আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় - গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় এবং বাচ্চাদের আনারস খাওয়ার নিয়ম আমাদের জানা উচিত। কারণ শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যেসব খাবার উপকারী ওইসব খাবারে আবার অপকারের লক্ষণ রয়েছে। তাই জেনে বুঝে আমাদের সব খাবার খেতে হবে।
আনারস খেলে কি গ্যাস হয়, আনারস খেলে কি এলার্জি হয়, জ্বরে আনারসের উপকারিতা,আনারস খাবার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত আপনাদের সামনে আজকের আর্টিকেলে সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছি। অবশ্যই আনারস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বুঝে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ভূমিকা
আনারসের উপকারিতা অনেক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য। অতিরিক্ত বেশি খেলে সব কিছুতেই ক্ষতির লক্ষণ রয়েছে। আনারসের সাথে কিছু খাবার একসাথে খাওয়া নিষেধ করেছে গবেষকরা। দুইটি জিনিস একসাথে যদি খাওয়া হয় শরীরের সাইড ইফেক্ট পরে। যেমন আনারসের সাথে দুধ খাওয়াটা অনেক সময় শরীরের সমস্যা হতে পারে।
আনারস খাওয়ার পর দুধ খেলে কি মৃত্যু ঘটে?
আমরা অনেকেই এই কথাটি জেনে থাকি আনারস খাওয়ার পর দুধ খেলে মারা যায়। কিন্তু এই কথাটি আদৌ কতটুকু ভিত্তি রয়েছে আমরা জানি না। এবং এই কথাটি কোথা থেকে এসেছে তাও আমরা জানি না। শুধু আমরা জানি আনারস খাওয়ার পর দুধ খেলে মারা যায়। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে পুষ্টিবিদরা তাদের মতামতে কি জানিয়েছেন।
পুষ্টিবিদ আখতার নাহার বলেন দুধ এবং আনারস একসঙ্গে খুলে মৃত্যু হয় না কথাটি বৈজ্ঞানিকভাবে কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। এটি নিত্যান্তই কুসংস্কার একটি কথা।
যুক্তিতে কস্টার্ডের কথা এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন অন্যান্য ফলের রসে আনারস থাকেই সঙ্গে থাকে দুধ আবার আইসক্রিম এইসব খাবার খেলে মৃত্যু হয় না।
আনারসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার রয়েছে পুষ্টিবিদরা বলেন। তাই আনারস খেলে অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। আর দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোজেন তা দুইটি মিলে সহ হয় না চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে ল্যাকটোজেন অসহনশীলতা। তাই এই সমস্যা কখনোই দুধ ও আনারস একসঙ্গে খেয়ে খেলে হয় না। সমস্যাগুলো শারীরিক কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে হতে পারে।
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায়
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় এই প্রশ্নটি অনেকের মধ্যেই রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা তাদের মতামত জানিয়েছেন। তারা জানায় আনারসে প্রচুর পরিমাণ আশঁ বা ফাইবার রয়েছে। যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তবে অতিরিক্ত ফাইবার বা আশঁ জাতীয় খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় পেটে বদহজম হয়।
আরেকদিকে অনেকেই দুধ হজম করতে পারেনা দুধের হয়েছে প্রচুর পরিমাণ ল্যাকটোজ। তাই দুধ একটি ভারী খাদ্য। এটি হজম করতে একটু সমস্যা হয় যাদের হজম শক্তি কম রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে। আর এই সময়ে দুধ এবং আনারস একসঙ্গে খেলে যখন বদহজমের বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দুধ এবং আনারস একসাথে খাওয়া ঠিক হবে না।
অর্থাৎ এ থেকে বোঝা যায় এই সমস্যাগুলোর কারণে দুধ ও আনারস একসঙ্গে খাওয়া নিষেধ করা রয়েছে। তবে দুধ খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর আনারস খেতে পারেন অথবা আবার আনারস খাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর দুধ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের এই সমস্যাটা হবে না। আর এই সমস্যাটা দেখা দেয় আমাদের শারীরিক কিছু সমস্যার সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে।
এছাড়াও লেবু এবং দুধ একসঙ্গে খেলে এই ঘটনায় ঘটে থাকে। কিংবা কমলা এবং দুধের বেলাও একই রকমের ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে বোঝা যায় টক জাতীয় খাবারের সাথে দুধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ টক জাতীয় খাবারের রয়েছে সাইট্রিক এসিড। যা পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হয়। কোন খাবারই অতিরিক্ত বেশি খাওয়া ঠিক নয় । ফাইবার যুক্ত খাবার শরীরের জন্য উপকার কিন্তু বেশি খেলে সমস্যা ঘটে।
