গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও গর্ভবতী গরুর ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি, গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং গর্ভবতী গরুর ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে। কারণ এই সময় বর্ষাকাল তাই এই রোগ বালাই বেশি দেখা দেয়। তাই মানুষ আগে থেকেই গরুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
এছাড়াও আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি, গরুর পায়ে ঘা শুকানোর ঔষধ ও গরুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ,গরুর ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিনসহ আরো বিস্তারিত অনেক কিছু তুলে ধরেছি। তাই জানতে চাইলে আর্টিকেলটি বুঝে পড়ুন, আশা করি বুঝতে পারবেন।
গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
গরুর ক্ষুরা রোগের সময় এসেছে এখন বর্ষাকাল বিভিন্ন ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে গরু-ছাগলের। আর তার মধ্যে ক্ষুরা রোগ অর্থাৎ এফ এম ডি রোগ বলে। হঠাৎ এই রোগটি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদী রোগ। এখানে কোন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা দিলেই গরু সুস্থ হয়ে যাবে তবে গর্ভবতী গরুর ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা সাবধানে দিতে হবে। আসুন নিচে গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কি করণীয় এগুলো জানুন।
করণীয় গুলো দেখুন-
>>মুখে যদি ঘা হয় সেক্ষেত্রে করণীয় হচ্ছে মধু ১০০ গ্রাম এবং দুই চামচ সোহাগাএবার সোহাগা একটি করার মধ্যে ভেজে নিবেন। এবং পাঁচটি সিভিট ট্যাবলেট নিবেন, দশটি রিবোফ্লাভিন ট্যাবলেট নিবেন। সবগুলো একসাথে ভালো করে গুড়ো করে নিতে হবে এবং মধুর সাথে মেশাতে হবে। এই ওষুধটি দিনে দুইবার করে ব্যবহার করবেন গরুর জিভায় সুন্দরভাবে লাগিয়ে দিবেন।
বড় গরু হলে এই উপাদানটি ডাবল করে তৈরি করবেন। তবে প্রতিদিন তৈরি করে প্রতিদিন ব্যবহার করবেন। যারা মধু জোগাড় করতে পারবেন না, তাদের ক্ষেত্রে বলছি ২৫০ গ্রাম চিটাগাং ব্যবহার করবেন।
>>হলুদ পাঁচ চামচ নিবেন, কাঁচা মরিচ পাঁচ থেকে সাতটি নিবেন অথবা মাঝারি আকারের একটি লেবু নিবেন, মধু ৫০ গ্রাম উপাদানটি ভালোভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন তবে দিনে একবার ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো ব্যবহার করা হবে যদি গ্রুপে থেকে হয় তাহলে দেশ ঠিক কমানোর জন্য দেশের পাউডার খাওয়াতে হবে জাইমোভেট পাউডার খাওয়াতে পারেন।
অনেকেই গরুর পায়ে পটাশ ব্যবহার করে। তবে এটি করা সতর্কমূলক রয়েছে। যদি আপনি নিয়ম মত ব্যবহার না করতে পারেন সেক্ষেত্রে গরুর সমস্যা হবে। পটাস নির্দিষ্ট মাত্রায় পানির মধ্যে গুলাতে হবে এরপর ব্যবহার করতে হবে। যদি নির্দিষ্ট মাত্রা ব্যবহার করতে পারেন সেক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন না। ক্ষুরা রোগ মানে গরুকে যত যত্ন বেশি করবেন, গরু তত দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় গরুর পায়ের বেশি ক্ষত হয়, হাঁটতে পারে না। তাই খাবার সোডা দিয়ে বেশি বেশি করে ধুয়ে দিতে হবে। দিনের মধ্যে এক থেকে পাঁচ বার খাবার সোডা মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে দিবেন। অবশ্যই কুসুম পানির মধ্যে খাবার সোডা মিশিয়ে নিবেন। এতে জীবাণু মুক্ত হবে। এই খাবার সোডা গরুর মুখে ব্যবহার করতে পারবেন। ঘা দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় পায়ের খুরের মধ্যে ঘা হয়েছে সেখান থেকে পোকা জন্মায়। তার জন্য আপনি একটি কাজ করতে পারেন, সেটা হচ্ছে বাজার থেকে তারপিন তেল কিনে