যাত্রাপথে বমির ঔষধ - বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরেছি, যাত্রাপথে বমির ঔষধ অর্থাৎ বাসে বমি না হওয়ার ঔষধ এবং বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয় ইত্যাদি সমূহ তুলে ধরেছি। এ বিষয়টি অনেকেরই জানা দরকার।
যাত্রাপথে বমির ঔষধ - বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়
এছাড়াও আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি, বাসে উঠলে মাথা ঘুরায় কেন? বাসে উঠলে বমি হয় কেন? বাসে বমি বন্ধ হওয়ার উপায় এবং কি খেলে বাসে বমি হয় না বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশা করি, আর্টিকেল থেকে আপনার বাসে ভ্রমণ করার সময় বমি বন্ধ হওয়া চিরতরেমুক্ত করতে পারবেন।

যাত্রাপথে বমির ঔষধ

অনেকেরই বাসে উঠলে বমি হয়। কিন্তু বাসে উঠলে মনে হয় কেন এবং বাসে উঠলে মাথা ঘুরায় কিছুই জানি না। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রেই সমস্যা হয় কিছু কিছু মানুষের এই সমস্যা দেখা দেয় গাড়ি চললে বিশেষ করে বাসে উঠলে বমি হয়। বাসে উঠলে বমি আসলে করণীয় কি আজকে আমরা আর্টিকেলের মধ্যে জানবো। আপনি যদি এই সমস্যায় বুঝেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

যাত্রাপথে বমের ঔষধ সঙ্গে রাখতে হবে যাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয় তাদের সচেতন হতে হবে। যাত্রাপথে বমির ঔষধ খেলে বমি হবে না। তাই যাত্রাপথে রওনার আগে অবশ্যই সঙ্গে বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ। আমরা সকলেই কমবেশি ভ্রমণ করে থাকি। বমি বন্ধ হওয়ার ট্যাবলেট আগের দিনে নিকটস্থ ফার্মেস থেকে কিনে রাখবেন যাতে সকালে উঠেই যাত্রাপথে রওনার সময় বমির ট্যাবলেট নিতে হবে।

বমির ট্যাবলেট অমিডন

অনেকেরই বাসে উঠে ভ্রমণ করতে পারে না, বমি হয়। তাদের জন্য যাত্রা পথে বাসে উঠার সময় বমি ফেরানোর ওষুধ খেতে হবে। বমি বন্ধ হওয়ার জন্য বমির ট্যাবলেট খেতে হবে।বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? বিভিন্ন কোম্পানির ট্যাবলেট রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বমি ট্যাবলেট অমিডন ১০এম জি ট্যাবলেট পাওয়া যায়। ভ্রমণের সময় অবশ্যই বমির ট্যাবলেট অমিডন টি খাবেন তাহলে বমি হবে না খাবার কিছু নিয়ম রয়েছে এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি জেনে নেই।

ডমপেরিডন মেলিয়েট
১০ এমজি

নির্দেশনা-
  • পেটের গ্যাস্টিক কমাতে সাহায্য করে ।
  • পেটের ভেতর থেকে ফাঁপা মনে হয় এবং বমি বমি ভাব মনে হয়।
  • পাকিস্থলির খাদ্য পরিভাগে চলে আসে এবং বুক জ্বালাপোড়া করে।
  • ডমপারিডন মেলিয়েট ওষুধ বমি ভাব কমায় বমি প্রতিরোধ করে।
ব্যবহার বিধিঃ খাদ্য গ্রহণের আধাঘন্টা পূর্বে খেতে হবে কিংবা ঘুমানোর আগে খেতে পারবেন। এই ওষুধটি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের খাওয়ানো যাবে তবে শরীরের ওজন খাওয়াতে হবে। এই ওষুধটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম খাওয়া যাবে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা পর পর। এছাড়াও যারা ছোট শিশু তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে পারেন। ডাব্বাডি ডন ওষুধটি শিশুদের খাওয়া নিষিদ্ধ। রক্তের প্রল্যাকটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে তাই এটি সেবনের ফলে মাথাব্যথা ত্বকের লালচে ভাব পিপাসা হতে পারে। একটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।

বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়

সমীরণ ট্যাবলেট বমি বন্ধ হওয়ার জন্য খেয়ে থাকি। মুখে সেবন করি এছাড়াও আপনার স্বাস্থ্যসেবার অবদান কারীর নির্দেশনা বলি অনুসরণ করে খেতে হবে। বাসে ওঠার সময় বমি হলে আপনাকে অবশ্যই বমি বন্ধ হওয়ার জন্য খেতে হবে। এরপর আপনার স্বাস্থ্য প্রদানকারী নির্দেশে বলেও খেতে পারেন। কিন্তু এই বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয় আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে সমস্ত কিছু বিস্তারিত তুলে ধরবো।

আমরা যাত্রাপথে অনেকেই বাসে বমি করি, তাই বলে যাত্রা ভ্রমন রাখা যাবে না কষ্ট হলেও যেতে হয়। তাই বমি ফেরানোর জন্য ওষুধ সেবন করি। নিয়ম জেনে ওষুধ খেতে হবে। আপনি বাসে উঠে বমির ঔষধ খেয়ে নিলেন এতে আপনার বমি ফিরবে না। তাই অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে। অনেকেই বমি বন্ধ হওয়ার জন্য অমিডন ঔষধ খায়।

বমি বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ খাবারের আধা ঘন্টা আগে দিতে হবে। যদি যাত্রাপথের উদ্দেশ্যে ভূমি হওয়ার ওষুধ খেতে চান তাহলে গাড়িতে ওঠার আগে অন্তত আগে খেয়ে গাড়িতে উঠবেন। তাহলে আপনার বমি বন্ধ হওয়া ফিরবে। একটি বড়ির অ্যাকশন থাকবে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে আপনার ভ্রমণ যদিতার বেশি হয় তাহলে গাড়িতে ৬ ঘন্টা পর আবারো একটি বমির ট্যাবলেট খেয়ে নেবে।

বাসে উঠলে মাথা ঘুরায় কেন

বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? বাসে উঠলে অনেকেরই মাথা ঘুরে, কিন্তু বাসে উঠলে মাথা ঘুরায় কেন ? বাসে উঠলে কিংবা মাইক্রোতে কিংবা সিএনজি অনেক সময় যাত্রা পথে লম্বা জার্নি হলে অনেকেরই মাথা ঘোরায় বমি হয় বমি বমি ভাগ হয়। গাড়িতে চলাচল করার সময় মস্তিষ্কের ভিতর একটি আলাদা সংকেত গ্রহণ করে, যা মস্তিষ্কের স্নায়ু শক্তি দুর্বল হয়ে যায়। ফলে মাথা চক্র কার খেলতে লাগে তখন মাথা ঘুরে যায়।

বাসে উঠলে বমি হয় কেন

বাসে উঠলে বমি হয় কেন? বাসের ধোয়া পেট্রোলের গন্ধ নাকে এসে লাগে। তখন পৃথিবীতে থেকে বমি বমি ভাব হয়। হয়এই সমস্যা অনেকেরই হয় না কিন্তু কিছু কিছু মানুষের এরকম সমস্যা হয় গাড়িতে বিশেষ করে বাসে উঠলে বমি হয় কারণ বাসের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। গা গুলানো শুরু করে এবং পেটের ভেতর থেকে বমি বমি ভাব হয়। গাড়ির ধোঁয়া ডিজেলের গন্ধ মস্তিষ্কে অন্যরকম ভাব সৃষ্টি করে।

