বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? বিষয়টি ক্লিয়ার করতে আর্টিকেলের ভিতরে তুলে ঘটনা ধরেছি। জাতীয় শোক দিবস কবে থেকে পালন করা হয় এই বিষয়েও যেন হয়েছে আর্টিকেলের ভিতরে।এছাড়াও ১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু কি বার ছিল, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলা কত তারিখবিস্তারিত একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমাদের সঠিক তথ্য জানা ও দরকার কিন্তু এইসব বিষয়ে আমাদের কোন ধারণা নেই।
ভূমিকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক ঘটনা একজন বাঙালি হিসেবে জেনে রাখা দরকার। সেই দিনের ঘটনা কতটা ভয়াবহ ছিল এবং কতটা নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে সেই সব বিষয়ে একজন দেশ প্রেমিক হিসেবে জানা উচিত। কবে থেকে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় বিষয়টি জানা দরকার সকলেরই।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়?
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? বিষয়টি অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ এই তথ্যটি আমরা অনেকেই জানিনা এবং জানতেও চাইনি। এবং শেখ মুজিবের ছিল বাংলা ইতিহাসে একজন মহানায়ক। এবং তাকে নির্মমভাবে শেষ করা হয়। বাঙালি হিসেবে আপনার এই মহানায়কের মৃত্যু সম্পর্কে জানা দরকার।
আমরা শেখ মুজিব কে চিনি না এমন কেউ বাংলাদেশের নেই। তার নামের সাথে ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস জড়িত রয়েছে। তার ডাকে বাংলার জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মহানায়ক হিসেবে জনগণের সামনে জনগণের সুখে-দুখের সঙ্গী হয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সেই ব্যক্তির অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের হাত থেকে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পর বিজয় অর্জন করেছিল। যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। এবং তার ডাকে সাড়া দেওয়া জনসাধারণ ছাত্রনেতারা সহ দেশকে মুক্ত করে বিজয় অর্জন করার পরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে আবার ফিরে আসেন।
তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে সুন্দর একটি দেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই দেশ বিরোধী কিছু লোকের কারণে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। তারা কখনো চায়নি বাংলাদেশ শান্তি ফিরে আসুক। তার জন্যই সুন্দর পরিকল্পনা করে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? দেশবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। প্রত্যেকটি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? তাকে অঝোরভাবে পাখির মত গুলি করা হয়েছিল। যেমনটা বর্তমানে আবু সাঈদ এর ওপর গুলি চলছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যুর দিকে থেকে ১৮ টি গুলি চিহ্ন পাওয়া যায় এ থেকে বোঝা যায় এতটাই নির্মমভাবে গুলি করেছে যার আঘাতে শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তার গুলির চিহ্ন রয়েছে যার রিপোর্টে তদন্ত করে পাওয়া যায়। নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তার পরিবারকে।
জাতীয় শোক দিবস কবে থেকে পালন করা হয়
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? জানার পাশাপাশি জাতীয় শোক দিবস কবে থেকে পালন করা হয় এ বিষয়টি এখন বর্তমান সময়ে অনেকেই জানার বিষয়। কারণ বর্তমানে যে ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় শোক দিবস ঘটনাটি সামনে চলে এসেছে তাই অনেকেই জানেনা জাতীয় শোক দিবস কবে থেকে পালন করা হয়?
তাই এই প্রশ্নটি অনেকেই জানতে চাচ্ছে, জাতীয় শোক দিবস কবে থেকে পালন করা হয় এবং কেন পালন করা হয়? প্রতিবছর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট দিন নির্ধারিত করে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হতো। চলুন আজকে জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে জেনে নেই।
আমরা যারা জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে এবং কবে পালন করা হয় এবং কেন পালন করা হয় কোন উদ্দেশ্যে পালন করা হয় এসব বিষয় না জানি তাহলে আজকের আর্টিকেল বিস্তারিত করুন তাহলে ভালো বুঝতে পারবেন। কারণ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের এই ইতিহাস সম্পর্কে জানা জরুরী। অনেকেরই ধারণা নেই জাতীয় শোক দিবস কেন পালন করা হয়।
১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন
১৫ আগস্ট মোট কতজন শহীদ হন অনেকেরই জানা নেই এ ঘটনাটি।একজন বাঙালি হিসেবে আমাকে অবশ্যই জানা দরকার আমাদের দেশের পূর্ববর্তী ইতিহাস সম্পর্কে আর পূর্ববর্তী ইতিহাস জানা থাকলেই পরবর্তী ধাপগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে সহজ হবে। তাই আমার দেশের উন্নতি দেশের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে তো ধরে রাখতে আমাকে অবশ্যই পিছনের ঘটনাবলী সম্পর্কে জানতে হবে।
এছাড়াও চাকরির ক্ষেত্রে সাধারণ জ্ঞান নীতি অর্জন করতে দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য জানা আমাদের উচিত একজন দেশ প্রেমিক নাগরিক হিসেবে।, তাই সেই হিসেবে আমাদের পিছনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক ঘটনা যা ইতিহাসের পাতায় চিরক্ষরে লিখিত হয়ে গেছে। তাই আজকে আমরা জানব সেই মর্মান্তিক ঘটনায় কতজন শহীদ হয়েছিলেন।