আনবেন। অবশ্যই তারপিন তেলটি অরজিনাল হতে হবে। তার সাথে নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন ১০০ গ্রাম তারপিন তেলের সাথে ৪০০ গ্রাম নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন। এরপর পায়ের ক্ষতর ভিতরে স্প্রে করে দিন। দিনে অন্তত দুবার স্প্রে করে দিবেন। এতে করে যেতে হবে ক্ষত জায়গায় মাছি পরবে না এবং তাড়াতাড়ি ঘা শুকিয়ে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় গরুর পায়ের ঘাঁ টা কাঁচা কাঁচা ভাব চলে আসে। সেক্ষেত্রে আপনি ডাইরোভেট বোলাস বা ডাইরোভেট ট্যাবলেট ব্যবহার করবেন। ট্যাবলেট ভালো করে মিহি করে ঘায়ের উপর ছিটিয়ে দিবেন। দ্রুত টান ধরবে, শুকনো শুকনো ভাব চলে আসবে। এতে করে ঘাঁ খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
গরুকে যদি গোসল করানো হয় সেক্ষেত্রে পা ভেজানো যাবে না। গরুর গোসল করালে গরুর জ্বর কমে যাবে, গরু দ্রুত সুস্থ হবে। তাই গোসল করানো ভালো তবে পা শুকনা রাখতে হবে। কিংবা গোসলের পর দ্রুত পা শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে শুকনো কাপড় ভালো করে মুছে দিতে হবে। তা না করলে গরুর পায়ের ঘা আরো কাঁচা কাঁচা হয়ে যাবে।
নিমপাতা গুড়া ও গুড় মিশিয়ে মুখে দিয়ে দিবেন। এতে করে মুখের রুচি বাড়বে। গরুর প্রচুর পরিমাণে লালা ঝরে সেক্ষেত্রে পানি শূন্যতা হয়ে যায়। তাই খাবার স্যালাইন পানির সাথে মিসিয়ে খাওয়াবেন। তাহলে পানি শূন্যতা ঘাটতি কমে যাবে। স্যালাইন আপনি বাড়িতে তৈরি করেও খাওয়াতে পারেন কিংবা মানুষের খাবার স্যালাইন খাওয়াতে পারেন কিংবা ভেটেনারি স্যালাইন ও খাওয়াতে পারেনি। আর গরুর জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল খাইয়ে দিবেন।
ক্ষুরা রোগ একটি মেয়াদী রোগ, তবে মেয়াদে মধ্যে ভালো হয়ে যাবে। তবে গরুকে শক্ত খাবার দিবেন না। কারণ খাওয়ার সময় মুখে আঘাত লাগলে আবার কথা হবে তখন আরো দীর্ঘমেয়াদি ঘা তৈরি হবে। তার জন্য গরুকে নরম খাবার দিতে হবে। তার জন্য কাচা ঘাস খাওয়াতে পারেন, তবে শক্ত কাচা ঘাস খাওয়ানো যাবে না।। আমাদের খাবারের সাথে ভুসি এবং ধানের গোড়া খাওয়াবেন।
ক্ষুরা রোগের মেয়াদ প্রথম অবস্থায় সাত দিন থাকে আবার কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে ১৫ দিন আবার কোন কোন গরু খেতে ২১ দিনে এক মাস থেকে যায়। রোগের মেয়াদ সম্পূর্ণ নির্ভর করবে গরুর প্রতি যত্ন নেওয়ার উপর। তাই ক্ষুরা রোগ হলে অবশ্যই যত্ন নেওয়া ত্রুটি রাখবেন না। রাত দিন ২৪ ঘন্টা গরুর খেয়াল রাখতে হবে, গরুর যত্ন নিতে হবে। তাহলে দ্রুত ক্ষুরা রোগ ভালো হয়ে যাবে। গরুর ক্ষুরা রোগ ভালো করতে এন্টিবায়োটিকের কোন প্রয়োজন নেই। সম্পূর্ণটা ভালো করবে যত্ন গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর।
গর্ভবতী গরুর ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা
গর্ভবতী গরুর ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা সতর্ক হবে দিতে হবে। গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে হবে। এই রোগ বেশি আক্রান্ত হয়ে গেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ রোগের কোন অ্যান্টিবায়োটিক নেই কারণ এটি ভাইরাসজনিত রোগ। ঘা সারানোর জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট মিশ্রিত পানি দ্বারা ধুয়ে দিতে হবে।
কোন ভাবেই যেন মাছি না বসে। মাছি বসলে অনেক সময় পায়ে পোকা হয়ে যায়। পোকা হলে (Forceps) চিমটি দিয়ে বের করে দিতে হবে। পায়ের ঘা শুকানোর জন্য তারপিন তেল ও পানির সাথে মিশিয়ে ন্যাকড়া দিয়ে কিংবা মেশিন দিয়ে স্প্রে করে দিতে পারেন। দিনে দুইবার দিতে হবে।
