পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ হলে করনীয় কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলেপায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ নিয়ে তুলে ধরেছি। কেন এই রোগ এবং কিভাবে এই পায়ের কিংবা হাতের নখের কোনার দিকে কুনি দেবে যায়।তার জন্য নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, যাতে করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ
এছাড়াও পায়ের আঙ্গুলের কুনি পাকা সম্পর্কে নখে কুনি পাকার কারণ নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম সহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। আপনার যদি কুনি পেকে থাকে, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। জানতে চাইলে আর্টিকেলটি এ টু জেড ধৈর্য ধরে পড়ে আসুন।

ভূমিকা

বর্ষা সময়ে বেশি দেখা যায় পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ। চারিদিকে পানি কাঁদা থাকার কারণে মানুষের পায়ের কোনার দিকে ময়লা জমে এক সময় ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। ফলে পায়ের কুনি পাকে। তাই এই বর্ষার সময়ে একটু নিজেকে সচেতন রেখে চলতে হবে। তাহলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ

বর্ষার সময় অনেকেরই দেখা যায় পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে কুনি রোগ হয়েছে। এর কারণ কি পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কোন সময় হয়ে থাকে কিংবা কি কারণে হয়ে থাকে, আমাদের জানা দরকা।র কারণ এই সমস্যা হলে পায়ের আঙ্গুলে নখের কুনির ভেতর থেকে থেকে যায় এবং ওর ভিতরে ময়লা জমে থাকে এর ফলে পেকে পুঁজ বের হয়।
কুনি রোগ হলে সহজে ভালো হয় না এটি বর্ষের সময়ে পায়ের আঙ্গুলের ভিতর পানি জমে কাদা মাটি ময়লা জমে আবার পাকতে শুরু করে। অনেক কষ্টকর ব্যাপার হয়ে পড়ে যারা মাটি কাজ করে কৃষি খেতে খামারে কাজ করে তাদের ক্ষেত্রে এই রোগটা বেশি দেখা যায় কারণ তারা কাদা মাটির ভিতরে কাজ করে ফলে একটা সময় পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে চাড়ার ভিতরে কাঁদা ঢুকে যায়।

নখের ভিতরে কুনা বসে যায়া কেন

প্রথম অবস্থায় আঙ্গুলের ভিতরে নখ বৃদ্ধি পায় এবং সেটা মাংসের মধ্যে চলে যায় এবং সেখান থেকে ব্যথা সৃষ্টি হয় তখন আমরা উল্টাপাল্টা ছাড়া কাটতে শুরু করি দেখা যায় ভিতরে অংশ পর্যন্ত অনেক কাটা হয়ে গেছে আর তখন ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়,ময়লা আবর্জনা ও কাদা মাটি ঢুকে যায়। এর ফলে নখে কুনি পাকাতে শুরু করে।

নখে কুনি পাকার কারণ

নখ ফুলে যায় এবং টাটানো জিলকানো শুরু করে। কারণ নখের ভিতরে কোনো ভাবে কাদামাটি ময়লা ঢুকে যায়, তখন সেখানে জমতে থাকে। একটা সময় ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে কুনি পেকে যায় আর পেকে গেলে তখন থেকে ফুলে যায় এবং এর ভিতরে টাটায় জিলকায়। কাদার ভিতরে দিন দিন ব্যাকটেরিয়া জমে জায়গাটা গর্ত হয়ে পুঁজ বের হতে থাকে।
হাঁটতে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়, তাই এই রোগের জন্য আপনাকে কাদামাটি থেকে দূরে থাকতে হবে। কিছুদিন এবং চিকিৎসা নিতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে ভালো হয়ে যায় পায়ের কুনি পাকা। তাই যেন দ্রুত ভালো হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা করা যায় আপনাকে ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে কুনি পাকা ব্যথা কমাতে পারেন।