বাচ্চাদের আনারস খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের আনারস খাওয়ার উপকার রয়েছে। কিন্তু অভিভাবকদের একটু সতর্কতাসহিত চলতে হবে। কারণ আনারসের প্রচুর পরিমাণ সাইট্রিক এসিড। খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চাকে যখন আনারস খেতে দেওয়া হয়, তারপর থেকে বাচ্চা শরীরে কোন রকমের এলার্জির সমস্যা হচ্ছে কিনা কিংবা বাচ্চার পেটে ব্যথা হজমের সমস্যা, এ ধরনের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
এ ধরনের কোন সমস্যা হলে এ ধরনের কোন সমস্যা হলে কোন সমস্যা দেখা দিলে আনারস খাওয়া থেকে বিরত রাখবেন। যদিও আনারস একটি ভীষণ স্বাস্থ্যকর খাবার। ছয় মাসের উপরের বাচ্চাদের থেকে একটু একটু করে খাবারের সাথে দিতে পারেন। তবে এক বছরের উপরের বাচ্চাদের থেকে খাওয়ালে সবচাইতে ভালো হয়।
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়
আনারসে অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত রয়েছে ভিটামিন সি জাতীয় সাইট্রিক এসিড রয়েছে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে কোন কিছুই শুধু উপকারী থাকেনা অপকারও হয়। আর এছাড়াও গর্ভবতী মাদের আনারস বেশি পছন্দ কারোর এটি টক মিষ্টি জাতীয় খাবার। আনারসে রয়েছে ব্রোমিলিন। যা শরীরে প্রোটিন ভেঙ্গে দিয়ে অস্বাভাবিক রক্তপাত ঘটতে পারে।
তাই গর্ভবতী আমাদেরকে ডাক্তার কখনোই আনারস খেতে বলেন না। তারা বলে গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে আনারস খেলে ব্রোমিলিনের কারণে গর্ভপাত করতে পারে। এছাড়াও গর্ভব গর্ভবতী মা-দের প্রসব বেদনা ওঠার ক্ষেত্রেও এই ব্রোমিলিন দায়ী থাকে। তাই গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে না খাওয়ার পরামর্শই দিয়ে থাকেন এবং শেষের দিকে এসে সামান্য পরিমিত খাওয়া যাবে।
আবার কোন কোন চিকিৎসক বলেন আনারস খেলে তেমন কোন ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না।সেক্ষেত্রে আপনি কি করবেন আপনি গর্ব অবস্থায় যদি আনারস খেতে চান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ অবশ্যই এই নেগেটিভ কথাগুলো শুনলে একজন মা হিসেবে চিন্তিত হতে পারে। তাই সম্পূর্ণ আপনার উপর ভিত্তি করে চলবেন।
আনারস খেলে কি গ্যাস হয়
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়? আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশযুক্ত।যার কারণে আনারস খেলে অনেকেরই এসিডিটির সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের হজম শক্তি কম তাদের এই সমস্যা দেখা দেয়। ফলে পেট খারাপ হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে এই কোন সমস্যা হয় না। তাই কারো কারো ক্ষেত্রে আনারস খেলে গ্যাস হয় এবং কারো কারো ক্ষেত্রে মানুষ খেলে কোন সমস্যা হয় না।
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায়। তাই সেক্ষেত্রে আনারসে খেলে তেমন কোন সমস্যা না হওয়ারই কথা। আনারস খাওয়ায় জ্বরের ক্ষেত্রে অনেক উপকার। আনারস একটি টক জাতীয় ফল। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। চিকিৎসাবিদরা বলেন,শরীরে জ্বর হলে আনারস খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আনারস খেলে কি এলার্জি হয়
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় জানার পাশাপাশি আনারস খেলে কি এলার্জি হয় এ বিষয়টি জেনে নিন। আনারসে প্রচুর পরিমাণ এসিড রয়েছে। যার ফলে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের একটি সমস্যা হতে পারে ।অতিরিক্ত আনারস খেলে ফুসকুড়ি, চুলকানি, এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তারা আনারস একটু লবণ দিয়ে ধুয়ে খেলে একটু সমস্যা কমে যায় তবে খুব একটা এলার্জি লক্ষণ দেখা যায় না এই আনারসে।
জ্বরে আনারসের উপকারিতা
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় এবং গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় এটা জানার পাশাপাশি আরও একটি কথা জেনে নিন জ্বরে আনারসের উপকারিতা সম্পর্কে। জোরে সময় দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়। তার মধ্যে আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা জ্বরের জন্য খুবই উপকার।
বর্তমান সময়ে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে ঘরে ঘরে জ্বরের ছড়াছড়ি রয়েছে। আর এই জ্বর হুট করেই ভাইরাসের কারণে চলে আসছে। কিন্তু জ্বর এলে সহজে সহজে ওষুধের দ্বারা ভালো হচ্ছে না। তাই ডাক্তাররা পুষ্টিকর খাদ্য ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য খেতে বলে বেশি বেশি। এবং জ্বর হলে আনারস খেতে বলে। জ্বরের জন্য আনারস অনেক উপকারী।
