পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম ও নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম। কারণ এখন বর্ষাকাল, ঘন ঘন বৃষ্টি হয়, চারিদিকে কাদা পানি ফলে মানুষ কাজকর্মে গেলে কাদা পানি গায়ে লেগে যায়। বিশেষ করে যারা গ্রামাঞ্চলে থাকে তারা মাঠে কাঁদার ভিতর কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে পায়ের নখের কুনি রোগ দেখা দেয়। তার সমাধানের জন্য পায়ের নখের কুনি দূর করার ওষুধের নাম।
পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম
এছাড়াও আর্টিকেলের ভিতরে আরো তুলে ধরেছি, নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং অনেকেই জানে না পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কেন হয়। আজকের আর্টিকেলে সেই বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছি। আপনার এই সমস্যা হলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্বস্ততার সহিত বলছি, এর মধ্যে যে নিয়মগুলো দেওয়া রয়েছে সেভাবে আপনার পায়ের নখের কুনি পাকা দূর করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

ভূমিকা

বর্ষা সময়ে রোগ বালাই বেশি হয়। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলে খেটে খাওয়া মানুষ তাদের ক্ষেত্রে। কারণ বর্ষাতে বৃষ্টি বাদলে ভিজে কাদা মাটিতে কাজ করে ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ দ্রুত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন পায়ের নখের কুনির ভেতরে ময়লা জমে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় সেখান থেকে ব্যথা পুজ তৈরি হয়।

পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কেন হয়

আমাদের অনেকেরই দেখা যায় পায়ের বুড়ো আঙ্গুলেো ফুলে যায় ব্যথা হয় শেষে ওখান থেকে পুজ বের হয়। এবার আসি পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগে কেন হয় এটি অনেকেরই জানার রয়েছে। আমরা যারা খেতে খামারে মাঠে কিংবা কোন কারনে হাতের বা পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ময়লা জমে যায়। সেই ময়লা থেকে ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায় এরপরে ব্যথা হয় পরবর্তীতে সেখান থেকে বুঝ বের হয়।

বেশিরভাগই দেখা যায় যারা কাদা মাটির কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে সহজেই মাটি ঢুকে যায় এবং সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর ইনফেকশন ধরে যায় সেখান থেকে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলির কুনি পাকা লক্ষণ দেখা দেয়। এরপর ওখানে ধীরে ধীরে ক্ষত সৃষ্টি হয় পায়ের নখের কোনার দিকে গর্ত হয়ে যায়। পায়ের নখ দেখতে খারাপ লাগে।

এছাড়াও, অনেক সময় পায়ের থেকে ছোট টাইট জুতা পরলে পায়ের নখের কোনায়আঘাত লেগে ক্ষত হতে পারে আবার অনেক ক্ষণ পড়ে থাকলে পা ঘেমে যায় সেক্ষেত্রে নখের ভিতরে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে আর সেখান থেকেই এই কুনি রোগ সৃষ্টি হয়।পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম জেনে নিন।

পায়ের নখে ময়লা জমার কারণ কি

আবার অনেক সময় দেখা যায় আমরা পায়ের নখ এত ছোট করে কাটি যে কোনগুলো বেশি কেটে ফেলি। সেক্ষেত্রে সহজেই নখের কোনায় ময়লা জমতে থাকে, আর এই ময়লা জমে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। আর তখনই পায়ের নখের কোনা ফুলে যায় ব্যথা হয় আর ময়লাগুলো ব্যাকটেরিয়া জমে সেখানে পেকে পুজ তৈরি হয়।

পায়ের নখের ইনফেকশন

পায়ের নখের ইনফেকশন হয়ে থাকে অনেকেরই। পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম জেনে নিন। এটি অনেক সময় কোন কারনে পায়ের নখের ভিতরে ময়লা জমে থেকে ইনফেকশন শুরু হয়। এরপরে পা থেকে হঠাৎ ব্যথা মনে হয় খেয়াল করলে দেখা যায় ফুলে গেছে, লাল হয়ে গেছে, পাশাপাশি প্রচন্ড ব্যথা, ধীরে ধীরে সেখান থেকে পেকে গিয়ে পুঁজ বের হয়।

পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম

পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম জেনে নিন। পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম অনেক কোম্পানির রয়েছে। আজকের আর্টিকেলে কতগুলো কোম্পানির ঔষধ এর নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো-
  • Terbition 1% Cream
  • Terbinafine
  • Telfin Cream
  • Terbiderm 1 % cream
  • Fintrix 1% Cream
  • Fluconazole
  • Deramasim 1% cream
  • Haparoxi 1 % Cream
  • Itraconazole
  • Xfin 1% Cream
এই ঔষধ গুলা বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ তবে কাজ একই। ডার্মাসিম ১% ক্রিম এই ওষুধটি বহুদিন ধরে ব্যবহার করছি এবং এর উপকারও অনেক এর পাশাপাশি যতগুলো ক্রিম দেখছেন প্রায় সবগুলোকে একই কাজ করে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যেটা ভালো লাগে সেই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম ও ব্যবহার

উপরের তালিকায় পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম তুলে ধরা হয়েছে সেখান থেকে যেকোনো একটি ওষুধ আপনি ব্যবহার করতে পারেন। আশা করি ভালো হয়ে যাবে তবে ব্যবহারের পাশাপাশি আপনাকে কোন ধরনের কাদা ময়লা আবর্জনার মধ্যে হাঁটাচলা করা যাবে না কারণ সে নখের ভিতরে আবার যদি ময়লা জমে তাহলে আবারও সেই একই ভাবে পা ফুলে যাবে ব্যথা হবে এবং পুঁজ বের হবে।

ব্যবহারঃ আসুন জেনে নেই পায়ের নখের গুলি দূর করার ঔষধের ব্যবহার। অবশ্যই ব্যবহার করার নিয়ম জানতে হবে তাহলে দ্রুত এই রোগ থেকে মুক্তি পাবেন না। প্রথমে আপনি যেই ওষুধটি নিয়ে আসবেন অবশ্যই তরল হবে। কোন ধরুন ডার্মাসিম ১% ক্রিম ফার্মেসি থেকে কিনে নিয়ে আসলেন।

এরপর এটি ব্যবহারের সময়ে আপনাকে অবশ্যই যে পায়ের বা হাতের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি পেকেছে সে হাতে বা পায়ের চিকন কাঠি দিয়ে ময়লা গুলো বের করে নিবেন। ডার্মাসিম তরল ক্রিমটি পায়ের কুনির ভিতরে দিয়ে দিন। এখান থেকে একটু ফেনা তৈরি হয়ে ময়লা গুলো বের হতে শুরু করবে তবে কোনো রকমের জ্বালাপোড়া কোন কিছু হবে না।

এভাবে দুই একফোঁটা করে দিলে তরল ক্রিমটি সাবানের চেনার মত উপরের দিকে উঠতে শুরু করবে এভাবে ধীরে ধীরে কয়েক ফোটা করে ২-৩ বার দিন এরপর মুছে ফেলুন। এভাবে দিনে তিন বেলা ওয়াশ করবেন। আপনার পায়ের কুনি নখের ব্যথা কমে যাবে এবং ময়লা বের হয়ে যাবে। আর ময়লা বের হলেই ব্যথা কমে যাবে ফোলা কমে যাবে ধীরে ধীরে ভালো হয়ে যাবে।

তবে ভালো হওয়ার পরে আবারও যদি ময়লা কাদামাটি জমে, তাহলে আবারও একইভাবে সমস্যা হবে এবং একই ভাবে ব্যবহার করবেন।তাই সতর্ক থাকবেন কোনভাবে যেন পায়ের ভেতরে ময়লা না জমে আর ময়লা জমেও ইনফেকশন যেন না হয় তার জন্য আগে থেকে পরিষ্কার করতে হবে। পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম জানার পাশাপাশি এবার আসি চলুন দেখে নেই পায়ের নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়।

নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বেশিরভাগই দেখা যায় যারা যারা মাঠে কাজ করে ময়লাযুক্ত কাজ করে তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। নখের কুনি ব্যথা ফাঙ্গাসের ব্যথা অসহনীয় ব্যাথা। পায়ের নখের ভিতর টাটানি জিলকানি শুরু হয়। আসুন আজকের আর্টিকেলে আমরা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের নিজের কিছু ঘরোয়া ভাবে সতর্ক থাকতে হবে পাশাপাশি যদি এ ধরনের সমস্যা হয় তাহলে কি উপায় অবলম্বন করা যাবে।

নারিকেল তেলঃ ধরুন আপনার পায়ে এখন নখের ফাঙ্গাস হয়েছে অর্থাৎ কুনি ব্যথা হয়েছে ফুলে গেছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় প্রথমে নারিকেল তেল দিয়ে রাখবেন এতে আপনার নখের ভিতরে ময়লা গুলো সহজে বের করা যাবে। আর ময়লা বের হলেই ব্যথা কমে যাবে।

সরিষার তেল ও রসুনঃ যখন দেখছেন আপনার পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কিংবা হাতের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি ব্যথা হয়েছে আপনি একটি কাজ করতে পারেন, সেটি অবশ্যই উপকার আসবে। তা হলো রসুন ও সরিষার তেল। একটুখানি সরিষার তেল এবং রসুনের কয়টি কোয়া থেতে করে তেলের মধ্যে দিয়ে দিন।

সেই তেল ধীরে ধীরে গরম করুন রসুনগুলো ফেনা হয়ে উপরের দিকে উঠতে থাকবে, তারপরও কিছুক্ষণ গরম করতে থাকুন। রসুনগুলো লাল লাল হয়ে এলে সেই তেল কিছুর সাহায্যে পায়ের কুনিতে দিন। তবে অবশ্যই নেই সহ্য করতে পারবেন এমন গরম দিতে হবে একটু ছ্যাকা দেয়ার মত করে। ফলে ব্যথা কমে যাবে। এভাবে দিনে দুই বেলা দিন তাহলে ধীরে ধীরে ব্যথা কমে যাবে।

নিমপাতাঃ ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নিম পাতা ফুটানো পানি পায়ে ঢালতে পারেন এতে করে ব্যথা কমে যাবে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে। ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হলে ধীরে ধীরে ফোলা কমে যাবে সেখান থেকে পুঁজ বের হওয়া কমে যাবে এবং ময়লাও বের হয়ে যাবে তারপরে ধীরে ধীরে কমে যাবে। এছ

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাঃ পাশাপাশি আপনাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে হাতের বা পায়ের কোন রকমের ফাঙ্গাস না জমে আবার অনেক সময় আমরা কাদা মাটি সেক্ষেত্রে আপনি সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। যখনই আপনার পায়ে নখের কোনায় কাদা মাটি ময়লা জমবে ধীরে ধীরে সেগুলো থেকে ইনফেকশন তৈরি হবে আর তখনই এই ধরনের সমস্যা হবে তাই সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, সেভলন দিয়ে পরিষ্কার করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে পায়ের নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম ও নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় তুলে ধরেছি। আপনি যদি এই সমস্যা নিয়ে জানতে চাচ্ছিলেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার কাজে আসবে। আর্টিকেলের ভিতরে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেইভাবে আপনার পায়ের নখের পরিচর্যা করুন তাহলে দেখবেন ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

এখন কারণ এখন বর্ষার সময় কাদা মাটি যখন তখনই হয় চলাফেরার ক্ষেত্রে এই কাদামাটি পায়ে জমে অনেকেরই পায়ের নখের কুনি ব্যাথা হচ্ছে ইনফেকশন হচ্ছে। তাই আপনার পরিচিত ও অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন তারাও যেন এর সমাধান পায়। আর এ ধরনের তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন কারণ এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত আপনাদের মত সবারই কিছু না কিছু সমস্যার সমাধান তুলে ধরা হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url