চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ - চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় কি জানুন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সময় তুলে ধরেছি। কারন আমাদের অবশ্যই জানা দরকার চোখের ছানি কেন পড়ে। চোখে ছানি পরার লক্ষণ অবশ্যই জানতে হবে যদি চোখ ভালো রাখতে চাই।
চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
এছাড়াও আজকের আর্টিকেলে চোখের যত্নে চোখে ছানি পড়ার কারণ কি, চোখে চোখের ছানি অপারেশন কখন করতে হয়,চোখে ছানি পড়ার দোয়া সমূহ সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি আপনার চোখ ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই এসব জানা দরকার আর জানতে আর্টিকেলটি ভালোভাবে বুঝে পড়ুন।

ভূমিকা

চোখের ছানি সমস্যা অনেক মানুষের দেখা দিচ্ছে। তাই ছানি দূর করার জন্য ঘরোয়া ভাবে সচেতন হতে হবে। চোখের উপর কোন রকমের চাপ দেওয়া যাবে না। চোখের ছনি দূর করতে অপারেশন করে লেন্স লাগালেই ভালো হয়ে যায়।

চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ

চোখে ছানি পড়লে মানুষ ধীরে ধীরে অন্ধত্ব হয়ে যায়। যখন চোখের মধ্যে প্রোটিন গুলো জমার মধ্যে থাকে তখন চোখে ছানি পড়ে। এ কারণে মানুষ চশমা ব্যবহার করে চোখের পাওয়ার বাড়ানোর জন্য। অনেক সময় দূরের জিনিস ঘোলা দেখা যায় আবার অনেক সময় কাছে জিনিস ঘোলা দেখায় কিন্তু জিনিস পরিষ্কার দেখায়। চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ রয়েছে।
আমাদের সকলকে চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ ও চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখতে হবে। যাতে করে আগে থেকেই সচেতন হতে পারি। তাই আপনার চোখে ছানি পড়েছে কিনা আপনি বুঝবেন কি করে, তার জন্য লক্ষণগুলো জানতে হবে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে চোখের ছানি পড়ার লক্ষণ গুলো জেনে নেই।

লক্ষণ
  • আপনার চোখে কুয়াশার মত অস্পষ্ট দেখতে পারবেন।
  • চোখে সরিষার মত কিছু দেখতে পাবেন।
  • কিংবা চোখের সামনে কি যেন ভাসছে এ ধরনের কিছু দেখতে পারবেন।
  • কোন কিছু দেখতে গেলে উজ্জ্বল আলো প্রয়োজন।
  • অনেক সময় দেখা যায় যে চোখে কম দেখেন ওই চোখেই দ্বিগুণ দেখতে পাবেন।
  • ধীরে ধীরে আপনার চোখের কুয়াশা ভাব বেশি হবে।
চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ গুলো আপনি নিজে থেকেই খেয়াল করবেন, যে আপনার চোখে ছানি পড়েছে কিনা। যদি এইসব লক্ষণ গুলো মিলে যায়, তাহলে ভাববেন আপনার চোখের ছানি পড়তে চলেছে। আর ধীরে ধীরে একটি বৃদ্ধি পাবে একটি সময় অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এই চোখের ছানি। তাই যত দ্রুত সম্ভব চোখের ছানির চিকিৎসা করাতে হবে। আর এই জন্য চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা দরকার।

ক্যাটারাক্ট বা চোখে ছানি পড়ার কারণ কি

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় চারার পাশাপাশি চোখের ছানি পড়ার কারণ কি জানতে হবে। চোখের ছানি পড়ার কিছু কারণ রয়েছে। আজকের আসলে আর্টিকেলের মধ্যে চোখের ছানি পড়ার কারণ গুলো আলোচনা করে হয়েছে। আপনি আর্টিকেল থেকে চোখের ছানি পড়ার কিছু কারণ গুলো কি কি জেনে নিতে পারেন।
সাধারণত চোখের ছানি পড়ার কারণের মধ্যে এটি একটি কারণ বয়সের সাথে সাথে চোখের ছানির লক্ষণ টা বেশি দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে চোখের ছানি পড়ার কারণ হতে পারে। যেসব কারণে চোখের ছানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলে সেসব কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
  • উচ্চ রক্তচাপ চোখের ছানি পড়ার কারণ হতে পারে।
  • ইউ ভি বিকিরণ
  • চোখের ছানি পড়া মাত্রই চোখের চিকিৎসা না করার কারণে।
  • অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে চোখের ছানি পড়তে পারে।
  • দীর্ঘমেয়াদি ডায়াবেটিস রোগীদের চোখের ছানি পড়তে পারে।
  • বার্ধক্যের কারণে চোখের ছানি পড়তে পারে।
  • ধূমপান চোখের পানি পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
  • হরমোন জনিত সমস্যার কারণে চোখের ছানি পড়ে।
  • বংশগত কারণ দায়ী হতে পারে।
  • যদি আগের চোখের সার্জারি থাকে।