কোন ভিটামিনের অভাবে কুনি পাকে

সাধারণত ভিটামিনের অভাবে বিভিন্ন রোগ বেড়ে যায়। ভিটামিনের অভাবে শারীরিকভাবে কিছু অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠে। যেমন ভিটামিনের অভাবে দাঁত হাতে-পায়ের নখ চুল এবং বেড়ে ওঠার পিছনে ভিটামিনের কাজ করে যা দেহের আকৃতি তৈরি করতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দাঁত ভিটামিন কমে গেলে দাঁত বের হওয়ার সময় আঁকাবাঁকা অস্বাভাবিক বড় ছোট হয়ে থাকে।
এবং নখের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা আঙ্গুলের কোনার ভেতর দিয়ে নখ বেড়ে মাংস বেশীর ভিতর দিয়ে চলে যায় ব্যথা সৃষ্টি হয় আবার ভিটামিনের অভাবে নখের উপরে সাদা স্পট পরে, আঙ্গুলের নখ নরম পাতলা হয়ে থাকে একটুতেই ভেঙ্গে যায়, নখের গোড়া দিয়ে সাদা সাদা হয়ে থাকে। এই সবগুলো সমস্ত ভিটামিনের অভাবেই হয়ে থাকে।

ভিটামিন ডি দাঁত ও হাড় গঠন এবং পাশাপাশি আঙ্গুলের নখ তৈরিতে সাহায্য করে তাই শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে এইসব সমস্যা হয়ে থাকে। তাই নখ কুনি পাকা দূর করতে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করুন। এই সকল রোগমুক্ত থাকবে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন ভিটামিন ঘাটতি পূরণ হলে।

পায়ের কুনি পাকার লক্ষণ

পায়ের কুনি পাকার লক্ষণ
পায়ে কোনা বসে কারণ পায়ের আঙ্গুলের কোনার নখ বড় হয়ে কখনো নিচের দিকে মাংসপেশিতে লেগে যায়। ফলে সেখান থেকে ব্যথা এবং ফাঁকা হয়ে যায় আর তখনই ময়লা আবর্জনা গিয়ে জমা হয়। কিছুদিন এইভাবে জমা হতে থাকলে আস্তে আস্তে ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় আর এই ব্যাকটেরিয়া ফাঙ্গাস তৈরি হলেই কোনই পাকতে শুরু করে আর সাথে অসহ্য ব্যথা ও টাটানো শুরু হয়।

ব্যথা হওয়ার পরপরই আঙ্গুলের কোণা চাপ দিলে পুঁজ বের হয় এবং প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়। সাথে ময়লাগুলো বের হয়ে আসে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে ফেলে দিতে হয় এবং এই সমস্যা আরও বেশি হয়ে থাকে। তাই এর কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে আপনার কুনি পাকা দূর করতে পারেন।

নখের কুনি দূর করার উপায়

পায়ের নখের কুনির পাকার কারণ হলো- আঙ্গুলের কোনার দিকে নখ বেড়ে গিয়ে মাংসপেশির সাথে লেগে যায় এরপর ব্যথা হয় এবং এর ভিতরে ময়লা জমে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। আস্তে আস্তে ব্যথা হয় ও পুঁজ পড়তে শুরু করে। তাই নখের কুনি দূর করার উপায় জানতে হবে। তবে তার আগে জেনে নিন পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কেন হয়।

এ বিষয়টি জানা না থাকলে আপনার পায়ের কুনি পাকলে আপনি ওষুধটি ব্যবহার করবেন কিন্তু পরবর্তীতে আপনি নিয়ম করে সঠিকভাবে না চলতে পারে আবারও এই রোগ দেখা দিবে তাই পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কেন হয়? বিষয়টি জানতে হবে এবং চিকিৎসার পরেও যেন নিয়ম মেনে চলতে পারি। তাহলেই বারবার কুনি পাকা থেকে মুক্তি পাবো।

পায়ের নখের কুনি দূর করার উপায় আপনি দুই ভাবে করতে পারেন। ঘরোয়া চিকিৎসা পাশাপাশি রেখে আকারের পরামর্শ অনুযায়ী বা তরল ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দ্রুত তার পায়ে থেকে কোন দূর হয়ে যাবে চিরতরে। ময়লা আবর্জনা না ঢুকিয়ে এভাবে নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলেই সম্ভব পায়ের কুনি পাকা করতে।