জ্বরের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওষুধের পাশাপাশি আনারস খেতে হবে। সর্দি-কাশি ভাইরাস জনিত জ্বর কমাতে পাশাপাশি রোগীকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। জ্বরের পথ হিসেবে আনারস ও ভিটামিন সি জাতীয় ফল অন্যতম ওষুধ। আনারস জ্বর ও জন্ডিসের জন্য একটি উপকারী ঔষধ। আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি যা আমাদের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।
জ্বরে আনারস যে কারণে খাবেন
শরীরের স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জ্বর জ্বর ভাব অনুভূতি হয়। তার জন্য আনারস খেতে হবে। জ্বর হলে শরীরে বংশবিসের ভিতরে ব্যথা অনুভূতি হয়। সেসব ব্যথা দূর করার জন্য আনারস খেতে হবে। জ্বরের পরপরই অনেকেরই কৃমি সমস্যা দেখা দেয়। তাই কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে আনারস খেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় এ বিষযেও জেনে নিন।
খালি পেটে আনারস খেলে কি হয়/কি ক্ষতি হয়
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় ও আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় জানার পাশাপাশি খালি পেটে আনারস খেলে কি হয় সেই বিষয়টি জেনে রাখুন। খালি পেটে আনারস খেলে পেটে ব্যথা অনুভূতি হতে পারে। কারণ আনারস রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এসিড, যা খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। খালি পেটে আনারস খেলে পেটের ভেতরে গ্যাস হয়ে থাকে ফলে পেট ব্যথা শুরু হয়।
আপনার কি লক্ষ্য করেছেন আনারস খাওয়ার পর পানি খেলে এর স্বাদ অন্যরকম হয়ে যায়। এই স্বাদ হারিয়ে যাওয়ার পিছনে কারণ রয়েছে। আনারস খাওয়ার পর স্বাদ পরিবর্তন হওয়ার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে, তা হল এতে ব্রোমিলেন নামক এনজাইম রয়েছে। যা প্রোটিনের ব্যাঘাত ঘটাতে সাহায্য করে। যার কারণে পানির স্বাদ হারিয়ে যায়। যা আমাদের এই কল্পনার পেছনে বিজ্ঞান ও পরিচালিত করছে।
দুধ ও আনারস খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় ও আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় এ ব্যাপারে ডক্টর এ, বি, এম আব্দুল্লাহর সতর্কবাণী- আনারস ও দুধ খাওয়ার মাঝে বিরতি দেওয়াই ভালো। তা না হলে অনেক সময় কেটে গিয়ে বদহজম হয়ে গেছে সমস্যা হতে পারে। তবে আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুযায়ী খেলে কোন সমস্যা হবে না। আসুন জেনে নেই দুধ ও আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
প্রথমে দুধ ভালো করে জাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এতে করে টক্সিটিক বিষয়টি আর থাকবে না। আর তখনই আনারস ও দুধ একসাথে খাওয়া যাবে। এতে কোন সমস্যা হবে না। আপনারা এতদিন যে ধরনের কথাগুলো শুনে আসছেন তার কোন ভিত্তি নেই যে আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে মৃত্যু ঘটে। তাই নিয়ম মেনে দুধ ও আনারস খান, তাহলে কোন সমস্যা দেখা দেবে না।
আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয়? সব খাবারই শরীরের জন্য উপকারের পাশাপাশি অপকার রয়েছে আর সেটি যদি নিয়মের বাইরে খাওয়া হয় তাহলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই আনারস খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি কিছু অপকারও রয়েছে। তাই আমাদের যে কোন খাবারে নিয়মগুলো জেনে বুঝে তারপর খেতে হবে। আসুন জেনে নেই আনারস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।
উপকারিতা-
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা শরীরে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটায়। রক্তজমা বাদ দিয়ে বাধা দেয়। ফলে শরীরের রক্ত সঠিকভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করতে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে থাকে।
- শরীরের ফাইবারের ঘাটতি পূরণ করে। হলে বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি থাকার কারণে দাঁতও হাড় গঠনে সাহায্য করে পাশাপাশি দাঁতের মাড়ি জিহ্বা তালু এর ভিতরে ঘাঁ থেকে রক্ষা করে।
- আনারসে রয়েছে খনিজ লবণ,তা মাথার চুলের গোড়া শক্ত করে, দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত আনারস খেলে ঠান্ডা জড়িত হাঁপানি এজমা থেকে বাঁচা যায়।
- জ্বর আমাদের শরীরে অন্যান্য রোগ বহন করার জন্য সংকেত দেয়। তাই এই জ্বর থেকে মুক্তির জন্য আনারস উপকারী।
