ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা - ছাগলের বাচ্চার আমাশয় চিকিৎসা সর্ম্পকে জানুন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও ছাগলের বাচ্চার আমাশয় চিকিৎসা তুলে ধরেছি। কারণ এখন বর্ষাকাল এই সময়ে ছাগল এবং বাচ্চার দুটোরই পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। ছাগল পালনে ছাগলের পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা ঔষধ জানা উচিত।
এছাড়াও ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানার ঔষধ, ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয় ও ঘরোয়া উপায়, ছাগলের হজম শক্তির ঔষধ গুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি ছাগল পালন করতে চান, অবশ্যই এই বিষয়গুলো জেনে রাখলে আপনার খরচ কম হবে। আর জানতে হলে আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ে আসুন।
ভূমিকা
ছাগলের বড় সমস্যা হচ্ছে পাতলা পায়খানা পাতলা পায়খানা হলে ছাগল সহজে বাঁচতে চায় না যদি পাতলা পায়খানা অতিরিক্ত হয়ে যায়। তাই পাতলা পায়খানা হওয়ার সাথে সাথে ছাগলকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে হবে। বর্ষার সময়ে ছাগল বেশি রোগাক্রান্ত হয়। তাই এই সময়ে ছাগলকে খাবার দাবার নিয়ম মেনে খাওয়াতে হবে।
ছাগলের পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা ঔষধ
এখন বর্ষাকালের সময় আর এই সময়ে ছাগল নানান রোগে আক্রান্ত হয়। বর্ষা সময়ে একটানা ৩-৪ দিন ধরে অঝোরে বৃষ্টি পড়ে থাকে। এ সময়ে ছাগলকে গাছের পাতা দানাদার খাদ্য এটা সেটা খাওয়ানো হয়ে থাকে। ফলে একসময় ছাগলের বদ হজম থেকে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। আর এই পাতলা পায়খানা ভালো করার জন্য আমাদের ঘরোয়া উপায় জানা দরকার।
ছাগলের বদহজম ও পাতলা পায়খানা দেখা মাত্রই ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে পারেন। এতে করে অল্পতেই আপনার খামারের ছাগল সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ভাবে আগে থেকেই ছাগলকে ছাগলের পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা ঔষধ নিজেই তৈরি করে খাওয়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আগে ঘরোয়া ওষুধ গুলো কিভাবে তৈরি করতে হয় তা অবশ্যই জানতে হবে।
জিগা গাছের ছালঃ ছাগলের পাতলা পায়খানা হলে জিগা গাছের ছাল রস করে খাওয়ালে ভালো হয়ে যায়। ছাগলকে জিগা গাছের রস করে তরল খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। দিনে দুইবার করে খাওয়াবেন। জিগার ছাল পাতলা পায়খানা ভালো হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী ওষুধ।
ডালিম গাছের শিকড়ের রসঃ ডালিম গাছের শিকড় থেতলে করে রস বের করে সেই রস পাতলা পায়খানা হওয়া ছাগলকে খাইয়ে দিন। দিনে দুইবার করে খাওয়াবেন সকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার এভাবে দু-তিন দিন খাওয়ালেই আপনার ছাগলের পাতলা পায়খানা ঘরোয়া ভাবে দূর করা যাবে।
চা পাতার লিগারঃ আমরা ঘরোয়া ভাবে চা তৈরি করে খেয়ে থাকি। তাই আমাদের সবার বাড়িতে চা পাতা রয়েছে আশা করি। আপনার খাবারের ছাগল যদি পাতলা পায়খানা করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চা পাতার লিগার ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাবারের সঙ্গে খাইয়ে দিতে পারেন এতে করে দ্রুত আপনার ছাগলের পাতলা পায়খানা কমে যাবে।
এভাবে কয়েকবার খাওয়াতে থাকেন দ্রুত পাতলা পায়খানা দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। আপনার এখানে দূর করতে গরু ছাগল হাঁস মুরগি সব ক্ষেত্রেই উপকার আসে। এমনকি মানুষেরও চা খেলে পাতলা পায়খানার এই সমস্যা দূর হয়।
ছাগলের পাতলা পায়খানার ঔষধ
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ছাগলের পাতলা পায়খানার ঔষধ এলোপ্যাথিক খাইয়ে দ্রুত পাতলা পায়খানা ভালো করতে চায়। অনেকেই বুঝতে পারেনা যে ছাগলের এই সময়ে পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে অবহেলা করে ফেলে রাখলে একটা সময় বেশি হয়ে পাতলা পায়খানা শুরু হতে পারে।
