রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ ও রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণসমূহ তুলে ধরেছি।
রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ
এছাড়াও আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি,রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা,কোলেস্টেরল কমানোর ব্যায়াম,রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কি হয় ও দ্রুত কোলেস্টেরল কমানোর উপায় সমূহ। বিস্তারিত জানতে চাইলে আর্টিকেলটি সুন্দরভাবে পড়ে আসতে পারেন, তাহলে বুঝতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের হার্টস্টক, ব্রেনস্টক, এবং হাই প্রেসার হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। তার কারণ হলো আমাদের অনিয়ম হয়ে চলাচলের কারণে। আমরা ভজন বিলাসী যার জন্য খাবার বেশি পছন্দ করি অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আর যার কারণেই আজকে হার্টস্টোক, ব্রেনস্টোক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষ হার্ট এটাক করে বা মস্তিষ্কে করে স্ট্রোক করার ঝুঁকি বেড়ে যায়।নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যদি আপনার কোলেস্ট্ররলে এর মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে ওষুধ সেবন করতে হবে। কোলেস্টেরেল রক্তে বৃদ্ধির বিভিন্ন কারণ থাকে। যেমন এর কারণে জীবন যাপনের ধরন পাল্টে যায়, হাই প্রেসার হৃদরোগ ঝুঁকি বেশি হয়। যেমন-
  • অনেক সময় ডায়াবেটিস এর কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • আবার থাইরয়েডের সমস্যা হলে হরমোনের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
  • অনেক সময় বংশগত কারণেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে।
  • অনিয়মিত খাদ্যবাসের কারণে কোলেস্টরেলর মাত্র বেড়ে যায়।
  • বসে থাকা কাজ বেশি করলে ব্যায়াম না করাই অতিরিক্ত চর্বি মেদ জমে যায় এতে রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ে।

কোলেস্ট্রলের মাত্রা কমানোর ওষুধ কত দিন খেতে হবে

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমানোর জন্য কত দিন পর্যন্ত ওষুধ খাওয়া লাগে। যেসব কারণে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে গেছে যেমন কিছু খাবার চলাফেরার ধরন সেইসব জিনিসগুলো সারা জীবনের জন্য মেনে চলতে হবে যেমন নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে খাবারের চর্বি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলতে হবে এটা আপনি আপনার জীবনের প্রতিদিনই করতে হবে।
ওষুধ সেবন করা লাগবে তার পাশাপাশি তবে কতদিন করা লাগবে সেটাও জেনে নিন। রক্ত পরীক্ষা করে দেখে যদি বুঝতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে, তখন তার জন্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওষুধ লিখে দেয়। এবং মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ আসছে কিনা। যদি নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে ওষুধ সেবন করা বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি আপনাকে নিয়ম মেনে চলতে হবে খাবারদাবার ব্যায়াম এইসব।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ঔষধ কেন খাব

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে ওষুধ কেন খাব? অবশ্যই জানতে হবে। কারণ আপনার যদি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনার রক্ত চলাচল বাধা সৃষ্টি করে, রক্তের ভিতর চর্বি জমে যায় এবং রক্তনালীতে ব্লক করে ফেলে। ফলে রক্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয় না। আর তখনই হার্ট অ্যাটাক করে মস্তিষ্কে স্ট্রোক করে কারণ কারো কারো মস্তিষ্কে স্ট্রোক করার কারণ হচ্ছে, মস্তিষ্কে কোন রকমের ভেতরে কাজ করে না। মাথার মধ্যে চাপ সৃষ্টি হয় তখনই স্টক হয়ে যায়।
তাই ক্লোরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে।সেই ওষুধ খেতে হবে শুধু নিয়ম মেনে চললে হবে না প্রথম অবস্থায় আপনাকে ওষুধ খেয়ে কমিয়ে আনতে হবে মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এরপর আপনি ধীরে ধীরে ওষুধ খাওয়া বাদ দিলে হবে কিন্তু মাঝেমধ্যে আপনাকে চেকআপে থাকতে হবে। নিয়ন্ত্রণ ঠিক আছে কিনা জানার জন্য।