চোখের ছানি অপারেশন কখন করতে হয়

চোখের ছানি অপারেশন কখন করতে হয়
চোখের ছানি অপারেশন কখন করতে হয়, এটি অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। আপনার যদি চোখের ছানি পড়ে থাকে। তাহলে আপনার চোখ অপারেশনের সঠিক সময় কখন আপনি জেনে না থাকলে বুঝতে পারবেন না আপনার চোখের ছানির সঠিক সময়। আজকালের মধ্যে এই বিষয়টি জেনে নিন আপনার চোখে কখন অপারেশন করবেন।

চোখের ছানি পড়ায় চশমার বারবার পরিবর্তনের পরেও চোখের দৃষ্টি উন্নতি হচ্ছে না। যখন ছানিপড়া মানুষটি অন্যের কাউকে চোখে দেখার পরেও সহজে চিনতে পারেনা সেই চেনা মুখটি। চোখের ছানি পড়ার কারণে যখন রুটিন মাফিক কোন কাজকর্ম করতে গেলে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে তখনই আপনার চোখের পানি পরিপূর্ণভাবে পড়ে গেছে বুঝতে পারবেন।

আর এটাই সঠিক সময় চোখের ছানি অপারেশন করার। প্রথম অবস্থায় চোখের পানি অপারেশন করা যাবে না চোখের উপর যেই ছানির পর্দাটা পড়েছে, সেটা যেন একটু পরিপূর্ণভাবে পড়ে। পর্দা টা পরিপূর্ণ হতে হবে। এতে করে চোখের পানি অপারেশন করা সুবিধা হবে এবং ভালো হবে। যখন এই সমস্যা পরিপূর্ণভাবে হয় চলাচল করতে অনেকটা অসুবিধা মধ্যে পড়ে।

তখন আর বিলম্ব করা যাবে না তাই, এই মুহূর্তে অপারেশন করা জরুরী। তা না হলে চোখ পরিপূর্ণভাবে অন্ধত্ব হতে পারে। নিজেই সচেতন থাকুন চোখের ছানি সম্পর্কে এবং। অপারেশন করার সঠিক সময় সম্পর্কে জেনে রাখুন। বাড়ার সাথে সাথে এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। যে সব কারণে চোখের ছানি পরে ওই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকুন।

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় আমাদের জেনে রাখা উচিত। কেননা আমাদের চলাফেরার গতি ও পুষ্টিকর অভাবের কারণে চোখের ছানি পড়তে পারে। তাই আগে থেকেই যেন চোখের ছানি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে পারি, সেই জন্য চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে হবে। যেসব খাবারে চোখের পানি পড়া থেকে রক্ষা করে সেসব খাবার আমাদের বেশি বেশি খেতে হবে।

চোখের ছানি পরার হাত থেকে বাঁচতে হলে একটু সচেতন হলেই চলবে। এখন বর্তমান সময়ে চোখের ছানি পড়ার থেকে হাত থেকে রক্ষা করছে একটু সচেতনা থাকার কারণে। চোখের ছানি বয়স্ক লোকদের বেশি পরে কেন এই বয়স্ক লোকদের উপর চোখের পানি বেশি পড়ে এ বিষয়টি আমাদের জানতে হবে। আরো জানতে হবে কিসের অভাবে বয়স্ক লোকদের চোখের পানি পড়ে।

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে কোন ভিটামিনের অভাবে চোখের ছানে পড়ে এবং কোন খাবারে চোখের পানি পড়া থেকে রোধ করে। এসব জেনে আমাদের ঘরোয়াভাবে ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়ই যথেষ্ট। অতিরিক্ত যখন চোখের পানি পরিপূর্ণ হয়ে যায়, তখন অপারেশনের মাধ্যমে কৃত্তিম লাগানো হয়।