এক্ষেত্রে ছাগল দ্রুত অসুস্থ হয়ে যায়। পাতলা পায়খানা হলে পানি শূন্যতা হয়ে পড়ে এতে ছাগল বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। সেক্ষেত্রে তারা ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার না করে এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ায় যাতে করে দ্রুত ভালো হয়ে যায়। ছাগল যেন পাতলা পায়খানা হয়ে মারাত্মক না হয় তার জন্য লক্ষণগুলো জানতে হবে। এ লক্ষণ গুলো জানা থাকলে বুঝতে পারবে ছাগলের পাতলা পায়খানা হয়েছে।
লক্ষণসমূহঃ
- প্রথমে ছাগল পেট ভারি ভারি থাকবে।
- কোন কোন ছাগল নরম পায়খানা করতে পারে।
- খাওয়ার রুচি কমে যাবে।
- ছাগল পানির মতো পাতলা পায়খানা করবে।
- মল দ্বারা দুর্গন্ধ বের হবে।
- তারপর ধীরে ধীরে সে মল লেজে এবং পায়ুপথের পাশ দিয়ে লোমগুলো ভিজে যাবে।
- খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিবে।
- জাবার কাটানো বন্ধ করে দিবে এবং
- একটা সময় ছাগল আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না দুর্বল হয়ে পড়বে।
ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানার ঔষধঃ এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ করে। আপনার ছাগল যদি এরকম দুর্বল অবস্থায় পড়ে থাকে তাহলে আপনি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ দিবেন এবং সেই অনুযায়ী ছাগলকে চিকিৎসা দেবেন। তবে এলোপ্যাথিক ঔষধ এর মধ্যে বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে থাকে তাই ওষুধটি দিবে ছাগলের অবস্থা দেখে সে ওষুধটি খাওয়ানো উচিত।
দেখে নেয়া যাক, কোন কোন কোম্পানির ওষুধ খাওয়ানো যায়। অবশ্যই ঔষধ ব্যবহার বিধি জেনে ছাগলকে খাওয়াবেন। তা না হলে হিতে বিপরীত হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াবেন এবং ওষুধের খাওয়ানোর নিয়ম কানুন গুলো জেনে নিবেন।
Stresskill (স্কয়ার কোম্পানি)- এক লিটার পানির সঙ্গে এক গ্রাম পরিমাণ ঔষধ মিশিয়ে ছাগলকে খাইয়ে দিন।
অথবা Glucolyle 20gm (একমি কোম্পানি) - এক গ্রাম পরিমাণ ঔষধ এর সাথে এক লিটার পানি মিশিয়ে ছাগলকে খেতে দিন।
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং ছাগলের পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসা ঔষধ একইভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে ছাগলের আমাশায় রোগের ক্ষেত্রে একটি সময় বেশি লাগবে কারণ পাতলা পায়খানা থেকেই ধীরে ধীরে আমাশায় সাথে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে সেই ঘরোয়া ট্রিটমেন্টগুলো একটু বেশি দিন দিতে হবে।
জিগার ছালঃ জিগার ছাল অনেক বেশি কার্যকারি একটি ওষুধ। দিনে দুই বেলা করে কয়েকদিন এভাবে খাওয়াতে থাকুন নিয়মিত আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে ছাগলের আমাশায়। তবে ধৈর্য ধরতে হবে খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ভালো হবে না।
চা পাতাঃ আমাশা ভালো করতে চা পাতা খুবই উপকারী আপনার ছাগলের পাতলা পায়খানা হওয়ার পরে যদি আমাশায় হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে চা পাতা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সে পানিটুকু খাওয়াতে পারেন কিংবা চা পাতার লিগার খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন দুটোই।
ডালিম গাছের শিকড় বা পাতাঃ ডালিম গাছে শিকড় বা পাতা থেতলে করে রস ছাগলকে খাইয়ে দিন এভাবে দুই বেলা করে কয়েকদিন খাওয়ান দেখবেন ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে আপনার ছাগলের আমাশায় ভালো হয়ে গেছে।
আরো কিছু ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
- পাশাপাশি ছাগলকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখতে হবে,
- পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে,
- বাঁশি পচা গলা খাবার ছাগলকে দেওয়া যাবে না।