বাসে বমি না হওয়ার ঔষধ

অনেকেরই বাসে উঠলে বমি হয় কিংবা কোন গন্ধ পেলে বমি বমি ভাব হয়। সেক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে সমস্যা হয় লম্বা জার্নি করতে গেলে বমি করতে করতে নাযেয়াল হয়ে যেতে হয়। তাই বমি ফেরানোর জন্য কিছু অবলম্বন করতে হয়। যার মাধ্যমে যাত্রা পথে বমি হওয়া ফেরায়।বমি বন্ধ হওয়ার জন্য অনেকেই ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। আসুন জেনে নেই বাসে ওঠার আগে কোন ট্যাবলেট খেলে আপনার বমি হবে না বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ খেতে হবে।
  • ডমপেরিডন ট্যাবলেট ১০ এমজি
  • ভমিহল ট্যাবলেট ৪ এমজি
  • এমসেট ট্যাবলেট ৮ এমজি
  • প্যালানোসেট্রন ট্যাবলেট ৫ এমজি
  • ড্রামামিন ট্যাবলেট
উপরের দেওয়া ট্যাবলেট গুলো খেতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? একজন ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিয়ে বমি বন্ধ হওয়ার ট্যাবলেট খেতে পারবেন কারণ। এতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় সমস্যা হতে পারে। তাই খাওয়ার আগে জেনে বুঝে খাবেন।

বাসে বমি বন্ধ করার উপায়

আমরা সচরাচর বাসে ভ্রমণ করি কিংবা কোন পিকনিক কিংবা ঘুরতে যাওয়া সময় বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করি। তবে অনেকেরই বাসে বা ট্রেনে বমি হয়। এক্ষেত্রে ঘুরে কোনভাবে মজা পাওয়া যায় না, অসুস্থ হয়ে যায় যেতে হয়।সবার সাথে ভ্রমণ করার আনন্দে মাটি হয়ে যায়। একটি অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয় শরীরের ভেতরে।

এই সমস্যাটি মোশন সিখনেস এর সমস্যা থাকলে আপনার বাসে উঠলে বমি হবে। বাসের তীব্র গন্ধ এবং হঠাৎ ঝাকুনি দিয়ে বাস থেমে যাওয়ার পরে যে পেট্রোলের গন্ধ বের হয় সেটা পেটের মধ্যে যাওয়া মাত্রই বমি শুরু হয়। তাই বাসে বমি বন্ধ করার উপায় কিছু রয়েছে। আসুন বাসে বমি বন্ধ করার উপায় গুলো জেনে নেই।

বমি বন্ধ হওয়ার জন্য ওষুধ খেতে হবেঃ বমি বন্ধ হওয়ার জন্য ওষুধ খেতে হবে তাই বাসে ওঠার আগে অন্তত ৩০ মিনিট আগে বমি বন্ধ হওয়া অমিডন ওষুধ খেয়ে নেবেন ।ওষুধের মেয়াদ ছয় ঘন্টা পর্যন্ত এখন আপনার জার্নি যদি ছয় ঘন্টার বেশি হয় সেক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার আধা ঘন্টা আগেই আবারো একটি ট্যাবলেট খেয়ে নেবেন।

বাসের সামনের সিটে বসতে হবেঃ বাসের একটি গন্ধ বের হয় যা অনেকেরই সহ্য হয় না। আর বাসের পেছনে সিটে বসলে পেট্রোলের গন্ধ বেশি লাগে। কারণ সেখানে ইঞ্জিন থাকে যার কারণে গন্ধটা বেশি লাগে তাই বাসের সামনের সিটে বসতে হবে।

জানানোর পাশে বসতে হবেঃ জানালার পাশে বসতে হবে কারণ জানালার পাশে বসলে বাহিরের প্রাকৃতিক বাতাস লাগলে বাসের গন্ধটা কেমন লাগে না তাই জানালার পাশে বসলে বমি হওয়া থেকে পাবেন। বাস যখন থামে তখন বেশি গন্ধ লাগে তাই বাইরের বাতাস লাগলে গন্ধটা নাকে আসবে না।