ভিটামিন সিঃ ভিটামিন সি চোখে ছানি দূর করতে কার্যকরী। চোখের লেন্স ভালো রাখতে ভিটামিন সি বেশি ক্ষমতা রাখে। আপনি যদি চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই ভিটামিন সি ঘাটতে দূর করতে হবে।

ভিটামিন এঃ রাতকানা রোগ থেকে বাঁচতে হলে এ যুক্ত খাবার খেতে হবে।কাঁচা শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এর উৎস রয়েছে। ভিটামিন এ সানি পরার হাত থেকে রক্ষা করে।

ফলমূলঃ চোখের ছানি দূর করতে ঘরোয়া ভাবে আপনি বেশি বেশি ফলমূল খান। ফলমূলের মধ্যে সব ধরনের ভিটামিনযুক্ত রয়েছে। তাই ভিটামিন সি জাতীয় ফলমূল ভিটামিন এ জাতীয় ফল এইসব খাবার বেশি বেশি খেতে থাকেন যেমন পেয়ারা, জাম, পেঁপে, বেরি, ড্রাগন জাতীয় ফলমূল খেতে হবে।

গ্রিন টিঃ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গ্রিন টি কার্যকরী। গ্রিন টিতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের লেন্স ভালো রাখতে সাহায্য করে।

রসুনঃ চোখের পানি পড়া দূর করতে রসুন অত্যন্ত কার্যকরী। খাবারের সাথে রসুন খাওয়া ভালো। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি রসুন কোয়া কাঁচা খেতে পারেন।

দুধঃ দুধ চোখের ছানি দূর করতে এছাড়াও চোখের বিভিন্ন জ্বালা পোড়া চোখে পানি পড়া থেকে দুধ অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও দুধের সর চোখের পাতায় লাগালে চোখের সমস্যা সমাধান পায়।

কাজুবাদামঃ চোখের পানি দূর করতে কাজুবাদাম উপকারী তাই কাজুবাদাম আপনি সারারাত ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন আপনি চাইলে এটি দুধের সাথেও পাতলা করে যান দিয়ে খেতে পারেন।


সবুজ শাকসবজিঃ চোখে ছানি পড়া রোধ করতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন। এতে চোখের ছানি পড়ার হাত থেকে সহজে ভাবতে পারেন।

গাজরঃ গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন। তাই এইসব সবজি চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর করে।

মধুঃ চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে মধু উপকারী মধুতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার।

ফাইবারঃ প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে যার চোখের এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকার।

চোখের ছানি দূর করার দোয়া

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়জানার পাশাপাশি দোয়ার মাধ্যমে ছানি দূর করুন। মানুষ নিজেকে যতটা ভালোবাসে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের তার থেকে বেশি ভালোবাসসে। মহান আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি পরম যত্নশীল। দুনিয়াতে যাহা কিছু সৃষ্টি করেছেন সকল কিছুই বান্দাদের উপকারের জন্য সৃষ্টি করেছেন। শারীরিক সুস্থতা এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে।

চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে দোয়া

আমাদের প্রতিটি অঙ্গই সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চোখ, কান এবং অন্তর ও বীর্যের হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করার জন্য  হাদীস শরীফে দোয়া রয়েছে।

দোয়াটি হল- اللهم اني اعوذ بك من شر شامي ومن شر بصري ومن شر لساني ومن شر قلبي وماني


উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন শাররি লিসানি, ওয়া মিন শাররি ক্বলবি, ওয়া মানিয়্যি।

অর্থাৎঃ- হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার কানের অপকারিতা চোখের অপকারিতা জবানের অপকারিতা অন্তরের অপকারিতা ও বীর্যের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার: ১৫৫১)

আমাদের নানা কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। তাই দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে হাদীস শরীফ অনুযায়ী দোয়া পড়তে পারেন। সকল ধরনের চোখের সমস্যা এবং চোখের অপকারিতা হতে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে চোখের হেফাজতের জন্য।যারা চোখের অসুস্থতায় ভুগছেন তারা চোখের সুস্থতা দানের জন্য আল্লাহর কাছে এই দোয়াটুকু করতে পারেন।

দোয়াটি হল- اللهم اني اعوذ بك من شر بشري

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি।

অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখে অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।

