নীতি তৈরি করেছিল যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলেছিল।
আয়নাঘর কারাগার কত সাল থেকে
আয়না ঘর কারাগার কত সাল থেকে তৈরি করা হচ্ছে হয়েছে এবং কত সাল থেকে চালু হয়েছে এ বিষয়টি অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। মূলত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক থাকা অবস্থা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা ঘোর প্রতিবাদ করেছে তাদেরকে সেখানে গুম করা হয়েছে নির্যাতন করা হয়েছে ধীরে ধীরে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
গোপন ভাবে আটক করে ধরে নিয়ে কালো ক্যাপ পরিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে একের পর এক জুলুম এমনকি অক্সিজেন পরিবেশে রাখা হয় যেখানে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার সেই আয়না ঘর হাসিনার রাজত্বকালে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আয়না ঘর এভাবে নির্যাতন চলছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আয়না ঘর এখন মুক্ত পেয়েছে।
আজকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক জানতে চেয়েছিলেন আইনাঘর দেখতে কেমন এখানে কি হয় সমস্ত বিষয়ে আপনাদের সামনে যতটুকু জানি তুলে ধরলাম। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন দেশকে ভালবাসুন দেশের মানুষকে ভালোবাসো স্বৈরা মুক্ত দেশ গড়ে তুলুন।প্রতিনিয়ত আপডেট তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন তাহলে সবার আগে আপনি আপডেট তথ্যগুলো পেয়ে যাবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url