নখের কুনি দূর করার ঔষধের নাম

নখের কুনি পাকা দূর করার জন্য নিচের দেওয়া এইসব ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক উপকারী একটি ওষুধ অল্প তাড়াতাড়ি কুনি পাকা দূর করে দেয়। আমি নিজে ব্যবহার করেছি ডার্মাসিম ক্রিম এবং এর অনেক উপকারও আমি পেয়েছি। এই ক্রিম সঠিক মত ব্যবহার করলে একেবারেই চিরতরে যার পায়ের কুনি পাকা দূর হয়ে যাবে।
  • ফিনট্রিক্স ১% ক্রিম
  • মাইকোফেম ১% ক্রিম
  • ডার্মাসিম ১% ক্রিম
  • টার্বিসন ১% ক্রিম
  • টেরবিডর্ম ১% ক্রিম

নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়

নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ কেন হয় জানার পাশাপাশি এর প্রতিকার করতে নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে যেকোনো রোগ ১০০% থেকে ৫০% কমিয়ে আনা যায়। তার জন্য নিজেকে সেভাবে চলতে হবে এবং তাহলে সম্ভব কুনি পাকা। আসুন জেনে নেই নখের কুনি দূর করার ঘরোয়া উপায়।

নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল দিয়ে পায়ের আঙ্গুলের কোনার ভিতর থেকে ময়লা দূর করা যায়। ময়লা যদি দূর হয় তাহলে কুনি পাকা দূর হয়ে যাবে। প্রথমে আপনাকে একটি নরম শুকনো কাপড় নিতে হবে কাপড় দিয়ে মাথা আঙ্গুল দিয়ে ধরে ধরে চিকন করে নিতে হবে। যাতে করে আঙ্গুলের কোণার ভিতরে ঢুকে। এবারকাপড়টি নারিকেল তেল দিয়ে ভিজিয়ে আঙ্গুলের মধ্যে চেপে ধরে ধরে ময়লা পরিষ্কার করে নিয়ে আসুন।

কোন যদি পেকে যায় তাহলে শুকনো কাপড় দিয়ে ঠিক একই ভাবে পুনের ভেতর থেকে পুজ মুছে ফেলুন যতবার এভাবে পুজ বের হবে, ততবার এভাবে মুছতে হবে। আস্তে আস্তে আঙ্গুলের কোনার ভিতরে যত ময়লা রয়েছে বেরিয়ে আসবে পুজের সাথে।

সরিষার তেলঃ সরিষার তেল কুসুম গরম করে পায়ের আঙ্গুলে নখের কোনার ভিতরে লাগিয়ে ছেক দিন তাহলে ব্যথা কমে যাবে।

রসুনঃ রসুনের জন্য আর ব্যথা কমাতে খুবই উপকারী।তাই পায়ের কোনা ব্যথা দূর করতে রসুনের রস ব্যবহার করতে পারে তাকে প্রথমে রসুন পেতে করে রস করে পায়ের কোনাতে লাগিয়ে রাখুন। ব্যথা কমে যাবে।

সরিষার তেল ও রসুনঃ সরিষার তেল ও রসুন একসাথে গরম করে শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হলে লাগালে ব্যথা কমে যায় তাই আপনি কোন পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ দূর করতে এই উপকরণটি ব্যবহার করতে পারেন। রসুন কোওয়া কুচি কুচি করে কেটে সামান্য পরিমাণ তেল দিয়ে একটি পাত্রে ভালো করে গরম করে নিন। আপনার পায়ের আঙ্গুলের কুনি ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

লেবুর রসঃ সামান্য গরম পানিতে লেবুর রস দিয়ে পায়ের আঙ্গুল ভিজিয়ে রাখুন। তো করি আপনার কুনি ভিতরে ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে। কারণ লেবুর রস এসিডযুক্ত দেখুন স্থানে পড়লে কিংবা মাটিতে পড়লে বুরবর করে ওঠে তাই পায়ের আঙ্গুলের কুনির ভিতরে থেকে যাওয়া ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

আজকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর যদি পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের কুনি রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনি আর্টিকেলে যা জেনেছেন, এভাবে যদি চলেন, তাহলে আপনার কুনি পাকা চিরতরে দূর হবে।আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করুন ।

যাতে করে পায়ের কুনি পাকা থেকে মুক্ত থাকতে হাতে পায়ের আঙ্গুলের সৌন্দর্য রাখতে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এখন। এ ধরনের নিত্যনতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে সব ধরনেরই এবং সময়ের সাথে সাথে যেসব সমস্যা তৈরি হয় সচরাচর সব ধরনের সমস্যা সমাধান দেয়ার চেষ্টা করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url