- এ সময় ছাগলকে দানাদার যুক্ত খাবার খাওয়ানো যাবে না,
- শুধু টাটকা ঘাস খাওয়াতে হবে।
ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানার ঔষধ
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানার ঔষধ হিসেবে দেওয়া যাবে না। কেননা ছাগলের এই ছোট বাচ্চাকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পায়খানা দূর করা সম্ভব নয়। ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে ছাগলের বাচ্চাকে খাওয়ালে ছাগলের বাচ্চা এমনিতেই মারা যাবে। কারণ এইসব গাছ গাছড়ার ঔষধ ছাগলের বাচ্চার নাড়িতে সহ্য হবে না।
তাই ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা দূর করতে ডাক্তারের চিকিৎসা নিন এবং ডাক্তারের চিকিৎসা অনুযায়ী বাচ্চাকে পাতলা পায়খানা সাড়িয়ে তুলুন। ডাক্তার ছোট বাচ্চাকে সিরাপ খাওয়াতে দিবে। এবং ছোট বাচ্চাকে খাওয়ানোর নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাকে খাওয়ান। তাহলে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে ছাগলের বাচ্চা।
ঔষধ হিসেবে একটি সিরাপ ছাগলের বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন আর সেটি হল Amodis সিরাপ। এই সিরাপটি ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা দূর করতে সাহায্য করবে। Amodis সিরাপটি দিনে দুই বেলা ৫ মিলি করে খাইয়ে দিন। দেখবেন দিনশেষে অনেকটা পাতলা পায়খানা কমে গেছে ছাগলের বাচ্চা দুই দিনের মধ্যে বাচ্চা সুস্থ হয়ে যাবে।
ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
অনেক সময় ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। ছাগলের বাচ্চা প্রথম যখন ঘাস খেতে শিখে তখন টুকটাক ঘাস পাতা খাওয়ার সাথে সাথে মাটি মুখে দেয়,হাবিজাবি মুখে দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে বাচ্চার পেটে নোংরা গিয়ে পেটের সমস্যা হয়ে যায়।আবার দেখা যায় ছাগলের বাচ্চা হওয়ার পর পরই এক এক সপ্তাহের মধ্যে ছাগলের পাতলা পায়খানা হয়ে যায়।
অনেকেই জানেনা ছাগলের এই ছোট্ট বাচ্চার পাতলা পায়খানা কমানোর ওষুধ কি। ভুলভাল চিকিৎসা দেয়ার কারণেই বাচ্চাগুলো ছোট অবস্থায় মারা যায়। এই ছোট ছাগলের বাচ্চাকে তেমন ঘরোয়া ওষুধগুলোও খাওয়ানো যায় না কারণ এই সময়ে গাছের ছালের রস, পাতার রস খাওয়ালে, এতে ছাগলের বাচ্চার ছোট নাড়িতে সহ্য করতে পারে না।
যার কারণে বাচ্চা মারা যায়। তাহলে এই ছোট বাচ্চাকে কিভাবে পাতলা পায়খানা দূর করাবেন? ঘরোয়া চিকিৎসা নাকি ডাক্তারি চিকিৎসা দিবেন। অবশ্যই ডাক্তারি চিকিৎসা দিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম ডাক্তারের দেয়া অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। আসুন জেনে নেই বাচ্চাদের পাতলা পায়খানার একটি ওষুধের নাম।
Amodis সিরাপঃ এই সিরাপ দিয়ে ছোট বাচ্চা অর্থাৎ এক সপ্তাহ বয়স থেকে এক থেকে দুই মাস বয়সের বাচ্চাকে খাওয়াতে পারবেন। অবশ্যই খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাকে খাওয়ান দেখবেন একদিনের মধ্যেই বাচ্চা অনেকটা সুস্থ এবং দুই দিনের মধ্যে বাচ্চা পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
খাওয়ানোর নিয়মঃ Amodis সিরাপের ভেতরে একটি গ্লাস আছে সেই ক্লাসের প্রথম পাঁচ মিলিতে একটা দাগ দেওয়া রয়েছে সেই দাগ অনুযায়ী পাঁচ মিলি করে দিনে দুই বেলা খাইয়ে দিন। অথবা চা চামচের এক চামচ করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। খাওয়ানোর সময় অবশ্যই ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর ড্রপ ব্যবহার করবেন।
মনে রাখবেন গরু ছাগল তরল জাতীয় খাবার শ্বাসনালীতে ঢুকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। খাওনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনভাবেই শ্বাসনালীতে না যায়। ড্রপ গলার মধ্যে ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে ওষুধ ছেড়ে দিবেন এভাবে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাবে।