কলেস্টরেল কি

কোলেস্টেরল হচ্ছে মানুষের শরীরে রক্তে প্রোটিনের সঙ্গে লিপোপ্রোটিন তৈরি করে রক্ত প্রবাহিত হয়। অতিরিক্ত কোলেস্টরেলের মাত্রা হেরে গেলে সেসব মানুষের যখন তখন স্টক হতে পারে। রক্তের ভিতর চর্বি জমে যায় রক্তনালীতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। কোলেস্টরেল দুই ধরনের একটি হচ্ছে এলডিএল, অন্যটি হচ্ছে এইচডিএল।
  • এলডিএল রক্তে লাইপোপ্রোটিন জমা হয়ে রক্ত নালীতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে ফলে রক্তনালীকে সংকুচিত করে ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

  • এইচডিএল রক্তে লিপোপ্রোটিন অর্থাৎ ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হলে হাই কোলেস্টেরল হয় আর এতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি হয়।

কোলেস্টেরল কেন হয়

রক্তে কোলেস্টেরল কেন হয় অবশ্যই আমাদের জানতে হবে এবং কারণগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব। রাখতে ইনসুলিন নামক হরমোন বেড়ে গেলে যক্তৃকে উত্তেজনা করেকোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। রক্তের শর্করা মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে মানুষের দেহের ভিতর রক্ত চলাচল করতে বাধা সৃষ্টি করে রক্তের মধ্যে চর্বি জমায় এবং রক্তনালীতে শেষ পর্যায়ে ব্লক তৈরি করে রক্ত চলেছে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় তখন মানুষের স্ট্রোক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ

আপনার যখন কোলেস্ট্ররল বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার যদি রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো জানা থাকে তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেছে। সহজেই লক্ষণগুলো দেখে বুঝতে পারবেন সমস্যা। তাই আসুন জেনে নেই কি কি শারীরিক কি কি সমস্যা হলে কোলেস্টরেল বৃদ্ধি পেয়েছে ও জানা থাকলে শারীরিক সমস্যাগুলো রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ সহজে ধরে নিতে পারবেন।
রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। কারন কোলেস্টরেল বৃদ্ধি পেলে আপনার শরীরের কিছু পরিবর্তন ঘটবে। যেমন অতিরিক্ত ঘেমে যাবেন, অল্পতেই ক্লান্তি চলে আসবে, ক্ষুধা কমে আসবে, প্রেসার হাই হয়ে যাবে, এবং চোখের নিচে ও উপরে হলুদ রঙের চর্বি জমবে।

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে এবং কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে খাদ্যভাস পরিবর্তন জরুরি। রক্তে ক্লোস্টরেল কমানোর খাদ্য তালিকা রাখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী নিয়ম করে খেতে হবে। কোন কোন খাবার খেলে কোলেস্টেরলের কমে যায় সেইসব খাবার অবশ্যই জানতে হবে এবং কি পরিমান খেতে হবে সেটাও দেখে নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে। আসুন নিচের তালিকায় জেনে নেই কোলেস্টেরল কামানোর খাদ্য তালিকা-

কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব

রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে এবং পাশাপাশি আশঁ জাতীয় খাবার যেমন- ওমেগা-৩, শাকসবজি, সাজনা ডাটা, ডাটা, শসা,মটরশুঁটি, ওটস,বাদাম, আপেল,জলপাইত তেল ঢেঁকি ছাটা চাল,লালাি আটা,মুরগির মাংস কবুতরের মাংস খেতে থাকুন।

কোলেস্টেরল কমাতে কি খাব না

মাছ, মাংস, ডিম -খাসির মাংস গরুর মাংস, হাসের ডিম, বড় চিংড়ি চর্বি জাতীয় খাবার বাদ রাখতে হবে। মসলাযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত তৈল যুক্ত খাবার, তরকারির সাথে ঝাল, তেল কোনটাই বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না।