খালি পেটে ভ্রমন করা যাবে নাঃবাসে ভ্রমণ করার সময় কখনোই খালি পেটে উঠবেন না কারণ খালি পেটে ভ্রমণ করলে পেটের মধ্যে পাক শুরু করবে এবং গন্ধ যা মাত্রই বমি চলে আসবে তাই খালি পেটে ভ্রমণ করা যাবে না।

মুখে চকলেট রাখতে হবেঃ অনেকেরই আছে বাসে ভ্রমণ করতে গেলে মুখে চকলেট রাখলে বমি হয় না। সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন জার্নি করার সময়।

বাস যখন থামবে তখন নিঃশ্বাস আটকে রাখতে হবেঃ বাসের পেট্রোল পোড়া গন্ধ রয়েছে যে গন্ধ নাকি আসামাত্রই পেটের ভেতরে বমি বমি ভাব তৈরি হয় তাই বাসে যখন উঠবেন, তখন বাস ছাড়ার সময় নিঃশ্বাস কিছুক্ষণ আটকে রাখার চেষ্টা করবেন যাতে করে নাকের ভেতর দিয়ে গন্ধটা পেটের ভিতরে না যায়। আবার অনেক সময় যাত্রী ওঠানামা করার সময় হঠাৎ করে থামে তখন গন্ধ বের হয় তাই বাস যখন থাম আটকে রাখতে হবে কিছু সময়ের জন্য।
বাসে ঘুমের ভান ধরতে হবেঃ বাসে উঠে যারা বমি করে তারা সবসময় কেমন যেন ভয়ে ভয়ে থাকেন। সেভাবে থাকা যাবে না, কারণ এরকম ভাবে থাকলে বমি বেশি হয়, পেটের ভিতরে বেশি বমি বমি ভাব হয়, গা গুলিয়ে যায়। তাই বাসে ঘুমের ভান ধরতে হবে।

সিটে বসে গান বা গজল শুনে মনোযোগ দিতে হবেঃ অনেক সময় দেখা যায় বাসে বসে অন্য কারো সাথে গল্প গুজবে মগ্ন থাকলে বমি ভাব আসে না তাই একাকি থাকলে গান বা গজল এর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। আর বমি বমি ভাব নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকা যাবে না।

উপরের দেওয়া নিয়মগুলো যদি মানতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন হবে। একসময় দেখবেন বাসে উঠলে আর বমি হবে না। কারন আপনি জেনে গেছেন আপনি নিজেকে কোন মুডে রাখলে বাসে উঠলে বমি হবে না। তাই অবশ্যই উপরের দেওয়া নিয়ম গুলো মানার চেষ্টা করবেন।

কি খেলে বাসে বমি হয় না

বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয়? কি খেলে বাসে বমি হয় না? আসুন জেনে নেই, বাসে ওঠার সময় বমি হওয়ার ট্যাবলেট খেতে হবে। কখনো খালি পেটে বাসে ভ্রমন করা যাবে না। আপনাকে পেট ভরে খেতে হবে। অনেকেরই আছে মুখে চকলেট থাকলে বমি হয় না সে ক্ষেত্রে আপনিও মুখে চকলেট রাখতে পারেন।যাত্রাপথে বমির ঔষধ রাখতে হবে।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, এতক্ষন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজকের আর্টিকেলের মধ্যে তুলে ধরেছি, যাত্রাপথে বমির ঔষধ অর্থাৎ বাসে বমি না হওয়ার ঔষধ ও বমির ট্যাবলেট কখন খেতে হয় বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। এরপর থেকে আপনার বাসে উঠলে বমি হওয়া নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

অন্যদের সাথে শেয়ার করে দিন তারা যদি এই ধরনের সমস্যায় ভুগে তাহলে সমাধান পেয়ে যাবে। আর নিত্যনতুন সমস্যার সমাধান এই ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় তাই ভিজিট করে রাখুন যাতে সবার আগে তথ্যগুলো পেয়ে যান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাবিহা আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url