বাছুর হলে মারা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। রোগা মাত্রই রোগীর লক্ষণ গুলো দেখেই বুঝতে পারবেন গরু ক্ষুরা রোগ হয়েছে। গাভী গরু হলে যদি দুধ দেয় তাহলে বাছুরকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে। এবং গরু থেকে বাছুরকে ধরে রাখতে হবে। এফ এমডি ভ্যাকসিন প্রতি চার মাস অন্তর অন্তর দিতে পারেন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
গরুর পায়ে ঘা শুকানোর ঔষধ
বর্ষাকালে গরু-ছাগলের খোঁড়া রোগ হয় আর এই ক্ষুরা রোগ হলে মুখে ও পায়ে ঘা হয়। এমন অবস্থা হয়ে যায় ক্ষত জায়গায় পোকা হয়। এর কোন অ্যান্টিবায়োটিক নেই। কি জানি খাবার সোডা পানিতে মিশিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। পটাশ দিয়ে পা পরিষ্কার করতে হবে।কুসুম গরম পানির সাথে পটাশ মেশাতে হবে। তবে পটাশ ব্যবহারের সময় নিয়মমতো পানি ব্যবহার না করলে ক্ষতি হবে। তাই পরিমাণ মতো অবশ্যই পানি দিতে হবে।
FL Cear পাউডার মুখে লাগাতে হবে। খোড়া রোগের কোন অ্যান্টিবায়োটিক নেই কারণ এটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগে গবাদি পশুর প্রতি যত্ন বেশি নিতে হবে এবং গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তাহলে দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। খুরা রোগ হলে অন্যান্য গরু থেকে দূরে রাখতে হবে যাতে বাকি গরু গুলোর যেন না হয়।
গরুর পায়ের ঘা শুকানোর ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন তারপিন তেল ১০০ গ্রাম এবং ৪০০ গ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে দিবেন। পটাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে পটাশ ব্যবহার করার সময় ৫ লিটার পানির সাথে তিন আঙ্গুল দিয়ে সামান্য পরিমাণ পটাশ মিশিয়ে নিবেন। ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকাতে ডাইররোভেট ট্যাবলেট গুড়া করে ঘায়ের ওপর ছিটিয়ে দিন এতে করে ঘা টান ধরবে দ্রুত শুকিয়ে যাবে। A-Fenac Vet এই ওষুধটি ব্যথা কমানোর জন্য গরুকে খাওয়াতে পারেন।
গরুর খুরা রোগের ঔষধ কি
গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গরুর খুরা রোগের ঔষধ কি গরুর খুঁড়া রোগের জন্য কোন এন্টিবায়োটিক নেই। শুধু যত্ন আর কিছু উপাদান দিয়ে ঘরোয়া ভাবে ট্রিটমেন্ট করা হয়। যেমন খাবার সোডা, তার পিন, ফিটকিরি পানি, হলুদ, মধু ,চিটাগর নিম পাতা ইত্যাদি এগুলো দিয়ে ঘরোয়া ভাবে ওষুধ তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে এবং বেশি বেশি যত্ন নিতে হবে।
এইসব উপাদানগুলো দিয়ে ঘরোয়া ভাবে কিভাবে গরুর ট্রিটমেন্ট করাবেন তা উপরে আর্টিকেলে গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর মধ্যে দেওয়া রয়েছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে ঘরোয়া উপায় গুলো সুন্দরভাবে বুঝে নিতে পারেন। বর্ষা সবাই যেকোনো সময় এই রোগ হতে পারে, তাই আগে থেকেই উপায় গুলো জানা থাকা ভালো।
গরুর ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন
গরুর খুরা রোগের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের নতুন নিয়ে এলো স্কয়ার ফার্মেসিউটিক্যালস কোম্পানি। গবাদি পশুর ফুড এন্ড মাউথ অর্থাৎ ক্ষুর রোগ এর ভ্যাকসিন অ্যাফটোভ্যাক্সপার। বর্ষা সময়ে গরু-ছাগলের রোগবালাই বেশি হয় এ সময় ভাইরাস আক্রান্ত করে বেশি। গবাদি পশুর ক্ষুরা রোগ একটি ভাইরাস জনিত রোগ।
তবে এই রোগ একটি মেয়াদের মধ্যে ভালো হয়। ক্ষুরা রোগ হলে গবাদি পশুর প্রচুর পরিমাণ যত্ন নিতে হয় তাহলে গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এর মাধ্যমে গবাদি পশু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে বর্তমানে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় তাই বর্ষাকালে এসব রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আগে থেকেই ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।
গরুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ
গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও গরুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ রোগ দেখলেই বুঝতে পারবেন। যদি জানা থাকে এই রোগের লক্ষণ গুলো কি কি। তাহলেই সহজে বুঝতে পারবেন। এবং এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ। বর্ষার সময় বেশি হয় তাই খেয়াল রাখবেন লক্ষণ গুলো দেখা মাত্রই চিকিৎসা শুরু করে দিবেন। নিচে গরুর ক্ষুরা রোগের লক্ষণ তুলে ধরা হলো-
- ক্ষুরা রোগ হলে গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।
- গরুর রুচি কমে যাবে।
- কখনো কখনো গরুর একটা পা ক্ষুরাতে থাকবে।
- মুখ দিয়ে লালা পরে।
- মুখে ঘা হবে।
- পায়ের জয়েন্টের মধ্যে ফুসকুড়ি বের হয়।
- শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ থেকে ১৬০ ডিগ্রি ফরেনহাইট বেড়ে যাবে।
- গর্ভবতী গরুর হলে তাহলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- এক থেকে চার মাস বয়সের গরুর বাছুরের যদি ঘোড়ার রোগ হয় তবে ৯০% বছুর মারা যাবে।
- গরুর মাংস কমে যাবে।
- যেসব গরু দুধ দেয় দুধ উৎপাদন কমে যাবে।
- আবার ওলান প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গরুর ক্ষুরা রোগের কারণ কি
গরুর ক্ষুরা রোগের কারণ কি জেনে নিন। খুরা রোগ মূলত একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগ বেশি দেখা যায় বর্ষাকালে। এছাড়া অন্যান সময়ে হয় তবে বর্ষাকালে বেশি হয়। বর্ষাকালের গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কমে যায়। এ রোগের কোন অ্যান্টিবায়োটিক নেই।তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া যায় আগে থেকেই।
গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়ার ঔষধ
গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়ার ওষুধ হিসেবে FL Cear পাউডার মুখে লাগাতে পারেন।এই রোগের কোন এন্টিবায়োটিক ওষুধ নেই। গরুর প্রতি ঘরোয়া ভাবে যত্ন নিলে দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। যেহেতু গরুর লালা পরে গরুর জিব্বায় ঘা রয়েছে তাই গরুকে নরম খাবার দিতে হবে। শক্ত খড় শক্ত ঘাস খেতে দেওয়া যাবে না।
গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ
গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়ার কারণ হচ্ছে খুরা রোগ। খোঁড়া রোগের লক্ষণই হচ্ছে গরুর মুখ দিয়ে লালা ঝরবে। এবং পা খোঁড়াতে থাকবে। পায়ের খুরের মধ্যে ঘা হবে। গরুর খুরা রোগের লক্ষণ। এটি একটি ভাইরা জনিত রোগ।
আজকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি, গরুর ক্ষুরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কারণ এই সময় বর্ষাকাল চারিদিকে বন্যায় প্লাবিত এলাকা বিভিন্ন রোগ বালাই তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ ভাইরাসজনিত রোগ হচ্ছে রোগ। থেকে ক্ষুরা রোগ একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই এই রোগ দূর করার জন্য সঠিক যত্ন নিতে হবে গরুর প্রতি।
আপনার গরুর খুরা রোগ থেকে রক্ষা পেতে উপরের উপায় গুলো অবলম্বন করুন এবং আরো অন্যান্য মানুষদের এই উপায় গুলো জানার ব্যবস্থা করে দিন তার জন্য আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিন। তারাও যেন গরুর প্রতি যত্নশীল হতে পারে। আর এ ধরনের তথ্য পেতে ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তাহলে সবার আগে তথ্য পেয়ে যাবেন।
সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url