কোলেস্টেরল কমানোর পাঁচটি ব্যায়াম

হাঁটাঃ কোলেস্ট্রল কমানোর ব্যায়াম প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এতে ঘাম ঝরে রক্ত থেকে কোলেস্টেরল কমাবে। প্রতিদিন না পারলেও সাবধানে অন্তত ৫ দিন করতে হবে।

যোগসানঃ নিয়মিত যোগসান করলে কোলেস্টেরল কমে যায়। যোগসান ব্যাগটি হল প্রথমে আপনি চিৎ হয়ে শুবেন এরপর দুই পা উপরের দিকে তুলে দিবেন এবং শুয়ে থাকা অবস্থায় দুই হাতের তালু দিয়ে ভর করে কোমর উচু করার চেষ্টা করুন,ধীরে ধীরে আপনি পুরো বডি সম্পূর্ণ উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করবেন। এভাবে ১০ সেকেন্ড ধরে থাকুন।

সাইকেল চালানঃ ছেলে মানুষগুলো বাইসাইকেল চালাতে পারেন এতে শরীর মন দুটি ভালো থাকবে আর কোলেস্ট্রল কমানোর জন্য শরীর মন ভালো রাখার জরুরি।

জগিংঃ জগিং নিয়মিত জিগিং করলে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শরীর থেকে ঘা ছাড়া নাই একমাত্র লক্ষণ।

সাঁতার কাটাঃ নদীতে বা পুকুরে গোসলের আগে নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারেন।

দ্রুত কোলেস্টেরল কমানোর উপায়

দ্রুত কোলেস্টরেল কমানোর উপায় জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে করতে থাকুন। কিছু নিয়ম অবশ্যই পালন করলে কোলেস্টরেল দ্রুত কমে যাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তার জন্য আপনাকে সমস্ত নিয়ম গুলো ফলো রাখতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে।

যেসব খাবারে কোলেস্টেরল কমিয়ে আনে সেসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। বেশি মাত্রায় কোলেস্টরেল বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম অবশ্যই করতে হবে এবং প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট করে লাভ করতে হবে। উপরের দেওয়া রয়েছে যেসব ব্যায়ামগুলো অবশ্যই সেসব ব্যায়াম গুলো হবে। কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে ব্যায়াম সবচেয়ে উপকারে আসে।

রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কি হয়

আপনার শরীরে যখন অস্বাভাবিক কিছু ঘটবে তখন শরীরে নানা রোগের বাসা বাঁধবে। তেমনি আপনার শরীরে বিভিন্ন স্থানে রক্ত চলাচল করে,রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে যায়। আর রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কি হয় অবশ্যই জেনে রাখতে হবে এবং রক্তে কোলেস্টরেল যেন বেড়ে না যায় সেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে। আসুন জেনে নেই রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কি হয় জেনে নেই।

যখন আপনার শরীরে রক্ত চলেছিল বাধা সৃষ্টি করবে তখন শরীরে অন্যান্য অংশে রক্ত পৌঁছাতে পারবে না তখনই আপনার অস্বাভাবিক কিছু হতে থাকবে। অতিরিক্ত ঘাম আসবে, ক্লান্ত মনে হবে, এবং হাই প্রেসার হয়ে যাবে। একটা সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে ধমনীতে রক্তনালী যে রাস্তা রয়েছে সেটা ব্লক হয়ে যাবে আর ব্লক হয়ে গেলে মানুষ হার্টস্টক করে।

আবার মস্তিষ্কে স্টোক করে। এর ফলে অনেকের সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়াই মৃত্যু ঘটতে পারে কিংবা এক সাইড পড়ে যেতে পারে। প্যারালাইসিস হতে পারে। তাই কোলের স্তনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অবশ্যই জরুরী।

আজকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আমরা জানলাম,রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন ও রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কি হয় সেই সব বিষয়ে আরো জানলাম, রক্তে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা ও রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ গুলো। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছেন। অপরের দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে চললে আশা করি সুস্থ থাকবেন।

আর্টিকেলটি অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন তারা যেন এই রক্তের কোলেস্টেরলল এর সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারে। আর ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করুন পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো সহজে পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url