ছাগলের বাচ্চার আমাশয় চিকিৎসা
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি ছাগলের বাচ্চার আমাশয় চিকিৎসা ঘরোয়া ভাবে দেওয়া কোন ভাবে যাবে না। কারণ ছাগলের বাচ্চা অনেক ছোট। হ্যাঁ যাবে যদি ছাগলের বাচ্চা অনেকটা বড় হয়ে যায়, যেমন পাঁচ মাস বয়সের পরে ছাগলের বাচ্চাকে ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যাবে। একদম ছোট অবস্থায় ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দেওয়া যাবে না।
ছাগলের বাচ্চার আমাশায় চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং ডাক্তার ছাগলের বাচ্চার বয়স অনুযায়ী সিরাপ খাওয়াতে বলবে। একদম ছোট অবস্থায় ছাগলের বাচ্চাকে ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না। যদি খাওয়ানো যায় সেটা পানিতে গুলিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। তবে বাচ্চাকে সিরাপ খাওয়ানোই উত্তম।
ট্যাবলেট কতটুকু পানিতে খাওয়াতে হবে সেসব উল্লেখ থাকে না সে ক্ষেত্রেবাচ্চার অতিরিক্ত খাওয়ানো হয়ে গেলে বাচ্চার ক্ষতি হবে তার নাড়িতে ধরে যাবে এবং বাচ্চা মারা যাবে। পাতলা পায়খানার জন্য যে সিরাপ খাওয়ানো হয় সেই সিরাপের গায়ে লেখা থাকে এবং ছোট্ট একটি গ্লাস কিংবা চামচ থাকে সেখানে মিলি হিসেবে উল্লেখ থাকে। এবং বয়স অনুযায়ী কতটুকু খাওয়াতে হবে তাও উল্লেখ থাকে।
ঘরোয়া উপায় ছাগলের হজম শক্তির ঔষধ
ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জানার পাশাপাশি ছাগলের হজম শক্তির ওষুধ কিভাবে ঘরোয়া উপায় ঔষধ তৈরি করবেন। এই সময়ে অর্থাৎ বর্ষাকালে ছাগলের হজমের সমস্যা দেখা যায়। কারণ বৃষ্টির কারণেকাঁচা ঘাস তেমন খাতে না পারায় ছাগলকে শুকনো দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়। অনেক সময় হাজার সমস্যা হয়ে যায়। পাতলা পায়খানা শুরু হওয়ার আগেই হজম শক্তির ওষুধ খাওয়াবেন।
এবং হজমের সমস্যা থেকে একসময় পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে যায়। তাই প্রথমেই ছাগলকে হজমের শক্তির ঔষধ খাওয়াতে পারেন। আর এই হজম শক্তির ঔষধ ডাক্তারের কাছে না গিয়েই ঘরোয়া ভাবে তৈরি করতে পারেন। আসুন জেনে নেই ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জানার পাশাপাশি কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ছাগলের হজম শক্তির ওষুধ তৈরি করা যায়। তার জন্য কয়েকটি উপকরণ নিতে হবে এবং এই উপকরণগুলো সাধারণত আমাদের ঘরে রয়েছ
- গোয়ামুরি
- জায়ৈন
- আদা
- মেথি
প্রণালীঃ এই সবগুলো উপকরণ সুন্দর করে রোদে শুকিয়ে নিয়ে পাটায় বেটে গুড়া করে রেখে দিন। ছাগলের হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য ছাগলকে মাঝে মধ্যে এই উপকরণটি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ান। তা না হলে হঠাৎ করে হজম শক্তির সমস্যা হবে আর একটা সময় পাতলা পায়খানা শুরু হবে। তাই নিজে তৈরি করা পদ্ধতিতে ছাগলকে সুস্থ রাখুন। যখন হজমের সমস্যা হয় তখন ছাগলকে দিনে দুই বেলা খাবারের সাথে খাওয়ান।
আজকের শেষ কথা
কেউ পাঠক,প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, এতক্ষণ আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। কি হইছে বুঝতে পেরেছেন ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসাএবং ছাগলের বাচ্চার আমাশায় চিকিৎসা সম্পর্কে। আপনার বাড়িতে যদি ছাগল থেকে থাকে কিংবা আপনার খাবার থাকে তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেকটা কাজে লাগবে।
আর্টিকেলটি পড়ে যদি ভালো লাগে অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। তারাও যেন ছাগল পালনের ক্ষেত্রে ছাগলের আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা করতে পারে। আর পাশাপাশি ছাগলের বাচ্চার আমাশায় চিকিৎসা সঠিকভাবে দিতে পারে। এ ধরনের নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য পোস্ট করা হয়।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url