চোখের ছানি দূর করার ড্রপের ব্যবহার

চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে চোখের সাথে দূর করতে পারিনি। চোখের ছানির জন্য আর সার্জারি না করে ড্রপের মাধ্যমে চোখের ছানি দূর করা যায়। আমরা বিভিন্ন সময়ে চোখের সমস্যায় ভুগি আর এই সেই সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে চোখের জন্য আই ড্রপ ব্যবহার করি। প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে যদি চোখের পানি বুঝতে পারেন তাহলে আই ড্রপের মাধ্যমে ছেড়ে চলে যায় এখানে সার্জারির কোন প্রয়োজন হয় না।

চোখে ছানি কয়েক ধরনের হতে পারে। সাধারণত চোখের ছানি পড়ে থাকে বয়স যখন বেশি হতে থাকে। আবার গবেষণায় জানানো হয়েছে, জন্মগত ভাবেও চোখের ছানি পড়ে থাকে যেটা ট্রমা রেডিয়েশন জন্মগত কারণে হয়ে থাকে। তাই এসব চোখের জন্য লেন্স লাগাতে সার্জারি করা হয়। তবে এখনো সার্জারি করলে নিরাপদে বেশি থাকে।

আবার একটা পর্যায়ে চলে যায় সেটা সার্জারি আর করা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে ড্রপ ব্যবহার করা হয়। আবার অনেক সময় অর্থগত কারণে কিংবা স্বাস্থ্যগত কারণেও অপারেশন বা সার্জারি করা থেকে বিরত থাকে। তাই সার্জারির বিকল্প বের করতে গবেষকরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আই ড্রপ ব্যবহার করার মাধ্যমে চোখের ছানি দূর করার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

অল্প বয়স্ক দের যখন চোখের ছানির লক্ষণ দেখা দেয় তাদের জন্য আই ড্রপ ব্যবহার করতে বলে। চোখ পরিষ্কার করতে আই ড্রপ ব্যবহার করা হয় তবে অস্ত্রপাচার চোখের ছানি দূর করতে বিকল্প নেই।

অপারেশন ছাড়া চোখের ছানি

অপারেশন ছাড়া চোখের ছানি
অপারেশন ছাড়া চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় রয়েছে। আপনি প্রাথমিক পর্যায়ে চোখের ছানি পড়তে শুরু করলে তখন থেকেই আপনি সচেতন হয়ে যান এবং ঘরোয়া ভাবে ট্রিটমেন্ট দিতে শুরু করুন। পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়ার পাশাপাশি যেসব খাবারে চোখের জ্যোতি বাড়ায় সেইসব খাবার আপনি খাবার তালিকায় রাখুন এবং নিয়ম করে খান।

চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই বেশি বেশি শাক সবজি, বেশি বেশি ভিটামিন সি ভিটামিন এ ঘাটতি পূরণ করুন। চোখের পানি দূর করতে পুষ্টিকর খাদ্য ও ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাওয়ার মাঝেই চোখের ছানি দূর করা যায়। তাই চোখের ছানি দূর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই চোখে ছানি পড়ার লক্ষণগুলো জেনে রাখতে হবে। তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার চোখে ছানি পড়ছে।

এ অবস্থায় থেকে আপনি অপারেশন ছাড়াই চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় ভাবে দূর করতে পারেন। তার জন্য আপনাকে চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ জানতে হবে ও নিয়ম গুলো ঠিকঠাক মতো পালন করে চলতে হবে, তাহলে চোখের পানি পাওয়া যাবে।

চোখের ছানি কি

চোখের ছানি কি? এই সানি শব্দটির আরেক নাম যেটা ক্যাটারাক্ট নামটি শব্দ থেকে এসেছে। যখন চোখের ভিতরে কঠিন জমা হয় তখন একটি সাদা ঘোলাটে স্পষ্ট রেখা পড়ে। আর এই সাদারেখাটি চোখের দৃষ্টিকে বিভ্রান্ত করে। সাদা রেখাটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত চিকিৎসা না করলে আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়। 

আজকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আর্টিকেলের মধ্যে চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সমূহ আলোচনা করেছি এবং চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ, চোখে ছানি পড়ার কারণ কি, এবং চোখে ছানি পড়ার দোয়া সমূহ তুলে ধরেছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন। তারাও যেন চোখের এই ছানি পড়া থেকে সচেতন হতে পারে আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে। নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url