সেই দিনটি ছিল পনেরই আগস্ট ইংরেজি মাসের। ১৫ তারিখ শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয় কারণ এই দিনে একটি কালো অন্ধকারের ছায়া নেমে এসেছিল শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের কারণে। ওই দিনটি ছিল শেখ মুজিবরের পরিবারের মর্মান্তিক ঘটনা। তাই এই দিনটিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করে তার মৃত্যু ঘটনা স্মরণ করা হয়।
একই দিনে একই সময়ে পুরো পরিবারকে হত্যা করে মারা হয়। তার সেনা সদস্যরা তাদের পরিবারের আত্মীয় স্বজনসহ মোট ১৬ জনকে নিহত করা হয়। দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট। ধানমন্ডির ৩২নম্বর নিজ বাসভবনে সেনা সদস্যদের হাতে নিহত হয়। তাই আগস্ট মাসকে শোক দিবসের মাস হিসেবে ধরা হয়েছিল।
তাই ১৫ তারিখে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যা বর্তমানে আবু সাঈদের মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় লাল রঙে স্মরণ করা হচ্ছে।আবু সাঈদের আন্দোলনটিও ছিল দেশের স্বৈরাচারী হাত থেকে মুক্তির আন্দোলন। এই আন্দোলনে আবু সাঈদ এর মত অসংখ্য নিষ্পাপ ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করা হয় পাশাপাশি গুম করে মেরে ফেলা হয়।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু কি বার ছিল
নেতাদের প্রেমিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু তারিখ ও কি বার ছিল অনেকেই আমরা জানি না। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনে নেই এই কালো শোক দিবস সম্পর্কে এবং বারটি ছিল কি বার। যেদিনটি প্রতিবছরই পালন করা হয় তা ইংরেজি মাসের ১৫ তারিখ এবং এই তারিখটি সেই ঘটনার দিনটি কি বার ছিল তা আমরা জানতে চাই।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট দিনটি ছিল ১৫ ই আগস্ট তারিখে শুক্রবার ভোর রাতে সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহিত হয়। একই তারিখে ১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২০২৪ সালে ১৫ ই আগস্ট আসতে আর বাকি রয়েছে মাত্র পাঁচ দিন এবং সেই দিনটি হবে বৃহস্পতিবার। এই দিনে শোক দিবস পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলা কত তারিখ
১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বাংলা কত তারিখ ছিল? অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে গুগলে সার্চ করেছে। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলা তারিখ। কোন ওয়েবসাইটের ভেতরে এই উত্তর গুছানোভাবে পাওয়া যাচ্ছে না বিধায় আপনাদের এই প্রশ্নটি সম্পর্কে আমি সঠিকভাবে সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাংলা তারিখ ছিল ৩০ শে শ্রাবণ, ১৩৮২ বঙ্গাব্দ। বারটি ছিল শুক্রবার।শ্রাবণ মাসের এই দিনে শেখ মুজিবরের পুরো পরিবারকে একসাথে নিহত করা হয় পরিকল্পনার মাধ্যমে। মুক্তিযোদ্ধার পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নতুন করে আবার কালো দিন নেমে আসে তাই এই দিনে কালো পতাকার মাধ্যমে শোক দিবস পালন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি ঘটেছিল
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কি ঘটেছিল এই দিনটিতে আমাদের অনেকের সঠিক তথ্য জানা নেই। এই দিনে কে কে নিহত হয়েছিল শেখ মুজিবরের পরিবারের এবং কখন, কয়টাই এবং কি বারে এই ঘটনাটি ঘটেছিল সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য অনেকেরই জানা না থাকাই গুগলে সার্চ দিয়ে জানার চেষ্টা করছি। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জেনে নিন।
দিনটি ছিল শুক্রবার ভোর ৫ঃ৩০ মিনিট এই সময়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার আত্মীয়-স্বজনদের উপর হামলা চালানো হয় মোট ১৬ জন কে নিহত করা হয় নির্মমভাবে। ৩২ নম্বর বাসভবনে সেনাসদস্য শেখ মুজিবরের পরিবারকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এ সময় বঙ্গবন্ধু যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সেই ঘরের বাইরে শেখ রুমা বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন।
শেখ রুমার বলেন সেই দিন শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি হত্যা করেছিল তার স্ত্রী সন্তানদের কেউ এমনকি শিশু শেখ রাসেলসহ এবং এমনকি দুই পুত্র সে কামাল ও শেখ জামাল ও তাদের স্ত্রী সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল সহ সকলকেই হত্যা করে। এবং তার আত্মীয়-স্বজন শেখ নাসির আরো অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন সহ ১৬ জন কে নিহত করে।
সেই দিনের ঘটনাটি ছিল মর্মান্তিক ঘটনা।যা প্রাণ রক্ষা করার জন্য পাখির মত ছোটাছুটি করছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের পরিবার সহ সকলেই। কিন্তু শেষ রক্ষা কেউই পায়নি সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে সেই কালো দিন ঘটে চলেছে। তাই ১৫ই আগস্ট রাতকে কালরাত্রি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং সেই হিসেবে ১৫ আগস্ট শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। আর্টিকেলের মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস এর জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শরীরে কতটি গুলি পাওয়া যায়? বিষয়টি আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্লিয়ার করে দিয়েছি। আশা করি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে এই মর্মান্তিক ঘটনা অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন। তারাও যেন সঠিক তথ্য জানতে পারে। এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন জ্ঞান মূলক তথ্য তুলে ধরা হয় আপনি জানতে চাইলে অবশ্যই ওয়েব সাইটে ভিজিট করবেন। তাহলে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url