- দেহ ও ত্বকের জন্য আনারস খুবই উপকারী এবং এর কদরও অনেক। দেহের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি করে সুস্থ সবল প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেপাশাপাশি ত্বকের সতেজতা ভাব নিয়ে আসে।
আনারস উপকারিতার পাশাপাশি পাশাপাশি অপকারিতাও রয়েছে তাই আমাদের জেনে বুঝে আনারস খেতে হবে। মাথায় রাখতে হবে যেসব খাবারে অনেক উপকার রয়েছে। আবার সেই সব খাবারই ক্ষতিকর দিকে রয়েছে। তাই নিয়মের বাইরে খেলে ক্ষতি হবে এটা জানতে হবে এবং নিয়ম মাওফিক খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শরীরের চাহিদার থেকে বেশি খেলে বিপরীত হবে। আসুন উপকারের পিছনে যে অপকারিতা রয়েছে সেই অপকারিতা গুলো জেনে নেই।
অপকারিতা-
- আনারসে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকায় বেশি খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে।
- যাদের অ্যালার্জি জনিত চুলকানি রয়েছে তাদের আনারসের ক্ষতি হতে পারে। যাদের এলার্জি রয়েছে তারা আনারস খেলে লক্ষ্য করবেন ঠোঁট ফলে যায় এবং গলা খুসখুস করে। এক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট রোগের ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে পারে। তবে খাওয়ার আগে যদি ভালো করে লবণ দিয়ে ধুয়ে নিয়ে খেতে পারেন তাহলে সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
- আনারস ডায়বেটিসের জন্য ক্ষতিকর এতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে আর রক্ত চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় আনারস।
- আনারস বেশি পরিমাণ খেলে এসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে গ্যাস ভাব হয়, পেটে বদহজম হয়।
আনারস খাওয়ার সঠিক সময়
আনারস গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্ম-বর্ষাকালে পাওয়া যায় এই আনারস। আনারস স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। এটি কিডনি রাখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে দাঁতও হাড় গঠনে সাহায্য করে তাই আনারস খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে উপকার। তবে আনারস খাওয়ার সঠিক সময় রয়েছে।
গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় ও আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায় এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আনারস খাওয়ার সঠিক সময়ে জানতে হবে। তা না হলে আপনার শরীরে কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন গ্যাস্ট্রিক বুক জ্বালা পোড়ার সমস্যা হতে পারে। তাই আসুন আনারস খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেই।
আনারস খাওয়ার সঠিক সময় আপনি খাবারের পরে দুই তিন ঘন্টা পরে খেতে পারেন কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে আনারস খেতে পারেন তবে ভরা পেটে খেতে হবে। খালি পেটে খেলে অনেকটা কিসের সমস্যা হতে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি করে। এর ফলে পেটে ডায়রিয়া হতে পারে। রাতে ভরা পেটে আনারস খেলে হজম শক্তি বাড়ায়।
আনারস কাদের খাওয়া উচিত নয়?
আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায়, পাশাপাশি আনারস কাদের খাওয়া উচিত নয় সে বিষয়টিও জেনে রাখতে হবে কারণ যাদের খাওয়া উচিত নয় তারা খেলে আরো শরীরের ক্ষতি দেখা দিবে। তাই আমাদের আগে জানতে হবে কাদের খাওয়া উচিত নয়।
হজমে যারা দুর্বলতাঃ যাদের হজম শক্তি কমহজম কম তাই দুর্বলতা রয়েছে, তারা আনারস খেলে এসিডিটি বুক জ্বালাপোড়া হবে।
যাদের এলার্জি রয়েছেঃ এলার্জি জাতীয় সমস্যা রয়েছে তারা আনারস খেলে চুলকানি গলা খুসখুস ঠোঁট ফুলে যাবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যঃ আনারসে মিষ্টি জাতীয় থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া একদমই ঠিক নয়।
আজকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি, আনারস খাওয়ার উপকারিতা গুলো। অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয় আনারস খাওয়ার কতক্ষণ পর দুধ খাওয়া যায়, আনারস ও দুধ একসাথে খেলে মৃত্যু ঘটে কিনা, বাচ্চাদের আনারস খাওয়ার নিয়ম এ ধরনের প্রশ্ন সমাধান দিয়েছি।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আনারস খাওয়া নিয়ে আজকে ক্লিয়ার হয়েছেন। তাই সবার মনে এ ধরনের কুসংস্কার দূর করতে আর্টিকেলটি তাদের সাথে শেয়ার করে দিন। আর এ ধরনের জ্ঞানমূলক তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। এই ওয়েবসাইটে নতুন নতুন তথ্য পোস্ট করা হয় সবার আগে।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url